গোমতী নদী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
৬ নং লাইন: | ৬ নং লাইন: | ||
নদীটিতে বৃহৎ [[নৌকা|নৌকা]] চলাচলের জন্য প্রয়োজনীয় নাব্যতা নেই। কুমিল্লা, ময়নামতী, বুড়িচং, কোম্পানীগঞ্জ, মুরাদনগর এবং দাউদকান্দি এ নদীর তীরবর্তী উল্লেখযোগ্য স্থান। দাউদকান্দি পর্যন্ত গোমতী জোয়ারভাটা প্রভাবাধীন, কিন্তু উজান অঞ্চলে জোয়ারভাটার প্রভাব পরিলক্ষিত হয় না। [মাসুদ হাসান চৌধুরী] | নদীটিতে বৃহৎ [[নৌকা|নৌকা]] চলাচলের জন্য প্রয়োজনীয় নাব্যতা নেই। কুমিল্লা, ময়নামতী, বুড়িচং, কোম্পানীগঞ্জ, মুরাদনগর এবং দাউদকান্দি এ নদীর তীরবর্তী উল্লেখযোগ্য স্থান। দাউদকান্দি পর্যন্ত গোমতী জোয়ারভাটা প্রভাবাধীন, কিন্তু উজান অঞ্চলে জোয়ারভাটার প্রভাব পরিলক্ষিত হয় না। [মাসুদ হাসান চৌধুরী] | ||
''আরও দেখুন'' [[গঙ্গা-পদ্মা | ''আরও দেখুন'' [[গঙ্গা-পদ্মা নদীপ্রণালী|গঙ্গা-পদ্মা নদীপ্রণালী]]। | ||
''মানচিত্রের জন্য দেখুন'' [[গঙ্গা-পদ্মা | ''মানচিত্রের জন্য দেখুন'' [[গঙ্গা-পদ্মা নদীপ্রণালী|গঙ্গা-পদ্মা নদীপ্রণালী]]। | ||
[[en:Gumti River]] | [[en:Gumti River]] |
০৪:৫৫, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ
গোমতী নদী (Gumti River) ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের উত্তর-পূর্বপ্রান্তীয় পার্বত্য অঞ্চল ডুমুর নামক স্থান থেকে উৎপন্ন। নদীটি উৎস থেকে পার্বত্যভূমির মধ্য দিয়ে ১৫০ কিমি সর্পিল পথ পার হয়ে কুমিল্লা সদর উপজেলার কটক বাজারের কাছে বাংলাদেশ ভূখন্ডে প্রবেশ করেছে। বাংলাদেশে প্রবেশের পর এটি অাঁকাবাঁকা প্রবাহপথে কুমিল্লা শহরের উত্তর প্রান্ত এবং ময়নামতীর পূর্ব প্রান্ত অতিক্রম করে বয়ে চলেছে। প্রবাহপথের উত্তর দিকে বুড়িচং উপজেলাকে ডানে রেখে এটি দেবিদ্বার উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে কোম্পানীগঞ্জ বাজারে পৌঁছেছে। ময়নামতি থেকে কোম্পানীগঞ্জ বাজার পর্যন্ত নদীটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৬০ কিলোমিটার। কোম্পানীগঞ্জ থেকে পশ্চিম দিকে বাঁক নিয়ে নদীটি শেষাবধি দাউদকান্দি উপজেলার শাপটা নামক স্থানে এসে মেঘনা নদীতে পতিত হয়েছে। কোম্পানীগঞ্জ এবং দাউদকান্দির মধ্যে নদীর দৈর্ঘ্য প্রায় ৫০ কিলোমিটার। বাংলাদেশ ভূখন্ডে গোমতী নদীর মোট দৈর্ঘ্য ১৩৫ কিমি। গোমতীর গুরুত্বপূর্ণ উপনদীসমূহের একটি ডাকাতিয়া এবং এর শাখা নদীর নাম বুড়ি।
গোমতী তীব্র স্রোত সম্পন্ন একটি পার্বত্য নদী। কুমিল্লায় এর প্রবাহ মাত্রা ১০০ থেকে ২০,০০০ কিউসেক পর্যন্ত উঠানামা করে। নদীটির বর্ষাকালীন গড় প্রশস্ততা প্রায় ১০০ মিটার। এ সময়ে নদীটি কানায় কানায় পূর্ণ থাকে এবং স্রোতও হয় দ্রুতগতি সম্পন্ন। কিন্তু শীত মৌসুমে এর গতিধারা সংকীর্ণ হয়ে আসে এবং অধিকাংশ স্থানে হেঁটেই নদী পার হওয়া যায়। স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের বছরে নদীর পানির উচ্চতা পার্শ্ববর্তী এলাকার স্তর থেকে ১.৫ মিটারের উপরে বৃদ্ধি পায়। আকস্মিক বন্যা এ নদীর একটি সাধারণ বৈশিষ্ট্য এবং এ বন্যা মোটামুটি নিয়মিত বিরতিতে সংঘটিত হয়ে থাকে। এজন্য এ নদী একসময় ‘কুমিল্লা শহরের দুঃখ’ হিসেবে পরিচিত ছিল। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড নদীটির ধ্বংসাত্মক প্রবণতা প্রতিরোধে এবং কুমিল্লা শহর রক্ষায় বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। বন্যা প্রতিরোধের জন্য ভেড়িবাঁধ এবং নদীর গতিপথ সোজা রাখতে ১৯টি লুপকাট নির্মাণ করা হয়েছে। এসকল ব্যবস্থা গৃহীত হওয়া সত্ত্বেও বিভিন্ন সময় বন্যার প্রকোপে কুমিল্লা শহর বিপদাপন্ন হয়ে পড়ে। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক গৃহীত আরও কিছুসংখ্যক প্রকল্প বাস্তবায়নের পর, বর্তমানে গোমতী দৃশ্যত নিয়ন্ত্রণাধীন।
নদীটিতে বৃহৎ নৌকা চলাচলের জন্য প্রয়োজনীয় নাব্যতা নেই। কুমিল্লা, ময়নামতী, বুড়িচং, কোম্পানীগঞ্জ, মুরাদনগর এবং দাউদকান্দি এ নদীর তীরবর্তী উল্লেখযোগ্য স্থান। দাউদকান্দি পর্যন্ত গোমতী জোয়ারভাটা প্রভাবাধীন, কিন্তু উজান অঞ্চলে জোয়ারভাটার প্রভাব পরিলক্ষিত হয় না। [মাসুদ হাসান চৌধুরী]
আরও দেখুন গঙ্গা-পদ্মা নদীপ্রণালী।
মানচিত্রের জন্য দেখুন গঙ্গা-পদ্মা নদীপ্রণালী।