কৃষ্ণনাথ ন্যায়পঞ্চানন, মহামহোপাধ্যায়: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

সম্পাদনা সারাংশ নেই
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
'''কৃষ্ণনাথ ন্যায়পঞ্চানন, মহামহোপাধ্যায়'''  (১৮৩৩-১৯১১)  সংস্কৃত পণ্ডিত। পশ্চিমবঙ্গের নবদ্বীপের পূর্বস্থলীতে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা কেশবচন্দ্র বিদ্যারত্নও ছিলেন একজন সংস্কৃত পণ্ডিত।  
'''কৃষ্ণনাথ ন্যায়পঞ্চানন, মহামহোপাধ্যায়'''  (১৮৩৩-১৯১১)  সংস্কৃত পণ্ডিত। পশ্চিমবঙ্গের নবদ্বীপের পূর্বস্থলীতে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা কেশবচন্দ্র বিদ্যারত্নও ছিলেন একজন সংস্কৃত পণ্ডিত।  


কৃষ্ণনাথ [[বেদান্ত|বেদান্ত]], ন্যায়, মীমাংসা ইত্যাদি শাস্ত্রে পারদর্শী ছিলেন। ১৮৯১ খ্রিস্টাব্দে তিনি ‘মহামহোপাধ্যায়’ উপাধি লাভ করেন। পাণ্ডিত্যের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি শ্রীভারত ধর্মমহামণ্ডলের ব্যবস্থাপক পদে অধিষ্ঠিত হন এবং নবদ্বীপরাজ কর্তৃক বহু দিন নবদ্বীপের প্রধান স্মার্তপদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। নিজগৃহে চতুষ্পাঠী স্থাপন করে তিনি বিভিন্ন শাস্ত্রের অধ্যাপনা করেন।  
কৃষ্ণনাথ [[বেদান্ত দর্শন|বেদান্ত]], ন্যায়, মীমাংসা ইত্যাদি শাস্ত্রে পারদর্শী ছিলেন। ১৮৯১ খ্রিস্টাব্দে তিনি ‘মহামহোপাধ্যায়’ উপাধি লাভ করেন। পাণ্ডিত্যের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি শ্রীভারত ধর্মমহামণ্ডলের ব্যবস্থাপক পদে অধিষ্ঠিত হন এবং নবদ্বীপরাজ কর্তৃক বহু দিন নবদ্বীপের প্রধান স্মার্তপদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। নিজগৃহে চতুষ্পাঠী স্থাপন করে তিনি বিভিন্ন শাস্ত্রের অধ্যাপনা করেন।  


কৃষ্ণনাথ বেশ কয়েকটি মৌলিক গ্রন্থ রচনা করেন; তবে তাঁর প্রধান কৃতিত্ব সম্পাদনার ক্ষেত্রে। তিনি অনেক গুরুত্বপূর্ণ সংস্কৃত গ্রন্থ টীকাসহ প্রকাশ করেন যা তৎকালে সংস্কৃত চর্চায় ব্যাপক ভূমিকা পালন করে। বাতদূত (দূতকাব্য), শ্যামাসন্তোষ, স্মৃতিসিন্ধান্ত ইত্যাদি তাঁর মৌলিক গ্রন্থ এবং অভিজ্ঞানশকুন্তলম্, মলমাসতত্ত্ব, [[দায়ভাগ|দায়ভাগ, বেদান্তপরিভাষা, অর্থসংগ্রহ, মীমাংসা-ন্যায়-প্রকাশ, তত্ত্বকৌমুদী প্রভৃতি তাঁর সটীক সম্পাদিত গ্রন্থ।  [সত্যনারায়ণ চক্রবর্তী]   
কৃষ্ণনাথ বেশ কয়েকটি মৌলিক গ্রন্থ রচনা করেন; তবে তাঁর প্রধান কৃতিত্ব সম্পাদনার ক্ষেত্রে। তিনি অনেক গুরুত্বপূর্ণ সংস্কৃত গ্রন্থ টীকাসহ প্রকাশ করেন যা তৎকালে সংস্কৃত চর্চায় ব্যাপক ভূমিকা পালন করে। বাতদূত (দূতকাব্য), শ্যামাসন্তোষ, স্মৃতিসিন্ধান্ত ইত্যাদি তাঁর মৌলিক গ্রন্থ এবং অভিজ্ঞানশকুন্তলম্, মলমাসতত্ত্ব, [[দায়ভাগ|দায়ভাগ, বেদান্তপরিভাষা, অর্থসংগ্রহ, মীমাংসা-ন্যায়-প্রকাশ, তত্ত্বকৌমুদী প্রভৃতি তাঁর সটীক সম্পাদিত গ্রন্থ।  [সত্যনারায়ণ চক্রবর্তী]   


[[en:Krishnanath Nyayapanchanan, Mahamahopadhyay]]
[[en:Krishnanath Nyayapanchanan, Mahamahopadhyay]]

১০:৫০, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

কৃষ্ণনাথ ন্যায়পঞ্চানন, মহামহোপাধ্যায় (১৮৩৩-১৯১১) সংস্কৃত পণ্ডিত। পশ্চিমবঙ্গের নবদ্বীপের পূর্বস্থলীতে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা কেশবচন্দ্র বিদ্যারত্নও ছিলেন একজন সংস্কৃত পণ্ডিত।

কৃষ্ণনাথ বেদান্ত, ন্যায়, মীমাংসা ইত্যাদি শাস্ত্রে পারদর্শী ছিলেন। ১৮৯১ খ্রিস্টাব্দে তিনি ‘মহামহোপাধ্যায়’ উপাধি লাভ করেন। পাণ্ডিত্যের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি শ্রীভারত ধর্মমহামণ্ডলের ব্যবস্থাপক পদে অধিষ্ঠিত হন এবং নবদ্বীপরাজ কর্তৃক বহু দিন নবদ্বীপের প্রধান স্মার্তপদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। নিজগৃহে চতুষ্পাঠী স্থাপন করে তিনি বিভিন্ন শাস্ত্রের অধ্যাপনা করেন।

কৃষ্ণনাথ বেশ কয়েকটি মৌলিক গ্রন্থ রচনা করেন; তবে তাঁর প্রধান কৃতিত্ব সম্পাদনার ক্ষেত্রে। তিনি অনেক গুরুত্বপূর্ণ সংস্কৃত গ্রন্থ টীকাসহ প্রকাশ করেন যা তৎকালে সংস্কৃত চর্চায় ব্যাপক ভূমিকা পালন করে। বাতদূত (দূতকাব্য), শ্যামাসন্তোষ, স্মৃতিসিন্ধান্ত ইত্যাদি তাঁর মৌলিক গ্রন্থ এবং অভিজ্ঞানশকুন্তলম্, মলমাসতত্ত্ব, [[দায়ভাগ|দায়ভাগ, বেদান্তপরিভাষা, অর্থসংগ্রহ, মীমাংসা-ন্যায়-প্রকাশ, তত্ত্বকৌমুদী প্রভৃতি তাঁর সটীক সম্পাদিত গ্রন্থ। [সত্যনারায়ণ চক্রবর্তী]