চারঘাট উপজেলা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Robot: Automated text replacement (-'''''তথ্যসূত্র''''' +'''তথ্যসূত্র'''))
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
২ নং লাইন: ২ নং লাইন:
'''চারঘাট উপজেলা''' ([[রাজশাহী জেলা|রাজশাহী জেলা]])  আয়তন: ১৬৪.৫২ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২৪°১৪´ থেকে ২৪°২২´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮°৪৬´ থেকে ৮৮°৫২´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে পুঠিয়া ও পবা উপজেলা, দক্ষিণে বাঘা উপজেলা, পূর্বে বাঘাতিপাড়া ও বাঘা উপজেলা, পশ্চিমে পবা উপজেলা  ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য ।
'''চারঘাট উপজেলা''' ([[রাজশাহী জেলা|রাজশাহী জেলা]])  আয়তন: ১৬৪.৫২ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২৪°১৪´ থেকে ২৪°২২´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮°৪৬´ থেকে ৮৮°৫২´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে পুঠিয়া ও পবা উপজেলা, দক্ষিণে বাঘা উপজেলা, পূর্বে বাঘাতিপাড়া ও বাঘা উপজেলা, পশ্চিমে পবা উপজেলা  ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য ।


''জনসংখ্যা'' ১৮৩৯২১; পুরুষ ৯৪৯৮৬, মহিলা ৮৮৯৩৫। মুসলিম ১৭৬০৯৬, হিন্দু ৭৭৪৫, বৌদ্ধ ৩৬, খ্রিস্টান ১২ এবং অন্যান্য ৩২। এ উপজেলায় সাঁওতাল  আদিবাসীদের বসবাস রয়েছে।
''জনসংখ্যা'' ১৮৩৯২১; পুরুষ ৯৪৯৮৬, মহিলা ৮৮৯৩৫। মুসলিম ১৭৬০৯৬, হিন্দু ৭৭৪৫, বৌদ্ধ ৩৬, খ্রিস্টান ১২ এবং অন্যান্য ৩২। এ উপজেলায় সাঁওতাল  আদিবাসীদের বসবাস রয়েছে।


''জলাশয়'' পদ্মা ও বড়াল নদী এবং সালুয়ার বিল উল্লেখযোগ্য।
''জলাশয়'' পদ্মা ও বড়াল নদী এবং সালুয়ার বিল উল্লেখযোগ্য।


''প্রশাসন'' চারঘাট থানা গঠিত হয় ১৯১৯ সালে এবং থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয় ১৯৮৩ সালে।
''প্রশাসন'' চারঘাট থানা গঠিত হয় ১৯১৯ সালে এবং থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয় ১৯৮৩ সালে।
{| class="table table-bordered table-hover"
{| class="table table-bordered table-hover"
|-
|-
| colspan="9" | উপজেলা
| colspan="9" | উপজেলা
|-
|-
! rowspan="2" | পৌরসভা  || rowspan="2" | ইউনিয়ন  || rowspan="2" | মৌজা  || rowspan="2" | গ্রাম  || colspan="2" | জনসংখ্যা || rowspan="2" | ঘনত্ব(প্রতি বর্গ কিমি)  || colspan="2" | শিক্ষার হার (%)
| rowspan="2" | পৌরসভা  || rowspan="2" | ইউনিয়ন  || rowspan="2" | মৌজা  || rowspan="2" | গ্রাম  || colspan="2" | জনসংখ্যা || rowspan="2" | ঘনত্ব(প্রতি বর্গ কিমি)  || colspan="2" | শিক্ষার হার (%)
|-
|-
| শহর  || গ্রাম || শহর  || গ্রাম
| শহর  || গ্রাম || শহর  || গ্রাম
|-
|-
| ১  || ৬  || ৯৩  || ১১৪  || ৩৪৮১২  || ১৪৯১০৯  || ১১১৮  || ৫৮.৪০  || ৪২.৬৪
| ১  || ৬  || ৯৩  || ১১৪  || ৩৪৮১২  || ১৪৯১০৯  || ১১১৮  || ৫৮.৪০  || ৪২.৬৪
|}
|}
{| class="table table-bordered table-hover"
{| class="table table-bordered table-hover"
|-
|-
|পৌরসভা
| colspan="9" | পৌরসভা
|-
|-
| আয়তন (বর্গ কিমি)  || ওয়ার্ড  || মহল্লা  || লোকসংখ্যা  || ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি)  || শিক্ষার হার (%)
| আয়তন (বর্গ কিমি)  || ওয়ার্ড  || মহল্লা  || লোকসংখ্যা  || ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি)  || শিক্ষার হার (%)
|-
|-
| ১৮.৭৩  || ৯  || ২০  || ৩৭০৬  || ১৭৩২  || ৫৫.০০
| ১৮.৭৩  || ৯  || ২০  || ৩৭০৬  || ১৭৩২  || ৫৫.০০
|}
|}
{| class="table table-bordered table-hover"
{| class="table table-bordered table-hover"
|-
|-
| ইউনিয়ন
| colspan="9" | ইউনিয়ন
|-  
|-  
| rowspan="2" | ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড  || rowspan="2" | আয়তন (একর)  || colspan="2" | লোকসংখ্যা  || rowspan="2" | শিক্ষার হার (%)
| rowspan="2" | ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড  || rowspan="2" | আয়তন (একর)  || colspan="2" | লোকসংখ্যা  || rowspan="2" | শিক্ষার হার (%)
৪৪ নং লাইন: ৩৪ নং লাইন:
|-  
|-  
| ইউসুফপুর ৪৭  || ৪৫৯৩  || ১৫২২৮  || ১৪৫২২  || ৪৭.৬৭
| ইউসুফপুর ৪৭  || ৪৫৯৩  || ১৫২২৮  || ১৪৫২২  || ৪৭.৬৭
|-
|-
| চারঘাট ৩৯  || ৭১৬৩  || ৯৭০৭  || ৯২১৮  || ৩৮.২৩
| চারঘাট ৩৯  || ৭১৬৩  || ৯৭০৭  || ৯২১৮  || ৩৮.২৩
|-
|-
| নিমপাড়া ৭১  || ৯১৩৭  || ১৬০৬৪  || ১৫২১৪  || ৪১.০২
| নিমপাড়া ৭১  || ৯১৩৭  || ১৬০৬৪  || ১৫২১৪  || ৪১.০২
|-
|-
| ভায়া লক্ষীপুর ৩১  || ৬৬৪০  || ১৩৩৭৩  || ১২১৬৮  || ৪৩.০৭
| ভায়া লক্ষীপুর ৩১  || ৬৬৪০  || ১৩৩৭৩  || ১২১৬৮  || ৪৩.০৭
|-
|-
| সালুয়া ৮৭  || ৬৩৮০  || ১৩৪৫৫  || ১২৭১২  || ৪০.৯৯
| সালুয়া ৮৭  || ৬৩৮০  || ১৩৪৫৫  || ১২৭১২  || ৪০.৯৯
|-
|-
| সারদা ৯৪  || ৬৭৩৭  || ৮৮১৩  || ৮৬৩৫  || ৪৩.৬৫
| সারদা ৯৪  || ৬৭৩৭  || ৮৮১৩  || ৮৬৩৫  || ৪৩.৬৫
|}
|}
''সূত্র'' আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।
''সূত্র'' আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।
 
''মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবলি'' সারদা পুলিশ একাডেমী ও রাজশাহী ক্যাডেট কলেজ থেকে পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রাথমিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা হয়। ১৩ এপ্রিল পাকিস্তানি সৈন্যদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যুদ্ধে বেলপুকুর ব্রিজের (পুঠিয়া) নিকট বেশ কিছু মুক্তিযোদ্ধা সহ ক্যাডেট কলেজের অধ্যাপক এ.বি. সিদ্দিকী শহীদ হন। একই দিনে নগর বাড়ি অতিক্রমরত পাকিস্তানি বাহিনীর সাথে প্রতিরোধ যুদ্ধে শহীদ হন চারঘাটের আনসার বাহিনীর সদস্য মজের আলি। পাকসেনারা চারঘাটের প্রবেশমুখে বানেশ্বরে নাদের চেয়ারম্যানকে এবং সারদা বাজারে আনসার বাহিনীর সদস্য রইস উদ্দীনকে হত্যা করে। তারা পদ্মার তীর পর্যন্ত অগ্রসর হয়ে ভারতে যাওয়ার জন্য অপেক্ষমান কয়েকশত নিরস্ত্র মানুষকে ব্রাশফায়ারে হত্যা করে এবং চারঘাট বাজার পুড়িয়ে দেয়। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার, ক্যাডেট কলেজ, সারদা পাইলট স্কুল, রায় সাহেবের ইটভাটা প্রভৃতি স্থানে অস্থায়ী সেনাছাউনিতে মুক্তিযোদ্ধা এবং নারীদের নির্যাতন করা হতো।
 
''মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন'' গণকবর ২ (রায় সাহেবের ইটভাটা ও লাদাড়া গ্রামের উত্তর পাশে সি এন্ড বি এর ইটের ভাটার উত্তর পশ্চিম কোণ); বধ্যভূমি ১; মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য ১ (পুলিশ একাডেমী, সারদা)।


[[Image:CharghatUpazila.jpg|thumb|400px|right|]]
''মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবলি''  সারদা পুলিশ একাডেমী ও রাজশাহী ক্যাডেট কলেজ থেকে পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রাথমিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা হয়। ১৩ এপ্রিল পাকিস্তানি সৈন্যদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যুদ্ধে বেলপুকুর ব্রিজের (পুঠিয়া) নিকট বেশ কিছু মুক্তিযোদ্ধা সহ ক্যাডেট কলেজের অধ্যাপক এ.বি. সিদ্দিকী শহীদ হন। একই দিনে নগর বাড়ি অতিক্রমরত পাকিস্তানি বাহিনীর সাথে প্রতিরোধ যুদ্ধে শহীদ হন চারঘাটের আনসার বাহিনীর সদস্য মজের আলি। পাকসেনারা চারঘাটের প্রবেশমুখে বানেশ্বরে নাদের চেয়ারম্যানকে এবং সারদা বাজারে আনসার বাহিনীর সদস্য রইস উদ্দীনকে হত্যা করে। তারা পদ্মার তীর পর্যন্ত অগ্রসর হয়ে ভারতে যাওয়ার জন্য অপেক্ষমান কয়েকশত নিরস্ত্র মানুষকে ব্রাশফায়ারে হত্যা করে এবং চারঘাট বাজার পুড়িয়ে দেয়। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার, ক্যাডেট কলেজ, সারদা পাইলট স্কুল, রায় সাহেবের ইটভাটা প্রভৃতি স্থানে অস্থায়ী সেনাছাউনিতে মুক্তিযোদ্ধা এবং নারীদের নির্যাতন করা হতো।


[[Image:CharghatUpazila.jpg|thumb|400px|right|চারঘাট উপজেলা]]
''মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন''  গণকবর ২ (রায় সাহেবের ইটভাটা ও লাদাড়া গ্রামের উত্তর পাশে সিএন্ডবি এর ইটের ভাটার উত্তর পশ্চিম কোণ); বধ্যভূমি ১; মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য ১ (পুলিশ একাডেমী, সারদা)।


''ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান'' মসজিদ ৩৪১, মন্দির ৩০, গীর্জা ১।
''ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান'' মসজিদ ৩৪১, মন্দির ৩০, গীর্জা ১।


''শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান'' গড় হার ৪৫.৭%; পুরুষ ৫০.০%, মহিলা ৪১.০%। কলেজ ১৩, পুলিশ ট্রেনিং কলেজ ১, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৬২, প্রাথমিক বিদ্যালয় ৬৮, কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ১, মাদ্রাসা ১২। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: পুলিশ একাডেমি, সারদা (১৯১২), রাজশাহী ক্যাডেট কলেজ (১৯৬৫), ইউসুফপুর কৃষি উচ্চ বিদ্যালয় (১৯০৫), সারদা সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় (১৯১৬), সালুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৮৮৫), হলিদাগাছি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৮৯৫)।
''শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান'' গড় হার ৪৫.৭%; পুরুষ ৫০.০%, মহিলা ৪১.০%। কলেজ ১৩, পুলিশ ট্রেনিং কলেজ ১, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৬২, প্রাথমিক বিদ্যালয় ৬৮, কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ১, মাদ্রাসা ১২। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: পুলিশ একাডেমি, সারদা (১৯১২), রাজশাহী ক্যাডেট কলেজ (১৯৬৫), ইউসুফপুর কৃষি উচ্চ বিদ্যালয় (১৯০৫), সারদা সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় (১৯১৬), সালুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৮৮৫), হলিদাগাছি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৮৯৫)।


''সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান'' লাইব্রেরি ৩, ক্লাব ৩৫, থিয়েটার গ্রুপ ১, সিনেমা হল ১, মহিলা সংগঠন ১, খেলার মাঠ ৪৫।
''সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান'' লাইব্রেরি ৩, ক্লাব ৩৫, থিয়েটার গ্রুপ ১, সিনেমা হল ১, মহিলা সংগঠন ১, খেলার মাঠ ৪৫।


''জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস'' কৃষি ৫৫.০৫%, অকৃষি শ্রমিক ৩.৯৬%, শিল্প ০.৫৯%, ব্যবসা ১৮.০%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ৬.১১%, চাকরি ৬.৮০%, নির্মাণ ১.৯২%, ধর্মীয় সেবা ০.১১%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ০.২৯% এবং অন্যান্য ৭.১৭%।
''জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস'' কৃষি ৫৫.০৫%, অকৃষি শ্রমিক ৩.৯৬%, শিল্প ০.৫৯%, ব্যবসা ১৮.০%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ৬.১১%, চাকরি ৬.৮০%, নির্মাণ ১.৯২%, ধর্মীয় সেবা ০.১১%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ০.২৯% এবং অন্যান্য ৭.১৭%।


''কৃষিভূমির মালিকানা'' ভূমিমালিক ৫২.৫৬%, ভূমিহীন ৪৭.৪৪%। শহরে ৩৭.৬৮% এবং গ্রামে ৫৫.৮০% পরিবারের কৃষিজমি রয়েছে।
''কৃষিভূমির মালিকানা'' ভূমিমালিক ৫২.৫৬%, ভূমিহীন ৪৭.৪৪%। শহরে ৩৭.৬৮% এবং গ্রামে ৫৫.৮০% পরিবারের কৃষিজমি রয়েছে।


''প্রধান কৃষি ফসল'' ধান, গম, আখ, আলু, হলুদ, পাট ও খয়ের।
''প্রধান কৃষি ফসল'' ধান, গম, আখ, আলু, হলুদ, পাট ও খয়ের।


''বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি'' কাউন, তিসি, চিনা, অড়হর।
''বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি'' কাউন, তিসি, চিনা, অড়হর।


''প্রধান ফল-ফলাদিব'' আম, কাঁঠাল, লিচু, কলা, পেঁপে, জাম।
''প্রধান ফল-ফলাদি'' আম, কাঁঠাল, লিচু, কলা, পেঁপে, জাম।


''মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার'' হাঁস-মুরগি১০।
''মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার'' হাঁস-মুরগি১০।


''যোগাযোগ বিশেষত্ব'' পাকারাস্তা ৪০ কিমি, আধা-পাকারাস্তা ৪ কিমি, কাঁচারাস্তা ১৯০ কিমি; রেলওয়ে ১৩ কিমি।
''যোগাযোগ বিশেষত্ব'' পাকারাস্তা ৪০ কিমি, আধা-পাকারাস্তা ৪ কিমি, কাঁচারাস্তা ১৯০ কিমি; রেলওয়ে ১৩ কিমি।


''বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন'' পাল্কি।
''বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন'' পাল্কি।


''শিল্প ও কলকারখানা'' ময়দাকল, বরফকল, ওয়েল্ডিং, সুগার মিল, বিড়ি কারখানা প্রভৃতি।
''শিল্প ও কলকারখানা'' ময়দাকল, বরফকল, ওয়েল্ডিং, সুগার মিল, বিড়ি কারখানা প্রভৃতি।


''কুটিরশিল্প'' স্বর্ণশিল্প, তাঁতশিল্প, লৌহশিল্প, বাঁশের কাজ।
''কুটিরশিল্প'' স্বর্ণশিল্প, তাঁতশিল্প, লৌহশিল্প, বাঁশের কাজ।


''হাটবাজার ও মেলা'' হাটবাজার ২৫। নন্দনগাছি বাজার, চারঘাট বাজার, ডাকরা বাজার, গোবিন্দপুর বাজার, হলিদাগাছি বাজার, সালুয়া বাজার, কাকড়ামারি বাজার, সারদা বাজার এবং চড়কের মেলা ও কালু পীরের মেলা উল্লেখযোগ্য।
''হাটবাজার ও মেলা'' হাটবাজার ২৫। নন্দনগাছি বাজার, চারঘাট বাজার, ডাকরা বাজার, গোবিন্দপুর বাজার, হলিদাগাছি বাজার, সালুয়া বাজার, কাকড়ামারি বাজার, সারদা বাজার এবং চড়কের মেলা ও কালু পীরের মেলা উল্লেখযোগ্য।


''প্রধান রপ্তানিদ্রব্য''   আম, লিচু, সরিষা, তিল, অাঁখ, খেজুর গুড়, আখের গুড়, খয়ের।
''প্রধান রপ্তানিদ্রব্য'' আম, লিচু, সরিষা, তিল, অাঁখ, খেজুর গুড়, আখের গুড়, খয়ের।


''বিদ্যুৎ ব্যবহার'' এ উপজেলার সবক’টি ইউনিয়ন পল্লিলবিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ৩৩.১২% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।
''বিদ্যুৎ ব্যবহার'' এ উপজেলার সবক’টি ইউনিয়ন পল্লিলবিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ৩৩.১২% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।


''পানীয়জলের উৎস'' নলকূপ ৯৭.৪৩%, পুকুর ০.০৪%, ট্যাপ ০.৭২% এবং অন্যান্য ২.১১%। এ উপজেলার অগভীর নলকূপের পানিতে মাত্রাতিরিক্ত আর্সেনিকের উপস্থিতি প্রমাণিত হয়েছে।
''পানীয়জলের উৎস'' নলকূপ ৯৭.৪৩%, পুকুর ০.০৪%, ট্যাপ ০.৭২% এবং অন্যান্য ২.১১%। এ উপজেলার অগভীর নলকূপের পানিতে মাত্রাতিরিক্ত আর্সেনিকের উপস্থিতি প্রমাণিত হয়েছে।


''স্যানিটেশন ব্যবস্থা'' এ উপজেলার ২৯.৪৮% (গ্রামে ২৪.২১% এবং শহরে ৫৩.৬৫%) পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং ৩৬.২৫% (গ্রামে ৩৭.২৭% এবং শহরে ৩১.৫৫%) পরিবার অস্বাস্থাকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। ৩৪.২৭% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই।
''স্যানিটেশন ব্যবস্থা'' এ উপজেলার ২৯.৪৮% (গ্রামে ২৪.২১% এবং শহরে ৫৩.৬৫%) পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং ৩৬.২৫% (গ্রামে ৩৭.২৭% এবং শহরে ৩১.৫৫%) পরিবার অস্বাস্থাকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। ৩৪.২৭% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই।


''স্বাস্থ্যকেন্দ্র'' উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ১, পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র ৬, উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র ৫, সারদা পুলিশ একাডেমি হাসপাতাল ১, ক্লিনিক ২।
''স্বাস্থ্যকেন্দ্র'' উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ১, পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র ৬, উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র ৫, সারদা পুলিশ একাডেমি হাসপাতাল ১, ক্লিনিক ২।


''এনজিও'' ব্র্যাক, আশা, সচেতন, কেয়ার, ঠেঙ্গামারা মহিলা সবুজ সংঘ, আইটিসিএল।  [মোঃ জায়েদুল আলম]
''এনজিও'' ব্র্যাক, আশা, সচেতন, কেয়ার, ঠেঙ্গামারা মহিলা সবুজ সংঘ, আইটিসিএল।  [মোঃ জায়েদুল আলম]


'''তথ্যসূত্র'''   আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; চারঘাট উপজেলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭।
'''তথ্যসূত্র''' আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; চারঘাট উপজেলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭।


[[en:Charghat Upazila]]
[[en:Charghat Upazila]]

১০:৪৩, ২৩ অক্টোবর ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

চারঘাট উপজেলা (রাজশাহী জেলা)  আয়তন: ১৬৪.৫২ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২৪°১৪´ থেকে ২৪°২২´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮°৪৬´ থেকে ৮৮°৫২´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে পুঠিয়া ও পবা উপজেলা, দক্ষিণে বাঘা উপজেলা, পূর্বে বাঘাতিপাড়া ও বাঘা উপজেলা, পশ্চিমে পবা উপজেলা  ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য ।

জনসংখ্যা ১৮৩৯২১; পুরুষ ৯৪৯৮৬, মহিলা ৮৮৯৩৫। মুসলিম ১৭৬০৯৬, হিন্দু ৭৭৪৫, বৌদ্ধ ৩৬, খ্রিস্টান ১২ এবং অন্যান্য ৩২। এ উপজেলায় সাঁওতাল  আদিবাসীদের বসবাস রয়েছে।

জলাশয় পদ্মা ও বড়াল নদী এবং সালুয়ার বিল উল্লেখযোগ্য।

প্রশাসন চারঘাট থানা গঠিত হয় ১৯১৯ সালে এবং থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয় ১৯৮৩ সালে।

উপজেলা
পৌরসভা ইউনিয়ন মৌজা গ্রাম জনসংখ্যা ঘনত্ব(প্রতি বর্গ কিমি) শিক্ষার হার (%)
শহর গ্রাম শহর গ্রাম
৯৩ ১১৪ ৩৪৮১২ ১৪৯১০৯ ১১১৮ ৫৮.৪০ ৪২.৬৪
পৌরসভা
আয়তন (বর্গ কিমি) ওয়ার্ড মহল্লা লোকসংখ্যা ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) শিক্ষার হার (%)
১৮.৭৩ ২০ ৩৭০৬ ১৭৩২ ৫৫.০০
ইউনিয়ন
ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড আয়তন (একর) লোকসংখ্যা শিক্ষার হার (%)
পুরুষ মহিলা
ইউসুফপুর ৪৭ ৪৫৯৩ ১৫২২৮ ১৪৫২২ ৪৭.৬৭
চারঘাট ৩৯ ৭১৬৩ ৯৭০৭ ৯২১৮ ৩৮.২৩
নিমপাড়া ৭১ ৯১৩৭ ১৬০৬৪ ১৫২১৪ ৪১.০২
ভায়া লক্ষীপুর ৩১ ৬৬৪০ ১৩৩৭৩ ১২১৬৮ ৪৩.০৭
সালুয়া ৮৭ ৬৩৮০ ১৩৪৫৫ ১২৭১২ ৪০.৯৯
সারদা ৯৪ ৬৭৩৭ ৮৮১৩ ৮৬৩৫ ৪৩.৬৫

সূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।

মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবলি সারদা পুলিশ একাডেমী ও রাজশাহী ক্যাডেট কলেজ থেকে পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রাথমিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা হয়। ১৩ এপ্রিল পাকিস্তানি সৈন্যদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যুদ্ধে বেলপুকুর ব্রিজের (পুঠিয়া) নিকট বেশ কিছু মুক্তিযোদ্ধা সহ ক্যাডেট কলেজের অধ্যাপক এ.বি. সিদ্দিকী শহীদ হন। একই দিনে নগর বাড়ি অতিক্রমরত পাকিস্তানি বাহিনীর সাথে প্রতিরোধ যুদ্ধে শহীদ হন চারঘাটের আনসার বাহিনীর সদস্য মজের আলি। পাকসেনারা চারঘাটের প্রবেশমুখে বানেশ্বরে নাদের চেয়ারম্যানকে এবং সারদা বাজারে আনসার বাহিনীর সদস্য রইস উদ্দীনকে হত্যা করে। তারা পদ্মার তীর পর্যন্ত অগ্রসর হয়ে ভারতে যাওয়ার জন্য অপেক্ষমান কয়েকশত নিরস্ত্র মানুষকে ব্রাশফায়ারে হত্যা করে এবং চারঘাট বাজার পুড়িয়ে দেয়। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার, ক্যাডেট কলেজ, সারদা পাইলট স্কুল, রায় সাহেবের ইটভাটা প্রভৃতি স্থানে অস্থায়ী সেনাছাউনিতে মুক্তিযোদ্ধা এবং নারীদের নির্যাতন করা হতো।

মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন গণকবর ২ (রায় সাহেবের ইটভাটা ও লাদাড়া গ্রামের উত্তর পাশে সিএন্ডবি এর ইটের ভাটার উত্তর পশ্চিম কোণ); বধ্যভূমি ১; মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য ১ (পুলিশ একাডেমী, সারদা)।

ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মসজিদ ৩৪১, মন্দির ৩০, গীর্জা ১।

শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড় হার ৪৫.৭%; পুরুষ ৫০.০%, মহিলা ৪১.০%। কলেজ ১৩, পুলিশ ট্রেনিং কলেজ ১, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৬২, প্রাথমিক বিদ্যালয় ৬৮, কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ১, মাদ্রাসা ১২। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: পুলিশ একাডেমি, সারদা (১৯১২), রাজশাহী ক্যাডেট কলেজ (১৯৬৫), ইউসুফপুর কৃষি উচ্চ বিদ্যালয় (১৯০৫), সারদা সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় (১৯১৬), সালুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৮৮৫), হলিদাগাছি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৮৯৫)।

সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান লাইব্রেরি ৩, ক্লাব ৩৫, থিয়েটার গ্রুপ ১, সিনেমা হল ১, মহিলা সংগঠন ১, খেলার মাঠ ৪৫।

জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষি ৫৫.০৫%, অকৃষি শ্রমিক ৩.৯৬%, শিল্প ০.৫৯%, ব্যবসা ১৮.০%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ৬.১১%, চাকরি ৬.৮০%, নির্মাণ ১.৯২%, ধর্মীয় সেবা ০.১১%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ০.২৯% এবং অন্যান্য ৭.১৭%।

কৃষিভূমির মালিকানা ভূমিমালিক ৫২.৫৬%, ভূমিহীন ৪৭.৪৪%। শহরে ৩৭.৬৮% এবং গ্রামে ৫৫.৮০% পরিবারের কৃষিজমি রয়েছে।

প্রধান কৃষি ফসল ধান, গম, আখ, আলু, হলুদ, পাট ও খয়ের।

বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি কাউন, তিসি, চিনা, অড়হর।

প্রধান ফল-ফলাদি আম, কাঁঠাল, লিচু, কলা, পেঁপে, জাম।

মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার হাঁস-মুরগি১০।

যোগাযোগ বিশেষত্ব পাকারাস্তা ৪০ কিমি, আধা-পাকারাস্তা ৪ কিমি, কাঁচারাস্তা ১৯০ কিমি; রেলওয়ে ১৩ কিমি।

বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন পাল্কি।

শিল্প ও কলকারখানা ময়দাকল, বরফকল, ওয়েল্ডিং, সুগার মিল, বিড়ি কারখানা প্রভৃতি।

কুটিরশিল্প স্বর্ণশিল্প, তাঁতশিল্প, লৌহশিল্প, বাঁশের কাজ।

হাটবাজার ও মেলা হাটবাজার ২৫। নন্দনগাছি বাজার, চারঘাট বাজার, ডাকরা বাজার, গোবিন্দপুর বাজার, হলিদাগাছি বাজার, সালুয়া বাজার, কাকড়ামারি বাজার, সারদা বাজার এবং চড়কের মেলা ও কালু পীরের মেলা উল্লেখযোগ্য।

প্রধান রপ্তানিদ্রব্য আম, লিচু, সরিষা, তিল, অাঁখ, খেজুর গুড়, আখের গুড়, খয়ের।

বিদ্যুৎ ব্যবহার এ উপজেলার সবক’টি ইউনিয়ন পল্লিলবিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ৩৩.১২% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।

পানীয়জলের উৎস নলকূপ ৯৭.৪৩%, পুকুর ০.০৪%, ট্যাপ ০.৭২% এবং অন্যান্য ২.১১%। এ উপজেলার অগভীর নলকূপের পানিতে মাত্রাতিরিক্ত আর্সেনিকের উপস্থিতি প্রমাণিত হয়েছে।

স্যানিটেশন ব্যবস্থা এ উপজেলার ২৯.৪৮% (গ্রামে ২৪.২১% এবং শহরে ৫৩.৬৫%) পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং ৩৬.২৫% (গ্রামে ৩৭.২৭% এবং শহরে ৩১.৫৫%) পরিবার অস্বাস্থাকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। ৩৪.২৭% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই।

স্বাস্থ্যকেন্দ্র উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ১, পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র ৬, উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র ৫, সারদা পুলিশ একাডেমি হাসপাতাল ১, ক্লিনিক ২।

এনজিও ব্র্যাক, আশা, সচেতন, কেয়ার, ঠেঙ্গামারা মহিলা সবুজ সংঘ, আইটিসিএল।  [মোঃ জায়েদুল আলম]

তথ্যসূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; চারঘাট উপজেলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭।