রুটাইল: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Added Ennglish article link)
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
২ নং লাইন: ২ নং লাইন:
'''রুটাইল''' লালচে-বাদামি অথবা কালো চার বাহু (tetragonal) বিশিষ্ট মণিক, সাধারণত ঘন সংহত অথবা লন্বা প্রিজমবিশিষ্ট স্ফটিক। এর চিড় (cleavage) বেশ পরিস্কার (১১০); মোহ স্কেলে এর কাঠিন্য হলো ৬-৬.৫ এবং আপেক্ষিক গুরুত্ব ৪.২-৪.৫। এটি এসিড আগ্নেয় শিলা ও রুপান্তরিত শিলার আনুষঙ্গিক (accessory) মণিক এবং কোয়ার্জ মণিকের শিরা ও সৈকত বালিতে অবশিষ্টাংশ হিসেবে পাওয়া যায়। রুটাইল রড ঢালাই, রং শিল্প এবং টিটানিয়াম ধাতুর প্রধান উৎস হিসেবে ব্যবহূত হয়। বাংলাদেশে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী ও পটুয়াখালী জেলার সমুদ্র সৈকতের বালিতে ভারি মণিক পে­সার (placer) মজুত হিসেবে রুটাইল পাওয়া যায়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে মিহি থেকে অধিকতর মিহি বালুকণাতে রুটাইল মণিক উপস্থিত থাকে। সাধারণত রুটাইল মণিক ধারণকারী বালু জিরকন, ম্যাগনেটাইট ও মোনাজাইট  ধারণকারী বালুর চেয়ে অধিকতর মোটা দানাদার বিশিষ্ট হয়ে থাকে। সৈকত বালি পে­সারে এই মণিকের পরিমাণ সর্বোচ্চ প্রায় ৪% (মহেশখালী দ্বীপ), সর্বনিম্ন ০.৩৫% (কুয়াকাটা) যদিও গড়ে প্রায় ২.০%। বাংলাদেশে রুটাইলের মোট মজুত হিসাব করা হয়েছে প্রায় ৭০,২৭৪ টন। নিম্নের সারণিতে বিভিন্ন রুটাইলের পরিমাণ উলে­খ করা হলো:
'''রুটাইল''' লালচে-বাদামি অথবা কালো চার বাহু (tetragonal) বিশিষ্ট মণিক, সাধারণত ঘন সংহত অথবা লন্বা প্রিজমবিশিষ্ট স্ফটিক। এর চিড় (cleavage) বেশ পরিস্কার (১১০); মোহ স্কেলে এর কাঠিন্য হলো ৬-৬.৫ এবং আপেক্ষিক গুরুত্ব ৪.২-৪.৫। এটি এসিড আগ্নেয় শিলা ও রুপান্তরিত শিলার আনুষঙ্গিক (accessory) মণিক এবং কোয়ার্জ মণিকের শিরা ও সৈকত বালিতে অবশিষ্টাংশ হিসেবে পাওয়া যায়। রুটাইল রড ঢালাই, রং শিল্প এবং টিটানিয়াম ধাতুর প্রধান উৎস হিসেবে ব্যবহূত হয়। বাংলাদেশে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী ও পটুয়াখালী জেলার সমুদ্র সৈকতের বালিতে ভারি মণিক পে­সার (placer) মজুত হিসেবে রুটাইল পাওয়া যায়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে মিহি থেকে অধিকতর মিহি বালুকণাতে রুটাইল মণিক উপস্থিত থাকে। সাধারণত রুটাইল মণিক ধারণকারী বালু জিরকন, ম্যাগনেটাইট ও মোনাজাইট  ধারণকারী বালুর চেয়ে অধিকতর মোটা দানাদার বিশিষ্ট হয়ে থাকে। সৈকত বালি পে­সারে এই মণিকের পরিমাণ সর্বোচ্চ প্রায় ৪% (মহেশখালী দ্বীপ), সর্বনিম্ন ০.৩৫% (কুয়াকাটা) যদিও গড়ে প্রায় ২.০%। বাংলাদেশে রুটাইলের মোট মজুত হিসাব করা হয়েছে প্রায় ৭০,২৭৪ টন। নিম্নের সারণিতে বিভিন্ন রুটাইলের পরিমাণ উলে­খ করা হলো:


স্থান  #কাচাবালু  #ভারি মণিক #মোনাজাইট
{| class="table table-bordered table-hover"
 
|-
বদরমোকাম (কক্সবাজার)সাবরং (কক্সবাজার)টেকনাফ (কক্সবাজার)শিলখালি (কক্সবাজার)ইনানী (কক্সবাজার)কক্সবাজারমহেশখালী দ্বীপ (কক্সবাজার)মাতারবাড়ী দ্বীপ (কক্সবাজার)নিঝুম দ্বীপ (নোয়াখালী)কুতুবদিয়া দ্বীপ (কক্সবাজার)কুয়াকাটা#১৭,৬৫,০০০৩,৪৭,৫৫৮১৯,৩৯,৫৮০২৭,৫৬,৮২৮৭,২৯,২৮৬৫১,১৯,০০০৪১,১৪,২৩০৬৯,০৩০৩,৭৯,৩৩৭৪,০৪,৬৪৬২৮,৭২,৪৮৬#৪,১১,০০০৬৮,৫৮২৪,৪২,২৯১৪,৮৯,৭১৪১,৭৫,৪৭৬৯,২০,০০০৭,৮৪,২১০১৫,২১৫৯৬,৩৪৮১,২০,০০০৮,৩১,৬৬৮#,২৮৮১,৩৭২১৩,২৩০১০,৭৭৪৪,০৩৬৬,৪৪০২৪,৫৯৬২৯৫৪২৪১,৯০৮৩,৯১১
| স্থান  || কাচাবালু  || ভারি মণিক || মোনাজাইট
 
|-
'''মোট''' #'''.০৪.৯৬.৯৮১''' #'''৪৩.৫৪.৫০৪''' #'''৭০.২৭৪'''
| বদরমোকাম (কক্সবাজার) || ১৭,৬৫,০০০ || ৪,১১,০০০ || ৩,২৮৮
|-
| সাবরং (কক্সবাজার) || ৩,৪৭,৫৫৮ || ৬৮,৫৮২ || ১,৩৭২
|-
| টেকনাফ (কক্সবাজার) || ১৯,৩৯,৫৮০ || ৪,৪২,২৯১ || ১৩,২৩০
|-
| শিলখালি (কক্সবাজার) || ২৭,৫৬,৮২৮ || ৪,৮৯,৭১৪ || ১০,৭৭৪
|-
| ইনানী (কক্সবাজার)  || ৭,২৯,২৮৬ || ১,৭৫,৪৭৬ || ৪,০৩৬
|-
| কক্সবাজার || ৫১,১৯,০০০ || ৯,২০,০০০ || ৬,৪৪০
|-
| মহেশখালী দ্বীপ (কক্সবাজার) || ৪১,১৪,২৩০ || ৭,৮৪,২১০ || ২৪,৫৯৬
|-
| মাতারবাড়ী দ্বীপ (কক্সবাজার) || ৬৯,০৩০ || ১৫,২১৫  || ২৯৫
|-
| নিঝুম দ্বীপ (নোয়াখালী) || ৩,৭৯,৩৩৭ || ৯৬,৩৪৮ || ৪২৪
|-
| কুতুবদিয়া দ্বীপ (কক্সবাজার) || ৪,০৪,৬৪৬ || ১,২০,০০০ || ১,৯০৮
|-
| কুয়াকাটা  || ২৮,৭২,৪৮৬ || ৮,৩১,৬৬৮ || ৩,৯১১
|-
| মোট || ,০৪,৯৬,৯৮১ || ৪৩,৫৪,৫০৪ || ৭০,২৭৪
|}


[সিফাতুল কাদের চৌধুরী]
[সিফাতুল কাদের চৌধুরী]

১০:৫৪, ৯ মার্চ ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

রুটাইল লালচে-বাদামি অথবা কালো চার বাহু (tetragonal) বিশিষ্ট মণিক, সাধারণত ঘন সংহত অথবা লন্বা প্রিজমবিশিষ্ট স্ফটিক। এর চিড় (cleavage) বেশ পরিস্কার (১১০); মোহ স্কেলে এর কাঠিন্য হলো ৬-৬.৫ এবং আপেক্ষিক গুরুত্ব ৪.২-৪.৫। এটি এসিড আগ্নেয় শিলা ও রুপান্তরিত শিলার আনুষঙ্গিক (accessory) মণিক এবং কোয়ার্জ মণিকের শিরা ও সৈকত বালিতে অবশিষ্টাংশ হিসেবে পাওয়া যায়। রুটাইল রড ঢালাই, রং শিল্প এবং টিটানিয়াম ধাতুর প্রধান উৎস হিসেবে ব্যবহূত হয়। বাংলাদেশে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী ও পটুয়াখালী জেলার সমুদ্র সৈকতের বালিতে ভারি মণিক পে­সার (placer) মজুত হিসেবে রুটাইল পাওয়া যায়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে মিহি থেকে অধিকতর মিহি বালুকণাতে রুটাইল মণিক উপস্থিত থাকে। সাধারণত রুটাইল মণিক ধারণকারী বালু জিরকন, ম্যাগনেটাইট ও মোনাজাইট  ধারণকারী বালুর চেয়ে অধিকতর মোটা দানাদার বিশিষ্ট হয়ে থাকে। সৈকত বালি পে­সারে এই মণিকের পরিমাণ সর্বোচ্চ প্রায় ৪% (মহেশখালী দ্বীপ), সর্বনিম্ন ০.৩৫% (কুয়াকাটা) যদিও গড়ে প্রায় ২.০%। বাংলাদেশে রুটাইলের মোট মজুত হিসাব করা হয়েছে প্রায় ৭০,২৭৪ টন। নিম্নের সারণিতে বিভিন্ন রুটাইলের পরিমাণ উলে­খ করা হলো:

স্থান  কাচাবালু  ভারি মণিক মোনাজাইট
বদরমোকাম (কক্সবাজার) ১৭,৬৫,০০০ ৪,১১,০০০ ৩,২৮৮
সাবরং (কক্সবাজার) ৩,৪৭,৫৫৮ ৬৮,৫৮২ ১,৩৭২
টেকনাফ (কক্সবাজার) ১৯,৩৯,৫৮০ ৪,৪২,২৯১ ১৩,২৩০
শিলখালি (কক্সবাজার) ২৭,৫৬,৮২৮ ৪,৮৯,৭১৪ ১০,৭৭৪
ইনানী (কক্সবাজার) ৭,২৯,২৮৬ ১,৭৫,৪৭৬ ৪,০৩৬
কক্সবাজার ৫১,১৯,০০০ ৯,২০,০০০ ৬,৪৪০
মহেশখালী দ্বীপ (কক্সবাজার) ৪১,১৪,২৩০ ৭,৮৪,২১০ ২৪,৫৯৬
মাতারবাড়ী দ্বীপ (কক্সবাজার) ৬৯,০৩০ ১৫,২১৫ ২৯৫
নিঝুম দ্বীপ (নোয়াখালী) ৩,৭৯,৩৩৭ ৯৬,৩৪৮ ৪২৪
কুতুবদিয়া দ্বীপ (কক্সবাজার) ৪,০৪,৬৪৬ ১,২০,০০০ ১,৯০৮
কুয়াকাটা ২৮,৭২,৪৮৬ ৮,৩১,৬৬৮ ৩,৯১১
মোট ২,০৪,৯৬,৯৮১ ৪৩,৫৪,৫০৪ ৭০,২৭৪

[সিফাতুল কাদের চৌধুরী]