শরফুদ্দীন আবু তওয়ামা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Added Ennglish article link)
 
(Text replacement - "\[মুয়ায্যম হুসায়ন খান\]" to "[মুয়ায্‌যম হুসায়ন খান]")
 
৬ নং লাইন: ৬ নং লাইন:
আবু তওয়ামা তাছাওয়াফ (ইসলামি সুফিবাদ) বিষয়ে মাকামাত নামে একটি গ্রন্থ সংকলন করেন। তবে এই গ্রন্থের কোন কপি পাওয়া যায় নি। ফারসি ভাষায় [[নাম-ই-হক|নাম]][[নাম-ই-হক|-ই]][[নাম-ই-হক|-হক]] শীর্ষক ফিকাহ শাস্ত্রীয় একটি গ্রন্থের উল্লেখ পাওয়া যায়। এটি সম্ভবত তাঁরই রচিত অথবা তাঁর নসিহতের ভিত্তিতে তাঁর কোন অনুসারী কর্তৃক সংকলিত। এতে ১৮০টি কবিতা রয়েছে। গ্রন্থটি ১৮৮৫ খ্রিস্টাব্দে বোম্বাই এবং ১৯১৩ খ্রিস্টাব্দে কানপুর থেকে প্রকাশিত হয়। সমসাময়িক লেখক শাহ শুয়াইব তাঁর মানাক্কিবুল আসফিয়া নামক গ্রন্থে আবু তওয়ামার ভূয়সী প্রশংসা করেন। ভারতীয় উপমহাদেশ, আরব, ইরানসহ মুসলিম বিশ্বের অন্যান্য দেশে তাঁর খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছিল।
আবু তওয়ামা তাছাওয়াফ (ইসলামি সুফিবাদ) বিষয়ে মাকামাত নামে একটি গ্রন্থ সংকলন করেন। তবে এই গ্রন্থের কোন কপি পাওয়া যায় নি। ফারসি ভাষায় [[নাম-ই-হক|নাম]][[নাম-ই-হক|-ই]][[নাম-ই-হক|-হক]] শীর্ষক ফিকাহ শাস্ত্রীয় একটি গ্রন্থের উল্লেখ পাওয়া যায়। এটি সম্ভবত তাঁরই রচিত অথবা তাঁর নসিহতের ভিত্তিতে তাঁর কোন অনুসারী কর্তৃক সংকলিত। এতে ১৮০টি কবিতা রয়েছে। গ্রন্থটি ১৮৮৫ খ্রিস্টাব্দে বোম্বাই এবং ১৯১৩ খ্রিস্টাব্দে কানপুর থেকে প্রকাশিত হয়। সমসাময়িক লেখক শাহ শুয়াইব তাঁর মানাক্কিবুল আসফিয়া নামক গ্রন্থে আবু তওয়ামার ভূয়সী প্রশংসা করেন। ভারতীয় উপমহাদেশ, আরব, ইরানসহ মুসলিম বিশ্বের অন্যান্য দেশে তাঁর খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছিল।


১৩০০ খ্রিস্টাব্দে সোনারগাঁয়ে আবু তওয়ামার মৃত্যু হয়। মোগরাপাড়ায় দরগাহবাড়ি প্রাঙ্গণে খানকাহ ও মাদ্রাসাস্থলের সন্নিকটস্থ গোরস্থানে তাঁর সমাধি রয়েছে।  [মুয়ায্যম হুসায়ন খান]
১৩০০ খ্রিস্টাব্দে সোনারগাঁয়ে আবু তওয়ামার মৃত্যু হয়। মোগরাপাড়ায় দরগাহবাড়ি প্রাঙ্গণে খানকাহ ও মাদ্রাসাস্থলের সন্নিকটস্থ গোরস্থানে তাঁর সমাধি রয়েছে।  [মুয়ায্‌যম হুসায়ন খান]


[[en:Sharfuddin Abu Tawwama]]
[[en:Sharfuddin Abu Tawwama]]

১৬:২৯, ১৭ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

শরফুদ্দীন আবু তওয়ামা  বিশিষ্ট আলেম, সুফি ও ইসলামি আইনবিদ। বোখারায় তাঁর জন্ম, শিক্ষালাভ করেন খোরাসানে। হানাফী আইনশাস্ত্রজ্ঞ ও হাদিসবেত্তা হিসেবে তিনি খ্যাতি অর্জন করেন। রসায়ন, জড়বিজ্ঞান ও জাদুবিদ্যায় তিনি ছিলেন পারদর্শী। খ্রিস্টীয় তের শতকের শেষ পাদে তিনি সোনারগাঁয়ে এসে বসতি স্থাপন করেন। সোনারগাঁয়ে তাঁর আগমনের সঠিক তারিখ জানা যায় নি। সুলতান গিয়াসউদ্দীন বলবনের শাসনকালে (১২৬৬-৮৭) তিনি দিল্লিতে পৌঁছেন এবং সেখান থেকে বাংলায় আসেন। ১২৮২ থেকে ১২৮৭ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে কোনো এক সময় তিনি বাংলায় আসেন বলে ধারণা করা হয়। তাঁর ছাত্র ও পরবর্তীকালে বিহারের সুফি সাধক শরফুদ্দীন ইয়াহিয়া মানেরী আবু তওয়ামার সঙ্গে সোনারগাঁওয়ে এসেছিলেন।

সোনারগাঁয়ে আবু তওয়ামা তাঁর খানকাহ ও একটি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। এখানে ইসলামি ধর্মতত্ত্ব ও বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় শিক্ষাদান করা হতো। শরফুদ্দীন ইয়াহিয়া মানেরী সোনারগাঁয়ে আবু তওয়ামার নিকট দীর্ঘ বাইশ বছরকাল শিক্ষালাভ করেন।

আবু তওয়ামা তাছাওয়াফ (ইসলামি সুফিবাদ) বিষয়ে মাকামাত নামে একটি গ্রন্থ সংকলন করেন। তবে এই গ্রন্থের কোন কপি পাওয়া যায় নি। ফারসি ভাষায় নাম-ই-হক শীর্ষক ফিকাহ শাস্ত্রীয় একটি গ্রন্থের উল্লেখ পাওয়া যায়। এটি সম্ভবত তাঁরই রচিত অথবা তাঁর নসিহতের ভিত্তিতে তাঁর কোন অনুসারী কর্তৃক সংকলিত। এতে ১৮০টি কবিতা রয়েছে। গ্রন্থটি ১৮৮৫ খ্রিস্টাব্দে বোম্বাই এবং ১৯১৩ খ্রিস্টাব্দে কানপুর থেকে প্রকাশিত হয়। সমসাময়িক লেখক শাহ শুয়াইব তাঁর মানাক্কিবুল আসফিয়া নামক গ্রন্থে আবু তওয়ামার ভূয়সী প্রশংসা করেন। ভারতীয় উপমহাদেশ, আরব, ইরানসহ মুসলিম বিশ্বের অন্যান্য দেশে তাঁর খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছিল।

১৩০০ খ্রিস্টাব্দে সোনারগাঁয়ে আবু তওয়ামার মৃত্যু হয়। মোগরাপাড়ায় দরগাহবাড়ি প্রাঙ্গণে খানকাহ ও মাদ্রাসাস্থলের সন্নিকটস্থ গোরস্থানে তাঁর সমাধি রয়েছে।  [মুয়ায্‌যম হুসায়ন খান]