সিলেট গণভোট, ১৯৪৭: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) অ (Added Ennglish article link) |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
২ নং লাইন: | ২ নং লাইন: | ||
'''সিলেট গণভোট, ১৯৪৭''' ১৯৪৭ সালের ৩ জুলাই সরকারি ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে ৬ ও ৭ জুলাই সিলেটে গণভোটের তারিখ নির্ধারিত হয়। সিলেট পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত পূর্ববাংলায় যোগদান করবে, নাকি ভারতের অন্তর্ভুক্ত আসাম প্রদেশে থাকবে তা নির্ধারণের জন্যই গণভোটের ব্যবস্থা করা হয়। গণভোট পরিচালনার জন্য এইচ.সি স্টর্ককে রেফারেন্ডাম কমিশনার নিযুক্ত করা হয়। ২৩৯টি কেন্দ্রের জন্য নিযুক্ত করা হয় ৪৭৮ জন প্রিজাইডিং অফিসার ও ১৪৩৪ জন পুলিং অফিসার। গণভোটের ফলাফল ছিল নিম্নরূপ: | '''সিলেট গণভোট, ১৯৪৭''' ১৯৪৭ সালের ৩ জুলাই সরকারি ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে ৬ ও ৭ জুলাই সিলেটে গণভোটের তারিখ নির্ধারিত হয়। সিলেট পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত পূর্ববাংলায় যোগদান করবে, নাকি ভারতের অন্তর্ভুক্ত আসাম প্রদেশে থাকবে তা নির্ধারণের জন্যই গণভোটের ব্যবস্থা করা হয়। গণভোট পরিচালনার জন্য এইচ.সি স্টর্ককে রেফারেন্ডাম কমিশনার নিযুক্ত করা হয়। ২৩৯টি কেন্দ্রের জন্য নিযুক্ত করা হয় ৪৭৮ জন প্রিজাইডিং অফিসার ও ১৪৩৪ জন পুলিং অফিসার। গণভোটের ফলাফল ছিল নিম্নরূপ: | ||
মহকুমা | {| class="table table-bordered table-hover" | ||
|- | |||
সিলেট উত্তর | | মহকুমা || মোট ভোটারের সংখ্যা || পূর্ববাংলা তথা পাকিস্তানের পক্ষে যোগদানের জন্য প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা || আসামে তথা ভারতে থাকার পক্ষে প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা | ||
|- | |||
করিমগঞ্জ | | সিলেট উত্তর || ১৪১১৩১ || ৬৮৩৮১ || ৩৮৮৭১ | ||
|- | |||
হবিগঞ্জ | | করিমগঞ্জ || ১০০২৪৩ || ৪১২৬২ || ৪০৫৩৬ | ||
|- | |||
| হবিগঞ্জ || ১৩৫৫২৬|| ৫৪৫৪৩ || ৩৬৯৫২ | |||
|- | |||
সুনামগঞ্জ | | দক্ষিণ (মৌলভীবাজার) || ৭৯০২৪ || ৩১৭১৮ || ৩৩৪৭১ | ||
|- | |||
মোট | | সুনামগঞ্জ || ৯০৮৯১ || ৪৩৭১৫ || ৩৪২১১ | ||
|- | |||
| মোট || ৫৪৬৮১৫ || ২৩৯৬১৯ || ১৮৪০৪১ | |||
|} | |||
সুতরাং সিলেটবাসী বিপুল ভোটাধিক্যে পূর্ববঙ্গের সাথে অন্তর্ভুক্তির পক্ষে রায় দেয়। | সুতরাং সিলেটবাসী বিপুল ভোটাধিক্যে পূর্ববঙ্গের সাথে অন্তর্ভুক্তির পক্ষে রায় দেয়। | ||
১৯৪৭ সালের ১৮ জুলাই’র ভারত স্বাধীনতা আইনের ধারা ৩ অনুযায়ী গণভোট সংক্রান্ত কার্যক্রমের বৈধতা দেওয়া হয়। ১৯৪৭ সালের ১২ আগস্ট প্রকাশিত [[র্যাডক্লিফ রোয়েদাদ|র্যাডক্লিফ রোয়েদাদ]] অনুযায়ী করিমগঞ্জের কয়েকটি থানা ও পার্শ্ববর্তী অধিকাংশ মুসলিম অধ্যুষিত অঞ্চল আসামের অন্তর্ভুক্ত করে দেওয়া হয়। | ১৯৪৭ সালের ১৮ জুলাই’র ভারত স্বাধীনতা আইনের ধারা ৩ অনুযায়ী গণভোট সংক্রান্ত কার্যক্রমের বৈধতা দেওয়া হয়। ১৯৪৭ সালের ১২ আগস্ট প্রকাশিত [[র্যাডক্লিফ রোয়েদাদ|র্যাডক্লিফ রোয়েদাদ]] অনুযায়ী করিমগঞ্জের কয়েকটি থানা ও পার্শ্ববর্তী অধিকাংশ মুসলিম অধ্যুষিত অঞ্চল আসামের অন্তর্ভুক্ত করে দেওয়া হয়। [দেওয়ান নূরুল আনোয়ার হোসেন চৌধুরী] | ||
[দেওয়ান নূরুল আনোয়ার হোসেন চৌধুরী | |||
[[en:Sylhet Referendum, 1947]] | [[en:Sylhet Referendum, 1947]] |
০৬:৪৩, ২২ মার্চ ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ
সিলেট গণভোট, ১৯৪৭ ১৯৪৭ সালের ৩ জুলাই সরকারি ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে ৬ ও ৭ জুলাই সিলেটে গণভোটের তারিখ নির্ধারিত হয়। সিলেট পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত পূর্ববাংলায় যোগদান করবে, নাকি ভারতের অন্তর্ভুক্ত আসাম প্রদেশে থাকবে তা নির্ধারণের জন্যই গণভোটের ব্যবস্থা করা হয়। গণভোট পরিচালনার জন্য এইচ.সি স্টর্ককে রেফারেন্ডাম কমিশনার নিযুক্ত করা হয়। ২৩৯টি কেন্দ্রের জন্য নিযুক্ত করা হয় ৪৭৮ জন প্রিজাইডিং অফিসার ও ১৪৩৪ জন পুলিং অফিসার। গণভোটের ফলাফল ছিল নিম্নরূপ:
মহকুমা | মোট ভোটারের সংখ্যা | পূর্ববাংলা তথা পাকিস্তানের পক্ষে যোগদানের জন্য প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা | আসামে তথা ভারতে থাকার পক্ষে প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা |
সিলেট উত্তর | ১৪১১৩১ | ৬৮৩৮১ | ৩৮৮৭১ |
করিমগঞ্জ | ১০০২৪৩ | ৪১২৬২ | ৪০৫৩৬ |
হবিগঞ্জ | ১৩৫৫২৬ | ৫৪৫৪৩ | ৩৬৯৫২ |
দক্ষিণ (মৌলভীবাজার) | ৭৯০২৪ | ৩১৭১৮ | ৩৩৪৭১ |
সুনামগঞ্জ | ৯০৮৯১ | ৪৩৭১৫ | ৩৪২১১ |
মোট | ৫৪৬৮১৫ | ২৩৯৬১৯ | ১৮৪০৪১ |
সুতরাং সিলেটবাসী বিপুল ভোটাধিক্যে পূর্ববঙ্গের সাথে অন্তর্ভুক্তির পক্ষে রায় দেয়।
১৯৪৭ সালের ১৮ জুলাই’র ভারত স্বাধীনতা আইনের ধারা ৩ অনুযায়ী গণভোট সংক্রান্ত কার্যক্রমের বৈধতা দেওয়া হয়। ১৯৪৭ সালের ১২ আগস্ট প্রকাশিত র্যাডক্লিফ রোয়েদাদ অনুযায়ী করিমগঞ্জের কয়েকটি থানা ও পার্শ্ববর্তী অধিকাংশ মুসলিম অধ্যুষিত অঞ্চল আসামের অন্তর্ভুক্ত করে দেওয়া হয়। [দেওয়ান নূরুল আনোয়ার হোসেন চৌধুরী]