বাংলাদেশ জাতীয় হার্বেরিয়াম: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) অ (Added Ennglish article link) |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
৬ নং লাইন: | ৬ নং লাইন: | ||
১৯৭১ সালে প্রকল্পটির নতুন নামকরণ হয় Botanical Survey of Bangladesh। অতঃপর তহবিল যোগায় বন, মৎস ও পশুপালন মন্ত্রণালয়। ইতোমধ্যে নবগঠিত বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল কাজ শুরু করলে প্রকল্পটি বিবেচনার জন্য সেখানে পুনরায় পেশ করা হয় এবং এক বছরের (১৯৭৩-৭৪) জন্য অর্থবরাদ্দ পাওয়া যায়। ১৯৭৫ সালের জুলাই মাস থেকে প্রকল্পটি বাংলাদেশ জাতীয় হার্বেরিয়াম (Bangladesh National Herbarium) নামে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের একটি প্রকল্প হিসেবে প্রথম দিকে তিন বছর মেয়াদি ৯,২৪,০৭৪ টাকার সংশোধিত বাজেট নিয়ে কাজ শুরু করে। বাংলাদেশে ব্রিটিশ হাইকমিশনের প্রাকৃতিক সম্পদ বিভাগের সুপারিশে British Overseas Development Agency (ODA, বর্তমানে DFID) মিরপুর বোটানিক্যাল গার্ডেনে একটি স্থায়ী হার্বেরিয়াম ভবন নির্মাণ, বিজ্ঞানীদের প্রশিক্ষণ, গবেষণাগার ও লাইব্রেরি সুবিধা যোগানোর কাজ শুরু হয় এবং ১৯৯৯ সালে তা বাস্তবায়িত হয়। [মোঃ সালার খান] | ১৯৭১ সালে প্রকল্পটির নতুন নামকরণ হয় Botanical Survey of Bangladesh। অতঃপর তহবিল যোগায় বন, মৎস ও পশুপালন মন্ত্রণালয়। ইতোমধ্যে নবগঠিত বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল কাজ শুরু করলে প্রকল্পটি বিবেচনার জন্য সেখানে পুনরায় পেশ করা হয় এবং এক বছরের (১৯৭৩-৭৪) জন্য অর্থবরাদ্দ পাওয়া যায়। ১৯৭৫ সালের জুলাই মাস থেকে প্রকল্পটি বাংলাদেশ জাতীয় হার্বেরিয়াম (Bangladesh National Herbarium) নামে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের একটি প্রকল্প হিসেবে প্রথম দিকে তিন বছর মেয়াদি ৯,২৪,০৭৪ টাকার সংশোধিত বাজেট নিয়ে কাজ শুরু করে। বাংলাদেশে ব্রিটিশ হাইকমিশনের প্রাকৃতিক সম্পদ বিভাগের সুপারিশে British Overseas Development Agency (ODA, বর্তমানে DFID) মিরপুর বোটানিক্যাল গার্ডেনে একটি স্থায়ী হার্বেরিয়াম ভবন নির্মাণ, বিজ্ঞানীদের প্রশিক্ষণ, গবেষণাগার ও লাইব্রেরি সুবিধা যোগানোর কাজ শুরু হয় এবং ১৯৯৯ সালে তা বাস্তবায়িত হয়। [মোঃ সালার খান] | ||
''আরও দেখুন'' | ''আরও দেখুন'' [[হার্বেরিয়াম|হার্বেরিয়াম]]। | ||
[[en:Bangladesh National Herbarium]] | [[en:Bangladesh National Herbarium]] |
০৬:৪৪, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ
বাংলাদেশ জাতীয় হার্বেরিয়াম দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে সংগৃহীত, নিবন্ধীকৃত ও সংরক্ষিত উদ্ভিদ নমুনার একটি সঞ্চয়শালা। ১৯৬৪ সালের মার্চ মাসে ঢাকায় অনুষ্ঠিত আর্দ্র উষ্ণমন্ডলীয় বদ্বীপসমূহের বৈজ্ঞানিক সমস্যাবলী শীর্ষক ইউনেস্কো আয়োজিত সিম্পোজিয়ামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগ ঢাকায় হার্বেরিয়াম প্রতিষ্ঠার বিষয়টি উপস্থাপন করে। উষ্ণমন্ডলীয় হার্বেরিয়াম বিষয়ক ভিজিটিং কমিটির সভাপতি এফ.আর ফসবার্গ (FR Fosberg) বিষয়টি সম্পর্কে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের প্রধানের সঙ্গে আলোচনার পর এখানে হার্বেরিয়াম প্রতিষ্ঠার আশু প্রয়োজনের ওপর গুরুত্ব দিয়ে একটি প্রতিবেদন পূর্ব পাকিস্তান সরকারের কাছে পেশ করেন। কিন্তু প্রস্তাবটি তখন বাস্তবায়িত হয় না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ কিছুটা সীমিত পরিসরে একই প্রস্তাব পাকিস্তানের কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের সচিবের নিকট পেশ করার পর কাউন্সিলের চাহিদা মোতাবেক কিছু অতিরিক্ত বিষয় সংযোজনসহ সেটি ১৯৬৬ সালে আবারও পেশ করা হয়। Botanical Survey of East Pakistan নামের এই প্রস্তাবটি শেষ পর্যন্ত কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের অনুমোদন পায় এবং ১৯৭০ সালের ১৫ মে ২,২৫,৪০০ টাকার পাঁচসালা বাজেট নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ থেকে সংস্থাটি কাজ শুরু করে। প্রথম দিকে কর্মিদলে ছিলেন দুজন উদ্ভিদবিজ্ঞানী, একজন চিত্রশিল্পী ও একজন টাইপিস্ট কাম-করণিক।
১৯৭১ সালে প্রকল্পটির নতুন নামকরণ হয় Botanical Survey of Bangladesh। অতঃপর তহবিল যোগায় বন, মৎস ও পশুপালন মন্ত্রণালয়। ইতোমধ্যে নবগঠিত বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল কাজ শুরু করলে প্রকল্পটি বিবেচনার জন্য সেখানে পুনরায় পেশ করা হয় এবং এক বছরের (১৯৭৩-৭৪) জন্য অর্থবরাদ্দ পাওয়া যায়। ১৯৭৫ সালের জুলাই মাস থেকে প্রকল্পটি বাংলাদেশ জাতীয় হার্বেরিয়াম (Bangladesh National Herbarium) নামে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের একটি প্রকল্প হিসেবে প্রথম দিকে তিন বছর মেয়াদি ৯,২৪,০৭৪ টাকার সংশোধিত বাজেট নিয়ে কাজ শুরু করে। বাংলাদেশে ব্রিটিশ হাইকমিশনের প্রাকৃতিক সম্পদ বিভাগের সুপারিশে British Overseas Development Agency (ODA, বর্তমানে DFID) মিরপুর বোটানিক্যাল গার্ডেনে একটি স্থায়ী হার্বেরিয়াম ভবন নির্মাণ, বিজ্ঞানীদের প্রশিক্ষণ, গবেষণাগার ও লাইব্রেরি সুবিধা যোগানোর কাজ শুরু হয় এবং ১৯৯৯ সালে তা বাস্তবায়িত হয়। [মোঃ সালার খান]
আরও দেখুন হার্বেরিয়াম।