বাংলাদেশ গার্লস গাইড অ্যাসোসিয়েশন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) অ (Added Ennglish article link) |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
[[Category:বাংলাপিডিয়া]] | [[Category:বাংলাপিডিয়া]] | ||
'''বাংলাদেশ গার্লস গাইড অ্যাসোসিয়েশন''' | '''বাংলাদেশ গার্লস গাইড অ্যাসোসিয়েশন''' ঢাকায় ১৯২৮ সালে প্রতিষ্ঠিত। এটি ১৯৭৩ সালে দ্য ওয়ার্ল্ড অ্যাসোসিয়েশন অব গার্ল গাইডস অ্যান্ড গার্ল স্কাউটস-এর সদস্য হয়। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি বালিকা ও তরুণীদের মধ্যে নেতৃত্ব সৃষ্টির প্রশিক্ষণদানে দেশের সর্ববৃহৎ সংগঠন। এই সংগঠনের উদ্দেশ্য হচ্ছে মেয়েদের সুপ্ত সম্ভাবনাকে জাগিয়ে তোলা এবং জাতীয় ও সমাজ জীবনের সর্বক্ষেত্রে সক্রিয় ভূমিকা পালনের জন্য তাদের উৎসাহিত করা। সংগঠনটি মেয়েদের মানসিক বিকাশ, চরিত্রগঠন, শারীরিক যোগ্যতা দৃঢ়ীকরণ, বিনোদন, সামাজিক সম্পর্ক উন্নয়ন, সৃজনশীলতা, উপচিকীর্ষা, ঘরকন্নায় দক্ষতাবৃদ্ধি ইত্যাদিকে লক্ষ্যীভূত করে একটি ৮-দফা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। শিক্ষানবিশ গার্ল গাইডদের তিন দলে বিভক্ত করে এই কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এগুলো হচ্ছে ৭ থেকে ১১ বছরের মেয়েদের দল ইয়েলো বার্ডস, ১২ থেকে ১৬ বছরের মেয়েদের দল গাইডস এবং ১৭ থেকে ২৪ বছরের মেয়েদের দল রেঞ্জার্স। | ||
গার্লস গাইড অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা অধিক খাদ্য ফলাও আন্দোলনে অংশ নেয়, পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে এবং মৎস্য চাষ ও হাঁস-মুরগি পালন সংক্রান্ত নানাবিধ কাজ করে। রেঞ্জাররা গ্রামীণ এলাকায় উন্নয়নমূলক যেসব কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রধানত দরিদ্র পরিবারসমূহের জন্য স্বাস্থ্যসেবা, তাদের আবাসস্থলে পয়োনিষ্কাশন সুবিধা বৃদ্ধি এবং সেসব পরিবারের সদস্যদের জন্য প্রাথমিক শিক্ষার ব্যবস্থা। এছাড়া রেঞ্জাররা আরও অনেক সংগঠনের মতোই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের মধ্যে ঔষধপত্র এবং ত্রাণসামগ্রী বণ্টন করে থাকে। গার্লস গাইড অ্যাসোসিয়েশন একটি শিশু পরিচর্যা কেন্দ্র ও গৃহহীন মেয়েদের জন্য একটি নিকেতন পরিচালনা করে এবং একই সাথে এসব মেয়েদের বিভিন্ন বিষয়ে বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের উপার্জনমূলক কর্মকান্ডে নিয়োজিত হয়ে স্বনির্ভরতা অর্জনে সহায়তা করে। এই সংগঠন নিয়মিতভাবে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির আয়োজন করে এবং ব্লক ও বাটিক প্রিন্ট, সেলাই, কৃত্রিম ফুল বানানো ও সেগুলি সাজানো, কারাতে প্রভৃতির ওপর নিয়মিত প্রশিক্ষণ দেয়। বাংলাদেশের ৭টি প্রধান শহরে সংগঠনটি বিভাগীয় কার্যালয় স্থাপন করেছে এবং প্রতিবছর এটি জেলা ও আঞ্চলিক ক্যাম্প পরিচালনা করে। এছাড়াও অ্যাসোসিয়েশন রেডিও ও টেলিভিশনে মেয়েদের জন্য বিভিন্ন অনুষ্ঠান সম্প্রচার করে এবং একটি ত্রৈমাসিক পত্রিকা, কয়েকটি সাময়িকী এবং একটি নিউজ লেটার প্রকাশ করে। | গার্লস গাইড অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা অধিক খাদ্য ফলাও আন্দোলনে অংশ নেয়, পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে এবং মৎস্য চাষ ও হাঁস-মুরগি পালন সংক্রান্ত নানাবিধ কাজ করে। রেঞ্জাররা গ্রামীণ এলাকায় উন্নয়নমূলক যেসব কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রধানত দরিদ্র পরিবারসমূহের জন্য স্বাস্থ্যসেবা, তাদের আবাসস্থলে পয়োনিষ্কাশন সুবিধা বৃদ্ধি এবং সেসব পরিবারের সদস্যদের জন্য প্রাথমিক শিক্ষার ব্যবস্থা। এছাড়া রেঞ্জাররা আরও অনেক সংগঠনের মতোই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের মধ্যে ঔষধপত্র এবং ত্রাণসামগ্রী বণ্টন করে থাকে। গার্লস গাইড অ্যাসোসিয়েশন একটি শিশু পরিচর্যা কেন্দ্র ও গৃহহীন মেয়েদের জন্য একটি নিকেতন পরিচালনা করে এবং একই সাথে এসব মেয়েদের বিভিন্ন বিষয়ে বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের উপার্জনমূলক কর্মকান্ডে নিয়োজিত হয়ে স্বনির্ভরতা অর্জনে সহায়তা করে। এই সংগঠন নিয়মিতভাবে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির আয়োজন করে এবং ব্লক ও বাটিক প্রিন্ট, সেলাই, কৃত্রিম ফুল বানানো ও সেগুলি সাজানো, কারাতে প্রভৃতির ওপর নিয়মিত প্রশিক্ষণ দেয়। বাংলাদেশের ৭টি প্রধান শহরে সংগঠনটি বিভাগীয় কার্যালয় স্থাপন করেছে এবং প্রতিবছর এটি জেলা ও আঞ্চলিক ক্যাম্প পরিচালনা করে। এছাড়াও অ্যাসোসিয়েশন রেডিও ও টেলিভিশনে মেয়েদের জন্য বিভিন্ন অনুষ্ঠান সম্প্রচার করে এবং একটি ত্রৈমাসিক পত্রিকা, কয়েকটি সাময়িকী এবং একটি নিউজ লেটার প্রকাশ করে। [এস. এম মাহফুজুর রহমান]। | ||
[এস. এম মাহফুজুর রহমান]। | |||
[[en:Bangladesh Girls Guide Association]] | [[en:Bangladesh Girls Guide Association]] |
০৬:৩১, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ
বাংলাদেশ গার্লস গাইড অ্যাসোসিয়েশন ঢাকায় ১৯২৮ সালে প্রতিষ্ঠিত। এটি ১৯৭৩ সালে দ্য ওয়ার্ল্ড অ্যাসোসিয়েশন অব গার্ল গাইডস অ্যান্ড গার্ল স্কাউটস-এর সদস্য হয়। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি বালিকা ও তরুণীদের মধ্যে নেতৃত্ব সৃষ্টির প্রশিক্ষণদানে দেশের সর্ববৃহৎ সংগঠন। এই সংগঠনের উদ্দেশ্য হচ্ছে মেয়েদের সুপ্ত সম্ভাবনাকে জাগিয়ে তোলা এবং জাতীয় ও সমাজ জীবনের সর্বক্ষেত্রে সক্রিয় ভূমিকা পালনের জন্য তাদের উৎসাহিত করা। সংগঠনটি মেয়েদের মানসিক বিকাশ, চরিত্রগঠন, শারীরিক যোগ্যতা দৃঢ়ীকরণ, বিনোদন, সামাজিক সম্পর্ক উন্নয়ন, সৃজনশীলতা, উপচিকীর্ষা, ঘরকন্নায় দক্ষতাবৃদ্ধি ইত্যাদিকে লক্ষ্যীভূত করে একটি ৮-দফা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। শিক্ষানবিশ গার্ল গাইডদের তিন দলে বিভক্ত করে এই কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এগুলো হচ্ছে ৭ থেকে ১১ বছরের মেয়েদের দল ইয়েলো বার্ডস, ১২ থেকে ১৬ বছরের মেয়েদের দল গাইডস এবং ১৭ থেকে ২৪ বছরের মেয়েদের দল রেঞ্জার্স।
গার্লস গাইড অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা অধিক খাদ্য ফলাও আন্দোলনে অংশ নেয়, পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে এবং মৎস্য চাষ ও হাঁস-মুরগি পালন সংক্রান্ত নানাবিধ কাজ করে। রেঞ্জাররা গ্রামীণ এলাকায় উন্নয়নমূলক যেসব কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রধানত দরিদ্র পরিবারসমূহের জন্য স্বাস্থ্যসেবা, তাদের আবাসস্থলে পয়োনিষ্কাশন সুবিধা বৃদ্ধি এবং সেসব পরিবারের সদস্যদের জন্য প্রাথমিক শিক্ষার ব্যবস্থা। এছাড়া রেঞ্জাররা আরও অনেক সংগঠনের মতোই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের মধ্যে ঔষধপত্র এবং ত্রাণসামগ্রী বণ্টন করে থাকে। গার্লস গাইড অ্যাসোসিয়েশন একটি শিশু পরিচর্যা কেন্দ্র ও গৃহহীন মেয়েদের জন্য একটি নিকেতন পরিচালনা করে এবং একই সাথে এসব মেয়েদের বিভিন্ন বিষয়ে বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের উপার্জনমূলক কর্মকান্ডে নিয়োজিত হয়ে স্বনির্ভরতা অর্জনে সহায়তা করে। এই সংগঠন নিয়মিতভাবে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির আয়োজন করে এবং ব্লক ও বাটিক প্রিন্ট, সেলাই, কৃত্রিম ফুল বানানো ও সেগুলি সাজানো, কারাতে প্রভৃতির ওপর নিয়মিত প্রশিক্ষণ দেয়। বাংলাদেশের ৭টি প্রধান শহরে সংগঠনটি বিভাগীয় কার্যালয় স্থাপন করেছে এবং প্রতিবছর এটি জেলা ও আঞ্চলিক ক্যাম্প পরিচালনা করে। এছাড়াও অ্যাসোসিয়েশন রেডিও ও টেলিভিশনে মেয়েদের জন্য বিভিন্ন অনুষ্ঠান সম্প্রচার করে এবং একটি ত্রৈমাসিক পত্রিকা, কয়েকটি সাময়িকী এবং একটি নিউজ লেটার প্রকাশ করে। [এস. এম মাহফুজুর রহমান]।