নাইডু, সরোজিনী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Added Ennglish article link)
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
[[Category:Banglapedia]]
[[Category:Banglapedia]]
'''নাইডু'''''', ''''''সরোজিনী''' (১৮৭৯-১৯৪৯)  কবি, রাজনীতিক। ১৮৭৯ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি ভারতের হায়দ্রাবাদে তাঁর জন্ম। তাঁর পৈত্রিক নিবাস ছিল বিক্রমপুরের ব্রাহ্মণগাঁও। নাইডুর পিতা ড. অঘোরনাথ চট্টোপাধ্যায় ছিলেন হায়দ্রাবাদের নিজামের শিক্ষা উপদেষ্টা। তাঁর মাতা বরোদা সুন্দরী দেবী ছিলেন কবি। সরোজিনী নাইডু ১৮৯১ সালে মাদ্রাজ ইউনিভার্সিটি থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন। ১৮৯৫ সালে তিনি উচ্চশিক্ষার জন্য ইংল্যান্ডে যান। সেখানে প্রথমে কিংস কলেজ এবং পরে ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটির গির্টন কলেজে অধ্যয়ন করেন (১৮৯৫-১৮৯৮)। ১৮৯৮ সালে ইংল্যান্ড থেকে ফেরার পর হায়দ্রাবাদের ড. মতিয়ালা গোবিন্দরাজলু নাইডুর সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়।
[[Image:NaiduSarojini.jpg|thumb|400px|right|সরোজিনী নাইড]]
'''নাইডু, সরোজিনী''' (১৮৭৯-১৯৪৯)  কবি, রাজনীতিক। ১৮৭৯ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি ভারতের হায়দ্রাবাদে তাঁর জন্ম। তাঁর পৈত্রিক নিবাস ছিল বিক্রমপুরের ব্রাহ্মণগাঁও। নাইডুর পিতা ড. অঘোরনাথ চট্টোপাধ্যায় ছিলেন হায়দ্রাবাদের নিজামের শিক্ষা উপদেষ্টা। তাঁর মাতা বরোদা সুন্দরী দেবী ছিলেন কবি। সরোজিনী নাইডু ১৮৯১ সালে মাদ্রাজ ইউনিভার্সিটি থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন। ১৮৯৫ সালে তিনি উচ্চশিক্ষার জন্য ইংল্যান্ডে যান। সেখানে প্রথমে কিংস কলেজ এবং পরে ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটির গির্টন কলেজে অধ্যয়ন করেন (১৮৯৫-১৮৯৮)। ১৮৯৮ সালে ইংল্যান্ড থেকে ফেরার পর হায়দ্রাবাদের ড. মতিয়ালা গোবিন্দরাজলু নাইডুর সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়।


সরোজিনী নাইডু ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। ১৯১৫ সালে তিনি অল ইন্ডিয়া ন্যাশনাল কংগ্রেসে যোগ দেন। তিনি সমগ্র ভারতে সভা সমাবেশ করে নারী মুক্তি, শ্রমিক অধিকার রক্ষা ও জাতীয়তাবাদের সমর্থনে তাঁর বার্তা প্রচার করেন। তিনি ১৯১৬ সালে বিহারে নীল চাষীদের অধিকারের দাবিতে প্রচারাভিযানে অংশ নেন। ১৯১৭ সালে নারীর ভোটাধিকারের দাবিতে অ্যানি বেসান্তকে সভাপতি করে উইমেন ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন গঠিত হলে নাইডু এই সংগঠনের সদস্য হন।  
সরোজিনী নাইডু ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। ১৯১৫ সালে তিনি অল ইন্ডিয়া ন্যাশনাল কংগ্রেসে যোগ দেন। তিনি সমগ্র ভারতে সভা সমাবেশ করে নারী মুক্তি, শ্রমিক অধিকার রক্ষা ও জাতীয়তাবাদের সমর্থনে তাঁর বার্তা প্রচার করেন। তিনি ১৯১৬ সালে বিহারে নীল চাষীদের অধিকারের দাবিতে প্রচারাভিযানে অংশ নেন। ১৯১৭ সালে নারীর ভোটাধিকারের দাবিতে অ্যানি বেসান্তকে সভাপতি করে উইমেন ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন গঠিত হলে নাইডু এই সংগঠনের সদস্য হন।  


১৯১৯ সালে সরোজিনী নাইডু অল ইন্ডিয়া হোম রুল ডেপুটেশনের সদস্য হিসেবে ইংল্যান্ডে গমন করেন এবং ১৯২০ সালের জুলাই মাসে ভারতে ফিরে আসেন।#[[Image:নাইডু, সরোজিনী_html_88407781.png]]
১৯১৯ সালে সরোজিনী নাইডু অল ইন্ডিয়া হোম রুল ডেপুটেশনের সদস্য হিসেবে ইংল্যান্ডে গমন করেন এবং ১৯২০ সালের জুলাই মাসে ভারতে ফিরে আসেন।
 
[[Image:NaiduSarojini.jpg]]
 
#সরোজিনী নাইড


১৯২০ সালের ১ আগস্ট তিনি মহাত্মা গান্ধীর অসহযোগ আন্দোলনের ঘোষণা দেন। ১৯২৪ সালের জানুয়ারি মাসে পূর্ব আফ্রিকান ভারতীয় কংগ্রেসে যে দুজন কংগ্রেস দলীয় প্রতিনিধি অংশ নেন, সরোজিনী নাইডু ছিলেন তাঁর একজন। ১৯২৫ সালে তিনি কানপুরে অনুষ্ঠিত অল ইন্ডিয়া ন্যাশনাল কংগ্রেসের বার্ষিক সম্মেলনে সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯২৬ সালে অল ইন্ডিয়া উইমেন কনফারেন্স গঠিত হলে সরোজিনী এর সভাপতি নির্বাচিত হন এবং নারী শিক্ষা অধিকার আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন।  
১৯২০ সালের ১ আগস্ট তিনি মহাত্মা গান্ধীর অসহযোগ আন্দোলনের ঘোষণা দেন। ১৯২৪ সালের জানুয়ারি মাসে পূর্ব আফ্রিকান ভারতীয় কংগ্রেসে যে দুজন কংগ্রেস দলীয় প্রতিনিধি অংশ নেন, সরোজিনী নাইডু ছিলেন তাঁর একজন। ১৯২৫ সালে তিনি কানপুরে অনুষ্ঠিত অল ইন্ডিয়া ন্যাশনাল কংগ্রেসের বার্ষিক সম্মেলনে সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯২৬ সালে অল ইন্ডিয়া উইমেন কনফারেন্স গঠিত হলে সরোজিনী এর সভাপতি নির্বাচিত হন এবং নারী শিক্ষা অধিকার আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন।  
১৬ নং লাইন: ১৩ নং লাইন:
১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পর সরোজিনী নাইডু ভারতের উত্তর প্রদেশের গভর্নর নিযুক্ত হন এবং আমৃত্যু এ পদে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পর সরোজিনী নাইডু ভারতের উত্তর প্রদেশের গভর্নর নিযুক্ত হন এবং আমৃত্যু এ পদে দায়িত্ব পালন করেন।


সরোজিনী নাইডু ছিলেন একজন খ্যাতিমান কবি। তাঁর উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ হলো ''The Lady of the Lake, Maher Muneer, The Golden Threshold'' (১৯০৫), ''The Bird of Time: Songs of Life, Death and the Spring'' (১৯১২),'' The Gift of India'' (১৯১৫), ''The Broken Wing: Songs of Love, Death and the Spring'' (১৯১৭), ''The Sceptred Flute: The Songs of India'' (১৯৪৩), ''The Feather of the Dawn'' (১৯৬১)। তিনি ''The Ambassador of Hindu Muslim Unity'' (১৯১৬) নামে মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ’র জীবনীগ্রন্থ রচনা করেন। তাঁর রচিত কবিতা সংগ্রহ ''The Golden Threshold ''১৯০৫ সালে প্রকাশিত হওয়ার পর তিনি সাধারণ্যে ‘বুলবুলে হিন্দ’ খেতাবে বিভূষিত হন। ১৯০৮ সালে হায়দ্রাবাদে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ত্রাণ তৎপরতার জন্য ব্রিটিশ সরকার তাঁকে কায়সার-ই-হিন্দ স্বর্ণপদক প্রদান করে।  
সরোজিনী নাইডু ছিলেন একজন খ্যাতিমান কবি। তাঁর উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ হলো ''The Lady of the Lake, ''Maher Muneer'', ''The Golden Threshold'' (১৯০৫), ''The Bird of Time: Songs of Life, Death and the Spring'' (১৯১২), ''The Gift of India'' (১৯১৫), ''The Broken Wing: Songs of Love, Death and the Spring'' (১৯১৭), ''The Sceptred Flute: The Songs of India'' (১৯৪৩), ''The Feather of the Dawn'' (১৯৬১)। তিনি ''The Ambassador of Hindu Muslim Unity'' (১৯১৬) নামে মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ’র জীবনীগ্রন্থ রচনা করেন। তাঁর রচিত কবিতা সংগ্রহ ''The Golden Threshold'' ১৯০৫ সালে প্রকাশিত হওয়ার পর তিনি সাধারণ্যে ‘বুলবুলে হিন্দ’ খেতাবে বিভূষিত হন। ১৯০৮ সালে হায়দ্রাবাদে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ত্রাণ তৎপরতার জন্য ব্রিটিশ সরকার তাঁকে কায়সার-ই-হিন্দ স্বর্ণপদক প্রদান করে।  


সরোজিনী নাইডুর আজীবন কর্মসাধনার স্বীকৃতি স্বরূপ বাংলাদেশ সরকার সরোজিনী নাইডু স্বর্ণপদক প্রবর্তন করেছেন।
সরোজিনী নাইডুর আজীবন কর্মসাধনার স্বীকৃতি স্বরূপ বাংলাদেশ সরকার সরোজিনী নাইডু স্বর্ণপদক প্রবর্তন করেছেন।


১৯৪৯ সালের ২ মার্চ এলাহাবাদে তাঁর মৃত্যু হয়।
১৯৪৯ সালের ২ মার্চ এলাহাবাদে তাঁর মৃত্যু হয়। [লিলীমা আহমেদ]
 
[লিলীমা আহমেদ]
 
<!-- imported from file: নাইডু, সরোজিনী.html-->
 
[[en:Naidu, Sarojini]]
 
[[en:Naidu, Sarojini]]


[[en:Naidu, Sarojini]]
[[en:Naidu, Sarojini]]

০৯:২৩, ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

সরোজিনী নাইড

নাইডু, সরোজিনী (১৮৭৯-১৯৪৯)  কবি, রাজনীতিক। ১৮৭৯ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি ভারতের হায়দ্রাবাদে তাঁর জন্ম। তাঁর পৈত্রিক নিবাস ছিল বিক্রমপুরের ব্রাহ্মণগাঁও। নাইডুর পিতা ড. অঘোরনাথ চট্টোপাধ্যায় ছিলেন হায়দ্রাবাদের নিজামের শিক্ষা উপদেষ্টা। তাঁর মাতা বরোদা সুন্দরী দেবী ছিলেন কবি। সরোজিনী নাইডু ১৮৯১ সালে মাদ্রাজ ইউনিভার্সিটি থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন। ১৮৯৫ সালে তিনি উচ্চশিক্ষার জন্য ইংল্যান্ডে যান। সেখানে প্রথমে কিংস কলেজ এবং পরে ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটির গির্টন কলেজে অধ্যয়ন করেন (১৮৯৫-১৮৯৮)। ১৮৯৮ সালে ইংল্যান্ড থেকে ফেরার পর হায়দ্রাবাদের ড. মতিয়ালা গোবিন্দরাজলু নাইডুর সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়।

সরোজিনী নাইডু ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। ১৯১৫ সালে তিনি অল ইন্ডিয়া ন্যাশনাল কংগ্রেসে যোগ দেন। তিনি সমগ্র ভারতে সভা সমাবেশ করে নারী মুক্তি, শ্রমিক অধিকার রক্ষা ও জাতীয়তাবাদের সমর্থনে তাঁর বার্তা প্রচার করেন। তিনি ১৯১৬ সালে বিহারে নীল চাষীদের অধিকারের দাবিতে প্রচারাভিযানে অংশ নেন। ১৯১৭ সালে নারীর ভোটাধিকারের দাবিতে অ্যানি বেসান্তকে সভাপতি করে উইমেন ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন গঠিত হলে নাইডু এই সংগঠনের সদস্য হন।

১৯১৯ সালে সরোজিনী নাইডু অল ইন্ডিয়া হোম রুল ডেপুটেশনের সদস্য হিসেবে ইংল্যান্ডে গমন করেন এবং ১৯২০ সালের জুলাই মাসে ভারতে ফিরে আসেন।

১৯২০ সালের ১ আগস্ট তিনি মহাত্মা গান্ধীর অসহযোগ আন্দোলনের ঘোষণা দেন। ১৯২৪ সালের জানুয়ারি মাসে পূর্ব আফ্রিকান ভারতীয় কংগ্রেসে যে দুজন কংগ্রেস দলীয় প্রতিনিধি অংশ নেন, সরোজিনী নাইডু ছিলেন তাঁর একজন। ১৯২৫ সালে তিনি কানপুরে অনুষ্ঠিত অল ইন্ডিয়া ন্যাশনাল কংগ্রেসের বার্ষিক সম্মেলনে সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯২৬ সালে অল ইন্ডিয়া উইমেন কনফারেন্স গঠিত হলে সরোজিনী এর সভাপতি নির্বাচিত হন এবং নারী শিক্ষা অধিকার আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন।

সরোজিনী নাইডু ১৯২৮ সালের অক্টোবর মাসে গান্ধীর অসহযোগ আন্দোলনের বার্তা নিয়ে আমেরিকা গমন করেন। সেখানে তিনি আফ্রিকান আমেরিকান এবং ভারতীয় আমেরিকানদের মধ্যকার বৈষম্যের প্রতিবাদ জানান। আমেরিকা থেকে প্রত্যাবর্তনের পর তিনি কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। আইন অমান্য আন্দোলনে অংশ নেয়ার জন্য ১৯৩০ সালের মে মাসে মহাত্মা গান্ধীর সঙ্গে তিনি গ্রেফতার হন এবং ১৯৩১ সালের ৩১ জানুয়ারি মুক্তিলাভ করেন। ১৯৩১ সালে কংগ্রেসের প্রতিনিধি হিসেবে তিনি গান্ধীর সঙ্গে গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নেন। ১৯৩২ সালে নাইডু লবণ সত্যাগ্রহ আন্দোলনে অংশগ্রহণের জন্য গ্রেফতার হন এবং অসুস্থতার কারণে পরে তাঁকে ছেড়ে দেয়া হয়। ১৯৪২ সালের ২ অক্টোবর ভারত ছাড় আন্দোলনে জড়িত থাকার জন্য তাঁকে গ্রেফতার করে ২১ মাস কারান্তরীণ রাখা হয়। ১৯৪৭ সালের মার্চ মাসে এশিয়ান রিলেশন্স কনফারেন্সে স্টিয়ারিং কমিটিতে তিনি সভাপতিত্ব করেন। সরোজিনী তাঁর বাগ্মিতার জন্য খ্যতিমান ছিলেন।

১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পর সরোজিনী নাইডু ভারতের উত্তর প্রদেশের গভর্নর নিযুক্ত হন এবং আমৃত্যু এ পদে দায়িত্ব পালন করেন।

সরোজিনী নাইডু ছিলেন একজন খ্যাতিমান কবি। তাঁর উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ হলো The Lady of the Lake, Maher Muneer, The Golden Threshold (১৯০৫), The Bird of Time: Songs of Life, Death and the Spring (১৯১২), The Gift of India (১৯১৫), The Broken Wing: Songs of Love, Death and the Spring (১৯১৭), The Sceptred Flute: The Songs of India (১৯৪৩), The Feather of the Dawn (১৯৬১)। তিনি The Ambassador of Hindu Muslim Unity (১৯১৬) নামে মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ’র জীবনীগ্রন্থ রচনা করেন। তাঁর রচিত কবিতা সংগ্রহ The Golden Threshold ১৯০৫ সালে প্রকাশিত হওয়ার পর তিনি সাধারণ্যে ‘বুলবুলে হিন্দ’ খেতাবে বিভূষিত হন। ১৯০৮ সালে হায়দ্রাবাদে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ত্রাণ তৎপরতার জন্য ব্রিটিশ সরকার তাঁকে কায়সার-ই-হিন্দ স্বর্ণপদক প্রদান করে।

সরোজিনী নাইডুর আজীবন কর্মসাধনার স্বীকৃতি স্বরূপ বাংলাদেশ সরকার সরোজিনী নাইডু স্বর্ণপদক প্রবর্তন করেছেন।

১৯৪৯ সালের ২ মার্চ এলাহাবাদে তাঁর মৃত্যু হয়। [লিলীমা আহমেদ]