স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেড: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Added Ennglish article link)
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
(একই ব্যবহারকারী দ্বারা সম্পাদিত ৩টি মধ্যবর্তী সংশোধন দেখানো হচ্ছে না)
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
'''স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেড'''  ব্যক্তিমালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংক। এটি ৩ জুন ১৯৯৯ তারিখে ৭৫০ মিলিয়ন টাকা অনুমোদিত এবং ২০০ মিলিয়ন টাকা পরিশোধিত মূলধন নিয়ে ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু করে। এর মূলধনসমূহ প্রতিটি ১০০ টাকা মূল্যের সাধারণ শেয়ারে বিভক্ত। এটির পরিশোধিত মূলধনের শতকরা ৫০ ভাগ ‘এ’ গ্রুপভুক্ত শেয়ারহোল্ডার তথা উদ্যোক্তা পরিচালকগণ কর্তৃক এবং অবশিষ্ট ৫০ ভাগ ‘বি’ গ্রুপভুক্ত শেয়ারহোল্ডার তথা সাধারণ জনগণ কর্তৃক পরিশোধ করা হয়েছে। স্টান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেড কোম্পানি আইন ১৯৯৪-এর অধীনে নিবন্ধিত একটি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি।
'''স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেড'''  ব্যক্তিমালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংক। এটি ৩ জুন ১৯৯৯ তারিখে ৭৫০ মিলিয়ন টাকা অনুমোদিত এবং ২০০ মিলিয়ন টাকা পরিশোধিত মূলধন নিয়ে ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু করে। এর মূলধনসমূহ প্রতিটি ১০০ টাকা মূল্যের সাধারণ শেয়ারে বিভক্ত। এটির পরিশোধিত মূলধনের শতকরা ৫০ ভাগ ‘এ’ গ্রুপভুক্ত শেয়ারহোল্ডার তথা উদ্যোক্তা পরিচালকগণ কর্তৃক এবং অবশিষ্ট ৫০ ভাগ ‘বি’ গ্রুপভুক্ত শেয়ারহোল্ডার তথা সাধারণ জনগণ কর্তৃক পরিশোধ করা হয়েছে। স্টান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেড কোম্পানি আইন ১৯৯৪-এর অধীনে নিবন্ধিত একটি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি।
{| class="table table-bordered table-hover"
|-
! colspan="7" | মৌল তথ্য ও পরিসংখ্যান (মিলিয়ন টাকায়)


|-
স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক আমানত গ্রহণ, ঋণ প্রদান, আমদানি অর্থায়ন, রপ্তানি সার্ভিসিং এবং অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক রেমিট্যান্স সার্ভিসসহ সর্বপ্রকার বাণিজ্যিক ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করে। শুরু থেকে ব্যাংকটি ব্যাপকভাবে বৈদেশিক বাণিজ্যে অংশগ্রহণ করে আসছে। এটি এ যাবৎ মোট ২২ বিদেশি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাথে করেসপন্ডেন্ট সম্পর্ক স্থাপন করেছে। এ সকল ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশি নাগরিকদের দেশে অর্থ প্রেরণ ও বৈদেশিক বাণিজ্যে অংশগ্রহণের মাধ্যমে দেশীয় অর্থনীতির বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। এছাড়াও ব্যাংক প্রবাসীদের সহায়তার লক্ষ্যে স্ট্যান্ডার্ড এক্সচেঞ্জ কোম্পানি লিমিটেড নামে ইউ.কে-তে একটি এক্সচেঞ্জ হাউজ খুলেছে, যার মাধ্যমে সহজে ও দ্রুত রেমিট্যান্স গ্রহণ সম্ভব হচ্ছে। স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক ইতোমধ্যে অন-লাইন ব্যাংকিং কার্যক্রম, এটিএম ও ডেবিট কার্ড চালু করেছে।
| বিবরণ  || ২০০৪  || ২০০৫  || ২০০৬  || ২০০৭  || ২০০৮  || ২০০৯


{| class="table table-bordered table-hover"
| colspan="7" | মৌল তথ্য ও পরিসংখ্যান (মিলিয়ন টাকায়)
|-
|-
| অনুমোদিত মূলধন  || ১২৫০  || ১২৫০  || ৩০০০  || ৩০০০  || ৩০০০  || ৮৮০০
{| class="table table-bordered table-hover"
 
|-  
|-
| colspan="7" | মৌল তথ্য ও পরিসংখ্যান (মিলিয়ন টাকায়)
| পরিশোধিত মূলধন  || ৭৫৯  || ৯১০  || ১০৯৩  || ১৯৬৭  || ২২০৩  || ২৬৪৪
 
|-
| রিজার্ভ  || ৩৪১  || ৫০২  || ৬৭১  || ৮৯৭  || ১২২০  || ১৫৮৬
 
|-
| আমানত  || ৮৭৩১  || ১২০৪৩  || ১৪২২১  || ১৯০০৮  || ২৯৩০৫  || ৪২৫৫৬
 
|-
| (ক) তলবি আমানত  || ১১৯১  || ১৯৬০  || ১৯১৩  || ৩৩৮৭  || ৪৮১২  || ৫৫৭৮
 
|-
| () মেয়াদি আমানত  || ৭৫৪০  || ১০০৮৩  || ১২৩০৮  || ১৫৬২১  || ২৪৪৯৩  || ৩৬৯৭৮
 
|-
| ঋণ ও অগ্রিম  || ৭৮০১  || ১০১৮২  || ১২৬৩৪  || ১৭৩১১  || ২৭১৮৯  || ৩৮০৫৬
 
|-
| বিনিয়োগ  || ৯৪৩  || ১২৭৩  || ১৬২৩  || ২০১৪  || ৩২১৭  || ৫৩৪০
 
|-
| মোট পরিসম্পদ  || ১১০৭১  || ১৪৪৪২  || ১৬৮৬১  || ২২৯৪৯  || ৩৪২১০  || ৪৯০০১
 
|-
| মোট আয়  || ১১৪৭  || ১৬০২  || ২২০৬  || ৩৭৯৪  || ৪১৬৪  || ৫৫৪৫
 
|-
| মোট ব্যয়  || ৬৫৫  || ৯৮৬  || ১৪৭৩  || ২৮৫৯  || ২৬৯৬  || ৪০১৫
 
|-
| বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবসা পরিচালনা  || ১৫০২৬  || ২৩৯১৮  || ২৯৫৪২  || ৪০০৬০  || ৬১৫৯০  || ৭০২৮৪
 
|-
|-
| (ক) রপ্তানি  || ৩৫৩৭  || ৭৫৬৯  || ১০৭০৭  || ১৩৪২৮  || ২৫০৭২  || ২৯১৭৭
| বিবরণ || ২০০৪ || ২০০৯ || ২০১৫ || ২০১৯
 
|-
|-
| (খ) আমদানি  || ১১৩৫৩  || ১৬১৪৫  || ১৮২৭০  || ২৬১৫৫  || ৩৫৬৮৯  || ৪০৪১১
| অনুমোদিত মূলধন || ১২৫০ || ৮৮০০ || ১৫০০০ || ১৫০০০
 
|-
|-
| (গ) রেমিট্যান্স  || ১৩৬  || ২০৪  || ৫৬৫  || ৪৭৭  || ৮২৯  || ৬৯৬
| পরিশোধিত মূলধন || ৭৫৯ || ২৬৪৪ || ৬৫৫৭ || ৯৫৮১
 
|-
|-
| মোট জনশক্তি (সংখ্যায়)  || ৪০৫  || ৪৪৯  || ৫৫৬  || ৬১৫  || ৭৫৭  || ৮২১
| আমানত || ৮৭৩১ || ৪২৫৫৬ || ১০৬৯৩২ || ১৭৫৪৬৮
 
|-
|-
| (ক) কর্মকর্তা  || ২৯৯  || ৩২৭  || ৪০৯  || ৪৬৫  || ৫৮৭  || ৬২৭
| ঋণ ও অগ্রিম || ৭৮০১ || ৩৮০৫৬ || ৯১৪৮৭ || ১৬০৬২৬
 
|-
|-
| (খ) কর্মচারী  || ১০৬  || ১২২  || ১৪৭  || ১৫৯  || ১৭০  || ১৯৪
| বিনিয়োগ || ৯৪৩ || ৫৩৪০ || ১৯১০৯ || ৩০৫৯৮
 
|-
|-
| বিদেশি প্রতিষঙ্গী ব্যাংক (সংখ্যায়)  || ১৮  || ২০  || ২১  || ২২  || ২১  || ২২
| মোট পরিসম্পদ || ১১০৭১ || ৪৯০০১ || ১৩২৩২১ || ২২১৮৯০
 
|-
|-
| শাখা (সংখ্যায়)  || ১৮  || ২২  || ২৬  || ২৯  || ৩২  || ৪১
| বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবসা পরিচালনা || ১৫০২৬ || ৭০২৮৪ || ১০০,০১৮ || ১৪২,০৮৯
 
|-
|-
| (ক) দেশে  || ১৮  || ২২  || ২৬  || ২৯  || ৩২  || ৪১
| ক) রপ্তানি || ৩৫৩৭ || ২৯১৭৭ || ৩৮৭৪৬ || ৫৬৩২৬
 
|-
|-
| (খ) বিদেশে  || || || || -  || -  || -
| খ) আমদানি || ১১৩৫৩ || ৪০৪১১ || ৫১৪৯১ || ৭৫৩৯৯
 
|-
|-
| কৃষিখাতে  || || || || ||  ||
| গ) রেমিট্যান্স || ১৩৬ || ৬৯৬ || ৯৭৮১ || ১০৩৬৪
 
|-
|-
| () ঋণ বিতরণ  || || || || ১০  || ৩৪  || ১০২
| মোট জনবল (সংখ্যায়) || ৪০৫ || ৮২১ || ১৬০৪ || ২৩৫৩
 
|-
|-
| () আদায়  || || || || ২  || ১৬  || ৪৮
| শাখা (সংখ্যায়) || ১৮ || ৪১ || ৯৭ || ১৩১
 
|-
|-
| শিল্পখাতে  || || || || ||  ||
| ক) গ্রামাঞ্চলে || ১৮ || ৪১ || ৩২ || ৪৮
 
|-
|-
| (ক) ঋণ বিতরণ  || ৪৩১০  || ১১৯৩  || ৫১  || ৫৪৫৭  || ১৪৪০৯  || ৪৩২২৭
| খ) শহর এলাকায় || - || - || ৬৫ || ৮৩
 
|-
| (খ) আদায়  || ১৩২১  || ৪১৮  || ৪  || ২৭৯৭  || ৯৬৩৩  || ২৮৮৯৯
 
|-
| খাতভিত্তিক  ঋণের স্থিতি  ||  ||  ||  ||  ||  ||
 
|-
| (ক) কৃষি ও মৎস্য  || -  || -  || ১৮  || ২০  || ৭৬  || ২৬
 
|-
| (খ) শিল্প  || ৮৮০  || ১৬৬৩  || ২০৫৬  || ২৩৫৫  || ৫০৫২  || ১০৪৩
 
|-
| (গ) ব্যবসা-বাণিজ্য  || ৩১৯৪  || ৩৯১৭  || ৩৩৮৯  || ৪৪৮৫  || ৯৪৫৮  || ৫৭৮২
 
|-
| (ঘ) দারিদ্র্য বিমোচন  || - || -  || -  || -  || -  || ৩৮
|}
|}
উৎস  অর্থবিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সরকার, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কার্যাবলী, ২০০৪-০৫ থেকে ২০০৯-১০।
স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক আমানত গ্রহণ, ঋণ প্রদান, আমদানি অর্থায়ন, রপ্তানি সার্ভিসিং এবং অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক রেমিট্যান্স সার্ভিসসহ সর্বপ্রকার বাণিজ্যিক ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করে। শুরু থেকে ব্যাংকটি ব্যাপকভাবে বৈদেশিক বাণিজ্যে অংশগ্রহণ করে আসছে। এটি এ যাবৎ মোট ২২ বিদেশি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাথে করেসপন্ডেন্ট সম্পর্ক স্থাপন করেছে। এ সকল ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশি নাগরিকদের দেশে অর্থ প্রেরণ ও বৈদেশিক বাণিজ্যে অংশগ্রহণের মাধ্যমে দেশীয় অর্থনীতির বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। এছাড়াও ব্যাংক প্রবাসীদের সহায়তার লক্ষ্যে স্ট্যান্ডার্ড এক্সচেঞ্জ কোম্পানি লিমিটেড নামে ইউ.কে-তে একটি এক্সচেঞ্জ হাউজ খুলেছে, যার মাধ্যমে সহজে ও দ্রুত রেমিট্যান্স গ্রহণ সম্ভব হচ্ছে। স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক ইতোমধ্যে অন-লাইন ব্যাংকিং কার্যক্রম, এটিএম ও ডেবিট কার্ড চালু করেছে।


দারিদ্র্য বিমোচন, স্বল্প আয়ের মানুষের সহায়তা প্রদান এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ব্যাংক দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ৬টি এসএমই সার্ভিস সেন্টার চালু করেছে। পাশাপাশি কৃষি পল্লী উন্নয়নে সহজ শর্তে ঋণ দিয়ে আসছে। এছাড়া ব্যাংক মার্চেন্ট ব্যাংকিং সেবা প্রদানের মাধ্যমে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের সহায়তা করছে এবং দুটি ইসলামি উইং-এর মাধ্যমে প্রচলিত ব্যাংকিং-এর পাশাপাশি ইসলামি ব্যাংকিং সেবা প্রদান করছে।
''উৎস''  অর্থবিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সরকার, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কার্যাবলী, ২০০৪-০৫ থেকে ২০০৯-১০; স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক-এর বার্ষিক বিবরণী, ২০১৯


১৭ সদস্যবিশিষ্ট একটি পরিচালক পর্ষদ ব্যাংকটির সার্বিক ব্যবস্থাপনা তদারকি এবং নীতি-কৌশলসমূহ অনুমোদন করে থাকে। ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্যাংকটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। বর্তমানে (২০১০) ব্যাংকটির শাখার সংখ্যা ৫৮ এবং কর্মকর্তাকর্মচারীর সংখ্যা ৮২১।  [এস.এম মাহফুজুর রহমান]
দারিদ্র্য বিমোচন, স্বল্প আয়ের মানুষের সহায়তা প্রদান এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ব্যাংক দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ৬টি এসএমই সার্ভিস সেন্টার চালু করেছে। পাশাপাশি কৃষি ও পল্লী উন্নয়নে সহজ শর্তে ঋণ দিয়ে আসছে। এছাড়া ব্যাংক মার্চেন্ট ব্যাংকিং সেবা প্রদানের মাধ্যমে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের সহায়তা করছে এবং দুটি ইসলামি উইং-এর মাধ্যমে প্রচলিত ব্যাংকিং-এর পাশাপাশি ইসলামি ব্যাংকিং সেবা প্রদান করছে। ২০১৬ সালে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু করে এবং ২০১৯ সালে সারা দেশে এই ব্যাংকের ২৮টি এজেন্ট ব্যাংকিং ইউনিট চালু ছিল। বাংলাদেশের ব্যাংকখাতের সার্বিক অবস্থার তুলনায় স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের কার্যক্রম সন্তোষজনক বলা যায়। ২০১৯ সালে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি আয় ছিল ১.৫৭ টাকা (২০১৫ সালে এটি ছিল ২.১২ টাকা), কর পরবর্তী মুনাফা ছিল ১৫০৪ মিলিয়ন টাকা (২০১৫ সালে ১৫৯৬ মিলিয়ন টাকা) এবং একই বছর (২০১৯) ব্যাংকটির এনপিএল ছিল মোট বিতরণকৃত ঋণের ৭.৯০% যা বাংলাদেশের ব্যাংকসমূহের গড় এনপিএল-এর তুলনায় অনেক কম।


[[en:Standard Bank Limited]]
১৭ সদস্যবিশিষ্ট একটি পরিচালক পর্ষদ ব্যাংকটির সার্বিক ব্যবস্থাপনা তদারকি এবং নীতি-কৌশলসমূহ অনুমোদন করে থাকে। ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্যাংকটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। বর্তমানে (২০১৯) ব্যাংকটির শাখার সংখ্যা ১৩১ এবং কর্মকর্তা-কর্মচারির সংখ্যা ২৩৫৩।  [এস. এম মাহফুজুর রহমান]


[[en:Standard Bank Limited]]
[[en:Standard Bank Limited]]

১৩:৫৭, ২৬ মে ২০২৩ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেড  ব্যক্তিমালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংক। এটি ৩ জুন ১৯৯৯ তারিখে ৭৫০ মিলিয়ন টাকা অনুমোদিত এবং ২০০ মিলিয়ন টাকা পরিশোধিত মূলধন নিয়ে ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু করে। এর মূলধনসমূহ প্রতিটি ১০০ টাকা মূল্যের সাধারণ শেয়ারে বিভক্ত। এটির পরিশোধিত মূলধনের শতকরা ৫০ ভাগ ‘এ’ গ্রুপভুক্ত শেয়ারহোল্ডার তথা উদ্যোক্তা পরিচালকগণ কর্তৃক এবং অবশিষ্ট ৫০ ভাগ ‘বি’ গ্রুপভুক্ত শেয়ারহোল্ডার তথা সাধারণ জনগণ কর্তৃক পরিশোধ করা হয়েছে। স্টান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেড কোম্পানি আইন ১৯৯৪-এর অধীনে নিবন্ধিত একটি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি।

স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক আমানত গ্রহণ, ঋণ প্রদান, আমদানি অর্থায়ন, রপ্তানি সার্ভিসিং এবং অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক রেমিট্যান্স সার্ভিসসহ সর্বপ্রকার বাণিজ্যিক ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করে। শুরু থেকে ব্যাংকটি ব্যাপকভাবে বৈদেশিক বাণিজ্যে অংশগ্রহণ করে আসছে। এটি এ যাবৎ মোট ২২ বিদেশি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাথে করেসপন্ডেন্ট সম্পর্ক স্থাপন করেছে। এ সকল ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশি নাগরিকদের দেশে অর্থ প্রেরণ ও বৈদেশিক বাণিজ্যে অংশগ্রহণের মাধ্যমে দেশীয় অর্থনীতির বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। এছাড়াও ব্যাংক প্রবাসীদের সহায়তার লক্ষ্যে স্ট্যান্ডার্ড এক্সচেঞ্জ কোম্পানি লিমিটেড নামে ইউ.কে-তে একটি এক্সচেঞ্জ হাউজ খুলেছে, যার মাধ্যমে সহজে ও দ্রুত রেমিট্যান্স গ্রহণ সম্ভব হচ্ছে। স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক ইতোমধ্যে অন-লাইন ব্যাংকিং কার্যক্রম, এটিএম ও ডেবিট কার্ড চালু করেছে।

মৌল তথ্য ও পরিসংখ্যান (মিলিয়ন টাকায়)
মৌল তথ্য ও পরিসংখ্যান (মিলিয়ন টাকায়)
বিবরণ ২০০৪ ২০০৯ ২০১৫ ২০১৯
অনুমোদিত মূলধন ১২৫০ ৮৮০০ ১৫০০০ ১৫০০০
পরিশোধিত মূলধন ৭৫৯ ২৬৪৪ ৬৫৫৭ ৯৫৮১
আমানত ৮৭৩১ ৪২৫৫৬ ১০৬৯৩২ ১৭৫৪৬৮
ঋণ ও অগ্রিম ৭৮০১ ৩৮০৫৬ ৯১৪৮৭ ১৬০৬২৬
বিনিয়োগ ৯৪৩ ৫৩৪০ ১৯১০৯ ৩০৫৯৮
মোট পরিসম্পদ ১১০৭১ ৪৯০০১ ১৩২৩২১ ২২১৮৯০
বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবসা পরিচালনা ১৫০২৬ ৭০২৮৪ ১০০,০১৮ ১৪২,০৮৯
ক) রপ্তানি ৩৫৩৭ ২৯১৭৭ ৩৮৭৪৬ ৫৬৩২৬
খ) আমদানি ১১৩৫৩ ৪০৪১১ ৫১৪৯১ ৭৫৩৯৯
গ) রেমিট্যান্স ১৩৬ ৬৯৬ ৯৭৮১ ১০৩৬৪
মোট জনবল (সংখ্যায়) ৪০৫ ৮২১ ১৬০৪ ২৩৫৩
শাখা (সংখ্যায়) ১৮ ৪১ ৯৭ ১৩১
ক) গ্রামাঞ্চলে ১৮ ৪১ ৩২ ৪৮
খ) শহর এলাকায় - - ৬৫ ৮৩

উৎস অর্থবিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সরকার, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কার্যাবলী, ২০০৪-০৫ থেকে ২০০৯-১০; স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক-এর বার্ষিক বিবরণী, ২০১৯

দারিদ্র্য বিমোচন, স্বল্প আয়ের মানুষের সহায়তা প্রদান এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ব্যাংক দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ৬টি এসএমই সার্ভিস সেন্টার চালু করেছে। পাশাপাশি কৃষি ও পল্লী উন্নয়নে সহজ শর্তে ঋণ দিয়ে আসছে। এছাড়া ব্যাংক মার্চেন্ট ব্যাংকিং সেবা প্রদানের মাধ্যমে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের সহায়তা করছে এবং দুটি ইসলামি উইং-এর মাধ্যমে প্রচলিত ব্যাংকিং-এর পাশাপাশি ইসলামি ব্যাংকিং সেবা প্রদান করছে। ২০১৬ সালে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু করে এবং ২০১৯ সালে সারা দেশে এই ব্যাংকের ২৮টি এজেন্ট ব্যাংকিং ইউনিট চালু ছিল। বাংলাদেশের ব্যাংকখাতের সার্বিক অবস্থার তুলনায় স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের কার্যক্রম সন্তোষজনক বলা যায়। ২০১৯ সালে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি আয় ছিল ১.৫৭ টাকা (২০১৫ সালে এটি ছিল ২.১২ টাকা), কর পরবর্তী মুনাফা ছিল ১৫০৪ মিলিয়ন টাকা (২০১৫ সালে ১৫৯৬ মিলিয়ন টাকা) এবং একই বছর (২০১৯) ব্যাংকটির এনপিএল ছিল মোট বিতরণকৃত ঋণের ৭.৯০% যা বাংলাদেশের ব্যাংকসমূহের গড় এনপিএল-এর তুলনায় অনেক কম।

১৭ সদস্যবিশিষ্ট একটি পরিচালক পর্ষদ ব্যাংকটির সার্বিক ব্যবস্থাপনা তদারকি এবং নীতি-কৌশলসমূহ অনুমোদন করে থাকে। ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্যাংকটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। বর্তমানে (২০১৯) ব্যাংকটির শাখার সংখ্যা ১৩১ এবং কর্মকর্তা-কর্মচারির সংখ্যা ২৩৫৩। [এস. এম মাহফুজুর রহমান]