দে, বজ্রেন্দকুমার: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) অ (Added Ennglish article link) |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
[[Category:Banglapedia]] | [[Category:Banglapedia]] | ||
'''দে | '''দে, ব্রজেন্দ্রকুমার''' (১৯০৭-১৯৭৬) যাত্রাপালা রচয়িতা। জন্ম ১৯০৭ সালের ১ ফেব্রুয়ারি, শরীয়তপুর জেলার গঙ্গানগর গ্রামে। পিতা হরকিশোর দে ও মাতা ক্ষীরোদা সুন্দরী। ব্রজেন্দ্রকুমার দে ১৯২২ সালে ম্যাট্রিক পাস করে শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করেন। স্বদেশী যাত্রাপালা প্রথম জনসাধারণের সামনে তুলে ধরেন মুকুন্দ দাশ (১৮৭৮-১৯৩৪)। তাঁর উত্তরাধিকারকে সাহিত্য ও শিল্পগুণে সমৃদ্ধ করে তোলেন ব্রজেন্দ্রকুমার দে। | ||
ছাত্রজীবনেই তিনি যাত্রাপালার প্রতি আকৃষ্ট হন এবং বঙ্কিমচন্দ্রের চন্দ্রশেখর উপন্যাসের পালারূপ দেন। তাঁর প্রথম রচিত যাত্রাপালা স্বর্ণলঙ্কা প্রকাশিত হয় ১৯২৫ সালে। | ছাত্রজীবনেই তিনি যাত্রাপালার প্রতি আকৃষ্ট হন এবং বঙ্কিমচন্দ্রের চন্দ্রশেখর উপন্যাসের পালারূপ দেন। তাঁর প্রথম রচিত যাত্রাপালা স্বর্ণলঙ্কা প্রকাশিত হয় ১৯২৫ সালে। | ||
৭ নং লাইন: | ৭ নং লাইন: | ||
ব্রজেন্দ্রকুমার দে ১৫২টি যাত্রাপালা রচনা করেন। যাত্রাপালা রচনায় কৃতিত্বের জন্য ১৯৭৩ সালে ‘নিখিল ভারত বঙ্গ সাহিত্য সম্মেলন’ তাঁকে একজন ‘সফল পালাকার’ হিসেবে সম্মানিত করে। অভিনয় পত্রিকা তাঁকে ‘লোকনাট্য গুরু’ উপাধিতে ভূষিত করে ১৯৭৬ সালে। জনসাধারণের কাছে তিনি ‘পালাসম্রাট’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। তাঁর মৃত্যু ১৯৭৬ সালের ১২ মার্চ। [মুহম্মদ সাইফুল ইসলাম] | ব্রজেন্দ্রকুমার দে ১৫২টি যাত্রাপালা রচনা করেন। যাত্রাপালা রচনায় কৃতিত্বের জন্য ১৯৭৩ সালে ‘নিখিল ভারত বঙ্গ সাহিত্য সম্মেলন’ তাঁকে একজন ‘সফল পালাকার’ হিসেবে সম্মানিত করে। অভিনয় পত্রিকা তাঁকে ‘লোকনাট্য গুরু’ উপাধিতে ভূষিত করে ১৯৭৬ সালে। জনসাধারণের কাছে তিনি ‘পালাসম্রাট’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। তাঁর মৃত্যু ১৯৭৬ সালের ১২ মার্চ। [মুহম্মদ সাইফুল ইসলাম] | ||
[[en:De, Brajendra Kumar]] | [[en:De, Brajendra Kumar]] |
০৬:৫৭, ১৪ জানুয়ারি ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ
দে, ব্রজেন্দ্রকুমার (১৯০৭-১৯৭৬) যাত্রাপালা রচয়িতা। জন্ম ১৯০৭ সালের ১ ফেব্রুয়ারি, শরীয়তপুর জেলার গঙ্গানগর গ্রামে। পিতা হরকিশোর দে ও মাতা ক্ষীরোদা সুন্দরী। ব্রজেন্দ্রকুমার দে ১৯২২ সালে ম্যাট্রিক পাস করে শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করেন। স্বদেশী যাত্রাপালা প্রথম জনসাধারণের সামনে তুলে ধরেন মুকুন্দ দাশ (১৮৭৮-১৯৩৪)। তাঁর উত্তরাধিকারকে সাহিত্য ও শিল্পগুণে সমৃদ্ধ করে তোলেন ব্রজেন্দ্রকুমার দে।
ছাত্রজীবনেই তিনি যাত্রাপালার প্রতি আকৃষ্ট হন এবং বঙ্কিমচন্দ্রের চন্দ্রশেখর উপন্যাসের পালারূপ দেন। তাঁর প্রথম রচিত যাত্রাপালা স্বর্ণলঙ্কা প্রকাশিত হয় ১৯২৫ সালে।
যাত্রাপালা নিয়ে তিনি অনেক পরীক্ষ-নিরীক্ষা করেন। আগে যাত্রাপালার মঞ্চায়নে সংলাপ থাকত দীর্ঘ, অস্বাভাবিক বক্তৃতাপূর্ণ এবং পালার বক্তব্যে থাকত হালকা-চটুল রঙ্গরস। উদ্ভট চরিত্র সৃষ্টি করার ফলে তা হয়ে উঠতো অবাস্তব। ব্রজেন্দ্রকুমার দে এসব প্রচলিত ও গতানুগতিক ধারার সংস্কার করেন। তিনি যাত্রাপালার বিষয়ে নিয়ে আসেন বৈচিত্র্য এবং আঙ্গিকে নতুনত্ব। তিনি পৌরাণিক ও ইতিহাস-আশ্রিত পালা রচনায় পারদর্শীতা অর্জন করেন। সমকালীনতার দাবি মেটাতে তিনি তাঁর রচিত যাত্রাপালায় কোনো কোনো চরিত্রকে প্রতীকী ব্যঞ্জনায় উপস্থাপন করেন। ফলে তাঁর হাতে রচিত হয় সামাজিকপালা, বিপ্লবীপালা, জীবনীপালা, কাল্পনিকপালা প্রভৃতি। এসব যাত্রাপালা রচনায় তিনি পথপ্রদর্শকের ভূমিকা পালন করেন।
ব্রজেন্দ্রকুমার দে ১৫২টি যাত্রাপালা রচনা করেন। যাত্রাপালা রচনায় কৃতিত্বের জন্য ১৯৭৩ সালে ‘নিখিল ভারত বঙ্গ সাহিত্য সম্মেলন’ তাঁকে একজন ‘সফল পালাকার’ হিসেবে সম্মানিত করে। অভিনয় পত্রিকা তাঁকে ‘লোকনাট্য গুরু’ উপাধিতে ভূষিত করে ১৯৭৬ সালে। জনসাধারণের কাছে তিনি ‘পালাসম্রাট’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। তাঁর মৃত্যু ১৯৭৬ সালের ১২ মার্চ। [মুহম্মদ সাইফুল ইসলাম]