ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(fix: image tag)
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
২ নং লাইন: ২ নং লাইন:
'''ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল'''  ১৮৩৫ সালে একটি ইংরেজি বিদ্যালয় হিসেবে ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি ছিল বাংলার প্রথম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠার সময় স্কুলটির নাম ছিল ‘ঢাকা গভর্নমেন্ট হাইস্কুল’ এবং এর প্রথম প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মি. রিজ নামের একজন ইংরেজ মিশনারি। ১৮৪১ সালে এ স্কুলের প্রাঙ্গণেই ঢাকা কলেজের ভিত্তি স্থাপন করা হয় এবং স্কুল ভবনটি পুনর্নিমাণ করে এর দ্বিতীয় তলায় কলেজের স্থান সংকুলানের ব্যবস্থা করা হয়। এ সময় স্কুলটির নতুন নামকরণ করা হয় ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল। অনেকদিন পর্যন্ত এ ভবনের নিচতলায়ই স্কুলটির কার্যক্রম চলেছে।   
'''ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল'''  ১৮৩৫ সালে একটি ইংরেজি বিদ্যালয় হিসেবে ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি ছিল বাংলার প্রথম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠার সময় স্কুলটির নাম ছিল ‘ঢাকা গভর্নমেন্ট হাইস্কুল’ এবং এর প্রথম প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মি. রিজ নামের একজন ইংরেজ মিশনারি। ১৮৪১ সালে এ স্কুলের প্রাঙ্গণেই ঢাকা কলেজের ভিত্তি স্থাপন করা হয় এবং স্কুল ভবনটি পুনর্নিমাণ করে এর দ্বিতীয় তলায় কলেজের স্থান সংকুলানের ব্যবস্থা করা হয়। এ সময় স্কুলটির নতুন নামকরণ করা হয় ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল। অনেকদিন পর্যন্ত এ ভবনের নিচতলায়ই স্কুলটির কার্যক্রম চলেছে।   


<nowiki>#</nowiki> #[[Image:ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল_html_88407781.png]]
[[Image:DhakaCollegiateSchool.jpg|thumb|400px|right|ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল]]


[[Image:DhakaCollegiateSchool.jpg|thumb|400px]]
মওলানা  [[লতিফ, নওয়াব আবদুল|আবদুল লতিফ]] (পরবর্তীকালে নবাব আবদুল লতিফ খান বাহাদুর, সিআইই) এ সময় স্কুলে একজন শিক্ষক হিসেবে কাজ করেন। ১৯০৮ সালে স্কুলটিকে কলেজ থেকে পৃথক করে স্কুলসমূহের পরিদর্শকের অধীনে ন্যস্ত করা হয়। এ সময় জিলা স্কুলের মর্যাদা অর্জন করলেও এটি ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল নামেই পরিচিতি পায়। বর্তমানে বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত এ স্কুলটি ঐতিহাসিক  [[আহসান মঞ্জিল|আহসান মঞ্জিল]], বাহাদুর শাহ পার্ক,  [[জগন্নাথ কলেজ|জগন্নাথ কলেজ]] এবং ঢাকা সদর ডাকঘর দ্বারা পরিবেষ্টিত। ছেলেদের এ স্কুলটিতে বর্তমানে দুই শিফটে মানবিক, বিজ্ঞান এবং বাণিজ্য শাখায় পাঠ দান করা হয়। বর্তমানে (২০১০) এখানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২৩৪৫ এবং শিক্ষকশিক্ষিকার সংখ্যা ৫৩। ঢাকার নবাব খাজা আব্দুল গণি এ স্কুলের প্রথম ব্যাচের ছাত্র ছিলেন। এছাড়া পদার্থবিজ্ঞানী মেঘনাদ সাহা,  [[রহমান, বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর|বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান]], শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, মুনির চৌধুরী ও  [[বসু, বুদ্ধদেব|বুদ্ধদেব বসু]]সহ অনেক বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গ এ স্কুলে পড়ালেখা করেছেন। [এস. এম মাহফুজুর রহমান]
 
" border=1&gt;
 
# #ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল
 
মওলানা  [[লতিফ, নওয়াব আবদুল|আবদুল লতিফ]] (পরবর্তীকালে নবাব আবদুল লতিফ খান বাহাদুর, সিআইই) এ সময় স্কুলে একজন শিক্ষক হিসেবে কাজ করেন। ১৯০৮ সালে স্কুলটিকে কলেজ থেকে পৃথক করে স্কুলসমূহের পরিদর্শকের অধীনে ন্যস্ত করা হয়। এ সময় জিলা স্কুলের মর্যাদা অর্জন করলেও এটি ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল নামেই পরিচিতি পায়। বর্তমানে বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত এ স্কুলটি ঐতিহাসিক  [[আহসান মঞ্জিল|আহসান মঞ্জিল]], বাহাদুর শাহ পার্ক,  [[জগন্নাথ কলেজ|জগন্নাথ কলেজ]] এবং ঢাকা সদর ডাকঘর দ্বারা পরিবেষ্টিত। ছেলেদের এ স্কুলটিতে বর্তমানে দুই শিফটে মানবিক, বিজ্ঞান এবং বাণিজ্য শাখায় পাঠ দান করা হয়। বর্তমানে (২০১০) এখানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২৩৪৫ এবং শিক্ষকশিক্ষিকার সংখ্যা ৫৩। ঢাকার নবাব খাজা আব্দুল গণি এ স্কুলের প্রথম ব্যাচের ছাত্র ছিলেন। এছাড়া পদার্থবিজ্ঞানী মেঘনাদ সাহা,  [[রহমান, বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর|বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান]], শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, মুনির চৌধুরী ও  [[বসু, বুদ্ধদেব|ey«¬G`e em]]সহ অনেক বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গ এ স্কুলে পড়ালেখা করেছেন। [এস. এম মাহফুজুর রহমান]
 
<!-- imported from file: ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল.html-->


[[en:Dhaka Collegiate School]]
[[en:Dhaka Collegiate School]]

০৬:৩৩, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল  ১৮৩৫ সালে একটি ইংরেজি বিদ্যালয় হিসেবে ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি ছিল বাংলার প্রথম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠার সময় স্কুলটির নাম ছিল ‘ঢাকা গভর্নমেন্ট হাইস্কুল’ এবং এর প্রথম প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মি. রিজ নামের একজন ইংরেজ মিশনারি। ১৮৪১ সালে এ স্কুলের প্রাঙ্গণেই ঢাকা কলেজের ভিত্তি স্থাপন করা হয় এবং স্কুল ভবনটি পুনর্নিমাণ করে এর দ্বিতীয় তলায় কলেজের স্থান সংকুলানের ব্যবস্থা করা হয়। এ সময় স্কুলটির নতুন নামকরণ করা হয় ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল। অনেকদিন পর্যন্ত এ ভবনের নিচতলায়ই স্কুলটির কার্যক্রম চলেছে। 

ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল

মওলানা  আবদুল লতিফ (পরবর্তীকালে নবাব আবদুল লতিফ খান বাহাদুর, সিআইই) এ সময় স্কুলে একজন শিক্ষক হিসেবে কাজ করেন। ১৯০৮ সালে স্কুলটিকে কলেজ থেকে পৃথক করে স্কুলসমূহের পরিদর্শকের অধীনে ন্যস্ত করা হয়। এ সময় জিলা স্কুলের মর্যাদা অর্জন করলেও এটি ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল নামেই পরিচিতি পায়। বর্তমানে বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত এ স্কুলটি ঐতিহাসিক  আহসান মঞ্জিল, বাহাদুর শাহ পার্ক,  জগন্নাথ কলেজ এবং ঢাকা সদর ডাকঘর দ্বারা পরিবেষ্টিত। ছেলেদের এ স্কুলটিতে বর্তমানে দুই শিফটে মানবিক, বিজ্ঞান এবং বাণিজ্য শাখায় পাঠ দান করা হয়। বর্তমানে (২০১০) এখানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২৩৪৫ এবং শিক্ষকশিক্ষিকার সংখ্যা ৫৩। ঢাকার নবাব খাজা আব্দুল গণি এ স্কুলের প্রথম ব্যাচের ছাত্র ছিলেন। এছাড়া পদার্থবিজ্ঞানী মেঘনাদ সাহা,  বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, মুনির চৌধুরী ও  বুদ্ধদেব বসুসহ অনেক বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গ এ স্কুলে পড়ালেখা করেছেন। [এস. এম মাহফুজুর রহমান]