জোয়ারধৌত বন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) অ (Added Ennglish article link) |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
৫ নং লাইন: | ৫ নং লাইন: | ||
সুন্দরবনে রয়েছে পশুর, শিপসা, আরপাংসিয়া ও মালঞ্চের মতো অনেক নদনদী। এছাড়া যমুনা ও রায়মঙ্গলের সাথে এর আংশিক পরোক্ষ সংযোগ রয়েছে। এসব নদী দ্বারা বর্ষাকালে গঙ্গা-প্লাবিত পানি প্রবাহিত হয়। এছাড়াও এসব নদী বর্ষাকালে তাদের দীর্ঘ এবং অাঁকাবাঁকা গতিপথে স্থানীয়ভাবে যথেষ্ট পরিমাণ পানি সরবরাহ করে। বর্তমানে বালেশ্বর নদীর সাথে এ বনের সরাসরি সংযোগ রয়েছে এবং তা বনের পূর্বাঞ্চলে স্বাদুপানি সরবরাহ করে থাকে। সুন্দরবনের জোয়ারভাটার স্থিতিকাল অর্ধদিনব্যাপী এবং অনিয়মিতভাবে পূর্ণদিনব্যাপী। এখানকার বার্ষিক বৃষ্টিপাত ১৪৬০ মিমি থেকে ২০০০ মিমি। গড়ে মোট বার্ষিক বৃষ্টিপাতের ৮০% জুন থেকে অক্টোবরের মধ্যে হয়। [নিয়াজ আহমেদ সিদ্দিকী] | সুন্দরবনে রয়েছে পশুর, শিপসা, আরপাংসিয়া ও মালঞ্চের মতো অনেক নদনদী। এছাড়া যমুনা ও রায়মঙ্গলের সাথে এর আংশিক পরোক্ষ সংযোগ রয়েছে। এসব নদী দ্বারা বর্ষাকালে গঙ্গা-প্লাবিত পানি প্রবাহিত হয়। এছাড়াও এসব নদী বর্ষাকালে তাদের দীর্ঘ এবং অাঁকাবাঁকা গতিপথে স্থানীয়ভাবে যথেষ্ট পরিমাণ পানি সরবরাহ করে। বর্তমানে বালেশ্বর নদীর সাথে এ বনের সরাসরি সংযোগ রয়েছে এবং তা বনের পূর্বাঞ্চলে স্বাদুপানি সরবরাহ করে থাকে। সুন্দরবনের জোয়ারভাটার স্থিতিকাল অর্ধদিনব্যাপী এবং অনিয়মিতভাবে পূর্ণদিনব্যাপী। এখানকার বার্ষিক বৃষ্টিপাত ১৪৬০ মিমি থেকে ২০০০ মিমি। গড়ে মোট বার্ষিক বৃষ্টিপাতের ৮০% জুন থেকে অক্টোবরের মধ্যে হয়। [নিয়াজ আহমেদ সিদ্দিকী] | ||
''আরও দেখুন'' [[সুন্দরবন|সুন্দরবন]]। | |||
আরও দেখুন [[সুন্দরবন|সুন্দরবন]]। | |||
[[en:Tidal Forest]] | [[en:Tidal Forest]] |
০৯:২৮, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ
জোয়ারধৌত বন (Tidal forest) জোয়ারভাটার প্রভাবের আওতাভুক্ত বনভূমি। বাংলাদেশে সুন্দরবনকে জোয়ারভাটার প্লাবিত বন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। পৃথিবীর সর্ববৃহৎ গরান বনভূমি (Mangrove forest) এ সুন্দরবন গাঙ্গেয় বদ্বীপের দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের কূল ঘেঁষে অবস্থিত। এটি দেশের সংরক্ষিত বন এবং চারটি প্রশাসনিক অঞ্চল এবং ৫৫টি শ্রেণীতে (compartment) বিভক্ত। এ বনে রয়েছে প্রায় ৭০টি উদ্ভিদ প্রজাতি যার অধিকাংশই বাণিজ্যিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ। এখানকার ভূমির উপরিভাগ সমতল এবং সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এর সর্বোচ্চ উচ্চতা (কদাচিৎ) ৩ মিটার। সমগ্র এলাকাটি জুড়ে রয়েছে বিভিন্ন প্রশস্ততা ও গভীরতার অসংখ্য খাল ও নদী। সুন্দরি ও গেওয়া এখানকার প্রধান বৃক্ষ। এ বনের উচ্চতা ৫ মিটার থেকে ২০ মিটার পর্যন্ত। বনভূমির প্রায় অর্ধেক এলাকার শতকরা ৭০ ভাগের অধিক ভূমি বৃক্ষাচ্ছাদিত।
সুন্দরবনে রয়েছে পশুর, শিপসা, আরপাংসিয়া ও মালঞ্চের মতো অনেক নদনদী। এছাড়া যমুনা ও রায়মঙ্গলের সাথে এর আংশিক পরোক্ষ সংযোগ রয়েছে। এসব নদী দ্বারা বর্ষাকালে গঙ্গা-প্লাবিত পানি প্রবাহিত হয়। এছাড়াও এসব নদী বর্ষাকালে তাদের দীর্ঘ এবং অাঁকাবাঁকা গতিপথে স্থানীয়ভাবে যথেষ্ট পরিমাণ পানি সরবরাহ করে। বর্তমানে বালেশ্বর নদীর সাথে এ বনের সরাসরি সংযোগ রয়েছে এবং তা বনের পূর্বাঞ্চলে স্বাদুপানি সরবরাহ করে থাকে। সুন্দরবনের জোয়ারভাটার স্থিতিকাল অর্ধদিনব্যাপী এবং অনিয়মিতভাবে পূর্ণদিনব্যাপী। এখানকার বার্ষিক বৃষ্টিপাত ১৪৬০ মিমি থেকে ২০০০ মিমি। গড়ে মোট বার্ষিক বৃষ্টিপাতের ৮০% জুন থেকে অক্টোবরের মধ্যে হয়। [নিয়াজ আহমেদ সিদ্দিকী]
আরও দেখুন সুন্দরবন।