ওয়ালিউল্লাহ, মোহাম্মদ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Added Ennglish article link)
 
(Text replacement - "সোহ্রাওয়ার্দী" to "সোহ্‌রাওয়ার্দী")
 
৫ নং লাইন: ৫ নং লাইন:
মোহাম্মদ ওয়ালিউল্লাহ ছাত্রজীবনে জাতীয়তাবাদী রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। ব্রিটিশবিরোধী আইন অমান্য আন্দোলনে অংশ নেওয়ার কারণে ১৯২১-১৯২২ সালে তিনি কারারুদ্ধ হন। প্রথম জীবনে মহাত্মা গান্ধীর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি কংগ্রেসে যোগ দেন এবং লালকোর্তা ও ওলী গান্ধী নামে পরিচিত হন। পরে তিনি মুসলিম লীগের সঙ্গে সম্পর্কিত হন (১৯৩৭)।  
মোহাম্মদ ওয়ালিউল্লাহ ছাত্রজীবনে জাতীয়তাবাদী রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। ব্রিটিশবিরোধী আইন অমান্য আন্দোলনে অংশ নেওয়ার কারণে ১৯২১-১৯২২ সালে তিনি কারারুদ্ধ হন। প্রথম জীবনে মহাত্মা গান্ধীর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি কংগ্রেসে যোগ দেন এবং লালকোর্তা ও ওলী গান্ধী নামে পরিচিত হন। পরে তিনি মুসলিম লীগের সঙ্গে সম্পর্কিত হন (১৯৩৭)।  


কর্মজীবনে ওয়ালিউল্লাহ বার্মা, ভারত ও বাংলাদেশের বিভিন্ন সংবাদপত্রে চাকরি করেন। তিনি যেসব পত্রিকার সঙ্গে জড়িত ছিলেন সেগুলি হলো দ্য রেঙ্গুন, ডেইলি নিউজ, স্টার অফ ইন্ডিয়া, দ্য ওরিয়েন্ট প্রেস অফ ইন্ডিয়া, দৈনিক আজাদ, দৈনিক পূর্বদেশ, দৈনিক ইত্তেহাদ ও দৈনিক সংবাদ। যুক্তফ্রন্ট সরকার ও পরবর্তী সরকারের তথ্য বিভাগের সহকারী সম্পাদক হিসেবে তিনি ১৯৫৪-১৯৬৭ সাল পর্যন্ত নিযুক্ত ছিলেন। সাংবাদিকতা সূত্রে তিনি মহাত্মা গান্ধী,  [[সোহ্রাওয়ার্দী, হোসেন শহীদ|হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী]], শেরে বাংলা  [[হক, এ.কে ফজলুল|এ]][[হক, এ.কে ফজলুল|.কে ফজলুল হক]] ও মওলানা  [[ভাসানী, মওলানা আবদুল হামিদ খান|আবদুল হামিদ খান ভাসানী]]র সঙ্গে ভারতের বিভিন্ন স্থান ভ্রমণ করেন। এই ভ্রমণের অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি রচনা করেন যুগ-বিচিত্রা  (১৯৬৭) নামে একটি মূল্যবান  গ্রন্থ। তাঁর রচিত অন্যান্য গ্রন্থ হলো: সংবাদ ও সাংবাদিক (১৯৪৩), সেকাল ও একাল (১৯৫২), ফাঁসির মঞ্চে (১৯৫২), বিচিত্র জীবন (১৯৫২), আমাদের মুক্তি সংগ্রাম (১৯৫২), বাংলাদেশের অভ্যুদয়, সাংবাদিকের সঞ্চয়, যুগ বিবর্তন ও জীবন জাগার কাহিনী (১৯৮২)। যুগ-বিচিত্রার জন্য তিনি ১৯৬৮ সালে দাউদ পুরস্কার লাভ  করেন। ১৯৭৮ সালের ৩ আগস্ট  তাঁর মৃত্যু হয়।  [আইয়ুব হোসেন]
কর্মজীবনে ওয়ালিউল্লাহ বার্মা, ভারত ও বাংলাদেশের বিভিন্ন সংবাদপত্রে চাকরি করেন। তিনি যেসব পত্রিকার সঙ্গে জড়িত ছিলেন সেগুলি হলো দ্য রেঙ্গুন, ডেইলি নিউজ, স্টার অফ ইন্ডিয়া, দ্য ওরিয়েন্ট প্রেস অফ ইন্ডিয়া, দৈনিক আজাদ, দৈনিক পূর্বদেশ, দৈনিক ইত্তেহাদ ও দৈনিক সংবাদ। যুক্তফ্রন্ট সরকার ও পরবর্তী সরকারের তথ্য বিভাগের সহকারী সম্পাদক হিসেবে তিনি ১৯৫৪-১৯৬৭ সাল পর্যন্ত নিযুক্ত ছিলেন। সাংবাদিকতা সূত্রে তিনি মহাত্মা গান্ধী,  [[সোহ্‌রাওয়ার্দী, হোসেন শহীদ|হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী]], শেরে বাংলা  [[হক, এ.কে ফজলুল|এ]][[হক, এ.কে ফজলুল|.কে ফজলুল হক]] ও মওলানা  [[ভাসানী, মওলানা আবদুল হামিদ খান|আবদুল হামিদ খান ভাসানী]]র সঙ্গে ভারতের বিভিন্ন স্থান ভ্রমণ করেন। এই ভ্রমণের অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি রচনা করেন যুগ-বিচিত্রা  (১৯৬৭) নামে একটি মূল্যবান  গ্রন্থ। তাঁর রচিত অন্যান্য গ্রন্থ হলো: সংবাদ ও সাংবাদিক (১৯৪৩), সেকাল ও একাল (১৯৫২), ফাঁসির মঞ্চে (১৯৫২), বিচিত্র জীবন (১৯৫২), আমাদের মুক্তি সংগ্রাম (১৯৫২), বাংলাদেশের অভ্যুদয়, সাংবাদিকের সঞ্চয়, যুগ বিবর্তন ও জীবন জাগার কাহিনী (১৯৮২)। যুগ-বিচিত্রার জন্য তিনি ১৯৬৮ সালে দাউদ পুরস্কার লাভ  করেন। ১৯৭৮ সালের ৩ আগস্ট  তাঁর মৃত্যু হয়।  [আইয়ুব হোসেন]


[[en:Waliullah, Mohammad]]
[[en:Waliullah, Mohammad]]

১৫:৫৭, ১৭ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

মোহাম্মদ ওয়ালিউল্লাহ

ওয়ালিউল্লাহ, মোহাম্মদ (১৯০৭-১৯৭৮)  সাংবাদিক ও লেখক।  চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ উপজেলার বাউরিয়া গ্রামে ১৯০৭ সালের ১ মার্চ তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা রমিজ আলী কলকাতায় চাকরি করতেন। ওয়ালিউল্লাহ সন্দ্বীপ কারগিল হাইস্কুল থেকে এন্ট্রান্স (১৯২৪) এবং  চট্টগ্রাম কলেজ থেকে আইএ (১৯৩২) পাস করার পর ইংরেজি নিয়ে বরিশাল বি এম কলেজে অধ্যয়ন করেন, কিন্তু পরীক্ষার পূর্বে বার্মা চলে যাওয়ায় পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা  হয় নি।

মোহাম্মদ ওয়ালিউল্লাহ ছাত্রজীবনে জাতীয়তাবাদী রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। ব্রিটিশবিরোধী আইন অমান্য আন্দোলনে অংশ নেওয়ার কারণে ১৯২১-১৯২২ সালে তিনি কারারুদ্ধ হন। প্রথম জীবনে মহাত্মা গান্ধীর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি কংগ্রেসে যোগ দেন এবং লালকোর্তা ও ওলী গান্ধী নামে পরিচিত হন। পরে তিনি মুসলিম লীগের সঙ্গে সম্পর্কিত হন (১৯৩৭)।

কর্মজীবনে ওয়ালিউল্লাহ বার্মা, ভারত ও বাংলাদেশের বিভিন্ন সংবাদপত্রে চাকরি করেন। তিনি যেসব পত্রিকার সঙ্গে জড়িত ছিলেন সেগুলি হলো দ্য রেঙ্গুন, ডেইলি নিউজ, স্টার অফ ইন্ডিয়া, দ্য ওরিয়েন্ট প্রেস অফ ইন্ডিয়া, দৈনিক আজাদ, দৈনিক পূর্বদেশ, দৈনিক ইত্তেহাদ ও দৈনিক সংবাদ। যুক্তফ্রন্ট সরকার ও পরবর্তী সরকারের তথ্য বিভাগের সহকারী সম্পাদক হিসেবে তিনি ১৯৫৪-১৯৬৭ সাল পর্যন্ত নিযুক্ত ছিলেন। সাংবাদিকতা সূত্রে তিনি মহাত্মা গান্ধী,  হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, শেরে বাংলা  .কে ফজলুল হক ও মওলানা  আবদুল হামিদ খান ভাসানীর সঙ্গে ভারতের বিভিন্ন স্থান ভ্রমণ করেন। এই ভ্রমণের অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি রচনা করেন যুগ-বিচিত্রা  (১৯৬৭) নামে একটি মূল্যবান  গ্রন্থ। তাঁর রচিত অন্যান্য গ্রন্থ হলো: সংবাদ ও সাংবাদিক (১৯৪৩), সেকাল ও একাল (১৯৫২), ফাঁসির মঞ্চে (১৯৫২), বিচিত্র জীবন (১৯৫২), আমাদের মুক্তি সংগ্রাম (১৯৫২), বাংলাদেশের অভ্যুদয়, সাংবাদিকের সঞ্চয়, যুগ বিবর্তন ও জীবন জাগার কাহিনী (১৯৮২)। যুগ-বিচিত্রার জন্য তিনি ১৯৬৮ সালে দাউদ পুরস্কার লাভ  করেন। ১৯৭৮ সালের ৩ আগস্ট  তাঁর মৃত্যু হয়।  [আইয়ুব হোসেন]