দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) অ (Robot: Automated text replacement (-\|\s''জনসংখ্যা''\s\|\| +| জনসংখ্যা ||)) |
(হালনাগাদ) |
||
(একজন ব্যবহারকারী দ্বারা সম্পাদিত একটি মধ্যবর্তী সংশোধন দেখানো হচ্ছে না) | |||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
[[Category:Banglapedia]] | [[Category:Banglapedia]] | ||
'''দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা''' (জামালপুর জেলা) আয়তন: | '''দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা''' (জামালপুর জেলা) আয়তন: ২৬৭.৫১ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২৫°০৬´ থেকে ২৫°২৬´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯°৪০´ থেকে ৮৯°৫১´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে চর রাজীবপুর উপজেলা, দক্ষিণে ইসলামপুর উপজেলা, পূর্বে বকশীগঞ্জ উপজেলা ও ভারতের মেঘালয় রাজ্য, পশ্চিমে গাইবান্ধা সদর ও ফুলছড়ি উপজেলা। | ||
''জনসংখ্যা'' | ''জনসংখ্যা'' ২৫৮১৩৩; পুরুষ ১২৬৬২৩, মহিলা ১৩১৫১০। মুসলিম ২৫৩৯২৭, হিন্দু ৪০৬৪, বৌদ্ধ ২, খ্রিস্টান ৩ এবং অন্যান্য ১৩৭। | ||
''জলাশয়'' প্রধান নদী: ব্রহ্মপুত্র, পুরাতন ব্রহ্মপুত্র, যমুনা এবং সাপমারী বিল, কাঠার বিল, তিলথুবা বিল ও পাকিরের বিল উল্লেখযোগ্য। | ''জলাশয়'' প্রধান নদী: ব্রহ্মপুত্র, পুরাতন ব্রহ্মপুত্র, যমুনা এবং সাপমারী বিল, কাঠার বিল, তিলথুবা বিল ও পাকিরের বিল উল্লেখযোগ্য। | ||
''প্রশাসন'' দেওয়ানগঞ্জ থানা গঠিত হয় ১৮৭৪ সালে এবং থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয় ১৯৮৩ সালে। | ''প্রশাসন'' দেওয়ানগঞ্জ থানা গঠিত হয় ১৮৭৪ সালে এবং থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয় ১৯৮৩ সালে। | ||
{| class="table table-bordered table-hover" | {| class="table table-bordered table-hover" | ||
১৩ নং লাইন: | ১২ নং লাইন: | ||
| colspan="9" | উপজেলা | | colspan="9" | উপজেলা | ||
|- | |- | ||
| rowspan="2" | পৌরসভা || rowspan="2" | ইউনিয়ন || rowspan="2" | মৌজা || rowspan="2" | গ্রাম || colspan="2" | জনসংখ্যা || rowspan="2" | ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) || colspan="2" | শিক্ষার হার (%) | |||
|- | |- | ||
| শহর || গ্রাম || শহর || গ্রাম | | শহর || গ্রাম || শহর || গ্রাম | ||
|- | |- | ||
| ১ | | ১ || ৮ || ৪২ || ১৬৬ || ৪৬৫৭১ || ২১১৫৬২ || ৯৬৫ || ৩৮.১ (২০০১) || ৩০.৬ | ||
|} | |} | ||
{| class="table table-bordered table-hover" | {| class="table table-bordered table-hover" | ||
|- | |- | ||
|পৌরসভা | | colspan="9" | পৌরসভা | ||
|- | |- | ||
| আয়তন (বর্গ কিমি) || ওয়ার্ড || মহল্লা || লোকসংখ্যা || ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) || শিক্ষার হার(%) | | আয়তন (বর্গ কিমি) || ওয়ার্ড || মহল্লা || লোকসংখ্যা || ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) || শিক্ষার হার (%) | ||
|- | |- | ||
| ২০.৬৫ | | ২০.৬৫ (২০০১) || ৯ || ৪৩ || ৩৮০২৭ || ১৭৩৩ (২০০১) || ৪২.৬ | ||
|} | |} | ||
{| class="table table-bordered table-hover" | {| class="table table-bordered table-hover" | ||
|- | |- | ||
| উপজেলা শহর | | colspan="9" | উপজেলা শহর | ||
|- | |- | ||
| আয়তন (বর্গ কিমি) || মৌজা || লোকসংখ্যা || ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) || শিক্ষার হার (%) | | আয়তন (বর্গ কিমি) || মৌজা || লোকসংখ্যা || ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) || শিক্ষার হার (%) | ||
|- | |- | ||
| ৭.৭৩ | | ৭.৭৩ (২০০১) || ২ || ৮৫৪৪ || ১১৪৭ (২০০১) || ৩২.৪ | ||
|} | |||
{| class="table table-bordered table-hover" | |||
|- | |- | ||
| ইউনিয়ন | | colspan="9" | ইউনিয়ন | ||
|- | |- | ||
| ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড || আয়তন(একর) || লোকসংখ্যা || শিক্ষার হার(%) | | rowspan="2" | ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড || rowspan="2" | আয়তন (একর) || colspan="2" | লোকসংখ্যা || rowspan="2" | শিক্ষার হার (%) | ||
|- | |- | ||
| | | পুরুষ || মহিলা | ||
|- | |- | ||
| চর আমখাওয়া ২৯ | | চর আমখাওয়া ২৯ || ৮৮৪৮ || ১৯১৪৬ || ২০৪৮১ || ৩২.৪ | ||
|- | |||
|- | | চিকাজানি ৩৬ || ৬১৫৫ || ৯৭৪৪ || ৯৯৮৪ || ৩০.৯ | ||
| চিকাজানি ৩৬ | |- | ||
| চুকাইবাড়ী ৪৩ || ৫২৫৩ || ৩৪৪৩ || ৩৭৫০ || ২৯.০ | |||
|- | |- | ||
| চুকাইবাড়ী ৪৩ | | ডাংধরা ৫১ || ১১২৬৪ || ১৮০৪৫ || ১৯১১৪ || ৩৩.১ | ||
|- | |||
|- | | দেওয়ানগঞ্জ ৫৮ || ৬০৫১ || ১০৩৯১ || ১০২১৭ || ৩৩.১ | ||
| ডাংধরা ৫১ | |- | ||
| পাড় রামরামপুর ৮৭ || ৯১৯৪ || ১৮১৩৩ || ১৮৬২৯ || ২৮.০ | |||
|- | |- | ||
| দেওয়ানগঞ্জ ৫৮ | | বাহাদুরাবাদ ১৭ || ১০৮১৬ || ১৮৬৯৬ || ১৮৮২৪ || ২৬.৪ | ||
|- | |||
|- | | হাতীভাঙ্গা ৬৫ || ৬০৫১ || ১০৪৫৫ || ১১০৫৪ || ৩৩.১ | ||
| পাড় রামরামপুর ৮৭ | |||
|- | |||
| বাহাদুরাবাদ ১৭ | |||
|- | |||
| হাতীভাঙ্গা ৬৫ | |||
|} | |} | ||
''সূত্র'' আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো। | ''সূত্র'' আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১ ও ২০১১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো। | ||
'' | [[Image:DewanganjUpazila.jpg|thumb|400px|right]] | ||
''মুক্তিযুদ্ধ'' ১৯৭১ সালের ৩০ জুলাই বাহাদুরাবাদ ঘাটে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে পাকবাহিনীর লড়াই হয় এবং লড়াইয়ের তৃতীয় দিনে মুক্তিযোদ্ধারা জামালপুরের সাথে বাহাদুরাবাদ ঘাটের রেল যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। ৯ ডিসেম্বর দেওয়ানগঞ্জ শত্রুমুক্ত হয়। উপজেলার ৩টি স্থানে গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেছে। | |||
'' | ''বিস্তারিত দেখুন'' দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা, ''বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ'', বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি, ঢাকা ২০২০, খণ্ড ৪। | ||
'' | ''ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান'' মসজিদ ৩২২, মন্দির ৭। | ||
''শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান'' গড় হার ৩২.৫%; পুরুষ ৩৫.০%, মহিলা ৩০.১%। কলেজ ৩, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ২৮, প্রাথমিক বিদ্যালয় ১২৮, ভোকেশনাল কুল ৩, স্যাটেলাইট স্কুল ১৬, কমিউনিটি স্কুল ২, কিন্ডার গার্টেন ১২, মাদ্রাসা ৮২। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: একে মেমোরিয়াল কলেজ (১৯৭০), দেওয়ানগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় (১৯১৯)। সানন্দবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৬৭)। | |||
''সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান'' লাইব্রেরি ৩০, ক্লাব ২০, সিনেমা হল ৩, নাট্যদল ১, মহিলা ও শিশুকল্যাণ সংস্থা ১৫, খেলার মাঠ ৩১। | ''সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান'' লাইব্রেরি ৩০, ক্লাব ২০, সিনেমা হল ৩, নাট্যদল ১, মহিলা ও শিশুকল্যাণ সংস্থা ১৫, খেলার মাঠ ৩১। | ||
১০০ নং লাইন: | ৭৯ নং লাইন: | ||
''বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি'' চিনাবাদাম, কাউন। | ''বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি'' চিনাবাদাম, কাউন। | ||
প্রধান ফল | ''প্রধান ফল-ফলাদি'' আম, কলা, নারিকেল, তরমুজ, ফুটি। | ||
''মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস মুরগির খামার'' গবাদিপশু প্রজনন কেন্দ্র ১, হ্যাচারি ১। | |||
''যোগাযোগ বিশেষত্ব'' পাকারাস্তা | ''যোগাযোগ বিশেষত্ব'' পাকারাস্তা ৯২কিমি, আধা-পাকারাস্তা ১ কিমি, কাঁচারাস্তা ৩৩৭ কিমি; রেলপথ ৮ কিমি; নৌপথ ২০ কিমি। | ||
''বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন'' পাল্কি। | ''বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন'' পাল্কি। | ||
১১৪ নং লাইন: | ৯৩ নং লাইন: | ||
''হাটবাজার ও মেলা'' হাটবাজার ১৬, মেলা ২। সানন্দবাড়ী হাট, চরমাগুরীর হাট, বেলতলীর বাজার, ঝালুর চর বাজার; দেওয়ানগঞ্জের মেলা উল্লেখযোগ্য। | ''হাটবাজার ও মেলা'' হাটবাজার ১৬, মেলা ২। সানন্দবাড়ী হাট, চরমাগুরীর হাট, বেলতলীর বাজার, ঝালুর চর বাজার; দেওয়ানগঞ্জের মেলা উল্লেখযোগ্য। | ||
''প্রধান রপ্তানিদ্রব্য'' | ''প্রধান রপ্তানিদ্রব্য'' পাট, চাল, সরিষা, আলু। | ||
'' | ''বিদ্যুৎ ব্যবহার'' এ উপজেলার সবক’টি ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়ন প্রকল্পের আওতাধীন। তবে ২১.০% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। | ||
'' | ''পানীয় জলের উৎস'' নলকূপ ৯৪.৬%, ট্যাপ ০.২% এবং অন্যান্য ৫.২%। | ||
''স্যানিটেশন ব্যবস্থা'' ৩৪.৮% পরিবার স্বাস্থ্যসম্মত ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। ৪৭.৮% পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। ১৭.৪% পরিবারের কোনো স্যানিটেশন সুবিধা নেই। | |||
''স্বাস্থ্যকেন্দ্র'' উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ১, উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র ২, পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র ৮, কমিউনিটি ক্লিনিক ২৯, ডায়াগ্নস্টিক সেন্টার ৪। | |||
''এনজিও'' ব্র্যাক, আশা। [সৈয়দ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী] | |||
'''তথ্যসূত্র''' আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১ ও ২০১১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭। | |||
[[en:Dewanganj Upazila]] | [[en:Dewanganj Upazila]] |
১৫:৩১, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ
দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা (জামালপুর জেলা) আয়তন: ২৬৭.৫১ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২৫°০৬´ থেকে ২৫°২৬´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯°৪০´ থেকে ৮৯°৫১´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে চর রাজীবপুর উপজেলা, দক্ষিণে ইসলামপুর উপজেলা, পূর্বে বকশীগঞ্জ উপজেলা ও ভারতের মেঘালয় রাজ্য, পশ্চিমে গাইবান্ধা সদর ও ফুলছড়ি উপজেলা।
জনসংখ্যা ২৫৮১৩৩; পুরুষ ১২৬৬২৩, মহিলা ১৩১৫১০। মুসলিম ২৫৩৯২৭, হিন্দু ৪০৬৪, বৌদ্ধ ২, খ্রিস্টান ৩ এবং অন্যান্য ১৩৭।
জলাশয় প্রধান নদী: ব্রহ্মপুত্র, পুরাতন ব্রহ্মপুত্র, যমুনা এবং সাপমারী বিল, কাঠার বিল, তিলথুবা বিল ও পাকিরের বিল উল্লেখযোগ্য।
প্রশাসন দেওয়ানগঞ্জ থানা গঠিত হয় ১৮৭৪ সালে এবং থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয় ১৯৮৩ সালে।
উপজেলা | ||||||||
পৌরসভা | ইউনিয়ন | মৌজা | গ্রাম | জনসংখ্যা | ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) | শিক্ষার হার (%) | ||
শহর | গ্রাম | শহর | গ্রাম | |||||
১ | ৮ | ৪২ | ১৬৬ | ৪৬৫৭১ | ২১১৫৬২ | ৯৬৫ | ৩৮.১ (২০০১) | ৩০.৬ |
পৌরসভা | ||||||||
আয়তন (বর্গ কিমি) | ওয়ার্ড | মহল্লা | লোকসংখ্যা | ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) | শিক্ষার হার (%) | |||
২০.৬৫ (২০০১) | ৯ | ৪৩ | ৩৮০২৭ | ১৭৩৩ (২০০১) | ৪২.৬ |
উপজেলা শহর | ||||||||
আয়তন (বর্গ কিমি) | মৌজা | লোকসংখ্যা | ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) | শিক্ষার হার (%) | ||||
৭.৭৩ (২০০১) | ২ | ৮৫৪৪ | ১১৪৭ (২০০১) | ৩২.৪ |
ইউনিয়ন | ||||||||
ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড | আয়তন (একর) | লোকসংখ্যা | শিক্ষার হার (%) | |||||
পুরুষ | মহিলা | |||||||
চর আমখাওয়া ২৯ | ৮৮৪৮ | ১৯১৪৬ | ২০৪৮১ | ৩২.৪ | ||||
চিকাজানি ৩৬ | ৬১৫৫ | ৯৭৪৪ | ৯৯৮৪ | ৩০.৯ | ||||
চুকাইবাড়ী ৪৩ | ৫২৫৩ | ৩৪৪৩ | ৩৭৫০ | ২৯.০ | ||||
ডাংধরা ৫১ | ১১২৬৪ | ১৮০৪৫ | ১৯১১৪ | ৩৩.১ | ||||
দেওয়ানগঞ্জ ৫৮ | ৬০৫১ | ১০৩৯১ | ১০২১৭ | ৩৩.১ | ||||
পাড় রামরামপুর ৮৭ | ৯১৯৪ | ১৮১৩৩ | ১৮৬২৯ | ২৮.০ | ||||
বাহাদুরাবাদ ১৭ | ১০৮১৬ | ১৮৬৯৬ | ১৮৮২৪ | ২৬.৪ | ||||
হাতীভাঙ্গা ৬৫ | ৬০৫১ | ১০৪৫৫ | ১১০৫৪ | ৩৩.১ |
সূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১ ও ২০১১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।
মুক্তিযুদ্ধ ১৯৭১ সালের ৩০ জুলাই বাহাদুরাবাদ ঘাটে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে পাকবাহিনীর লড়াই হয় এবং লড়াইয়ের তৃতীয় দিনে মুক্তিযোদ্ধারা জামালপুরের সাথে বাহাদুরাবাদ ঘাটের রেল যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। ৯ ডিসেম্বর দেওয়ানগঞ্জ শত্রুমুক্ত হয়। উপজেলার ৩টি স্থানে গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেছে।
বিস্তারিত দেখুন দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা, বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি, ঢাকা ২০২০, খণ্ড ৪।
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মসজিদ ৩২২, মন্দির ৭।
শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড় হার ৩২.৫%; পুরুষ ৩৫.০%, মহিলা ৩০.১%। কলেজ ৩, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ২৮, প্রাথমিক বিদ্যালয় ১২৮, ভোকেশনাল কুল ৩, স্যাটেলাইট স্কুল ১৬, কমিউনিটি স্কুল ২, কিন্ডার গার্টেন ১২, মাদ্রাসা ৮২। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: একে মেমোরিয়াল কলেজ (১৯৭০), দেওয়ানগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় (১৯১৯)। সানন্দবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৬৭)।
সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান লাইব্রেরি ৩০, ক্লাব ২০, সিনেমা হল ৩, নাট্যদল ১, মহিলা ও শিশুকল্যাণ সংস্থা ১৫, খেলার মাঠ ৩১।
জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষি ৬৮.৪৯%, অকৃষি শ্রমিক ৫.২৮%, শিল্প ০.২৭%, ব্যবসা ৯.০৭%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ১.৭৫%, চাকরি ৪.৯৪%, নির্মাণ ০.৮২%, ধর্মীয় সেবা ০.১৭%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ০.০৮% এবং অন্যান্য ৯.১৩%।
কৃষিভূমির মালিকানা ভূমিমালিক ৪৮.৪০% এবং ভূমিহীন ৫১.৬০%। শহরে ৩৪.৪১% এবং গ্রামে ৫২.১০% পরিবারের কৃষিজমি রয়েছে।
প্রধান কৃষি ফসল ধান, পাট, গম, সরিষা, আখ, আলু, ছোলা, মসুর ডাল, শাকসবজি।
বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি চিনাবাদাম, কাউন।
প্রধান ফল-ফলাদি আম, কলা, নারিকেল, তরমুজ, ফুটি।
মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস মুরগির খামার গবাদিপশু প্রজনন কেন্দ্র ১, হ্যাচারি ১।
যোগাযোগ বিশেষত্ব পাকারাস্তা ৯২কিমি, আধা-পাকারাস্তা ১ কিমি, কাঁচারাস্তা ৩৩৭ কিমি; রেলপথ ৮ কিমি; নৌপথ ২০ কিমি।
বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন পাল্কি।
শিল্প ও কলকারখানা চিনিকল, তেলকল, চালকল, আইসক্রিম কারখানা ইত্যাদি।
কুটিরশিল্প লৌহশিল্প, মৃৎশিল্প, হস্তশিল্প, বাঁশ, বেত ও কাঠের কাজ।
হাটবাজার ও মেলা হাটবাজার ১৬, মেলা ২। সানন্দবাড়ী হাট, চরমাগুরীর হাট, বেলতলীর বাজার, ঝালুর চর বাজার; দেওয়ানগঞ্জের মেলা উল্লেখযোগ্য।
প্রধান রপ্তানিদ্রব্য পাট, চাল, সরিষা, আলু।
বিদ্যুৎ ব্যবহার এ উপজেলার সবক’টি ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়ন প্রকল্পের আওতাধীন। তবে ২১.০% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।
পানীয় জলের উৎস নলকূপ ৯৪.৬%, ট্যাপ ০.২% এবং অন্যান্য ৫.২%।
স্যানিটেশন ব্যবস্থা ৩৪.৮% পরিবার স্বাস্থ্যসম্মত ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। ৪৭.৮% পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। ১৭.৪% পরিবারের কোনো স্যানিটেশন সুবিধা নেই।
স্বাস্থ্যকেন্দ্র উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ১, উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র ২, পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র ৮, কমিউনিটি ক্লিনিক ২৯, ডায়াগ্নস্টিক সেন্টার ৪।
এনজিও ব্র্যাক, আশা। [সৈয়দ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী]
তথ্যসূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১ ও ২০১১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭।