সাইয়্যিদ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) অ (Added Ennglish article link) |
অ (Text replacement - "\[মুয়ায্যম হুসায়ন খান\]" to "[মুয়ায্যম হুসায়ন খান]") |
||
(একজন ব্যবহারকারী দ্বারা সম্পাদিত একটি মধ্যবর্তী সংশোধন দেখানো হচ্ছে না) | |||
৪ নং লাইন: | ৪ নং লাইন: | ||
ইসলামের প্রাথমিক যুগে এই সাইয়্যিদ বিশ্লেষণের কোনো উল্লেখ পাওয়া যায় না। ভারতবর্ষ ও বঙ্গদেশে মুসলিম শাসনামলে মহানবীর (সা.) বংশধরদের নির্দেশ করার জন্য সাইয়্যিদ অভিধার প্রয়োগ ও প্রচলন লক্ষ্য করা যায়। দিল্লির সুলতান ফিরূয শাহ তুগলকের বাংলায় প্রথম অভিযানের (১৩৫৩ খ্রি.) প্রাক্কালে সুলতান কর্তৃক জারীকৃত এক ঘোষণায় তৎকালীন বাংলার প্রভাবশালী জনগোষ্ঠীর একটি অংশকে নির্দেশ করার লক্ষ্যে সাইয়্যিদ অভিধার প্রয়োগ দেখা যায়। এই ঘোষণাপত্রে সর্বাগ্রে যে অভিজাত শ্রেণীর উল্লেখ করা হয় তাদের মধ্যে রয়েছেন সাদত বা সাইয়্যিদ, উলামা, মাশায়েখ এবং অনুরূপ মর্যাদার অধিকারী জনগোষ্ঠী। মহানবীর (সা.) বংশধর বলে দাবিদার সাইয়্যিদ বংশীয়রা ১৪১৪ থেকে ১৪৪৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত দিল্লিতে শাসন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত ছিলেন। | ইসলামের প্রাথমিক যুগে এই সাইয়্যিদ বিশ্লেষণের কোনো উল্লেখ পাওয়া যায় না। ভারতবর্ষ ও বঙ্গদেশে মুসলিম শাসনামলে মহানবীর (সা.) বংশধরদের নির্দেশ করার জন্য সাইয়্যিদ অভিধার প্রয়োগ ও প্রচলন লক্ষ্য করা যায়। দিল্লির সুলতান ফিরূয শাহ তুগলকের বাংলায় প্রথম অভিযানের (১৩৫৩ খ্রি.) প্রাক্কালে সুলতান কর্তৃক জারীকৃত এক ঘোষণায় তৎকালীন বাংলার প্রভাবশালী জনগোষ্ঠীর একটি অংশকে নির্দেশ করার লক্ষ্যে সাইয়্যিদ অভিধার প্রয়োগ দেখা যায়। এই ঘোষণাপত্রে সর্বাগ্রে যে অভিজাত শ্রেণীর উল্লেখ করা হয় তাদের মধ্যে রয়েছেন সাদত বা সাইয়্যিদ, উলামা, মাশায়েখ এবং অনুরূপ মর্যাদার অধিকারী জনগোষ্ঠী। মহানবীর (সা.) বংশধর বলে দাবিদার সাইয়্যিদ বংশীয়রা ১৪১৪ থেকে ১৪৪৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত দিল্লিতে শাসন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত ছিলেন। | ||
আমাদের দেশে কিছুসংখ্যক পরিবার তাদের আভিজাত্য ও সামাজিক মর্যাদা সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে নিজেদের সাইয়্যিদ বা সৈয়দ বংশীয় বলে পরিচয় দেন, এবং এই করে বস্ত্তত তারা নিজেদের মহানবীর (সা.) বংশধর বলেই দাবি করেন। | আমাদের দেশে কিছুসংখ্যক পরিবার তাদের আভিজাত্য ও সামাজিক মর্যাদা সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে নিজেদের সাইয়্যিদ বা সৈয়দ বংশীয় বলে পরিচয় দেন, এবং এই করে বস্ত্তত তারা নিজেদের মহানবীর (সা.) বংশধর বলেই দাবি করেন। [মুয়ায্যম হুসায়ন খান] | ||
[ | |||
[[en:Saiyid]] | [[en:Saiyid]] | ||
[[en:Saiyid]] | [[en:Saiyid]] |
১৬:০৩, ১৭ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ
সাইয়্যিদ মহানবী হযরত মুহম্মদের (সা.) সরাসরি বংশধরদের প্রতি আরোপিত অভিধা। ‘সাইয়্যিদ’ একটি আরবি শব্দ যার অর্থ প্রভু, উচ্চবংশজাত বা স্বত্ত্বাধিকারী। এ অর্থে সাইয়্যিদ বলতে এমন এক বংশপরম্পরাকে বোঝায় যারা সমাজে সর্বোচ্চ মর্যাদায় অধিষ্ঠিত। সাইয়্যিদগণ মুসলিম সমাজে শীর্ষস্থানীয় এবং তারা জনসাধারণ বিশেষত মুসলমানদের নিকট থেকে বিশেষ সম্মান ও সমীহ লাভ করে থাকেন।
ইসলামের প্রাথমিক যুগে এই সাইয়্যিদ বিশ্লেষণের কোনো উল্লেখ পাওয়া যায় না। ভারতবর্ষ ও বঙ্গদেশে মুসলিম শাসনামলে মহানবীর (সা.) বংশধরদের নির্দেশ করার জন্য সাইয়্যিদ অভিধার প্রয়োগ ও প্রচলন লক্ষ্য করা যায়। দিল্লির সুলতান ফিরূয শাহ তুগলকের বাংলায় প্রথম অভিযানের (১৩৫৩ খ্রি.) প্রাক্কালে সুলতান কর্তৃক জারীকৃত এক ঘোষণায় তৎকালীন বাংলার প্রভাবশালী জনগোষ্ঠীর একটি অংশকে নির্দেশ করার লক্ষ্যে সাইয়্যিদ অভিধার প্রয়োগ দেখা যায়। এই ঘোষণাপত্রে সর্বাগ্রে যে অভিজাত শ্রেণীর উল্লেখ করা হয় তাদের মধ্যে রয়েছেন সাদত বা সাইয়্যিদ, উলামা, মাশায়েখ এবং অনুরূপ মর্যাদার অধিকারী জনগোষ্ঠী। মহানবীর (সা.) বংশধর বলে দাবিদার সাইয়্যিদ বংশীয়রা ১৪১৪ থেকে ১৪৪৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত দিল্লিতে শাসন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত ছিলেন।
আমাদের দেশে কিছুসংখ্যক পরিবার তাদের আভিজাত্য ও সামাজিক মর্যাদা সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে নিজেদের সাইয়্যিদ বা সৈয়দ বংশীয় বলে পরিচয় দেন, এবং এই করে বস্ত্তত তারা নিজেদের মহানবীর (সা.) বংশধর বলেই দাবি করেন। [মুয়ায্যম হুসায়ন খান]