সাদত কলেজ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) অ (Added Ennglish article link) |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
[[Category:বাংলাপিডিয়া]] | [[Category:বাংলাপিডিয়া]] | ||
[[Image:SadatCollegeTangail.jpg|thumb|400px|সাদত কলেজে, টাঙ্গাইল]] | |||
'''সাদত কলেজ, টাঙ্গাইল''' টাঙ্গাইলের শিক্ষানুরাগী জমিদার ওয়াজেদ আলী খান পন্নী ১৯২৫ সালে এতদঞ্চলে শিক্ষা বিস্তারের জন্য তাঁর দাদা সাদত আলী খান পন্নীর নামে প্রতিষ্ঠা করেন। কলেজটি টাঙ্গাইল শহর থেকে ৭ কিলোমিটার দূরে, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পশ্চিম পাশে করটিয়া নামক স্থানে ২৭ একর জমির উপর অবস্থিত। এই কলেজের প্রথম প্রিন্সিপাল ছিলেন সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ [[খাঁ, প্রিন্সিপাল ইব্রাহীম|ইব্রাহীম খাঁ]] এবং তিনি ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত এ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। | '''সাদত কলেজ, টাঙ্গাইল''' টাঙ্গাইলের শিক্ষানুরাগী জমিদার ওয়াজেদ আলী খান পন্নী ১৯২৫ সালে এতদঞ্চলে শিক্ষা বিস্তারের জন্য তাঁর দাদা সাদত আলী খান পন্নীর নামে প্রতিষ্ঠা করেন। কলেজটি টাঙ্গাইল শহর থেকে ৭ কিলোমিটার দূরে, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পশ্চিম পাশে করটিয়া নামক স্থানে ২৭ একর জমির উপর অবস্থিত। এই কলেজের প্রথম প্রিন্সিপাল ছিলেন সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ [[খাঁ, প্রিন্সিপাল ইব্রাহীম|ইব্রাহীম খাঁ]] এবং তিনি ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত এ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। | ||
১৯২৬ সালে সাদত কলেজে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয় একাদশ শ্রেণির ১০৮ জন ছাত্রছাত্রী নিয়ে। বর্তমানে ৪টি অনুষদের অধীনে ১৬টি বিভাগ রয়েছে। কলেজটিতে উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক (পাস) পর্যায়ে পাঠদান ছাড়াও এখানে ১০টি বিষয়ে মাস্টার্স এবং ১৬টি বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু রয়েছে। মাস্টার্স কোর্সে পাঠদানের সুযোগ থাকায় কলেজটি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ হিসেবে স্বীকৃতি পায়। এই কলেজে বর্তমানে (২০১১) শিক্ষক-শিক্ষিকার সংখ্যা ১১২ (শিক্ষক ৮৪ এবং শিক্ষিকা ২৮) এবং ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ১৫,০০০। | ১৯২৬ সালে সাদত কলেজে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয় একাদশ শ্রেণির ১০৮ জন ছাত্রছাত্রী নিয়ে। বর্তমানে ৪টি অনুষদের অধীনে ১৬টি বিভাগ রয়েছে। কলেজটিতে উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক (পাস) পর্যায়ে পাঠদান ছাড়াও এখানে ১০টি বিষয়ে মাস্টার্স এবং ১৬টি বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু রয়েছে। মাস্টার্স কোর্সে পাঠদানের সুযোগ থাকায় কলেজটি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ হিসেবে স্বীকৃতি পায়। এই কলেজে বর্তমানে (২০১১) শিক্ষক-শিক্ষিকার সংখ্যা ১১২ (শিক্ষক ৮৪ এবং শিক্ষিকা ২৮) এবং ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ১৫,০০০। | ||
কলেজে প্রায় ২৫,০০০ সংগ্রহসংখ্যার একটি সমৃদ্ধ গ্রন্থাগার রয়েছে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই ছাত্রছাত্রীদের জন্য কলেজে হোস্টেলের ব্যবস্থা ছিল এবং বর্তমানে এর সংখ্যা ৬টি (৪টি ছেলেদের ও ২টি মেয়েদের)। | কলেজে প্রায় ২৫,০০০ সংগ্রহসংখ্যার একটি সমৃদ্ধ গ্রন্থাগার রয়েছে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই ছাত্রছাত্রীদের জন্য কলেজে হোস্টেলের ব্যবস্থা ছিল এবং বর্তমানে এর সংখ্যা ৬টি (৪টি ছেলেদের ও ২টি মেয়েদের)। |
০৯:৫৮, ১৯ মার্চ ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ
সাদত কলেজ, টাঙ্গাইল টাঙ্গাইলের শিক্ষানুরাগী জমিদার ওয়াজেদ আলী খান পন্নী ১৯২৫ সালে এতদঞ্চলে শিক্ষা বিস্তারের জন্য তাঁর দাদা সাদত আলী খান পন্নীর নামে প্রতিষ্ঠা করেন। কলেজটি টাঙ্গাইল শহর থেকে ৭ কিলোমিটার দূরে, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পশ্চিম পাশে করটিয়া নামক স্থানে ২৭ একর জমির উপর অবস্থিত। এই কলেজের প্রথম প্রিন্সিপাল ছিলেন সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ ইব্রাহীম খাঁ এবং তিনি ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত এ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।
১৯২৬ সালে সাদত কলেজে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয় একাদশ শ্রেণির ১০৮ জন ছাত্রছাত্রী নিয়ে। বর্তমানে ৪টি অনুষদের অধীনে ১৬টি বিভাগ রয়েছে। কলেজটিতে উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক (পাস) পর্যায়ে পাঠদান ছাড়াও এখানে ১০টি বিষয়ে মাস্টার্স এবং ১৬টি বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু রয়েছে। মাস্টার্স কোর্সে পাঠদানের সুযোগ থাকায় কলেজটি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ হিসেবে স্বীকৃতি পায়। এই কলেজে বর্তমানে (২০১১) শিক্ষক-শিক্ষিকার সংখ্যা ১১২ (শিক্ষক ৮৪ এবং শিক্ষিকা ২৮) এবং ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ১৫,০০০।
কলেজে প্রায় ২৫,০০০ সংগ্রহসংখ্যার একটি সমৃদ্ধ গ্রন্থাগার রয়েছে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই ছাত্রছাত্রীদের জন্য কলেজে হোস্টেলের ব্যবস্থা ছিল এবং বর্তমানে এর সংখ্যা ৬টি (৪টি ছেলেদের ও ২টি মেয়েদের)।
বাংলাদেশে শিক্ষা বিস্তারের ক্ষেত্রে সাদত কলেজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে। শিক্ষা বিস্তারের পাশাপাশি সাহিত্য, সংস্কৃতি ও খেলাধুলার ক্ষেত্রেও কলেজের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। কবি বন্দে আলী মিয়া, কবি তালিম হোসেন, যাদুসম্রাট পি.সি সরকার প্রমুখ এই কলেজের ছাত্র ছিলেন। [সৈয়দা মমতাজ শিরিন]