মাছি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Added Ennglish article link)
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
৭ নং লাইন: ৭ নং লাইন:


বাংলাদেশে কী ধরনের ও কত প্রজাতির মাছি আছে সে বিষয়ে খুব কম তথ্য রয়েছে। আবর্জনা থেকে এবং ফল-ফুল ও বসতবাড়ি থেকে বহু প্রজাতি শনাক্ত করা হয়েছে।
বাংলাদেশে কী ধরনের ও কত প্রজাতির মাছি আছে সে বিষয়ে খুব কম তথ্য রয়েছে। আবর্জনা থেকে এবং ফল-ফুল ও বসতবাড়ি থেকে বহু প্রজাতি শনাক্ত করা হয়েছে।
<gallery>
Image:FlyHousefly.jpg|ট্যাবানিড ফ্লাই


[[Image:FlyHousefly.jpg|thumb|right|ট্যাবানিড ফ্লাই]]
Image:FlyStable.jpg|স্টেবল ফ্লাই


[[Image:FlyStable.jpg|thumb|right|স্টেবল ফ্লাই]]
Image:FlySyrphid.jpg|সিরফিড ফ্লাই
 
[[Image:FlySyrphid.jpg|thumb|right|সিরফিড ফ্লাই]]
 
[[Image:FlyRobber.jpg|thumb|right|রবার ফ্লাই]]


Image:FlyRobber.jpg|রবার ফ্লাই
</gallery>


স্যাঁতসেঁতে নোংরা আবর্জনা মাছিদের প্রজননক্ষেত্র। ফ্লেশফ্লাই দলের মাছি গৃহপালিত পশুপাখির মধ্যে Myiasis রোগ ছড়ায়। Psychodidae গোত্রের বালিমাছি কালাজ্বরের (kala-azar) জীবাণু বহন করে। বাংলাদেশে প্রোটোজোয়া সৃষ্ট এই রোগটির দ্রুত প্রত্যাবর্তন ঘটছে। এরা স্বল্পমাত্রায় ক্ষত (oriental sore) সৃষ্টি করে। বালিমাছি বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে মানুষের বাসস্থানের কাছাকাছি সর্বত্র বিদ্যমান এবং স্যাঁতসেঁতে অন্ধকার ও নোংরা জায়গায় বংশবৃদ্ধি করে। এদেশের গৃহপালিত পশুপাখির সাধারণ রোগ অ্যানথ্রাক্সের (Anthrax) জীবাণু Tabanid মাছি বহন করে। Simuliidae গোত্রের কালোমাছির কামড় পাহাড়ি অঞ্চলের মানুষের জন্য অত্যন্ত বিরক্তিকর। এই মাছি সেখানকার খরস্রোতা নদীর পানিতে বংশবৃদ্ধি করে। বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ মাঠের অগভীর জলাশয় ছোট ডাঁশের মতো দংশনকারী Ceratopogonid মাছির প্রজননস্থল, যারা সন্ধ্যায় শিকারকে আক্রমণ করে। Syrphid মাছির লার্ভা অন্ত্রীয় Myiasis রোগ সৃষ্টি করে, যদিও বাংলাদেশে এদের সম্পর্কে তেমন কোন তথ্য নেই। Tephritid ফলের মাছির (Dacus) চারটি প্রজাতি বাংলাদেশের ফল ও শাকসবজির মারাত্মক ক্ষতি করে।
স্যাঁতসেঁতে নোংরা আবর্জনা মাছিদের প্রজননক্ষেত্র। ফ্লেশফ্লাই দলের মাছি গৃহপালিত পশুপাখির মধ্যে Myiasis রোগ ছড়ায়। Psychodidae গোত্রের বালিমাছি কালাজ্বরের (kala-azar) জীবাণু বহন করে। বাংলাদেশে প্রোটোজোয়া সৃষ্ট এই রোগটির দ্রুত প্রত্যাবর্তন ঘটছে। এরা স্বল্পমাত্রায় ক্ষত (oriental sore) সৃষ্টি করে। বালিমাছি বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে মানুষের বাসস্থানের কাছাকাছি সর্বত্র বিদ্যমান এবং স্যাঁতসেঁতে অন্ধকার ও নোংরা জায়গায় বংশবৃদ্ধি করে। এদেশের গৃহপালিত পশুপাখির সাধারণ রোগ অ্যানথ্রাক্সের (Anthrax) জীবাণু Tabanid মাছি বহন করে। Simuliidae গোত্রের কালোমাছির কামড় পাহাড়ি অঞ্চলের মানুষের জন্য অত্যন্ত বিরক্তিকর। এই মাছি সেখানকার খরস্রোতা নদীর পানিতে বংশবৃদ্ধি করে। বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ মাঠের অগভীর জলাশয় ছোট ডাঁশের মতো দংশনকারী Ceratopogonid মাছির প্রজননস্থল, যারা সন্ধ্যায় শিকারকে আক্রমণ করে। Syrphid মাছির লার্ভা অন্ত্রীয় Myiasis রোগ সৃষ্টি করে, যদিও বাংলাদেশে এদের সম্পর্কে তেমন কোন তথ্য নেই। Tephritid ফলের মাছির (Dacus) চারটি প্রজাতি বাংলাদেশের ফল ও শাকসবজির মারাত্মক ক্ষতি করে।


মাছি বাংলাদেশে বেশ কয়েক ধরনের মারাত্মক রোগের সংক্রমণ ঘটায়। দেশের কালাজ্বর অধ্যুষিত উত্তরাঞ্চলে ঘরের অভ্যন্তরে কীটনাশক ছিটানোর একটি প্রকল্প গৃহীত হয়েছে।
মাছি বাংলাদেশে বেশ কয়েক ধরনের মারাত্মক রোগের সংক্রমণ ঘটায়। দেশের কালাজ্বর অধ্যুষিত উত্তরাঞ্চলে ঘরের অভ্যন্তরে কীটনাশক ছিটানোর একটি প্রকল্প গৃহীত হয়েছে। [কে.এম নূরুল হুদা]
 
[কে.এম নূরুল হুদা]


'''ফলের মাছি'''  Tephritidae গোত্রের বৈচিত্র্যময় এক দল সদস্যের সাধারণ নাম। এরা নানা ধরনের ফল ও শাকসবজি খায়, তাতে প্রজনন করে। এই মাছিরা অধিক সংখ্যায় উষ্ণমন্ডলীয় অঞ্চলের বাসিন্দা। ফলের মাছি ১-১৫ মিমি লম্বা, এদের ‘ময়ূর মাছি’ও বলা হয়, কেননা হাঁটাচলা ও ডানা ঝাপটানোর সময় এদের গোটা শরীর ও ডানা থেকে নানা রং ঝলকায়। ভূমধ্যসাগরীয় ফলের মাছি বা Medfly, Ceratitis capitata, প্রাচ্যের ফলমাছি ও তরমুজের ফলমাছি পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষতিকর ফলমাছি।
'''''ফলের মাছি'''''  Tephritidae গোত্রের বৈচিত্র্যময় এক দল সদস্যের সাধারণ নাম। এরা নানা ধরনের ফল ও শাকসবজি খায়, তাতে প্রজনন করে। এই মাছিরা অধিক সংখ্যায় উষ্ণমন্ডলীয় অঞ্চলের বাসিন্দা। ফলের মাছি ১-১৫ মিমি লম্বা, এদের ‘ময়ূর মাছি’ও বলা হয়, কেননা হাঁটাচলা ও ডানা ঝাপটানোর সময় এদের গোটা শরীর ও ডানা থেকে নানা রং ঝলকায়। ভূমধ্যসাগরীয় ফলের মাছি বা Medfly, Ceratitis capitata, প্রাচ্যের ফলমাছি ও তরমুজের ফলমাছি পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষতিকর ফলমাছি।


গোটা Tephritidae গোত্রের সব সদস্যই উদ্ভিদভোজী, খায় ব্যাক্টেরিয়া থেকে উচ্চতর সপুষ্পক উদ্ভিদের রসসহ সবকিছু। লার্ভা কর্তৃক উদ্ভিদভক্ষণের ধরনের ভিত্তিতে এগুলি ৪ দলে বিভক্ত: ১. ফলে, বিশেষত শাঁসালো ফলে থাকে dacines ও কয়েকটি trypetines; ২. Compositae বর্গভুক্ত ফুলের পাপড়িতে থাকে অধিকাংশ teprhritines ও কতক myopities, ৩. পাতা ও কান্ড গর্ত করে কতক teprhritines ও trypetines; এবং ৪. উদ্ভিদের বিভিন্ন অংশে ফুস্কুড়ি তৈরি করে oedaspidines ও কতক trypetines।
গোটা Tephritidae গোত্রের সব সদস্যই উদ্ভিদভোজী, খায় ব্যাক্টেরিয়া থেকে উচ্চতর সপুষ্পক উদ্ভিদের রসসহ সবকিছু। লার্ভা কর্তৃক উদ্ভিদভক্ষণের ধরনের ভিত্তিতে এগুলি ৪ দলে বিভক্ত: ১. ফলে, বিশেষত শাঁসালো ফলে থাকে dacines ও কয়েকটি trypetines; ২. Compositae বর্গভুক্ত ফুলের পাপড়িতে থাকে অধিকাংশ teprhritines ও কতক myopities, ৩. পাতা ও কান্ড গর্ত করে কতক teprhritines ও trypetines; এবং ৪. উদ্ভিদের বিভিন্ন অংশে ফুস্কুড়ি তৈরি করে oedaspidines ও কতক trypetines।
৩৩ নং লাইন: ৩১ নং লাইন:
বাংলাদেশে তরমুজের ফলমাছি সেপ্টেম্বরে সবচেয়ে বেশি ও ডিসেম্বরে কম দেখা যায়। Dacus (Hemigymnodacus) মাছি ফেব্রুয়ারি-মার্চে সবচেয়ে বেশি ও অক্টোবরে কম এবং Dacus (Bactrocera) মাছি সেপ্টেম্বরে বেশি ও জানুয়ারিতে কম। বিভিন্ন ধরনের সবজির মধ্যে মিষ্টিকুমড়ায় ফলমাছির আক্রমণ অত্যধিক।  [আবদুস সাত্তার মোল্লা]
বাংলাদেশে তরমুজের ফলমাছি সেপ্টেম্বরে সবচেয়ে বেশি ও ডিসেম্বরে কম দেখা যায়। Dacus (Hemigymnodacus) মাছি ফেব্রুয়ারি-মার্চে সবচেয়ে বেশি ও অক্টোবরে কম এবং Dacus (Bactrocera) মাছি সেপ্টেম্বরে বেশি ও জানুয়ারিতে কম। বিভিন্ন ধরনের সবজির মধ্যে মিষ্টিকুমড়ায় ফলমাছির আক্রমণ অত্যধিক।  [আবদুস সাত্তার মোল্লা]


''আরও দেখুন'' মশা।
''আরও দেখুন'' [[মশা|মশা]]।


[[en:Fly]]
[[en:Fly]]

১০:৩৪, ৩ মার্চ ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

মাছি  Diptera বর্গের একদল পতঙ্গের সাধারণ নাম। প্রকৃত মাছিরা Brachycera উপবর্গের সদস্য এবং এদলে আছে ঘরের সাধারণ মাছি, ডাঁশ, ফলের মাছি (Fruit fly), সেটসি (Tsetse) মাছি ইত্যাদি। গুটিকয় প্রজাতির ডানাবিহীন মাছি ছাড়া অন্যান্য মাছি কেবল ওড়ার উপযোগী একজোড়া ডানা থাকে। পেছনের ডানাজোড়া পরিবর্তিত হয়ে ভারসাম্যরক্ষক হলটেয়ার (haltare) উপাঙ্গে রূপান্তরিত হয়েছে।

বাংলাদেশে সাধারণ মাছি প্রজাতির মধ্যে আছে ঘরের মাছি (House fly, Musca domestica), ছোট মাছি (Lesser house fly, Fannia canicularis), দংশনকারী মাছি (Stable fly, Stomoxys), নীলমাছি বা ব্লোফ্লাই (Blue bottle or Blow fly, Calliphora species), গ্রীনবটল ফ্লাই (Green bottle fly, Lucilia species), ফ্লেশফ্লাই (Flesh fly, Sarcophaga species) ইত্যাদি। ঘরের বাইরে মাছিদের মধ্যে রয়েছে: কালো মাছি (Black fly), ডিয়ার ফ্লাই (Deer fly, Chrysops), ঘোড়ামাছি (Horse fly), হোবারমাছি (Hover fly), ক্রেন ফ্লাই (Daddy long leg or Crane fly) ইত্যাদি। বালিমাছি (Sand fly, Phlebotomus) ঘরের ভেতরে এবং বাইরেও থাকে।

ক্ষতিকারক হিসেবেই মাছি অধিক পরিচিত। ঘরের মাছি কলেরা ও টাইফয়েডের জীবাণু ছড়ায়। ফলের মাছি ফল ও সবজির ক্ষতি করে। কিছু মাছি ক্ষতিকর কীটপতঙ্গের পরজীবী বিধায় উপকারী। কোন কোনটি ফুলের পরাগায়ণ ঘটায়।

বাংলাদেশে কী ধরনের ও কত প্রজাতির মাছি আছে সে বিষয়ে খুব কম তথ্য রয়েছে। আবর্জনা থেকে এবং ফল-ফুল ও বসতবাড়ি থেকে বহু প্রজাতি শনাক্ত করা হয়েছে।

স্যাঁতসেঁতে নোংরা আবর্জনা মাছিদের প্রজননক্ষেত্র। ফ্লেশফ্লাই দলের মাছি গৃহপালিত পশুপাখির মধ্যে Myiasis রোগ ছড়ায়। Psychodidae গোত্রের বালিমাছি কালাজ্বরের (kala-azar) জীবাণু বহন করে। বাংলাদেশে প্রোটোজোয়া সৃষ্ট এই রোগটির দ্রুত প্রত্যাবর্তন ঘটছে। এরা স্বল্পমাত্রায় ক্ষত (oriental sore) সৃষ্টি করে। বালিমাছি বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে মানুষের বাসস্থানের কাছাকাছি সর্বত্র বিদ্যমান এবং স্যাঁতসেঁতে অন্ধকার ও নোংরা জায়গায় বংশবৃদ্ধি করে। এদেশের গৃহপালিত পশুপাখির সাধারণ রোগ অ্যানথ্রাক্সের (Anthrax) জীবাণু Tabanid মাছি বহন করে। Simuliidae গোত্রের কালোমাছির কামড় পাহাড়ি অঞ্চলের মানুষের জন্য অত্যন্ত বিরক্তিকর। এই মাছি সেখানকার খরস্রোতা নদীর পানিতে বংশবৃদ্ধি করে। বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ মাঠের অগভীর জলাশয় ছোট ডাঁশের মতো দংশনকারী Ceratopogonid মাছির প্রজননস্থল, যারা সন্ধ্যায় শিকারকে আক্রমণ করে। Syrphid মাছির লার্ভা অন্ত্রীয় Myiasis রোগ সৃষ্টি করে, যদিও বাংলাদেশে এদের সম্পর্কে তেমন কোন তথ্য নেই। Tephritid ফলের মাছির (Dacus) চারটি প্রজাতি বাংলাদেশের ফল ও শাকসবজির মারাত্মক ক্ষতি করে।

মাছি বাংলাদেশে বেশ কয়েক ধরনের মারাত্মক রোগের সংক্রমণ ঘটায়। দেশের কালাজ্বর অধ্যুষিত উত্তরাঞ্চলে ঘরের অভ্যন্তরে কীটনাশক ছিটানোর একটি প্রকল্প গৃহীত হয়েছে। [কে.এম নূরুল হুদা]

ফলের মাছি  Tephritidae গোত্রের বৈচিত্র্যময় এক দল সদস্যের সাধারণ নাম। এরা নানা ধরনের ফল ও শাকসবজি খায়, তাতে প্রজনন করে। এই মাছিরা অধিক সংখ্যায় উষ্ণমন্ডলীয় অঞ্চলের বাসিন্দা। ফলের মাছি ১-১৫ মিমি লম্বা, এদের ‘ময়ূর মাছি’ও বলা হয়, কেননা হাঁটাচলা ও ডানা ঝাপটানোর সময় এদের গোটা শরীর ও ডানা থেকে নানা রং ঝলকায়। ভূমধ্যসাগরীয় ফলের মাছি বা Medfly, Ceratitis capitata, প্রাচ্যের ফলমাছি ও তরমুজের ফলমাছি পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষতিকর ফলমাছি।

গোটা Tephritidae গোত্রের সব সদস্যই উদ্ভিদভোজী, খায় ব্যাক্টেরিয়া থেকে উচ্চতর সপুষ্পক উদ্ভিদের রসসহ সবকিছু। লার্ভা কর্তৃক উদ্ভিদভক্ষণের ধরনের ভিত্তিতে এগুলি ৪ দলে বিভক্ত: ১. ফলে, বিশেষত শাঁসালো ফলে থাকে dacines ও কয়েকটি trypetines; ২. Compositae বর্গভুক্ত ফুলের পাপড়িতে থাকে অধিকাংশ teprhritines ও কতক myopities, ৩. পাতা ও কান্ড গর্ত করে কতক teprhritines ও trypetines; এবং ৪. উদ্ভিদের বিভিন্ন অংশে ফুস্কুড়ি তৈরি করে oedaspidines ও কতক trypetines।

সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ফলমাছিরা প্রথম দলভুক্ত। পৃথিবীর বহু অংশে এগুলি ফল, শাকসবজি ও ফুলের যথেষ্ট ক্ষতি করে। বাংলাদেশের Dacus গণভুক্ত গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি প্রজাতি: Dacus (Zeugodacus) cucurbitae, Dacus (Zeugodacus) tau, Dacus (Hemigymnodacus) diversus, Dacus (Bactrocera) dorsalis এবং Dacus (Bactrocera) zonatus।

ফলমাছির পোষক চালকুমড়া, করলা, কাকরোল, লাউ, শসা, ফুটি, তরমুজ, ঝিঙ্গা, ধুন্দুল, চিচিঙ্গা ও মিষ্টিকুমড়াসহ Cucurbitaceae গোত্রভুক্ত প্রধানত কচি ফল, যেগুলি সবজি হিসেবে পরিচিত। মাঝে মাঝে পাকা আম, কামরাঙা এবং পেয়ারা ফলেও এদের প্রজনন হয়।

বাংলাদেশে তরমুজের ফলমাছি সেপ্টেম্বরে সবচেয়ে বেশি ও ডিসেম্বরে কম দেখা যায়। Dacus (Hemigymnodacus) মাছি ফেব্রুয়ারি-মার্চে সবচেয়ে বেশি ও অক্টোবরে কম এবং Dacus (Bactrocera) মাছি সেপ্টেম্বরে বেশি ও জানুয়ারিতে কম। বিভিন্ন ধরনের সবজির মধ্যে মিষ্টিকুমড়ায় ফলমাছির আক্রমণ অত্যধিক।  [আবদুস সাত্তার মোল্লা]

আরও দেখুন মশা