মওলানা মোহাম্মদ আলী কলেজ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) অ (Added Ennglish article link) |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
[[Category:বাংলাপিডিয়া]] | [[Category:বাংলাপিডিয়া]] | ||
'''মওলানা মোহাম্মদ আলী কলেজ''' টাঙ্গাইল শহর থেকে ৩ কিলোমিটার দূরে কাগমারীতে অবস্থিত। এটি এম.এম আলী কলেজ নামে পরিচিত। তবে এটি কাগমারী কলেজ নামেই অধিক পরিচিত। প্রতিষ্ঠাতা মওলানা [[ভাসানী, মওলানা আবদুল হামিদ খান|আবদুল হামিদ খান ভাসানী]]। ভাসানী তাঁর রাজনৈতিক দীক্ষাগুরু ও [[খিলাফত আন্দোলন|খিলাফত আন্দোলন]] এর নেতা মওলানা মোহাম্মদ আলীর নামে কলেজটির নামকরণ করেন মওলানা মোহাম্মদ আলী কলেজ। ১৯৫৭ সালের ১ জুলাই ঐতিহাসিক [[কাগমারি সম্মেলন|কাগমারী সম্মেলন]]-এ কলেজটি প্রতিষ্ঠার কথা ঘোষণা করা হয়। একটি পরিত্যক্ত সরকারি ভবনে কলেজের অফিস ও ক্লাসরুম চালু করা হয়। | '''মওলানা মোহাম্মদ আলী কলেজ''' টাঙ্গাইল শহর থেকে ৩ কিলোমিটার দূরে কাগমারীতে অবস্থিত। এটি এম.এম আলী কলেজ নামে পরিচিত। তবে এটি কাগমারী কলেজ নামেই অধিক পরিচিত। প্রতিষ্ঠাতা মওলানা [[ভাসানী, মওলানা আবদুল হামিদ খান|আবদুল হামিদ খান ভাসানী]]। ভাসানী তাঁর রাজনৈতিক দীক্ষাগুরু ও [[খিলাফত আন্দোলন|খিলাফত আন্দোলন]] এর নেতা মওলানা মোহাম্মদ আলীর নামে কলেজটির নামকরণ করেন মওলানা মোহাম্মদ আলী কলেজ। ১৯৫৭ সালের ১ জুলাই ঐতিহাসিক [[কাগমারি সম্মেলন|কাগমারী সম্মেলন]]-এ কলেজটি প্রতিষ্ঠার কথা ঘোষণা করা হয়। একটি পরিত্যক্ত সরকারি ভবনে কলেজের অফিস ও ক্লাসরুম চালু করা হয়। | ||
২০.৭৬ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত কলেজটি ১৯৭৫ সালে সরকারিকরণ করা হয়। বর্তমানে এটি একটি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ। উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক (পাস) পর্যায়ে পাঠদান ছাড়াও এখানে ১৫টি বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু রয়েছে। কলেজে বর্তমানে শিক্ষকের সংখ্যা ৪৪ এবং ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ৪,০০০। কলেজে একটি সমৃদ্ধ লাইব্রেরি রয়েছে। এছাড়া কলেজের ১৫টি বিভাগে সেমিনার লাইব্রেরি (বিভাগীয় লাইব্রেরি) গড়ে উঠেছে। ছাত্রদের জন্য রয়েছে একটি হোস্টেল। | ২০.৭৬ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত কলেজটি ১৯৭৫ সালে সরকারিকরণ করা হয়। বর্তমানে এটি একটি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ। উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক (পাস) পর্যায়ে পাঠদান ছাড়াও এখানে ১৫টি বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু রয়েছে। কলেজে বর্তমানে শিক্ষকের সংখ্যা ৪৪ এবং ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ৪,০০০। কলেজে একটি সমৃদ্ধ লাইব্রেরি রয়েছে। এছাড়া কলেজের ১৫টি বিভাগে সেমিনার লাইব্রেরি (বিভাগীয় লাইব্রেরি) গড়ে উঠেছে। ছাত্রদের জন্য রয়েছে একটি হোস্টেল। | ||
কলেজটি শুরু থেকেই গরীব ছাত্রদের মধ্যে শিক্ষা বিস্তার ও মেধা বিকাশে কাজ করে আসছে। একই সঙ্গে এটি সাহিত্য, সংস্কৃতি ও খেলাধুলার ক্ষেত্রেও উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে। | কলেজটি শুরু থেকেই গরীব ছাত্রদের মধ্যে শিক্ষা বিস্তার ও মেধা বিকাশে কাজ করে আসছে। একই সঙ্গে এটি সাহিত্য, সংস্কৃতি ও খেলাধুলার ক্ষেত্রেও উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে। [সৈয়দ মেহেদী হাসান] | ||
[সৈয়দ মেহেদী হাসান] | |||
[[en:Maulana Mohammad Ali College]] | [[en:Maulana Mohammad Ali College]] |
০৬:৫৫, ২ মার্চ ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ
মওলানা মোহাম্মদ আলী কলেজ টাঙ্গাইল শহর থেকে ৩ কিলোমিটার দূরে কাগমারীতে অবস্থিত। এটি এম.এম আলী কলেজ নামে পরিচিত। তবে এটি কাগমারী কলেজ নামেই অধিক পরিচিত। প্রতিষ্ঠাতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী। ভাসানী তাঁর রাজনৈতিক দীক্ষাগুরু ও খিলাফত আন্দোলন এর নেতা মওলানা মোহাম্মদ আলীর নামে কলেজটির নামকরণ করেন মওলানা মোহাম্মদ আলী কলেজ। ১৯৫৭ সালের ১ জুলাই ঐতিহাসিক কাগমারী সম্মেলন-এ কলেজটি প্রতিষ্ঠার কথা ঘোষণা করা হয়। একটি পরিত্যক্ত সরকারি ভবনে কলেজের অফিস ও ক্লাসরুম চালু করা হয়।
২০.৭৬ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত কলেজটি ১৯৭৫ সালে সরকারিকরণ করা হয়। বর্তমানে এটি একটি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ। উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক (পাস) পর্যায়ে পাঠদান ছাড়াও এখানে ১৫টি বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু রয়েছে। কলেজে বর্তমানে শিক্ষকের সংখ্যা ৪৪ এবং ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ৪,০০০। কলেজে একটি সমৃদ্ধ লাইব্রেরি রয়েছে। এছাড়া কলেজের ১৫টি বিভাগে সেমিনার লাইব্রেরি (বিভাগীয় লাইব্রেরি) গড়ে উঠেছে। ছাত্রদের জন্য রয়েছে একটি হোস্টেল।
কলেজটি শুরু থেকেই গরীব ছাত্রদের মধ্যে শিক্ষা বিস্তার ও মেধা বিকাশে কাজ করে আসছে। একই সঙ্গে এটি সাহিত্য, সংস্কৃতি ও খেলাধুলার ক্ষেত্রেও উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে। [সৈয়দ মেহেদী হাসান]