মজুমদার, কেদারনাথ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Added Ennglish article link)
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
'''মজুমদার''',''' ''''''কেদারনাথ''' (১৮৭০-১৯২৬)  সাংবাদিক, সমাজকর্মী, লেখক ও গবেষক। ১৮৭০ সালে কিশোরগঞ্জ জেলার কাপাসাটিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈতৃক নিবাস একই জেলার গচিহাটা গ্রামে। ময়মনসিংহ জেলা স্কুল থেকে এন্ট্রাস পাস করার পর তিনি সাংবাদিক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। সাতাশ বছর বয়সে তাঁর পরিচালনায় কুমার পত্রিকা প্রকাশিত হয়। এরপর ময়মনসিংহ থেকে তিনি ১৩০৬ বঙ্গাব্দে (১৯১২-১৩) বাসনা এবং ১৩০৭ বঙ্গাব্দে (১৯১৩-১৪) আরতি নামে আরও দুটি মাসিক পত্রিকা প্রকাশ করেন। বিভিন্ন সাহিত্য সম্মেলন এবং প্রদর্শনীর উদ্যোক্তা হিসেবে তিনি খ্যাতি অর্জন করেন। কেদারনাথ মজুমদারের প্রচেষ্টায় গোরীপুরে অনুষ্ঠিত ‘পূর্ণিমা সাহিত্য সম্মেলন’ সফলতার সঙ্গে শেষ হয়। ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ, জামালপুর ও শেরপুরে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন সাহিত্য-সংস্কৃতি সম্মেলন অনুষ্ঠানে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।
'''মজুমদার, কেদারনাথ''' (১৮৭০-১৯২৬)  সাংবাদিক, সমাজকর্মী, লেখক ও গবেষক। ১৮৭০ সালে কিশোরগঞ্জ জেলার কাপাসাটিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈতৃক নিবাস একই জেলার গচিহাটা গ্রামে। ময়মনসিংহ জেলা স্কুল থেকে এন্ট্রাস পাস করার পর তিনি সাংবাদিক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। সাতাশ বছর বয়সে তাঁর পরিচালনায় কুমার পত্রিকা প্রকাশিত হয়। এরপর ময়মনসিংহ থেকে তিনি ১৩০৬ বঙ্গাব্দে (১৯১২-১৩) বাসনা এবং ১৩০৭ বঙ্গাব্দে (১৯১৩-১৪) আরতি নামে আরও দুটি মাসিক পত্রিকা প্রকাশ করেন। বিভিন্ন সাহিত্য সম্মেলন এবং প্রদর্শনীর উদ্যোক্তা হিসেবে তিনি খ্যাতি অর্জন করেন। কেদারনাথ মজুমদারের প্রচেষ্টায় গোরীপুরে অনুষ্ঠিত ‘পূর্ণিমা সাহিত্য সম্মেলন’ সফলতার সঙ্গে শেষ হয়। ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ, জামালপুর ও শেরপুরে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন সাহিত্য-সংস্কৃতি সম্মেলন অনুষ্ঠানে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।


কেদারনাথ মায়ের স্মৃতি রক্ষার্থে ময়মনসিংহ শহরে ১৯১৭ সালে ‘জয়দুর্গা এম.ই স্কুল’ প্রতিষ্ঠা করেন যা পরবর্তী সময়ে হাইস্কুলে উন্নীত হয় এবং ‘জয়দুর্গা ইনস্টিটিউশন’ নামে পরিচিত হয়। এ ছাড়া তিনি মায়ের নামে নিজ গ্রামে একটি পাঠাগার প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর উদ্যোগে ময়মনসিংহ শহরে ‘সাহিত্য সভা’ স্থাপিত হয়।
কেদারনাথ মায়ের স্মৃতি রক্ষার্থে ময়মনসিংহ শহরে ১৯১৭ সালে ‘জয়দুর্গা এম.ই স্কুল’ প্রতিষ্ঠা করেন যা পরবর্তী সময়ে হাইস্কুলে উন্নীত হয় এবং ‘জয়দুর্গা ইনস্টিটিউশন’ নামে পরিচিত হয়। এ ছাড়া তিনি মায়ের নামে নিজ গ্রামে একটি পাঠাগার প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর উদ্যোগে ময়মনসিংহ শহরে ‘সাহিত্য সভা’ স্থাপিত হয়।

০৭:১৬, ২ মার্চ ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

মজুমদার, কেদারনাথ (১৮৭০-১৯২৬)  সাংবাদিক, সমাজকর্মী, লেখক ও গবেষক। ১৮৭০ সালে কিশোরগঞ্জ জেলার কাপাসাটিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈতৃক নিবাস একই জেলার গচিহাটা গ্রামে। ময়মনসিংহ জেলা স্কুল থেকে এন্ট্রাস পাস করার পর তিনি সাংবাদিক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। সাতাশ বছর বয়সে তাঁর পরিচালনায় কুমার পত্রিকা প্রকাশিত হয়। এরপর ময়মনসিংহ থেকে তিনি ১৩০৬ বঙ্গাব্দে (১৯১২-১৩) বাসনা এবং ১৩০৭ বঙ্গাব্দে (১৯১৩-১৪) আরতি নামে আরও দুটি মাসিক পত্রিকা প্রকাশ করেন। বিভিন্ন সাহিত্য সম্মেলন এবং প্রদর্শনীর উদ্যোক্তা হিসেবে তিনি খ্যাতি অর্জন করেন। কেদারনাথ মজুমদারের প্রচেষ্টায় গোরীপুরে অনুষ্ঠিত ‘পূর্ণিমা সাহিত্য সম্মেলন’ সফলতার সঙ্গে শেষ হয়। ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ, জামালপুর ও শেরপুরে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন সাহিত্য-সংস্কৃতি সম্মেলন অনুষ্ঠানে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।

কেদারনাথ মায়ের স্মৃতি রক্ষার্থে ময়মনসিংহ শহরে ১৯১৭ সালে ‘জয়দুর্গা এম.ই স্কুল’ প্রতিষ্ঠা করেন যা পরবর্তী সময়ে হাইস্কুলে উন্নীত হয় এবং ‘জয়দুর্গা ইনস্টিটিউশন’ নামে পরিচিত হয়। এ ছাড়া তিনি মায়ের নামে নিজ গ্রামে একটি পাঠাগার প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর উদ্যোগে ময়মনসিংহ শহরে ‘সাহিত্য সভা’ স্থাপিত হয়।

একই শহরে তিনি ‘রিসার্চ হাউস’ নামক একটি গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন এবং নিজেই এর পরিচালক ছিলেন। কেদারনাথ মজুমদার আঞ্চলিক ইতিহাস চর্চার ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখেন। তাঁর লিখিত ময়মনসিংহের ইতিহাস (১৩১২) একটি বিশিষ্ট গ্রন্থ হিসেবে খ্যাতি অর্জন করে। এ ছাড়া তাঁর রচনাবলির মধ্যে ঢাকার বিবরণ (১৩১৬), সাময়িক সাহিত্য (১৩২৪), রামায়ণের সমাজ (১৯২৭), শুভদৃষ্টি (১৩৩০), সমস্যা (১৩৩১), গদ্য সাহিত্য (১৯০১), চিন্তা (১৩১৩), ময়মনসিংহ সহচর (১৯০৮), ময়মনসিংহের বিবরণ (১৩১১) ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। পাঠ্যপুস্তক রচয়িতা হিসেবেও তাঁর খ্যাতি ছিল।

কেদারনাথ মজুমদারের ১৯২৬ সালে ময়মনসিংহে মৃত্যু হয়।  [গোলাম কিবরিয়া ভূইয়া]