বাতাসি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) অ (Added Ennglish article link) |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
(একই ব্যবহারকারী দ্বারা সম্পাদিত একটি মধ্যবর্তী সংশোধন দেখানো হচ্ছে না) | |||
৭ নং লাইন: | ৭ নং লাইন: | ||
কোন কোন প্রজাতির বাতাসি গুহায়, কখনও আলো থেকে ১ কিলোমিটার দূরত্বে থাকে ও বাসা বাঁধে। যেসব বাতাসি প্রতিধ্বনির সাহায্যে চলাচল করে না তারা গুহার মুখের কাছে স্বল্প আলোকিত জায়গায় বাসা বানায়, যেখানে চোখে দেখে ওড়ার মতো যথেষ্ট আলো থাকে। স্ত্রী ও পুরুষ পাখি বাসা তৈরি, ডিমে তা ও বাচ্চাদের দেখাশোনা করে। | কোন কোন প্রজাতির বাতাসি গুহায়, কখনও আলো থেকে ১ কিলোমিটার দূরত্বে থাকে ও বাসা বাঁধে। যেসব বাতাসি প্রতিধ্বনির সাহায্যে চলাচল করে না তারা গুহার মুখের কাছে স্বল্প আলোকিত জায়গায় বাসা বানায়, যেখানে চোখে দেখে ওড়ার মতো যথেষ্ট আলো থাকে। স্ত্রী ও পুরুষ পাখি বাসা তৈরি, ডিমে তা ও বাচ্চাদের দেখাশোনা করে। | ||
বাংলাদেশে বাতাসির স্থায়ী প্রজাতিগুলি হচ্ছে বাতাসি | বাংলাদেশে বাতাসির স্থায়ী প্রজাতিগুলি হচ্ছে- বাতাসি House Swift, ''Apus affinis''; Himalayan Swiftlet, ''Collocalia brevirostris''; তাল বাতাসি Asian Palm Swift, ''Cypsiurus balasiensis''; পাহাড়ি বন, কাপ্তাই হ্রদ এলাকায় বিস্তৃত; Silver-backed Needletail, ''Hirundapus cochinchinensis''; পাহাড়ি বাতাসি Alpine Swift, ''Tachymarptis melba''; White-rumped Spinetail, ''Zoonavena sylvatica''; Crested Treeswift, ''Hemiprocne longipennis'' দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে বিস্তৃত এবং পরিযায়ী একটি প্রজাতি হচ্ছে Fork-tailed Swift, ''Apus pacificus'' উত্তর-পূর্ব, দক্ষিণ-পূর্ব ও মধ্যাঞ্চলে বিস্তৃত। [মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম] | ||
[[en:Swift]] | [[en:Swift]] |
০৮:৩৭, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ
বাতাসি (Swift) Apodiformes বর্গের Apodidae গোত্রের কালো বা ছাই রঙের শরীরে সাদা বা ধূসর ছাপযুক্ত ছোট ছোট পাখি। লম্বা, কাস্তের মতো ডানা ও ছোট পা এদের গোত্রীয় বৈশিষ্ট্য। আরেক ধরনের গুহাবাসী বাতাসি বা ছোট বাতাসিও (swiftlet) একই গোত্রভুক্ত। বিশ্বে ক্ষুদে বাতাসির প্রজাতি সংখ্যা ২৮, প্রাচ্য ও অস্ট্রেলিয়ায় আছে। উদ্ভিজ্জের সঙ্গে মুখের প্রচুর লালা মিশিয়ে বাসা বানায়। সর্বক্ষণ উড়াউড়ি করে, উড়ন্ত অবস্থায় পোকা ধরে। Hemiprocnidae গোত্রের গেছো বাতাসি আরেক জাতের পাখি, বাহ্যত বাতাসিদের মতোই, তাদের থাকে লম্বা ঝুঁটি। অস্ট্রেলিয়া ও প্রাচ্যে এদের চারটি প্রজাতি আছে, সাধারণ বাতাসির মতো সর্বক্ষণ না উড়ে গাছের ডালে বসে থাকে। বাংলাদেশে সাত প্রজাতির স্থায়ী এবং এক প্রজাতির পরিযায়ী বাতাসি আছে।
সরু ও পশ্চাদমুখী ডানার সুবাদে বাতাসিরা দ্রুততম গতির পাখিদের অন্যতম। ভেনিজুয়েলার (Venezuela) ছোট তাল-বাতাসি (Micropanyptila furcata) পাখির মতো কয়েক প্রজাতির বাতাসির ওজন ৬ গ্রামেরও কম। সব জাতের বাতাসিই সারাদিন উড়ে উড়ে তাদের খাদ্য উড়ন্ত কীটপতঙ্গ ধরে, শুধু রাতটা কাটায় ঘুমের জায়গায়। কোন কোন বাতাসি প্রজনন ঋতুতে রাতেও উড়ে বেড়ায়। উইপোকা, মেফ্লাই বা জাবপোকা ছাড়াও এরা উড়ুক্কু পিঁপড়ে, বোলতা ও মৌমাছি খেয়ে থাকে। কিছু বাতাসি পরিযায়ী স্বভাবের। এদের লালাগ্রন্থি প্রজনন ঋতুতে ফুলে ওঠে এবং এরা আঠালো লালা দিয়ে বাসার উপকরণ জোড়া দেয়। কোন কোন প্রজাতি বাসা বাঁধতে ডালপালার টুকরা আটকাতে এবং গাছের গায়ে বাসা লাগিয়ে রাখতেও লালা ব্যবহার করে। লালা এদের বাসার প্রধান উপাদান।
কোন কোন প্রজাতির বাতাসি গুহায়, কখনও আলো থেকে ১ কিলোমিটার দূরত্বে থাকে ও বাসা বাঁধে। যেসব বাতাসি প্রতিধ্বনির সাহায্যে চলাচল করে না তারা গুহার মুখের কাছে স্বল্প আলোকিত জায়গায় বাসা বানায়, যেখানে চোখে দেখে ওড়ার মতো যথেষ্ট আলো থাকে। স্ত্রী ও পুরুষ পাখি বাসা তৈরি, ডিমে তা ও বাচ্চাদের দেখাশোনা করে।
বাংলাদেশে বাতাসির স্থায়ী প্রজাতিগুলি হচ্ছে- বাতাসি House Swift, Apus affinis; Himalayan Swiftlet, Collocalia brevirostris; তাল বাতাসি Asian Palm Swift, Cypsiurus balasiensis; পাহাড়ি বন, কাপ্তাই হ্রদ এলাকায় বিস্তৃত; Silver-backed Needletail, Hirundapus cochinchinensis; পাহাড়ি বাতাসি Alpine Swift, Tachymarptis melba; White-rumped Spinetail, Zoonavena sylvatica; Crested Treeswift, Hemiprocne longipennis দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে বিস্তৃত এবং পরিযায়ী একটি প্রজাতি হচ্ছে Fork-tailed Swift, Apus pacificus উত্তর-পূর্ব, দক্ষিণ-পূর্ব ও মধ্যাঞ্চলে বিস্তৃত। [মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম]