বাদামতলী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) অ (Added Ennglish article link) |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
২ নং লাইন: | ২ নং লাইন: | ||
'''বাদামতলী''' ঢাকার একটি পাইকারি ফলের বাজার। এটি বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে বাদামতলী থেকে ওয়াইজঘাট পর্যন্ত এলাকা জুড়ে সম্প্রসারিত। ১৯৩৫ সালে জনাব হাসান আলী ঢালি এবং অপর চার-পাঁচজন ব্যবসায়ী মিলে এই স্থানটিতে ফলের পাইকারি ব্যবসায় শুরু করেন। ১৯৭১ সাল পর্যন্ত স্থানীয় মৌসুমি ফল এবং পশ্চিম পাকিস্তানের অন্যান্য কিছু ফল এখানে বিক্রয় হতো। স্বাধীনতার পর এ বাজারটির অনেক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। প্রচুর পরিমাণে নতুন ব্যবসায়ীরা ফল ব্যবসায়ের জন্য এ বাজারে আসা শুরু করেন এবং দিনে দিনে বাজারটির আয়তন বৃদ্ধি পেতে থাকে। বর্তমানে এ বাজারে প্রায় ২৫০টি আড়তদার কেনা-বেচা করছেন। | '''বাদামতলী''' ঢাকার একটি পাইকারি ফলের বাজার। এটি বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে বাদামতলী থেকে ওয়াইজঘাট পর্যন্ত এলাকা জুড়ে সম্প্রসারিত। ১৯৩৫ সালে জনাব হাসান আলী ঢালি এবং অপর চার-পাঁচজন ব্যবসায়ী মিলে এই স্থানটিতে ফলের পাইকারি ব্যবসায় শুরু করেন। ১৯৭১ সাল পর্যন্ত স্থানীয় মৌসুমি ফল এবং পশ্চিম পাকিস্তানের অন্যান্য কিছু ফল এখানে বিক্রয় হতো। স্বাধীনতার পর এ বাজারটির অনেক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। প্রচুর পরিমাণে নতুন ব্যবসায়ীরা ফল ব্যবসায়ের জন্য এ বাজারে আসা শুরু করেন এবং দিনে দিনে বাজারটির আয়তন বৃদ্ধি পেতে থাকে। বর্তমানে এ বাজারে প্রায় ২৫০টি আড়তদার কেনা-বেচা করছেন। | ||
এখানে বিভিন্ন জাতের স্থানীয় এবং আমদানিকৃত ফল বিক্রয় হচ্ছে। আমদানিকৃত ফলের সর্ববৃহৎ উৎস ভারত। সেখান থেকে আসা ফলের মধ্যে রয়েছে কমলা, আপেল, আঙুর, ডালিম এবং আম। ফল আমদানির অন্য উৎসগুলি হলো ভুটান (কমলা), দুবাই (খেজুর, কিশমিশ, আখরোট, পেস্তাবাদাম এবং মোনাক্কা) এবং পাকিস্তান (আঙুর)। অস্ট্রেলিয়া ও আমেরিকা থেকে প্রচুর পরিমাণে আপেল আমদানি করা হয়। ভারত এবং ভুটান থেকে প্রধানত ট্রাকের মাধ্যমে আমদানি করা হয় এবং অন্যান্য দেশ থেকে আমদানি করা হয় জাহাজ ও আকাশ পথে। অতীতে বাদামতলী ফলের বাজারে গুদাম ঘরের সুবিধা ছিল না। বর্তমানে বাদামতলী, টিকাটুলি এবং মুন্সিগঞ্জে কোল্ড স্টোরেজ প্লান্ট স্থাপনের ফলে এ অবস্থার বিপুল উন্নতি সাধিত হয়েছে। এই বাজারে ফলের ব্যবসায় পাইকারি ভিত্তিতে হয়ে থাকে। সাধারণত আপেল বাক্সের (প্রতি বাক্স = ২০ কেজি) ভিত্তিতে, আঙুর কার্টুনের (প্রতি কার্টুন = ৪ কেজি) ভিত্তিতে এবং অন্যান্য ফল কেজি-র ভিত্তিতে বিক্রয় হয়। এই বাজারে প্রতিদিন ১৫ মিলিয়ন থেকে ২০ মিলিয়ন টাকার ফল বিক্রয় হয়। | এখানে বিভিন্ন জাতের স্থানীয় এবং আমদানিকৃত ফল বিক্রয় হচ্ছে। আমদানিকৃত ফলের সর্ববৃহৎ উৎস ভারত। সেখান থেকে আসা ফলের মধ্যে রয়েছে কমলা, আপেল, আঙুর, ডালিম এবং আম। ফল আমদানির অন্য উৎসগুলি হলো ভুটান (কমলা), দুবাই (খেজুর, কিশমিশ, আখরোট, পেস্তাবাদাম এবং মোনাক্কা) এবং পাকিস্তান (আঙুর)। অস্ট্রেলিয়া ও আমেরিকা থেকে প্রচুর পরিমাণে আপেল আমদানি করা হয়। ভারত এবং ভুটান থেকে প্রধানত ট্রাকের মাধ্যমে আমদানি করা হয় এবং অন্যান্য দেশ থেকে আমদানি করা হয় জাহাজ ও আকাশ পথে। অতীতে বাদামতলী ফলের বাজারে গুদাম ঘরের সুবিধা ছিল না। বর্তমানে বাদামতলী, টিকাটুলি এবং মুন্সিগঞ্জে কোল্ড স্টোরেজ প্লান্ট স্থাপনের ফলে এ অবস্থার বিপুল উন্নতি সাধিত হয়েছে। এই বাজারে ফলের ব্যবসায় পাইকারি ভিত্তিতে হয়ে থাকে। সাধারণত আপেল বাক্সের (প্রতি বাক্স = ২০ কেজি) ভিত্তিতে, আঙুর কার্টুনের (প্রতি কার্টুন = ৪ কেজি) ভিত্তিতে এবং অন্যান্য ফল কেজি-র ভিত্তিতে বিক্রয় হয়। এই বাজারে প্রতিদিন ১৫ মিলিয়ন থেকে ২০ মিলিয়ন টাকার ফল বিক্রয় হয়। [মো মাসুদুর রহমান] | ||
[মো মাসুদুর রহমান] | |||
[[en:Badamtali]] | [[en:Badamtali]] |
০৮:৩৮, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ
বাদামতলী ঢাকার একটি পাইকারি ফলের বাজার। এটি বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে বাদামতলী থেকে ওয়াইজঘাট পর্যন্ত এলাকা জুড়ে সম্প্রসারিত। ১৯৩৫ সালে জনাব হাসান আলী ঢালি এবং অপর চার-পাঁচজন ব্যবসায়ী মিলে এই স্থানটিতে ফলের পাইকারি ব্যবসায় শুরু করেন। ১৯৭১ সাল পর্যন্ত স্থানীয় মৌসুমি ফল এবং পশ্চিম পাকিস্তানের অন্যান্য কিছু ফল এখানে বিক্রয় হতো। স্বাধীনতার পর এ বাজারটির অনেক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। প্রচুর পরিমাণে নতুন ব্যবসায়ীরা ফল ব্যবসায়ের জন্য এ বাজারে আসা শুরু করেন এবং দিনে দিনে বাজারটির আয়তন বৃদ্ধি পেতে থাকে। বর্তমানে এ বাজারে প্রায় ২৫০টি আড়তদার কেনা-বেচা করছেন।
এখানে বিভিন্ন জাতের স্থানীয় এবং আমদানিকৃত ফল বিক্রয় হচ্ছে। আমদানিকৃত ফলের সর্ববৃহৎ উৎস ভারত। সেখান থেকে আসা ফলের মধ্যে রয়েছে কমলা, আপেল, আঙুর, ডালিম এবং আম। ফল আমদানির অন্য উৎসগুলি হলো ভুটান (কমলা), দুবাই (খেজুর, কিশমিশ, আখরোট, পেস্তাবাদাম এবং মোনাক্কা) এবং পাকিস্তান (আঙুর)। অস্ট্রেলিয়া ও আমেরিকা থেকে প্রচুর পরিমাণে আপেল আমদানি করা হয়। ভারত এবং ভুটান থেকে প্রধানত ট্রাকের মাধ্যমে আমদানি করা হয় এবং অন্যান্য দেশ থেকে আমদানি করা হয় জাহাজ ও আকাশ পথে। অতীতে বাদামতলী ফলের বাজারে গুদাম ঘরের সুবিধা ছিল না। বর্তমানে বাদামতলী, টিকাটুলি এবং মুন্সিগঞ্জে কোল্ড স্টোরেজ প্লান্ট স্থাপনের ফলে এ অবস্থার বিপুল উন্নতি সাধিত হয়েছে। এই বাজারে ফলের ব্যবসায় পাইকারি ভিত্তিতে হয়ে থাকে। সাধারণত আপেল বাক্সের (প্রতি বাক্স = ২০ কেজি) ভিত্তিতে, আঙুর কার্টুনের (প্রতি কার্টুন = ৪ কেজি) ভিত্তিতে এবং অন্যান্য ফল কেজি-র ভিত্তিতে বিক্রয় হয়। এই বাজারে প্রতিদিন ১৫ মিলিয়ন থেকে ২০ মিলিয়ন টাকার ফল বিক্রয় হয়। [মো মাসুদুর রহমান]