বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Added Ennglish article link)
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
'''বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমী '''(Bangladesh Academy of Sciences)''' ''' বাংলাদেশের বিজ্ঞানী এবং প্রযুক্তিবিদদের শিক্ষায়তন ফোরাম। দেশে বিজ্ঞান উন্নয়ন এবং গবেষণা কর্মকান্ড পরিচালনার উদ্দেশ্যে ১৯৭৩ সালে এই সংগঠন প্রতিষ্ঠিত হয়। ব্রিটিশ শাসনামলে ভারত উপমহাদেশে বৈজ্ঞানিক গবেষণা এবং উন্নয়নের জন্য কিছু সংখ্যক কেন্দ্র ছিল। ১৯৩৫ সালে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব সায়েন্সেস অব ইন্ডিয়া প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৯৪৫ সালে ভারত সরকার এই ইনস্টিটিউটকে দেশের প্রধানতম বিজ্ঞান সোসাইটি হিসেবে ঘোষণা করে। উপমহাদেশের বিভক্তির পর ১৯৫৩ সালে পাকিস্তান একাডেমী অব সায়েন্সেস প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৭১ সালের প্রাক্কালে এই একাডেমীর ৩০ জন ফেলোর মধ্যে ১২ জনই ছিলেন বাংলাদেশের যারা স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ একাডেমী অব সায়েন্সেস গঠন করেন। প্রখ্যাত বিজ্ঞানী ড. মুহাম্মদ কুদরাত-ই-খুদা ছিলেন একাডেমীর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি (১৯৭৩-১৯৭৬)। একাডেমীর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যসমূহ নিম্নরূপ: বিজ্ঞানের বিশুদ্ধ ও ফলিত শাখায় গবেষণা কার্যক্রমকে উৎসাহিত করা এবং জাতীয় কল্যাণে সেগুলির ব্যবহারিক প্রয়োগ সাধন; জনগণের মাঝে বৈজ্ঞানিক জ্ঞানকে ছড়িয়ে দেওয়া; কার্যবিবরণী, সাময়িকী, স্মারকগ্রন্থ এবং অন্যান্য বিজ্ঞান বিষয়ক প্রকাশনা প্রকাশ করা; বিজ্ঞান বিষয়ক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে এককভাবে অথবা দেশী-বিদেশী সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথভাবে কনফারেন্স, সিম্পোজিয়াম, সেমিনার, কর্মশালা, বক্তৃতামালা প্রভৃতির আয়োজন; বিজ্ঞান গবেষণাগার, গ্রন্থাগার, জাদুঘর এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা; মনোনীত বৈজ্ঞানিক গবেষণার জন্য মঞ্জুরি, বৃত্তি ও ফেলোশীপের ব্যবস্থা করা এবং কৃতিত্বপূর্ণ গবেষণা কাজের জন্য পুরস্কার ও পদক প্রদান; জনগণ ও সরকার কর্তৃক নির্দেশিত যে-কোন জাতীয় অথবা আন্তর্জাতিক গুরুত্বসম্পন্ন বিষয়ে গবেষণা কার্যক্রম গ্রহণ এবং জাতীয় গুরুত্বসম্পন্ন বৈজ্ঞানিক বিষয়াদিতে সরকারকে পরামর্শ প্রদান; দেশের খ্যাতনামা বিজ্ঞানীদের সর্বোচ্চ সংগঠন হিসেবে ভূমিকা রাখা এবং দেশের বৈজ্ঞানিক কর্মকান্ডসমূহ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উপস্থাপন করা; বৈজ্ঞানিক উন্নয়ন এবং একাডেমীর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অর্জনের লক্ষ্যে তহবিল, অনুদান, ভাতা এবং মঞ্জুরি সংগ্রহ ও ব্যবস্থাপনা; আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক ইউনিয়নসমূহের কাউন্সিল এবং এরূপ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহের জন্য একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করা এবং একাডেমীর উল্লিখিত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যসমূহ অর্জন, সহায়তা এবং সংঘটনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় অন্যান্য সকল প্রকার কর্মকান্ড পরিচালনা করা। একাডেমীর রয়েছে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক ফেলোবৃন্দ। দেশের সর্বাধিক খ্যাতনামা বিজ্ঞানী এবং প্রযুক্তিবিদদের মধ্য থেকে ‘জাতীয় ফেলো’ নির্বাচন করা হয়। বাংলাদেশ একাডেমী অব সায়েন্সেস বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় থেকে বার্ষিক অনুদান লাভ করে। একাডেমীর সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ কার্যাবলির অন্যতম হচ্ছে দেশের সক্রিয় বিজ্ঞানী ও প্রযুক্তিবিদদের মধ্যে মেধাবীদের স্বীকৃতি দেওয়া এবং উৎসাহ প্রদান করা। এ প্রসঙ্গে একাডেমী প্রতিবছর প্রবীণ এবং নবীন এই দুই বিভাগে দেশের বিজ্ঞানী ও প্রযুক্তিবিদদের মধ্যে পদক (স্বর্ণপদক এবং নগদ টাকা) প্রদান করে থাকে। প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিজ্ঞানসহ প্রাকৃতিক বিজ্ঞানে দুটি পদক এবং কৃষি ও চিকিৎসা বিজ্ঞানসহ জীববিজ্ঞানে দুটি পদক প্রদান করা হয়। বাংলাদেশ একাডেমী অব সায়েন্সেস নিয়মিত একটি দ্বিবার্ষিক সাময়িকী প্রকাশ করে থাকে।
'''বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমী''' (Bangladesh Academy of Sciences) বাংলাদেশের বিজ্ঞানী এবং প্রযুক্তিবিদদের শিক্ষায়তন ফোরাম। দেশে বিজ্ঞান উন্নয়ন এবং গবেষণা কর্মকান্ড পরিচালনার উদ্দেশ্যে ১৯৭৩ সালে এই সংগঠন প্রতিষ্ঠিত হয়। ব্রিটিশ শাসনামলে ভারত উপমহাদেশে বৈজ্ঞানিক গবেষণা এবং উন্নয়নের জন্য কিছু সংখ্যক কেন্দ্র ছিল। ১৯৩৫ সালে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব সায়েন্সেস অব ইন্ডিয়া প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৯৪৫ সালে ভারত সরকার এই ইনস্টিটিউটকে দেশের প্রধানতম বিজ্ঞান সোসাইটি হিসেবে ঘোষণা করে। উপমহাদেশের বিভক্তির পর ১৯৫৩ সালে পাকিস্তান একাডেমী অব সায়েন্সেস প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৭১ সালের প্রাক্কালে এই একাডেমীর ৩০ জন ফেলোর মধ্যে ১২ জনই ছিলেন বাংলাদেশের যারা স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ একাডেমী অব সায়েন্সেস গঠন করেন। প্রখ্যাত বিজ্ঞানী ড. মুহাম্মদ কুদরাত-ই-খুদা ছিলেন একাডেমীর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি (১৯৭৩-১৯৭৬)। একাডেমীর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যসমূহ নিম্নরূপ: বিজ্ঞানের বিশুদ্ধ ও ফলিত শাখায় গবেষণা কার্যক্রমকে উৎসাহিত করা এবং জাতীয় কল্যাণে সেগুলির ব্যবহারিক প্রয়োগ সাধন; জনগণের মাঝে বৈজ্ঞানিক জ্ঞানকে ছড়িয়ে দেওয়া; কার্যবিবরণী, সাময়িকী, স্মারকগ্রন্থ এবং অন্যান্য বিজ্ঞান বিষয়ক প্রকাশনা প্রকাশ করা; বিজ্ঞান বিষয়ক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে এককভাবে অথবা দেশী-বিদেশী সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথভাবে কনফারেন্স, সিম্পোজিয়াম, সেমিনার, কর্মশালা, বক্তৃতামালা প্রভৃতির আয়োজন; বিজ্ঞান গবেষণাগার, গ্রন্থাগার, জাদুঘর এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা; মনোনীত বৈজ্ঞানিক গবেষণার জন্য মঞ্জুরি, বৃত্তি ও ফেলোশীপের ব্যবস্থা করা এবং কৃতিত্বপূর্ণ গবেষণা কাজের জন্য পুরস্কার ও পদক প্রদান; জনগণ ও সরকার কর্তৃক নির্দেশিত যে-কোন জাতীয় অথবা আন্তর্জাতিক গুরুত্বসম্পন্ন বিষয়ে গবেষণা কার্যক্রম গ্রহণ এবং জাতীয় গুরুত্বসম্পন্ন বৈজ্ঞানিক বিষয়াদিতে সরকারকে পরামর্শ প্রদান; দেশের খ্যাতনামা বিজ্ঞানীদের সর্বোচ্চ সংগঠন হিসেবে ভূমিকা রাখা এবং দেশের বৈজ্ঞানিক কর্মকান্ডসমূহ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উপস্থাপন করা; বৈজ্ঞানিক উন্নয়ন এবং একাডেমীর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অর্জনের লক্ষ্যে তহবিল, অনুদান, ভাতা এবং মঞ্জুরি সংগ্রহ ও ব্যবস্থাপনা; আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক ইউনিয়নসমূহের কাউন্সিল এবং এরূপ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহের জন্য একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করা এবং একাডেমীর উল্লিখিত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যসমূহ অর্জন, সহায়তা এবং সংঘটনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় অন্যান্য সকল প্রকার কর্মকান্ড পরিচালনা করা। একাডেমীর রয়েছে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক ফেলোবৃন্দ। দেশের সর্বাধিক খ্যাতনামা বিজ্ঞানী এবং প্রযুক্তিবিদদের মধ্য থেকে ‘জাতীয় ফেলো’ নির্বাচন করা হয়। বাংলাদেশ একাডেমী অব সায়েন্সেস বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় থেকে বার্ষিক অনুদান লাভ করে। একাডেমীর সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ কার্যাবলির অন্যতম হচ্ছে দেশের সক্রিয় বিজ্ঞানী ও প্রযুক্তিবিদদের মধ্যে মেধাবীদের স্বীকৃতি দেওয়া এবং উৎসাহ প্রদান করা। এ প্রসঙ্গে একাডেমী প্রতিবছর প্রবীণ এবং নবীন এই দুই বিভাগে দেশের বিজ্ঞানী ও প্রযুক্তিবিদদের মধ্যে পদক (স্বর্ণপদক এবং নগদ টাকা) প্রদান করে থাকে। প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিজ্ঞানসহ প্রাকৃতিক বিজ্ঞানে দুটি পদক এবং কৃষি ও চিকিৎসা বিজ্ঞানসহ জীববিজ্ঞানে দুটি পদক প্রদান করা হয়। বাংলাদেশ একাডেমী অব সায়েন্সেস নিয়মিত একটি দ্বিবার্ষিক সাময়িকী প্রকাশ করে থাকে। [মোঃ মাহবুব মোর্শেদ]
 
[মোঃ মাহবুব মোর্শেদ]


[[en:Bangladesh Academy of Sciences]]
[[en:Bangladesh Academy of Sciences]]

০৯:১২, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমী (Bangladesh Academy of Sciences) বাংলাদেশের বিজ্ঞানী এবং প্রযুক্তিবিদদের শিক্ষায়তন ফোরাম। দেশে বিজ্ঞান উন্নয়ন এবং গবেষণা কর্মকান্ড পরিচালনার উদ্দেশ্যে ১৯৭৩ সালে এই সংগঠন প্রতিষ্ঠিত হয়। ব্রিটিশ শাসনামলে ভারত উপমহাদেশে বৈজ্ঞানিক গবেষণা এবং উন্নয়নের জন্য কিছু সংখ্যক কেন্দ্র ছিল। ১৯৩৫ সালে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব সায়েন্সেস অব ইন্ডিয়া প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৯৪৫ সালে ভারত সরকার এই ইনস্টিটিউটকে দেশের প্রধানতম বিজ্ঞান সোসাইটি হিসেবে ঘোষণা করে। উপমহাদেশের বিভক্তির পর ১৯৫৩ সালে পাকিস্তান একাডেমী অব সায়েন্সেস প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৭১ সালের প্রাক্কালে এই একাডেমীর ৩০ জন ফেলোর মধ্যে ১২ জনই ছিলেন বাংলাদেশের যারা স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ একাডেমী অব সায়েন্সেস গঠন করেন। প্রখ্যাত বিজ্ঞানী ড. মুহাম্মদ কুদরাত-ই-খুদা ছিলেন একাডেমীর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি (১৯৭৩-১৯৭৬)। একাডেমীর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যসমূহ নিম্নরূপ: বিজ্ঞানের বিশুদ্ধ ও ফলিত শাখায় গবেষণা কার্যক্রমকে উৎসাহিত করা এবং জাতীয় কল্যাণে সেগুলির ব্যবহারিক প্রয়োগ সাধন; জনগণের মাঝে বৈজ্ঞানিক জ্ঞানকে ছড়িয়ে দেওয়া; কার্যবিবরণী, সাময়িকী, স্মারকগ্রন্থ এবং অন্যান্য বিজ্ঞান বিষয়ক প্রকাশনা প্রকাশ করা; বিজ্ঞান বিষয়ক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে এককভাবে অথবা দেশী-বিদেশী সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথভাবে কনফারেন্স, সিম্পোজিয়াম, সেমিনার, কর্মশালা, বক্তৃতামালা প্রভৃতির আয়োজন; বিজ্ঞান গবেষণাগার, গ্রন্থাগার, জাদুঘর এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা; মনোনীত বৈজ্ঞানিক গবেষণার জন্য মঞ্জুরি, বৃত্তি ও ফেলোশীপের ব্যবস্থা করা এবং কৃতিত্বপূর্ণ গবেষণা কাজের জন্য পুরস্কার ও পদক প্রদান; জনগণ ও সরকার কর্তৃক নির্দেশিত যে-কোন জাতীয় অথবা আন্তর্জাতিক গুরুত্বসম্পন্ন বিষয়ে গবেষণা কার্যক্রম গ্রহণ এবং জাতীয় গুরুত্বসম্পন্ন বৈজ্ঞানিক বিষয়াদিতে সরকারকে পরামর্শ প্রদান; দেশের খ্যাতনামা বিজ্ঞানীদের সর্বোচ্চ সংগঠন হিসেবে ভূমিকা রাখা এবং দেশের বৈজ্ঞানিক কর্মকান্ডসমূহ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উপস্থাপন করা; বৈজ্ঞানিক উন্নয়ন এবং একাডেমীর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অর্জনের লক্ষ্যে তহবিল, অনুদান, ভাতা এবং মঞ্জুরি সংগ্রহ ও ব্যবস্থাপনা; আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক ইউনিয়নসমূহের কাউন্সিল এবং এরূপ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহের জন্য একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করা এবং একাডেমীর উল্লিখিত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যসমূহ অর্জন, সহায়তা এবং সংঘটনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় অন্যান্য সকল প্রকার কর্মকান্ড পরিচালনা করা। একাডেমীর রয়েছে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক ফেলোবৃন্দ। দেশের সর্বাধিক খ্যাতনামা বিজ্ঞানী এবং প্রযুক্তিবিদদের মধ্য থেকে ‘জাতীয় ফেলো’ নির্বাচন করা হয়। বাংলাদেশ একাডেমী অব সায়েন্সেস বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় থেকে বার্ষিক অনুদান লাভ করে। একাডেমীর সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ কার্যাবলির অন্যতম হচ্ছে দেশের সক্রিয় বিজ্ঞানী ও প্রযুক্তিবিদদের মধ্যে মেধাবীদের স্বীকৃতি দেওয়া এবং উৎসাহ প্রদান করা। এ প্রসঙ্গে একাডেমী প্রতিবছর প্রবীণ এবং নবীন এই দুই বিভাগে দেশের বিজ্ঞানী ও প্রযুক্তিবিদদের মধ্যে পদক (স্বর্ণপদক এবং নগদ টাকা) প্রদান করে থাকে। প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিজ্ঞানসহ প্রাকৃতিক বিজ্ঞানে দুটি পদক এবং কৃষি ও চিকিৎসা বিজ্ঞানসহ জীববিজ্ঞানে দুটি পদক প্রদান করা হয়। বাংলাদেশ একাডেমী অব সায়েন্সেস নিয়মিত একটি দ্বিবার্ষিক সাময়িকী প্রকাশ করে থাকে। [মোঃ মাহবুব মোর্শেদ]