বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) অ (Added Ennglish article link) |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
৪ নং লাইন: | ৪ নং লাইন: | ||
এই সম্মেলন কেন্দ্রের নামকরণ করা হয়েছিল বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র। ২০০২ সালের ১২ জানুয়ারি কেন্দ্রটির আনুষ্ঠানিক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এর নতুন নাম দেয়া হয় বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্র। ২০০৯ সালে সম্মেলন কেন্দ্রটির মূল নামকরণ ‘বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র’ পুনর্বহাল করা হয়। | এই সম্মেলন কেন্দ্রের নামকরণ করা হয়েছিল বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র। ২০০২ সালের ১২ জানুয়ারি কেন্দ্রটির আনুষ্ঠানিক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এর নতুন নাম দেয়া হয় বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্র। ২০০৯ সালে সম্মেলন কেন্দ্রটির মূল নামকরণ ‘বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র’ পুনর্বহাল করা হয়। | ||
[[Image:BangabandhuInternationalConfferenceCentre.jpg|thumb|400px|right|বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র]] | |||
সম্মেলন কেন্দ্রটি ৫০,০০০ বর্গমিটার জমির উপর চীনের কারিগরি ও আর্থিক সহায়তায় নির্মিত। চীন এর জন্য ৫ কোটি মর্কিন ডলারের সমপরিমাণ অর্থ সাহায্য দেয় এবং প্রায় ৪০০ চীনা ইঞ্জিনিয়ার এবং কারিগর ১৭ মাস কাজ করে ২০০১ সালে ভবনটির নির্মাণকাজ সম্পন্ন করে। এর প্রধান কক্ষে ১৭০০ লোকের আসনের ব্যবস্থা রয়েছে। এর মধ্যে নিচে ৭০০ প্রতিনিধির এবং গ্যালারিতে ১০০০ পর্যবেক্ষকের আসন রয়েছে। মিটিংয়ের জন্য এ কেন্দ্রে আছে ২০০ আসনের দুটি কক্ষ, চারটি আলোচনা কক্ষ এবং ভোজনের জন্য ৭০০ আসনের একটি কক্ষ। সাংবাদিকদের জন্য একটি ৩০০ আসনের আলাদা কক্ষ আছে। প্রধান ভবনটি ২০,০০০ বর্গমিটার জমির উপর নির্মিত এবং এর চারপাশে রয়েছে ৩০,০০০ বর্গমিটার খোলা অঙ্গন। | সম্মেলন কেন্দ্রটি ৫০,০০০ বর্গমিটার জমির উপর চীনের কারিগরি ও আর্থিক সহায়তায় নির্মিত। চীন এর জন্য ৫ কোটি মর্কিন ডলারের সমপরিমাণ অর্থ সাহায্য দেয় এবং প্রায় ৪০০ চীনা ইঞ্জিনিয়ার এবং কারিগর ১৭ মাস কাজ করে ২০০১ সালে ভবনটির নির্মাণকাজ সম্পন্ন করে। এর প্রধান কক্ষে ১৭০০ লোকের আসনের ব্যবস্থা রয়েছে। এর মধ্যে নিচে ৭০০ প্রতিনিধির এবং গ্যালারিতে ১০০০ পর্যবেক্ষকের আসন রয়েছে। মিটিংয়ের জন্য এ কেন্দ্রে আছে ২০০ আসনের দুটি কক্ষ, চারটি আলোচনা কক্ষ এবং ভোজনের জন্য ৭০০ আসনের একটি কক্ষ। সাংবাদিকদের জন্য একটি ৩০০ আসনের আলাদা কক্ষ আছে। প্রধান ভবনটি ২০,০০০ বর্গমিটার জমির উপর নির্মিত এবং এর চারপাশে রয়েছে ৩০,০০০ বর্গমিটার খোলা অঙ্গন। | ||
সেখানে আছে পানির ফোয়ারা, ৭০০ গাড়ি রাখার জায়গা এবং ১২৮টি দেশের পতাকা স্থাপনের দন্ড। কেন্দ্রটির নকশা তৈরি করেছে বেইজিং ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেকচারাল ডিজাইন্স অ্যান্ড রিসার্চ এবং এতে প্রয়োগ করা হয়েছে সর্বাধুনিক স্থাপত্য প্রযুক্তি। | সেখানে আছে পানির ফোয়ারা, ৭০০ গাড়ি রাখার জায়গা এবং ১২৮টি দেশের পতাকা স্থাপনের দন্ড। কেন্দ্রটির নকশা তৈরি করেছে বেইজিং ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেকচারাল ডিজাইন্স অ্যান্ড রিসার্চ এবং এতে প্রয়োগ করা হয়েছে সর্বাধুনিক স্থাপত্য প্রযুক্তি। | ||
১২ নং লাইন: | ১১ নং লাইন: | ||
প্রধান সম্মেলন কক্ষের ৪৮ মিটার পরিমাপের পরিগোলীয় খোলকাকার ছাদটি ২৪টি কংক্রিট স্তম্ভের উপর স্থাপিত। এর ধরন নিকটবর্তী জাতীয় সংসদ ভবনের সংসদ কক্ষের ছত্রাকার ছাদের অনুরূপ। কেন্দ্রটির ভেতরের এবং বাইরের নিরাপত্তা, মাইক্রোফোন ইত্যাদি ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে নিয়ন্ত্রিত। কেন্দ্রে চারটি ভাষায় বক্তৃতাদি তাৎক্ষণিক অনুবাদের ব্যবস্থা আছে এবং এখান থেকে সরাসরি দেশে ও বিদেশে অনুষ্ঠানের কার্যবিবরণী প্রেরণ এবং স্যাটেলাইটের মাধ্যমে সংবাদাদি ও তথ্য সংগ্রহের ব্যবস্থা রয়েছে। সম্পূর্ণ কেন্দ্রটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। | প্রধান সম্মেলন কক্ষের ৪৮ মিটার পরিমাপের পরিগোলীয় খোলকাকার ছাদটি ২৪টি কংক্রিট স্তম্ভের উপর স্থাপিত। এর ধরন নিকটবর্তী জাতীয় সংসদ ভবনের সংসদ কক্ষের ছত্রাকার ছাদের অনুরূপ। কেন্দ্রটির ভেতরের এবং বাইরের নিরাপত্তা, মাইক্রোফোন ইত্যাদি ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে নিয়ন্ত্রিত। কেন্দ্রে চারটি ভাষায় বক্তৃতাদি তাৎক্ষণিক অনুবাদের ব্যবস্থা আছে এবং এখান থেকে সরাসরি দেশে ও বিদেশে অনুষ্ঠানের কার্যবিবরণী প্রেরণ এবং স্যাটেলাইটের মাধ্যমে সংবাদাদি ও তথ্য সংগ্রহের ব্যবস্থা রয়েছে। সম্পূর্ণ কেন্দ্রটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। | ||
বর্তমানে এ কেন্দ্রটি দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় স্থান যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সমাবর্তন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সম্মেলন, রপ্তানি মেলা এবং বৃহৎ আকারের সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। | বর্তমানে এ কেন্দ্রটি দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় স্থান যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সমাবর্তন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সম্মেলন, রপ্তানি মেলা এবং বৃহৎ আকারের সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। [এনামুল হক] | ||
[এনামুল হক | |||
[[en:Bangabandhu International Conference Centre]] | [[en:Bangabandhu International Conference Centre]] |
১০:৫৩, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র ঢাকার শেরেবাংলা নগরে নির্মিত এ কেন্দ্রটি বিশ্বের সর্বাধুনিক সম্মেলন কেন্দ্রগুলির অন্যতম। এটি মূলত ২০০২ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠেয় ১১৪ সদস্যের জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের ত্রয়োদশ শীর্ষ সম্মেলনের জন্য নির্মাণ করা হয়।
এই সম্মেলন কেন্দ্রের নামকরণ করা হয়েছিল বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র। ২০০২ সালের ১২ জানুয়ারি কেন্দ্রটির আনুষ্ঠানিক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এর নতুন নাম দেয়া হয় বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্র। ২০০৯ সালে সম্মেলন কেন্দ্রটির মূল নামকরণ ‘বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র’ পুনর্বহাল করা হয়।
সম্মেলন কেন্দ্রটি ৫০,০০০ বর্গমিটার জমির উপর চীনের কারিগরি ও আর্থিক সহায়তায় নির্মিত। চীন এর জন্য ৫ কোটি মর্কিন ডলারের সমপরিমাণ অর্থ সাহায্য দেয় এবং প্রায় ৪০০ চীনা ইঞ্জিনিয়ার এবং কারিগর ১৭ মাস কাজ করে ২০০১ সালে ভবনটির নির্মাণকাজ সম্পন্ন করে। এর প্রধান কক্ষে ১৭০০ লোকের আসনের ব্যবস্থা রয়েছে। এর মধ্যে নিচে ৭০০ প্রতিনিধির এবং গ্যালারিতে ১০০০ পর্যবেক্ষকের আসন রয়েছে। মিটিংয়ের জন্য এ কেন্দ্রে আছে ২০০ আসনের দুটি কক্ষ, চারটি আলোচনা কক্ষ এবং ভোজনের জন্য ৭০০ আসনের একটি কক্ষ। সাংবাদিকদের জন্য একটি ৩০০ আসনের আলাদা কক্ষ আছে। প্রধান ভবনটি ২০,০০০ বর্গমিটার জমির উপর নির্মিত এবং এর চারপাশে রয়েছে ৩০,০০০ বর্গমিটার খোলা অঙ্গন।
সেখানে আছে পানির ফোয়ারা, ৭০০ গাড়ি রাখার জায়গা এবং ১২৮টি দেশের পতাকা স্থাপনের দন্ড। কেন্দ্রটির নকশা তৈরি করেছে বেইজিং ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেকচারাল ডিজাইন্স অ্যান্ড রিসার্চ এবং এতে প্রয়োগ করা হয়েছে সর্বাধুনিক স্থাপত্য প্রযুক্তি।
প্রধান সম্মেলন কক্ষের ৪৮ মিটার পরিমাপের পরিগোলীয় খোলকাকার ছাদটি ২৪টি কংক্রিট স্তম্ভের উপর স্থাপিত। এর ধরন নিকটবর্তী জাতীয় সংসদ ভবনের সংসদ কক্ষের ছত্রাকার ছাদের অনুরূপ। কেন্দ্রটির ভেতরের এবং বাইরের নিরাপত্তা, মাইক্রোফোন ইত্যাদি ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে নিয়ন্ত্রিত। কেন্দ্রে চারটি ভাষায় বক্তৃতাদি তাৎক্ষণিক অনুবাদের ব্যবস্থা আছে এবং এখান থেকে সরাসরি দেশে ও বিদেশে অনুষ্ঠানের কার্যবিবরণী প্রেরণ এবং স্যাটেলাইটের মাধ্যমে সংবাদাদি ও তথ্য সংগ্রহের ব্যবস্থা রয়েছে। সম্পূর্ণ কেন্দ্রটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত।
বর্তমানে এ কেন্দ্রটি দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় স্থান যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সমাবর্তন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সম্মেলন, রপ্তানি মেলা এবং বৃহৎ আকারের সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। [এনামুল হক]