পুনর্ভবা নদী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) অ (Added Ennglish article link) |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
(একই ব্যবহারকারী দ্বারা সম্পাদিত একটি মধ্যবর্তী সংশোধন দেখানো হচ্ছে না) | |||
২ নং লাইন: | ২ নং লাইন: | ||
'''পুনর্ভবা নদী''' (Punarbhaba River) বালিয়াডাঙ্গি উপজেলার (ঠাকুরগাঁও জেলা) অবনমিত নিম্নভূমি থেকে উৎপন্ন একটি নদী, যা শেষাবধি গঙ্গার একটি উপনদীতে পরিণত হয়েছে। নদীটির উচ্চতর গতিপথ আত্রাই থেকে কয়েক কিলোমিটার পশ্চিম দিকে। পুনর্ভবার প্রধান উৎস ব্রাহ্মণপুর বরেন্দ্রভূমি। দক্ষিণ দিকে প্রবাহিত হওয়ার পর পুনর্ভবা ঢেপা নদীর সঙ্গে মিলিত হয়েছে, যা করতোয়া নদীর একটি শাখা নদী। দিনাজপুর শহরের ঠিক দক্ষিণে নদীটি পশ্চিম এবং পশ্চিম-কেন্দ্রীয় বরেন্দ্রভূমির মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এর নদীবিধৌত ভূমির প্রশস্ততা ৩ থেকে ৮ কিমি। রোহনপুরের (নবাবগঞ্জ জেলা) ঠিক দক্ষিণে এটি মহানন্দা নদীর সঙ্গে মিলিত হয়েছে। নদীটির সর্বমোট দৈর্ঘ্য ১৬০ কিমি। পুনর্ভবার তিনটি উপনদী রয়েছে, সেগুলো হলো টাঙ্গন, কুলিক এবং নাগর। টাঙ্গন নদীর রয়েছে একটি সুরক্ষিত নদীবিধৌত ভূমি, যা পর্বত পাদদেশীয় সমভূমি পর্যন্ত বিস্তৃত। কুলিক নদীর তীরবর্তী ভূমি লক্ষণীয়ভাবে তরঙ্গায়িত। নাগর নদী দিনাজপুর জেলার পশ্চিম সীমান্তের বহু কিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত। ভারতের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে এটি পুনরায় ভোলাহাটের কাছে বাংলাদেশের সীমান্ত রেখা বরাবর প্রবাহিত হয়ে পরবর্তীতে নবাবগঞ্জ জেলার মধ্য দিয়ে নবাবগঞ্জ শহরের দক্ষিণে গঙ্গার সাথে মিলিত হয়েছে। নদীটি জোয়ার ভাটা প্রভাবিত নয়। [মাসুদ হাসান চৌধুরী] | '''পুনর্ভবা নদী''' (Punarbhaba River) বালিয়াডাঙ্গি উপজেলার (ঠাকুরগাঁও জেলা) অবনমিত নিম্নভূমি থেকে উৎপন্ন একটি নদী, যা শেষাবধি গঙ্গার একটি উপনদীতে পরিণত হয়েছে। নদীটির উচ্চতর গতিপথ আত্রাই থেকে কয়েক কিলোমিটার পশ্চিম দিকে। পুনর্ভবার প্রধান উৎস ব্রাহ্মণপুর বরেন্দ্রভূমি। দক্ষিণ দিকে প্রবাহিত হওয়ার পর পুনর্ভবা ঢেপা নদীর সঙ্গে মিলিত হয়েছে, যা করতোয়া নদীর একটি শাখা নদী। দিনাজপুর শহরের ঠিক দক্ষিণে নদীটি পশ্চিম এবং পশ্চিম-কেন্দ্রীয় বরেন্দ্রভূমির মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এর নদীবিধৌত ভূমির প্রশস্ততা ৩ থেকে ৮ কিমি। রোহনপুরের (নবাবগঞ্জ জেলা) ঠিক দক্ষিণে এটি মহানন্দা নদীর সঙ্গে মিলিত হয়েছে। নদীটির সর্বমোট দৈর্ঘ্য ১৬০ কিমি। পুনর্ভবার তিনটি উপনদী রয়েছে, সেগুলো হলো টাঙ্গন, কুলিক এবং নাগর। টাঙ্গন নদীর রয়েছে একটি সুরক্ষিত নদীবিধৌত ভূমি, যা পর্বত পাদদেশীয় সমভূমি পর্যন্ত বিস্তৃত। কুলিক নদীর তীরবর্তী ভূমি লক্ষণীয়ভাবে তরঙ্গায়িত। নাগর নদী দিনাজপুর জেলার পশ্চিম সীমান্তের বহু কিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত। ভারতের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে এটি পুনরায় ভোলাহাটের কাছে বাংলাদেশের সীমান্ত রেখা বরাবর প্রবাহিত হয়ে পরবর্তীতে নবাবগঞ্জ জেলার মধ্য দিয়ে নবাবগঞ্জ শহরের দক্ষিণে গঙ্গার সাথে মিলিত হয়েছে। নদীটি জোয়ার ভাটা প্রভাবিত নয়। [মাসুদ হাসান চৌধুরী] | ||
''মানচিত্রের জন্য দেখুন'' | ''মানচিত্রের জন্য দেখুন'' [[ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীপ্রণালী|ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীপ্রণালী]]। | ||
[[en:Punarbhaba River]] | [[en:Punarbhaba River]] |
০৩:৪৫, ৬ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ
পুনর্ভবা নদী (Punarbhaba River) বালিয়াডাঙ্গি উপজেলার (ঠাকুরগাঁও জেলা) অবনমিত নিম্নভূমি থেকে উৎপন্ন একটি নদী, যা শেষাবধি গঙ্গার একটি উপনদীতে পরিণত হয়েছে। নদীটির উচ্চতর গতিপথ আত্রাই থেকে কয়েক কিলোমিটার পশ্চিম দিকে। পুনর্ভবার প্রধান উৎস ব্রাহ্মণপুর বরেন্দ্রভূমি। দক্ষিণ দিকে প্রবাহিত হওয়ার পর পুনর্ভবা ঢেপা নদীর সঙ্গে মিলিত হয়েছে, যা করতোয়া নদীর একটি শাখা নদী। দিনাজপুর শহরের ঠিক দক্ষিণে নদীটি পশ্চিম এবং পশ্চিম-কেন্দ্রীয় বরেন্দ্রভূমির মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এর নদীবিধৌত ভূমির প্রশস্ততা ৩ থেকে ৮ কিমি। রোহনপুরের (নবাবগঞ্জ জেলা) ঠিক দক্ষিণে এটি মহানন্দা নদীর সঙ্গে মিলিত হয়েছে। নদীটির সর্বমোট দৈর্ঘ্য ১৬০ কিমি। পুনর্ভবার তিনটি উপনদী রয়েছে, সেগুলো হলো টাঙ্গন, কুলিক এবং নাগর। টাঙ্গন নদীর রয়েছে একটি সুরক্ষিত নদীবিধৌত ভূমি, যা পর্বত পাদদেশীয় সমভূমি পর্যন্ত বিস্তৃত। কুলিক নদীর তীরবর্তী ভূমি লক্ষণীয়ভাবে তরঙ্গায়িত। নাগর নদী দিনাজপুর জেলার পশ্চিম সীমান্তের বহু কিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত। ভারতের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে এটি পুনরায় ভোলাহাটের কাছে বাংলাদেশের সীমান্ত রেখা বরাবর প্রবাহিত হয়ে পরবর্তীতে নবাবগঞ্জ জেলার মধ্য দিয়ে নবাবগঞ্জ শহরের দক্ষিণে গঙ্গার সাথে মিলিত হয়েছে। নদীটি জোয়ার ভাটা প্রভাবিত নয়। [মাসুদ হাসান চৌধুরী]
মানচিত্রের জন্য দেখুন ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীপ্রণালী।