বাংলাদেশ রেশম গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Added Ennglish article link)
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
(একই ব্যবহারকারী দ্বারা সম্পাদিত একটি মধ্যবর্তী সংশোধন দেখানো হচ্ছে না)
৪ নং লাইন: ৪ নং লাইন:
প্রতিষ্ঠানের একটি দীর্ঘ ইতিহাস আছে। ১৮৯৮ সালে রাজশাহীতে একটি রেশম কারিগরি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা হয়। ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ ভারতের বিভক্তির পর সাবেক পূর্ব পাকিস্তান দুটি রেশম নার্সারি লাভ করে, যার একটি বগুড়ায়, অন্যটি রাজশাহীর মীরগঞ্জে। রেশম উৎপাদন প্রকল্প ১৯৬২ সালের জুলাই মাসে পূর্ব পাকিস্তান ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশনের নিকট হস্তান্তর করা হয়। এই নতুন উদ্যোগের অধীনে ১০টি নতুন নার্সারি স্থাপিত হয় (ভোলারহাট, নবাবগঞ্জ, ঈশ্বরদী, রংপুর, দিনাজপুর, কোনাবাড়ী, ময়নামতি, সিলেটের খাদিমনগর, ভাটিয়ারি ও চন্দ্রঘোনা)। অতঃপর ২২টি সম্প্রসারণ কেন্দ্র, একটি রেশম কারখানা ও একটি রেশম গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রথম দিকে ইনস্টিটিউটটি রেশম ও লাক্ষা গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং রেশম কারিগরি ইনস্টিটিউট এই দুটি ইউনিট নিয়ে গঠিত হয়েছিল। পরে এ দুটিকে একত্র করে ১৯৭৪ সালে রেশম গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট নাম দেওয়া হয়। ১৯৭৮ সালে বাংলাদেশ রেশম বোর্ড প্রতিষ্ঠার আগে সুষ্ঠু পরিকল্পনা ও পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে ইনস্টিটিউটের কার্যক্রমে ভাটা পড়ে। ইনস্টিটিউটে বর্তমানে ৫টি গবেষণা শাখা রয়েছে: ১. তুঁতশাখা উচ্চফলনশীল তুঁতজাত উদ্ভাবন, তুঁতচাষ ও রোগবালাই নিয়ন্ত্রণ; ২. রেশমকীট শাখা রেশমকীটের জীনগত সম্ভার সংরক্ষণ, উচ্চফলনশীল রেশমকীটের জাত/সংকর উদ্ভাবন ও ডিম উৎপাদন, সংরক্ষণ ও রেশমপোকার পরিচর্যা উন্নয়ন; ৩. রেশমরোগতত্ত্ব শাখা রেশমকীটের বিভিন্ন রোগ ও বালাই নিয়ন্ত্রণ; ৪. রেশম রসায়ন শাখা মাটি ও তুঁতপাতা বিশ্লেষণ এবং রেশম উৎপাদনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট উপবস্ত্তর ব্যবহার; এবং ৫. রেশমপ্রযুক্তি শাখা পর্যাপ্ত পরিমাণ মানসম্পন্ন কাঁচা রেশম উৎপাদনের জন্য লাগসই প্রযুক্তি উদ্ভাবন। ১৯৯৮ সালের শেষের দিকে একটি পৃথক জীবপ্রযুক্তি ইউনিট প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ইনস্টিটিউটের প্রশিক্ষণ শাখাটি রেশম উৎপাদনের বিভিন্ন দিকের ওপর প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। ইনস্টিটিউট নিজস্ব মুখপত্র Bulletin of Sericultural Research নিয়মিত প্রকাশ  করে।  [মোঃ ওয়াহিদুল ইসলাম]
প্রতিষ্ঠানের একটি দীর্ঘ ইতিহাস আছে। ১৮৯৮ সালে রাজশাহীতে একটি রেশম কারিগরি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা হয়। ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ ভারতের বিভক্তির পর সাবেক পূর্ব পাকিস্তান দুটি রেশম নার্সারি লাভ করে, যার একটি বগুড়ায়, অন্যটি রাজশাহীর মীরগঞ্জে। রেশম উৎপাদন প্রকল্প ১৯৬২ সালের জুলাই মাসে পূর্ব পাকিস্তান ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশনের নিকট হস্তান্তর করা হয়। এই নতুন উদ্যোগের অধীনে ১০টি নতুন নার্সারি স্থাপিত হয় (ভোলারহাট, নবাবগঞ্জ, ঈশ্বরদী, রংপুর, দিনাজপুর, কোনাবাড়ী, ময়নামতি, সিলেটের খাদিমনগর, ভাটিয়ারি ও চন্দ্রঘোনা)। অতঃপর ২২টি সম্প্রসারণ কেন্দ্র, একটি রেশম কারখানা ও একটি রেশম গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রথম দিকে ইনস্টিটিউটটি রেশম ও লাক্ষা গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং রেশম কারিগরি ইনস্টিটিউট এই দুটি ইউনিট নিয়ে গঠিত হয়েছিল। পরে এ দুটিকে একত্র করে ১৯৭৪ সালে রেশম গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট নাম দেওয়া হয়। ১৯৭৮ সালে বাংলাদেশ রেশম বোর্ড প্রতিষ্ঠার আগে সুষ্ঠু পরিকল্পনা ও পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে ইনস্টিটিউটের কার্যক্রমে ভাটা পড়ে। ইনস্টিটিউটে বর্তমানে ৫টি গবেষণা শাখা রয়েছে: ১. তুঁতশাখা উচ্চফলনশীল তুঁতজাত উদ্ভাবন, তুঁতচাষ ও রোগবালাই নিয়ন্ত্রণ; ২. রেশমকীট শাখা রেশমকীটের জীনগত সম্ভার সংরক্ষণ, উচ্চফলনশীল রেশমকীটের জাত/সংকর উদ্ভাবন ও ডিম উৎপাদন, সংরক্ষণ ও রেশমপোকার পরিচর্যা উন্নয়ন; ৩. রেশমরোগতত্ত্ব শাখা রেশমকীটের বিভিন্ন রোগ ও বালাই নিয়ন্ত্রণ; ৪. রেশম রসায়ন শাখা মাটি ও তুঁতপাতা বিশ্লেষণ এবং রেশম উৎপাদনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট উপবস্ত্তর ব্যবহার; এবং ৫. রেশমপ্রযুক্তি শাখা পর্যাপ্ত পরিমাণ মানসম্পন্ন কাঁচা রেশম উৎপাদনের জন্য লাগসই প্রযুক্তি উদ্ভাবন। ১৯৯৮ সালের শেষের দিকে একটি পৃথক জীবপ্রযুক্তি ইউনিট প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ইনস্টিটিউটের প্রশিক্ষণ শাখাটি রেশম উৎপাদনের বিভিন্ন দিকের ওপর প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। ইনস্টিটিউট নিজস্ব মুখপত্র Bulletin of Sericultural Research নিয়মিত প্রকাশ  করে।  [মোঃ ওয়াহিদুল ইসলাম]


''আরও দেখুন'' বাংলাদেশ রেশম বোর্ড; তুঁত; রেশমপালন।
''আরও দেখুন'' [[বাংলাদেশ রেশম বোর্ড|বাংলাদেশ রেশম বোর্ড]]; [[তুঁত|তুঁত]]; [[রেশমপোকা|রেশমপোকা]]।


[[en:Bangladesh Sericulture Research and Training ওহংঃরঃঁte]]


[[en:Bangladesh Sericulture Research and Training ওহংঃরঃঁte]]
[[en:Bangladesh Sericulture Research and Training Institute]]
 
[[en:Bangladesh Sericulture Research and Training ওহংঃরঃঁte]]
 
[[en:Bangladesh Sericulture Research and Training ওহংঃরঃঁte]]
 
[[en:Bangladesh Sericulture Research and Training ওহংঃরঃঁte]]

০৯:৫৯, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

বাংলাদেশ রেশম গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট  ১৯৮০ সালে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ রেশম বোর্ডের নিয়ন্ত্রণাধীন একটি প্রতিষ্ঠান। ইনস্টিটিউটের প্রধান লক্ষ্য দেশে রেশম উৎপাদনের ব্যাপক বিস্তার ও সম্প্রসারণের জন্য লাগসই প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও প্রসার, সহায়ক সেবাপ্রদান এবং দক্ষ কারিগরি জনশক্তি গড়ে তোলা। রাজশাহীতে অবস্থিত এ ইনস্টিটিউটের রয়েছে প্রায় ২০ হেক্টর বিস্তৃত চত্বর, একজন পরিচালক এবং ২২ জন বিজ্ঞানিসহ প্রায় ১০০ জনের একটি কর্মিদল।

প্রতিষ্ঠানের একটি দীর্ঘ ইতিহাস আছে। ১৮৯৮ সালে রাজশাহীতে একটি রেশম কারিগরি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা হয়। ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ ভারতের বিভক্তির পর সাবেক পূর্ব পাকিস্তান দুটি রেশম নার্সারি লাভ করে, যার একটি বগুড়ায়, অন্যটি রাজশাহীর মীরগঞ্জে। রেশম উৎপাদন প্রকল্প ১৯৬২ সালের জুলাই মাসে পূর্ব পাকিস্তান ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশনের নিকট হস্তান্তর করা হয়। এই নতুন উদ্যোগের অধীনে ১০টি নতুন নার্সারি স্থাপিত হয় (ভোলারহাট, নবাবগঞ্জ, ঈশ্বরদী, রংপুর, দিনাজপুর, কোনাবাড়ী, ময়নামতি, সিলেটের খাদিমনগর, ভাটিয়ারি ও চন্দ্রঘোনা)। অতঃপর ২২টি সম্প্রসারণ কেন্দ্র, একটি রেশম কারখানা ও একটি রেশম গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রথম দিকে ইনস্টিটিউটটি রেশম ও লাক্ষা গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং রেশম কারিগরি ইনস্টিটিউট এই দুটি ইউনিট নিয়ে গঠিত হয়েছিল। পরে এ দুটিকে একত্র করে ১৯৭৪ সালে রেশম গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট নাম দেওয়া হয়। ১৯৭৮ সালে বাংলাদেশ রেশম বোর্ড প্রতিষ্ঠার আগে সুষ্ঠু পরিকল্পনা ও পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে ইনস্টিটিউটের কার্যক্রমে ভাটা পড়ে। ইনস্টিটিউটে বর্তমানে ৫টি গবেষণা শাখা রয়েছে: ১. তুঁতশাখা উচ্চফলনশীল তুঁতজাত উদ্ভাবন, তুঁতচাষ ও রোগবালাই নিয়ন্ত্রণ; ২. রেশমকীট শাখা রেশমকীটের জীনগত সম্ভার সংরক্ষণ, উচ্চফলনশীল রেশমকীটের জাত/সংকর উদ্ভাবন ও ডিম উৎপাদন, সংরক্ষণ ও রেশমপোকার পরিচর্যা উন্নয়ন; ৩. রেশমরোগতত্ত্ব শাখা রেশমকীটের বিভিন্ন রোগ ও বালাই নিয়ন্ত্রণ; ৪. রেশম রসায়ন শাখা মাটি ও তুঁতপাতা বিশ্লেষণ এবং রেশম উৎপাদনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট উপবস্ত্তর ব্যবহার; এবং ৫. রেশমপ্রযুক্তি শাখা পর্যাপ্ত পরিমাণ মানসম্পন্ন কাঁচা রেশম উৎপাদনের জন্য লাগসই প্রযুক্তি উদ্ভাবন। ১৯৯৮ সালের শেষের দিকে একটি পৃথক জীবপ্রযুক্তি ইউনিট প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ইনস্টিটিউটের প্রশিক্ষণ শাখাটি রেশম উৎপাদনের বিভিন্ন দিকের ওপর প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। ইনস্টিটিউট নিজস্ব মুখপত্র Bulletin of Sericultural Research নিয়মিত প্রকাশ  করে।  [মোঃ ওয়াহিদুল ইসলাম]

আরও দেখুন বাংলাদেশ রেশম বোর্ড; তুঁত; রেশমপোকা