বারী, মুহাম্মদ আবদুল: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) অ (Added Ennglish article link) |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
[[Category:বাংলাপিডিয়া]] | [[Category:বাংলাপিডিয়া]] | ||
[[Image:BariMuhammadAbdul.jpg|thumb|400px|right|মুহম্মদ আবদুল বারী]] | |||
'''বারী, মুহাম্মদ আবদুল''' (১৯৩০-২০০৩) শিক্ষাবিদ, প্রাচ্যভাষাবিদ, ইসলামি চিন্তাবিদ। ১৯৩০ সালের ১ সেপ্টেম্বর বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ থানার সৈয়দপুর গ্রামে মাতুলালয়ে তাঁর জন্ম। পৈতৃক নিবাস দিনাজপুর জেলার নুরুল হুদা গ্রামে। পিতা মুহাম্মদ আবদুল্লাহিল বাকী ছিলেন অবিভক্ত ভারতে মুসলিম লীগের ভাইস-প্রেসিডেন্ট, কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপক পরিষদ ও বঙ্গীয় প্রাদেশিক আইন পরিষদের সদস্য, পাকিস্তান গণপরিষদ ও পূর্ব পাকিস্তান আইন পরিষদের সদস্য এবং বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ। এম.এ বারী গ্রামের মাদ্রাসা থেকে জুনিয়র মাদ্রাসা পরীক্ষা এবং নওগাঁ কো-অপারেটিভ হাই মাদ্রাসা থেকে ১৯৪৪ সালে হাই মাদ্রাসা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তিনি ১৯৪৬ সালে ঢাকা ইসলামিক ইন্টারমিডিয়েট কলেজ থেকে আই.এ পাস করেন। এরপর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগ থেকে ১৯৪৯ সালে বি.এ সম্মান এবং ১৯৫০ সালে এম.এ ডিগ্রি লাভ করেন। উভয় পরীক্ষায় তিনি প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করে যথাক্রমে নীলকান্ত সরকার স্বর্ণপদক ও বাহরুল উলুম উবায়দী সোহরাওয়ার্দী স্বর্ণপদক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্বর্ণপদক লাভ করেন। এরপর পাকিস্তান সরকারের বৃত্তি নিয়ে তিনি যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রখ্যাত প্রাচ্যবিদ প্রফেসর এইচ.এ.আর গিব ও প্রফেসর যোশেফ শাখতের তত্ত্বাবধানে ঊনিশ শতকে বাংলার মুসলিম সংস্কার আন্দোলনের ওপর গবেষণা করে ১৯৫৩ সালে ডি.ফিল ডিগ্রি লাভ করেন। | '''বারী, মুহাম্মদ আবদুল''' (১৯৩০-২০০৩) শিক্ষাবিদ, প্রাচ্যভাষাবিদ, ইসলামি চিন্তাবিদ। ১৯৩০ সালের ১ সেপ্টেম্বর বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ থানার সৈয়দপুর গ্রামে মাতুলালয়ে তাঁর জন্ম। পৈতৃক নিবাস দিনাজপুর জেলার নুরুল হুদা গ্রামে। পিতা মুহাম্মদ আবদুল্লাহিল বাকী ছিলেন অবিভক্ত ভারতে মুসলিম লীগের ভাইস-প্রেসিডেন্ট, কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপক পরিষদ ও বঙ্গীয় প্রাদেশিক আইন পরিষদের সদস্য, পাকিস্তান গণপরিষদ ও পূর্ব পাকিস্তান আইন পরিষদের সদস্য এবং বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ। এম.এ বারী গ্রামের মাদ্রাসা থেকে জুনিয়র মাদ্রাসা পরীক্ষা এবং নওগাঁ কো-অপারেটিভ হাই মাদ্রাসা থেকে ১৯৪৪ সালে হাই মাদ্রাসা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তিনি ১৯৪৬ সালে ঢাকা ইসলামিক ইন্টারমিডিয়েট কলেজ থেকে আই.এ পাস করেন। এরপর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগ থেকে ১৯৪৯ সালে বি.এ সম্মান এবং ১৯৫০ সালে এম.এ ডিগ্রি লাভ করেন। উভয় পরীক্ষায় তিনি প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করে যথাক্রমে নীলকান্ত সরকার স্বর্ণপদক ও বাহরুল উলুম উবায়দী সোহরাওয়ার্দী স্বর্ণপদক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্বর্ণপদক লাভ করেন। এরপর পাকিস্তান সরকারের বৃত্তি নিয়ে তিনি যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রখ্যাত প্রাচ্যবিদ প্রফেসর এইচ.এ.আর গিব ও প্রফেসর যোশেফ শাখতের তত্ত্বাবধানে ঊনিশ শতকে বাংলার মুসলিম সংস্কার আন্দোলনের ওপর গবেষণা করে ১৯৫৩ সালে ডি.ফিল ডিগ্রি লাভ করেন। | ||
এম.এ বারী ১৯৫৪ সালে পূর্ব পাকিস্তান শিক্ষা সার্ভিসে সিনিয়র ক্যাডারে প্রফেসর হিসেবে যোগদান করে ঢাকা কলেজ এবং রাজশাহী সরকারি কলেজে ১৯৫৬ সাল পর্যন্ত আরবি ভাষা ও সাহিত্যে অধ্যাপনা করেন। ১৯৫৬ সালের অক্টোবর মাসে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগে ইসলামের ইতিহাস বিষয়ে রিডার হিসেবে যোগদানের মধ্য দিয়ে তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা জীবনের শুরু। ঐ বছরের নভেম্বর মাসে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সৃষ্টি হলে তাঁকে বিভাগীয় প্রধান নিয়োগ করা হয়। তিনি ১৯৬১ সালে নাফিল্ড ফেলোশিপ পেয়ে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ে পোস্ট ডক্টরাল রিসার্চ সম্পন্ন করেন। ১৯৬২-৬৩ সালে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন এবং ১৯৬৯-৭১ সালে পর্যন্ত উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের জিন্নাহ হলের (বর্তমান শেরে বাংলা হল) প্রাধ্যক্ষ ছিলেন। ১৯৬৯ সালে তাঁর কর্মের স্বীকৃতি স্বরূপ তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃতি শিক্ষক হিসেবে প্রেসিডেন্টের স্বর্ণপদকে ভূষিত হন। | এম.এ বারী ১৯৫৪ সালে পূর্ব পাকিস্তান শিক্ষা সার্ভিসে সিনিয়র ক্যাডারে প্রফেসর হিসেবে যোগদান করে ঢাকা কলেজ এবং রাজশাহী সরকারি কলেজে ১৯৫৬ সাল পর্যন্ত আরবি ভাষা ও সাহিত্যে অধ্যাপনা করেন। ১৯৫৬ সালের অক্টোবর মাসে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগে ইসলামের ইতিহাস বিষয়ে রিডার হিসেবে যোগদানের মধ্য দিয়ে তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা জীবনের শুরু। ঐ বছরের নভেম্বর মাসে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সৃষ্টি হলে তাঁকে বিভাগীয় প্রধান নিয়োগ করা হয়। তিনি ১৯৬১ সালে নাফিল্ড ফেলোশিপ পেয়ে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ে পোস্ট ডক্টরাল রিসার্চ সম্পন্ন করেন। ১৯৬২-৬৩ সালে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন এবং ১৯৬৯-৭১ সালে পর্যন্ত উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের জিন্নাহ হলের (বর্তমান শেরে বাংলা হল) প্রাধ্যক্ষ ছিলেন। ১৯৬৯ সালে তাঁর কর্মের স্বীকৃতি স্বরূপ তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃতি শিক্ষক হিসেবে প্রেসিডেন্টের স্বর্ণপদকে ভূষিত হন। | ||
এম.এ বারী ১৯৭১ সালের ১৯ জুলাই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিযুক্ত হন এবং ১৯৭২ সালের ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ঐ পদে বহাল ছিলেন। ১৯৭৭ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত তিনি দ্বিতীয়বারের মত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করেন। এরপর তিনি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন এবং ১৯৮১-১৯৮৯ সাল পর্যন্ত দুই মেয়াদে উক্ত পদে অধিষ্ঠিত থাকেন। এরপর ১৯৮৯-১৯৯২ সাল পর্যন্ত তিনি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯২ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর তাঁকে এর উপাচার্য নিয়োগ করা হয়। এ পদে চার বছর দায়িত্ব পালন করে ১৯৯৬ সালে তিনি চাকুরি থেকে অবসর গ্রহণ করেন। | এম.এ বারী ১৯৭১ সালের ১৯ জুলাই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিযুক্ত হন এবং ১৯৭২ সালের ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ঐ পদে বহাল ছিলেন। ১৯৭৭ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত তিনি দ্বিতীয়বারের মত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করেন। এরপর তিনি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন এবং ১৯৮১-১৯৮৯ সাল পর্যন্ত দুই মেয়াদে উক্ত পদে অধিষ্ঠিত থাকেন। এরপর ১৯৮৯-১৯৯২ সাল পর্যন্ত তিনি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯২ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর তাঁকে এর উপাচার্য নিয়োগ করা হয়। এ পদে চার বছর দায়িত্ব পালন করে ১৯৯৬ সালে তিনি চাকুরি থেকে অবসর গ্রহণ করেন। | ||
মুহম্মদ আবদুল বারী ১৯৬০ সাল থেকে মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত জমিয়তে আহলে হাদীসের সভাপতি ছিলেন। এ পদে অধিষ্ঠিত থাকাকালে তিনি অনেক মাদ্রাসা ও মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর মৃত্যু ২০০৩ সালের ৪ জুন। | মুহম্মদ আবদুল বারী ১৯৬০ সাল থেকে মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত জমিয়তে আহলে হাদীসের সভাপতি ছিলেন। এ পদে অধিষ্ঠিত থাকাকালে তিনি অনেক মাদ্রাসা ও মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর মৃত্যু ২০০৩ সালের ৪ জুন। [এ.কে.এম ইয়াকুব আলী] | ||
[এ.কে.এম ইয়াকুব আলী] | |||
[[en:Bari, Muhammad Abdul]] | [[en:Bari, Muhammad Abdul]] |
০৪:০৬, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ
বারী, মুহাম্মদ আবদুল (১৯৩০-২০০৩) শিক্ষাবিদ, প্রাচ্যভাষাবিদ, ইসলামি চিন্তাবিদ। ১৯৩০ সালের ১ সেপ্টেম্বর বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ থানার সৈয়দপুর গ্রামে মাতুলালয়ে তাঁর জন্ম। পৈতৃক নিবাস দিনাজপুর জেলার নুরুল হুদা গ্রামে। পিতা মুহাম্মদ আবদুল্লাহিল বাকী ছিলেন অবিভক্ত ভারতে মুসলিম লীগের ভাইস-প্রেসিডেন্ট, কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপক পরিষদ ও বঙ্গীয় প্রাদেশিক আইন পরিষদের সদস্য, পাকিস্তান গণপরিষদ ও পূর্ব পাকিস্তান আইন পরিষদের সদস্য এবং বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ। এম.এ বারী গ্রামের মাদ্রাসা থেকে জুনিয়র মাদ্রাসা পরীক্ষা এবং নওগাঁ কো-অপারেটিভ হাই মাদ্রাসা থেকে ১৯৪৪ সালে হাই মাদ্রাসা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তিনি ১৯৪৬ সালে ঢাকা ইসলামিক ইন্টারমিডিয়েট কলেজ থেকে আই.এ পাস করেন। এরপর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগ থেকে ১৯৪৯ সালে বি.এ সম্মান এবং ১৯৫০ সালে এম.এ ডিগ্রি লাভ করেন। উভয় পরীক্ষায় তিনি প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করে যথাক্রমে নীলকান্ত সরকার স্বর্ণপদক ও বাহরুল উলুম উবায়দী সোহরাওয়ার্দী স্বর্ণপদক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্বর্ণপদক লাভ করেন। এরপর পাকিস্তান সরকারের বৃত্তি নিয়ে তিনি যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রখ্যাত প্রাচ্যবিদ প্রফেসর এইচ.এ.আর গিব ও প্রফেসর যোশেফ শাখতের তত্ত্বাবধানে ঊনিশ শতকে বাংলার মুসলিম সংস্কার আন্দোলনের ওপর গবেষণা করে ১৯৫৩ সালে ডি.ফিল ডিগ্রি লাভ করেন।
এম.এ বারী ১৯৫৪ সালে পূর্ব পাকিস্তান শিক্ষা সার্ভিসে সিনিয়র ক্যাডারে প্রফেসর হিসেবে যোগদান করে ঢাকা কলেজ এবং রাজশাহী সরকারি কলেজে ১৯৫৬ সাল পর্যন্ত আরবি ভাষা ও সাহিত্যে অধ্যাপনা করেন। ১৯৫৬ সালের অক্টোবর মাসে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগে ইসলামের ইতিহাস বিষয়ে রিডার হিসেবে যোগদানের মধ্য দিয়ে তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা জীবনের শুরু। ঐ বছরের নভেম্বর মাসে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সৃষ্টি হলে তাঁকে বিভাগীয় প্রধান নিয়োগ করা হয়। তিনি ১৯৬১ সালে নাফিল্ড ফেলোশিপ পেয়ে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ে পোস্ট ডক্টরাল রিসার্চ সম্পন্ন করেন। ১৯৬২-৬৩ সালে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন এবং ১৯৬৯-৭১ সালে পর্যন্ত উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের জিন্নাহ হলের (বর্তমান শেরে বাংলা হল) প্রাধ্যক্ষ ছিলেন। ১৯৬৯ সালে তাঁর কর্মের স্বীকৃতি স্বরূপ তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃতি শিক্ষক হিসেবে প্রেসিডেন্টের স্বর্ণপদকে ভূষিত হন।
এম.এ বারী ১৯৭১ সালের ১৯ জুলাই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিযুক্ত হন এবং ১৯৭২ সালের ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ঐ পদে বহাল ছিলেন। ১৯৭৭ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত তিনি দ্বিতীয়বারের মত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করেন। এরপর তিনি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন এবং ১৯৮১-১৯৮৯ সাল পর্যন্ত দুই মেয়াদে উক্ত পদে অধিষ্ঠিত থাকেন। এরপর ১৯৮৯-১৯৯২ সাল পর্যন্ত তিনি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯২ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর তাঁকে এর উপাচার্য নিয়োগ করা হয়। এ পদে চার বছর দায়িত্ব পালন করে ১৯৯৬ সালে তিনি চাকুরি থেকে অবসর গ্রহণ করেন।
মুহম্মদ আবদুল বারী ১৯৬০ সাল থেকে মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত জমিয়তে আহলে হাদীসের সভাপতি ছিলেন। এ পদে অধিষ্ঠিত থাকাকালে তিনি অনেক মাদ্রাসা ও মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর মৃত্যু ২০০৩ সালের ৪ জুন। [এ.কে.এম ইয়াকুব আলী]