পাবনা জিলা স্কুল: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Added Ennglish article link)
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
২ নং লাইন: ২ নং লাইন:
'''পাবনা জিলা স্কুল'''  জমিদার দিগম্বর সাহার উদ্যোগে অ্যাংলো ভার্নাকুলার স্কুল হিসেবে ১৮৩৬ থেকে ১৮৪০ সালের মধ্যে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। শুরুতে বিদ্যালয়টি ছিল শহরের পূর্ব প্রান্তে রাঘবপুরে অবস্থিত, পরে এটি গোপালপুরে আব্দুল হামিদ খান রোডে স্থানান্তরিত হয়। পাবনার এসডিও এ এবারক্রমবি ও এফ.এল বিউফোর্ট বিদ্যালয়টির উন্নয়নে দিগম্বর সাহাকে সহযোগিতা করেছিলেন। এ সময় বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন রামচন্দ্র নন্দী। ১৮৪০ সালে বিদ্যালয়টিকে উচ্চ ইংরেজি বিদ্যালয়ে রূপান্তরিত করা হয় এবং ১৮৫৩ সালে এটি সরকারিকরণ করা হয়। এ সময় গৌর নারায়ণ প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান। ২০০৯ সাল পর্যন্ত মোট ৫২ জন শিক্ষাবিদ এ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁদের তত্ত্বাবধানে বিদ্যালয়টি পাবনা জেলার অন্যতম সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে উঠেছে। ১৮৭০-১৮৭১ সালে পাবনা জেলা স্কুলের ছাত্র সংখ্যা ছিল ১৬৭, ১৯২০-২১ সালে ৩৫৫ এবং ১৯২১-২২ সালে ৩৯৭। বর্তমানে প্রভাতী ও দিবা, এ দুই শিফটে প্রায় দুই হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। পাঠদানের জন্য রয়েছেন মোট ৫০ জন শিক্ষক। ২.৯৫ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত এ বিদ্যালয়ে বর্তমানে প্রশাসনিক ভবন, শ্রেণিকক্ষ, ল্যাবরেটরি, ছাত্রাবাস, প্রধান শিক্ষকের বাসভবন, স্টোর ও মসজিদসহ মোট সাতটি ভবন রয়েছে।
'''পাবনা জিলা স্কুল'''  জমিদার দিগম্বর সাহার উদ্যোগে অ্যাংলো ভার্নাকুলার স্কুল হিসেবে ১৮৩৬ থেকে ১৮৪০ সালের মধ্যে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। শুরুতে বিদ্যালয়টি ছিল শহরের পূর্ব প্রান্তে রাঘবপুরে অবস্থিত, পরে এটি গোপালপুরে আব্দুল হামিদ খান রোডে স্থানান্তরিত হয়। পাবনার এসডিও এ এবারক্রমবি ও এফ.এল বিউফোর্ট বিদ্যালয়টির উন্নয়নে দিগম্বর সাহাকে সহযোগিতা করেছিলেন। এ সময় বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন রামচন্দ্র নন্দী। ১৮৪০ সালে বিদ্যালয়টিকে উচ্চ ইংরেজি বিদ্যালয়ে রূপান্তরিত করা হয় এবং ১৮৫৩ সালে এটি সরকারিকরণ করা হয়। এ সময় গৌর নারায়ণ প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান। ২০০৯ সাল পর্যন্ত মোট ৫২ জন শিক্ষাবিদ এ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁদের তত্ত্বাবধানে বিদ্যালয়টি পাবনা জেলার অন্যতম সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে উঠেছে। ১৮৭০-১৮৭১ সালে পাবনা জেলা স্কুলের ছাত্র সংখ্যা ছিল ১৬৭, ১৯২০-২১ সালে ৩৫৫ এবং ১৯২১-২২ সালে ৩৯৭। বর্তমানে প্রভাতী ও দিবা, এ দুই শিফটে প্রায় দুই হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। পাঠদানের জন্য রয়েছেন মোট ৫০ জন শিক্ষক। ২.৯৫ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত এ বিদ্যালয়ে বর্তমানে প্রশাসনিক ভবন, শ্রেণিকক্ষ, ল্যাবরেটরি, ছাত্রাবাস, প্রধান শিক্ষকের বাসভবন, স্টোর ও মসজিদসহ মোট সাতটি ভবন রয়েছে।


বিজ্ঞানী স্যার [[বসু, আচার্য জগদীশচন্দ্র|জগদীশচন্দ্র বসু]], কলকাতা হাইকোর্টের বিচারক জি.এন রায়, জমিদার রায় বনমালী রায় বাহাদুর, প্রফেসর [[কামাল, আবু হেনা মোস্তফা|আবু হেনা মোস্তফা কামাল]], কলকাতা হাইকোর্টের চীফ জাস্টিস এস.সি লাহিড়ী, আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসা-র তরুণ বিজ্ঞানী শামীম আহমেদ আলফা প্রমুখ এই বিদ্যালয়ের কৃতী ছাত্র। ১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা প্রদানের কারণে বিদ্যালয়ের শিক্ষক মওলানা কছিমউদ্দিন আহমেদকে পাকিস্তানি বাহিনী নির্মমভাবে হত্যা করে। বিদ্যালয়ের ছাত্রাবাস তাঁর নামের স্মৃতি বহন করছে।
বিজ্ঞানী স্যার [[বসু, আচার্য জগদীশচন্দ্র|জগদীশচন্দ্র বসু]], কলকাতা হাইকোর্টের বিচারক জি.এন রায়, জমিদার রায় বনমালী রায় বাহাদুর, প্রফেসর [[কামাল, আবু হেনা মোস্তফা|আবু হেনা মোস্তফা কামাল]], কলকাতা হাইকোর্টের চীফ জাস্টিস এস.সি লাহিড়ী, আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসা-র তরুণ বিজ্ঞানী শামীম আহমেদ আলফা প্রমুখ এই বিদ্যালয়ের কৃতী ছাত্র। ১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা প্রদানের কারণে বিদ্যালয়ের শিক্ষক মওলানা কছিমউদ্দিন আহমেদকে পাকিস্তানি বাহিনী নির্মমভাবে হত্যা করে। বিদ্যালয়ের ছাত্রাবাস তাঁর নামের স্মৃতি বহন করছে। [মো ওয়াজেদ আলী]
 
[মো ওয়াজেদ আলী]


[[en:Pabna Zila School]]
[[en:Pabna Zila School]]

১০:৪২, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

পাবনা জিলা স্কুল  জমিদার দিগম্বর সাহার উদ্যোগে অ্যাংলো ভার্নাকুলার স্কুল হিসেবে ১৮৩৬ থেকে ১৮৪০ সালের মধ্যে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। শুরুতে বিদ্যালয়টি ছিল শহরের পূর্ব প্রান্তে রাঘবপুরে অবস্থিত, পরে এটি গোপালপুরে আব্দুল হামিদ খান রোডে স্থানান্তরিত হয়। পাবনার এসডিও এ এবারক্রমবি ও এফ.এল বিউফোর্ট বিদ্যালয়টির উন্নয়নে দিগম্বর সাহাকে সহযোগিতা করেছিলেন। এ সময় বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন রামচন্দ্র নন্দী। ১৮৪০ সালে বিদ্যালয়টিকে উচ্চ ইংরেজি বিদ্যালয়ে রূপান্তরিত করা হয় এবং ১৮৫৩ সালে এটি সরকারিকরণ করা হয়। এ সময় গৌর নারায়ণ প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান। ২০০৯ সাল পর্যন্ত মোট ৫২ জন শিক্ষাবিদ এ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁদের তত্ত্বাবধানে বিদ্যালয়টি পাবনা জেলার অন্যতম সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে উঠেছে। ১৮৭০-১৮৭১ সালে পাবনা জেলা স্কুলের ছাত্র সংখ্যা ছিল ১৬৭, ১৯২০-২১ সালে ৩৫৫ এবং ১৯২১-২২ সালে ৩৯৭। বর্তমানে প্রভাতী ও দিবা, এ দুই শিফটে প্রায় দুই হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। পাঠদানের জন্য রয়েছেন মোট ৫০ জন শিক্ষক। ২.৯৫ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত এ বিদ্যালয়ে বর্তমানে প্রশাসনিক ভবন, শ্রেণিকক্ষ, ল্যাবরেটরি, ছাত্রাবাস, প্রধান শিক্ষকের বাসভবন, স্টোর ও মসজিদসহ মোট সাতটি ভবন রয়েছে।

বিজ্ঞানী স্যার জগদীশচন্দ্র বসু, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারক জি.এন রায়, জমিদার রায় বনমালী রায় বাহাদুর, প্রফেসর আবু হেনা মোস্তফা কামাল, কলকাতা হাইকোর্টের চীফ জাস্টিস এস.সি লাহিড়ী, আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসা-র তরুণ বিজ্ঞানী শামীম আহমেদ আলফা প্রমুখ এই বিদ্যালয়ের কৃতী ছাত্র। ১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা প্রদানের কারণে বিদ্যালয়ের শিক্ষক মওলানা কছিমউদ্দিন আহমেদকে পাকিস্তানি বাহিনী নির্মমভাবে হত্যা করে। বিদ্যালয়ের ছাত্রাবাস তাঁর নামের স্মৃতি বহন করছে। [মো ওয়াজেদ আলী]