পাথরঘাটা উপজেলা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) অ (Robot: Automated text replacement (-'''''তথ্যসূত্র''''' +'''তথ্যসূত্র''')) |
(হালনাগাদ) |
||
(একজন ব্যবহারকারী দ্বারা সম্পাদিত একটি মধ্যবর্তী সংশোধন দেখানো হচ্ছে না) | |||
২ নং লাইন: | ২ নং লাইন: | ||
'''পাথরঘাটা উপজেলা''' (বরগুনা জেলা) আয়তন: ৩৮৭.৩৬ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২২°৫৮´ থেকে ২২°১৪´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯°৫৩´ থেকে ৯০°০৫´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে মঠবাড়ীয়া ও বামনা উপজেলা, দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর, পূর্বে বরগুনা সদর উপজেলা ও বিশখালী নদী, পশ্চিমে শরণখোলা উপজেলা ও হরিণঘাটা নদী। | '''পাথরঘাটা উপজেলা''' (বরগুনা জেলা) আয়তন: ৩৮৭.৩৬ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২২°৫৮´ থেকে ২২°১৪´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯°৫৩´ থেকে ৯০°০৫´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে মঠবাড়ীয়া ও বামনা উপজেলা, দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর, পূর্বে বরগুনা সদর উপজেলা ও বিশখালী নদী, পশ্চিমে শরণখোলা উপজেলা ও হরিণঘাটা নদী। | ||
''জনসংখ্যা'' | ''জনসংখ্যা'' ১৬৩৯২৭; পুরুষ ৮০৫৪৪, মহিলা ৮৩৩৮৩। মুসলিম ১৪৬৮৬৩, হিন্দু ১৭০৩১, বৌদ্ধ ১, খ্রিস্টান ৩১ এবং অন্যান্য ১। | ||
''জলাশয়'' বিশখালী, হরিণঘাটা ও বলেশ্বরী নদী উল্লেখযোগ্য। | ''জলাশয়'' বিশখালী, হরিণঘাটা ও বলেশ্বরী নদী উল্লেখযোগ্য। | ||
১২ নং লাইন: | ১২ নং লাইন: | ||
| colspan="9" | উপজেলা | | colspan="9" | উপজেলা | ||
|- | |- | ||
| rowspan="2" | পৌরসভা || rowspan="2" | ইউনিয়ন || rowspan="2" | মৌজা || rowspan="2" | গ্রাম || colspan="2" | জনসংখ্যা || rowspan="2" | ঘনত্ব(প্রতি বর্গ কিমি) || colspan="2" | শিক্ষার হার (%) | | rowspan="2" | পৌরসভা || rowspan="2" | ইউনিয়ন || rowspan="2" | মৌজা || rowspan="2" | গ্রাম || colspan="2" | জনসংখ্যা || rowspan="2" | ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) || colspan="2" | শিক্ষার হার (%) | ||
|- | |- | ||
| শহর || গ্রাম || শহর || গ্রাম | | শহর || গ্রাম || শহর || গ্রাম | ||
|- | |- | ||
| ১ | | ১ || ৭ || ৪২ || ৬৬ || ২৮৫২১ || ১৩৫৪০৬ || ৪২৩ || ৬৭.৪ (২০০১) || ৫৯.৩ | ||
|} | |} | ||
{| class="table table-bordered table-hover" | {| class="table table-bordered table-hover" | ||
|- | |- | ||
|পৌরসভা | | colspan="9" | পৌরসভা | ||
|- | |- | ||
| আয়তন (বর্গ কিমি) || ওয়ার্ড || মহল্লা || লোকসংখ্যা || ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) || শিক্ষার হার (%) | | আয়তন (বর্গ কিমি) || ওয়ার্ড || মহল্লা || লোকসংখ্যা || ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) || শিক্ষার হার (%) | ||
|- | |- | ||
| ১৩.১১ | | ১৩.১১ (২০০১) || ৯ || ৯ || ১৭১৭৭ || ১০৮৯ (২০০১) || ৭২.৫ | ||
|} | |} | ||
{| class="table table-bordered table-hover" | {| class="table table-bordered table-hover" | ||
|- | |- | ||
| উপজেলা শহর | | colspan="9" | উপজেলা শহর | ||
|- | |- | ||
| আয়তন (বর্গ কিমি) || মৌজা || লোকসংখ্যা || ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) || শিক্ষার হার (%) | | আয়তন (বর্গ কিমি) || মৌজা || লোকসংখ্যা || ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) || শিক্ষার হার (%) | ||
|- | |- | ||
| ১৩.৯৫ | | ১৩.৯৫ (২০০১) || ৩ || ১১৩৪৪ || ৪৫৫ (২০০১) || ৫৬.৬ | ||
|} | |} | ||
{| class="table table-bordered table-hover" | {| class="table table-bordered table-hover" | ||
|- | |- | ||
| ইউনিয়ন | | colspan="9" | ইউনিয়ন | ||
|- | |- | ||
| rowspan="2" | ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড || rowspan="2" | আয়তন (একর) || colspan="2" | লোকসংখ্যা || rowspan="2" | শিক্ষার হার (%) | | rowspan="2" | ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড || rowspan="2" | আয়তন (একর) || colspan="2" | লোকসংখ্যা || rowspan="2" | শিক্ষার হার (%) | ||
৫২ নং লাইন: | ৪৩ নং লাইন: | ||
| পুরুষ || মহিলা | | পুরুষ || মহিলা | ||
|- | |- | ||
| পাথরঘাটা ৭১ | | পাথরঘাটা ৭১ || ১২৫২১ || ১৪২৪২ || ১৪২৪৯ || ৫৭.৬ | ||
|- | |- | ||
| কালমেঘা ৩৫ | | কালমেঘা ৩৫ || ১২৪৩১ || ১২৫৯৫ || ১৩২৯৯ || ৫৩.৬ | ||
|- | |- | ||
| কাকচিড়া ২৩ | | কাকচিড়া ২৩ || ৬৫১৯ || ১০১৫৮ || ১০৫৬২ || ৬০.৫ | ||
|- | |- | ||
| রায়হানপুর ৮৩ | | রায়হানপুর ৮৩ || ৬১১৪ || ৭০১৪ || ৭৭৯৬ || ৫৮.৮ | ||
|- | |- | ||
| চরদুআনি ১১ | | চরদুআনি ১১ || ৮৯২১ || ১২২৪৭ || ১২৩১৬ || ৫৪.২ | ||
|- | |- | ||
| কাঁঠালতলী ৪৭ | | কাঁঠালতলী ৪৭ || ৫৭৯৩ || ৯৫৩৬ || ১০২৫২ || ৬৭.৫ | ||
|- | |- | ||
| নাচনাপাড়া ৫৯ | | নাচনাপাড়া ৫৯ || ৫৫৫১ || ৬১১৫ || ৬৩৬৯ || ৬৭.৪ | ||
|} | |} | ||
''সূত্র'' আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো। | ''সূত্র'' আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১ ও ২০১১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো। | ||
[[Image:PatharghataUpazila.jpg|thumb|400px|right]] | |||
''ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান'' মসজিদ ৪৪৩, মন্দির ৫৬। | ''ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান'' মসজিদ ৪৪৩, মন্দির ৫৬। | ||
'' | ''মুক্তিযুদ্ধ'' পাকিস্তানি বাহিনী ১৯৭১ সালের ১৫ মে পাথরঘাটা প্রবেশ করে এবং ডহরপুর, বাদুরতলা ও কোবালিয়া গ্রামে তান্ডব চালিয়ে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে। মুক্তিযোদ্ধারা ছোটখাটো প্রতিরোধ সংঘটিত করলেও উপজেলায় পাকসেনাদের সঙ্গে তাদের সামনা-সামনি কোনো যুদ্ধ হয়নি। | ||
''বিস্তারিত দেখুন'' পাথরঘাটা উপজেলা, ''বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ'', বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি, ঢাকা ২০২০, খণ্ড ৫। | |||
''শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান'' গড় হার ৬০.৫%; পুরুষ ৬০.৩%, মহিলা ৬০.৬%। কলেজ ৩, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ২৪। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: পাথরঘাটা কেএম মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯২৯)। | |||
''পত্র-পত্রিকা ও সাময়িকী'' সংকল্প সংলাপ (নিয়মিত), পাথরঘাটা বার্তা (অবলুপ্ত)। | ''পত্র-পত্রিকা ও সাময়িকী'' সংকল্প সংলাপ (নিয়মিত), পাথরঘাটা বার্তা (অবলুপ্ত)। | ||
৯২ নং লাইন: | ৭৮ নং লাইন: | ||
''বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি'' মিষ্টি আলু, ফুটি, তরমুজ, তিল, তামাক। | ''বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি'' মিষ্টি আলু, ফুটি, তরমুজ, তিল, তামাক। | ||
''প্রধান ফল- | ''প্রধান ফল-ফলাদি'' কাঁঠাল, পেঁপে, কলা, আনারস, কাগজিলেবু। | ||
''মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার'' মৎস্য ৬১, গবাদিপশু ৬, হাঁস-মুরগি ১০। | ''মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার'' মৎস্য ৬১, গবাদিপশু ৬, হাঁস-মুরগি ১০। | ||
''যোগাযোগ বিশেষত্ব'' পাকারাস্তা ৬৭ কিমি, আধা-পাকারাস্তা ৪৭.৩৯ কিমি, কাঁচারাস্তা ২৭৪ কিমি; নৌপথ ৮২ কিমি। | |||
''বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন'' পাল্কি। | ''বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন'' পাল্কি। | ||
১০৪ নং লাইন: | ৯২ নং লাইন: | ||
''হাটবাজার ও মেলা'' হাটবাজার ১৬। পাথরঘাটা, কাকচিড়া, রূপদোন, হরিণঘাটা এবং চরদুআনি বাজার উল্লেখযোগ্য। | ''হাটবাজার ও মেলা'' হাটবাজার ১৬। পাথরঘাটা, কাকচিড়া, রূপদোন, হরিণঘাটা এবং চরদুআনি বাজার উল্লেখযোগ্য। | ||
''প্রধান রপ্তানিদ্রব্য'' | ''প্রধান রপ্তানিদ্রব্য'' ধান, ইলিশ মাছ, চিংড়ি পোনা। | ||
''বিদ্যুৎ ব্যবহার'' এ উপজেলার সবক’টি ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে | ''বিদ্যুৎ ব্যবহার'' এ উপজেলার সবক’টি ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ৩১.০% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। | ||
''পানীয়জলের উৎস'' নলকূপ | ''পানীয়জলের উৎস'' নলকূপ ৪৯.৮%, ট্যাপ ৬.৪% এবং অন্যান্য ৪৩.৮%। | ||
''স্যানিটেশন ব্যবস্থা'' এ উপজেলার | ''স্যানিটেশন ব্যবস্থা'' এ উপজেলার ৭৭.৭% পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং ২১.২% পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। ১.১% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই। | ||
''স্বাস্থ্যকেন্দ্র'' উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র ১, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ৫, ক্লিনিক ১। | ''স্বাস্থ্যকেন্দ্র'' উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র ১, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ৫, ক্লিনিক ১। | ||
''প্রাকৃতিক দুর্যোগ'' ১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর জলোচ্ছ্বাসে এবং ২০০৬ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর টর্নেডোতে উপজেলায় ৪ শতাধিক প্রাণহানির ঘটনাসহ ঘরবাড়ি, গবাদিপশু ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। | ''প্রাকৃতিক দুর্যোগ'' ১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর জলোচ্ছ্বাসে এবং ২০০৬ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর টর্নেডোতে উপজেলায় ৪ শতাধিক প্রাণহানির ঘটনাসহ ঘরবাড়ি, গবাদিপশু ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। | ||
এনজিও আশা, কারিতাস, ব্র্যাক, প্রশিকা। | এনজিও আশা, কারিতাস, ব্র্যাক, প্রশিকা। [সফিউদ্দিন আহমেদ] | ||
[সফিউদ্দিন আহমেদ | |||
'''তথ্যসূত্র''' আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১ ও ২০১১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; পাথরঘাটা উপজেলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭। | |||
[[en:Patharghata Upazila]] | [[en:Patharghata Upazila]] |
০৭:৩৩, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ
পাথরঘাটা উপজেলা (বরগুনা জেলা) আয়তন: ৩৮৭.৩৬ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২২°৫৮´ থেকে ২২°১৪´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯°৫৩´ থেকে ৯০°০৫´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে মঠবাড়ীয়া ও বামনা উপজেলা, দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর, পূর্বে বরগুনা সদর উপজেলা ও বিশখালী নদী, পশ্চিমে শরণখোলা উপজেলা ও হরিণঘাটা নদী।
জনসংখ্যা ১৬৩৯২৭; পুরুষ ৮০৫৪৪, মহিলা ৮৩৩৮৩। মুসলিম ১৪৬৮৬৩, হিন্দু ১৭০৩১, বৌদ্ধ ১, খ্রিস্টান ৩১ এবং অন্যান্য ১।
জলাশয় বিশখালী, হরিণঘাটা ও বলেশ্বরী নদী উল্লেখযোগ্য।
প্রশাসন পাথরঘাটা থানা গঠিত হয় ১৯২৫ সালে এবং থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয় ১৯৮২ সালে।
উপজেলা | ||||||||
পৌরসভা | ইউনিয়ন | মৌজা | গ্রাম | জনসংখ্যা | ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) | শিক্ষার হার (%) | ||
শহর | গ্রাম | শহর | গ্রাম | |||||
১ | ৭ | ৪২ | ৬৬ | ২৮৫২১ | ১৩৫৪০৬ | ৪২৩ | ৬৭.৪ (২০০১) | ৫৯.৩ |
পৌরসভা | ||||||||
আয়তন (বর্গ কিমি) | ওয়ার্ড | মহল্লা | লোকসংখ্যা | ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) | শিক্ষার হার (%) | |||
১৩.১১ (২০০১) | ৯ | ৯ | ১৭১৭৭ | ১০৮৯ (২০০১) | ৭২.৫ |
উপজেলা শহর | ||||||||
আয়তন (বর্গ কিমি) | মৌজা | লোকসংখ্যা | ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) | শিক্ষার হার (%) | ||||
১৩.৯৫ (২০০১) | ৩ | ১১৩৪৪ | ৪৫৫ (২০০১) | ৫৬.৬ |
ইউনিয়ন | ||||||||
ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড | আয়তন (একর) | লোকসংখ্যা | শিক্ষার হার (%) | |||||
পুরুষ | মহিলা | |||||||
পাথরঘাটা ৭১ | ১২৫২১ | ১৪২৪২ | ১৪২৪৯ | ৫৭.৬ | ||||
কালমেঘা ৩৫ | ১২৪৩১ | ১২৫৯৫ | ১৩২৯৯ | ৫৩.৬ | ||||
কাকচিড়া ২৩ | ৬৫১৯ | ১০১৫৮ | ১০৫৬২ | ৬০.৫ | ||||
রায়হানপুর ৮৩ | ৬১১৪ | ৭০১৪ | ৭৭৯৬ | ৫৮.৮ | ||||
চরদুআনি ১১ | ৮৯২১ | ১২২৪৭ | ১২৩১৬ | ৫৪.২ | ||||
কাঁঠালতলী ৪৭ | ৫৭৯৩ | ৯৫৩৬ | ১০২৫২ | ৬৭.৫ | ||||
নাচনাপাড়া ৫৯ | ৫৫৫১ | ৬১১৫ | ৬৩৬৯ | ৬৭.৪ |
সূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১ ও ২০১১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মসজিদ ৪৪৩, মন্দির ৫৬।
মুক্তিযুদ্ধ পাকিস্তানি বাহিনী ১৯৭১ সালের ১৫ মে পাথরঘাটা প্রবেশ করে এবং ডহরপুর, বাদুরতলা ও কোবালিয়া গ্রামে তান্ডব চালিয়ে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে। মুক্তিযোদ্ধারা ছোটখাটো প্রতিরোধ সংঘটিত করলেও উপজেলায় পাকসেনাদের সঙ্গে তাদের সামনা-সামনি কোনো যুদ্ধ হয়নি।
বিস্তারিত দেখুন পাথরঘাটা উপজেলা, বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি, ঢাকা ২০২০, খণ্ড ৫।
শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড় হার ৬০.৫%; পুরুষ ৬০.৩%, মহিলা ৬০.৬%। কলেজ ৩, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ২৪। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: পাথরঘাটা কেএম মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯২৯)।
পত্র-পত্রিকা ও সাময়িকী সংকল্প সংলাপ (নিয়মিত), পাথরঘাটা বার্তা (অবলুপ্ত)।
সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান লাইব্রে্রি ১, ক্লাব ৩৫, মহিলা সংগঠন ৭, সিনেমা হল ৫।
জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষি ৬০.৩%, অকৃষি শ্রমিক ৩.৮৭%, শিল্প ০.৫৫% ব্যবসা ১৫.৮৮%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ২.২১%, চাকরি ৬.৪২%, নির্মাণ ১.৪৬%, ধর্মীয় সেবা ০.১৯%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ০.২৫% এবং অন্যান্য ৮.৮৭%।
প্রধান কৃষি ফসল ধান, আলু, খেসারি, মুগ, শাকসবজি।
বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি মিষ্টি আলু, ফুটি, তরমুজ, তিল, তামাক।
প্রধান ফল-ফলাদি কাঁঠাল, পেঁপে, কলা, আনারস, কাগজিলেবু।
মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার মৎস্য ৬১, গবাদিপশু ৬, হাঁস-মুরগি ১০।
যোগাযোগ বিশেষত্ব পাকারাস্তা ৬৭ কিমি, আধা-পাকারাস্তা ৪৭.৩৯ কিমি, কাঁচারাস্তা ২৭৪ কিমি; নৌপথ ৮২ কিমি।
বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন পাল্কি।
শিল্প ও কলকারখানা স’মিল, ধানকল, বরফকল, ওয়েল্ডিং কারখানা।
কুটিরশিল্প স্বর্ণশিল্প, লৌহশিল্প, সূচিশিল্প, বাঁশ ও কাঠের কাজ।
হাটবাজার ও মেলা হাটবাজার ১৬। পাথরঘাটা, কাকচিড়া, রূপদোন, হরিণঘাটা এবং চরদুআনি বাজার উল্লেখযোগ্য।
প্রধান রপ্তানিদ্রব্য ধান, ইলিশ মাছ, চিংড়ি পোনা।
বিদ্যুৎ ব্যবহার এ উপজেলার সবক’টি ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ৩১.০% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।
পানীয়জলের উৎস নলকূপ ৪৯.৮%, ট্যাপ ৬.৪% এবং অন্যান্য ৪৩.৮%।
স্যানিটেশন ব্যবস্থা এ উপজেলার ৭৭.৭% পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং ২১.২% পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। ১.১% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই।
স্বাস্থ্যকেন্দ্র উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র ১, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ৫, ক্লিনিক ১।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ ১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর জলোচ্ছ্বাসে এবং ২০০৬ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর টর্নেডোতে উপজেলায় ৪ শতাধিক প্রাণহানির ঘটনাসহ ঘরবাড়ি, গবাদিপশু ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়।
এনজিও আশা, কারিতাস, ব্র্যাক, প্রশিকা। [সফিউদ্দিন আহমেদ]
তথ্যসূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১ ও ২০১১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; পাথরঘাটা উপজেলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭।