ফিঙে: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) অ (Added Ennglish article link) |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
(একই ব্যবহারকারী দ্বারা সম্পাদিত একটি মধ্যবর্তী সংশোধন দেখানো হচ্ছে না) | |||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
[[Category:বাংলাপিডিয়া]] | [[Category:বাংলাপিডিয়া]] | ||
[[Image:DrongoBlack.jpg|thumb|200px|right|কালো ফিঙে]] | |||
'''ফিঙে''' (Drongo) Passeriformes বর্গের Corvidae গোত্রের গায়ক পাখি। মাঝারি আকার, উজ্জ্বল কালো রং, লম্বা ও চোখা ডানা, সামান্য বাঁকা শক্ত ঠোঁট যার গোড়ায় লম্বা গোঁফ, দীর্ঘ ও খাঁজকাটা লেজ এদের বৈশিষ্ট্য। | '''ফিঙে''' (Drongo) Passeriformes বর্গের Corvidae গোত্রের গায়ক পাখি। মাঝারি আকার, উজ্জ্বল কালো রং, লম্বা ও চোখা ডানা, সামান্য বাঁকা শক্ত ঠোঁট যার গোড়ায় লম্বা গোঁফ, দীর্ঘ ও খাঁজকাটা লেজ এদের বৈশিষ্ট্য। | ||
আফ্রিকা, প্রাচ্য ও অস্ট্রেলিয়ায় দেখা গেলেও দক্ষিণ এশিয়ায় এই গোত্রের প্রাধান্য লক্ষণীয়। ফিঙে প্রায়শ নিজের চেয়ে অনেক বড় পাখিকেও তাড়া করে এবং অনেক সময় প্রতিবেশী নিরীহ পাখিদের আগ্রাসী শিকারি পাখির হামলা থেকে বাঁচায়। প্রধানত পতঙ্গভুক, উড়ন্ত কীটপতঙ্গ ধরে খায়, আবার কখনও ছোটখাটো মেরুদন্ডী খায়। পৃথিবীতে প্রায় ২৪ প্রজাতি আছে, বাংলাদেশে আছে ৬ প্রজাতি। | আফ্রিকা, প্রাচ্য ও অস্ট্রেলিয়ায় দেখা গেলেও দক্ষিণ এশিয়ায় এই গোত্রের প্রাধান্য লক্ষণীয়। ফিঙে প্রায়শ নিজের চেয়ে অনেক বড় পাখিকেও তাড়া করে এবং অনেক সময় প্রতিবেশী নিরীহ পাখিদের আগ্রাসী শিকারি পাখির হামলা থেকে বাঁচায়। প্রধানত পতঙ্গভুক, উড়ন্ত কীটপতঙ্গ ধরে খায়, আবার কখনও ছোটখাটো মেরুদন্ডী খায়। পৃথিবীতে প্রায় ২৪ প্রজাতি আছে, বাংলাদেশে আছে ৬ প্রজাতি। | ||
'' | ''সারণি'' বাংলাদেশের ফিঙে। | ||
{| class="table table-bordered table-hover" | |||
বৈজ্ঞানিক নাম | |- | ||
| বৈজ্ঞানিক নাম || ইংরেজি নাম ও সংক্ষিপ্ত বর্ণনা || স্থানীয় নাম || বিস্তার | |||
Dicrurus aenens | |- | ||
| ''Dicrurus aenens'' || Bronzed Drongo: বুলবুলির আকারের উজ্জ্বল কালো শরীরে তামাটে-সবুজ ও নীলের চকচকে পালিশ। লেজ ততটা খাঁজকাটা নয়। প্রজননকাল মার্চ-জুন। ডিম ৩-৪। প্রজনন ও আনুষঙ্গিক কর্মকান্ডে উভয়ে শরিক হয়। || ছোট ফিঙে || সর্বত্র | |||
Dicrurus annectans | |- | ||
| ''Dicrurus annectans'' || Crow-billed Drongo: ময়নার আকারের উজ্জ্বল কালো পাখি। কিছুটা ব্যতিক্রমী ধরনের এই ফিঙের বাস মিশ্র চিরসবুজ বনে। প্রজননকাল এপ্রিল-জুন। ডিম ৩-৪, কেবল মা ডিমে তা দেয়। || --- || মিশ্র-চিরসবুজ বন | |||
Dicrurus holientottus | |- | ||
| ''Dicrurus holientottus'' || Spangled Drongo/Hairycrested Drongo: ময়নার আকারের নীল-কালো পাখি। লেজ লম্বা, সামান্য খাঁজ, আগা উপরের দিকে বাঁকা। কপাল থেকে গজানো কয়েকটি লোমসদৃশ পালক পশ্চাৎ ঝুঁটি পর্যন্ত ছড়ানো। একা, জোড়ায় বা ছোট দলে দেখা যায়। ফুলের মধুরস ও বড় বড় পতঙ্গ প্রধান খাদ্য। প্র্জননকাল এপ্রিল-জুন। ডিম ৩-৪। || কেশরাজ || বন | |||
Dicrurus macrocercus[D. adsimilis] | |- | ||
| ''Dicrurus macrocercus'' [''D. adsimilis''] || Black Drongo: বুলবুলির আকারের উজ্জ্বল কালো পাখি। গ্রামাঞ্চলে খোলা জায়গায় প্রায় সর্বদাই টেলিগ্রাফের তার বা গাছের মরা ডালে বসে থাকে। প্রজননকাল এপ্রিল-আগষ্ট। ডিম ৩-৫। মা-বাবা দুজনই প্রজনন ও আনুষঙ্গিক কাজের শরিক হয়। || ফিঙে || সর্বত্র | |||
Dicrurus paradiseus | |- | ||
| ''Dicrurus paradiseus'' || Greater Racket-tailed Drongo: ময়নার আকারের উজ্জ্বল কালো পাখি, কপালে ঝুঁটি। লেজের আগায় ২টি লম্বা কাঠির মাথায় চামচ আকৃতির পালক। স্ত্রী-পুরূষ দৃশ্যত অভিন্ন। একক বা ছড়ানোভাবে দলবদ্ধ। সর্বদাই চেঁচায়। প্রজননকাল মার্চ-জুন। ডিম ৩-৪, হালকা হলুদ-সাদা, তাতে লালচে বাদামি দাগ। || ভিমরাজ || বন | |||
Dicrurus remifer | |- | ||
| ''Dicrurus remifer'' || Lesser Racket-tailed Drongo: আকারে ও রঙে ভিমরাজের মতো। ঠোঁটের গোড়ায় একগুচ্ছ পালক। লেজের আগায় ২টি কাঠি যার দুপাশ ঢেউ-খেলানো। স্ত্রী-পুরূষ দৃশ্যত অভিন্ন। সর্বদা চেঁচায়, অন্যান্য পতঙ্গভুক পাখির সঙ্গে থাকে। প্রজননকাল এপ্রিল-জুন। ডিম ৩-৪। বাসা তৈরিসহ যাবতীয় কর্মকান্ডে দুজনই শরিক হয়। || --- || বন | |||
স্ত্রী-পুরুষ দৃশ্যত অভিন্নপ্রায়। [মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম] | স্ত্রী-পুরুষ দৃশ্যত অভিন্নপ্রায়। [মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম] | ||
[[en:Drongo]] | [[en:Drongo]] |
১০:২৬, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ
ফিঙে (Drongo) Passeriformes বর্গের Corvidae গোত্রের গায়ক পাখি। মাঝারি আকার, উজ্জ্বল কালো রং, লম্বা ও চোখা ডানা, সামান্য বাঁকা শক্ত ঠোঁট যার গোড়ায় লম্বা গোঁফ, দীর্ঘ ও খাঁজকাটা লেজ এদের বৈশিষ্ট্য।
আফ্রিকা, প্রাচ্য ও অস্ট্রেলিয়ায় দেখা গেলেও দক্ষিণ এশিয়ায় এই গোত্রের প্রাধান্য লক্ষণীয়। ফিঙে প্রায়শ নিজের চেয়ে অনেক বড় পাখিকেও তাড়া করে এবং অনেক সময় প্রতিবেশী নিরীহ পাখিদের আগ্রাসী শিকারি পাখির হামলা থেকে বাঁচায়। প্রধানত পতঙ্গভুক, উড়ন্ত কীটপতঙ্গ ধরে খায়, আবার কখনও ছোটখাটো মেরুদন্ডী খায়। পৃথিবীতে প্রায় ২৪ প্রজাতি আছে, বাংলাদেশে আছে ৬ প্রজাতি।
সারণি বাংলাদেশের ফিঙে।
বৈজ্ঞানিক নাম | ইংরেজি নাম ও সংক্ষিপ্ত বর্ণনা | স্থানীয় নাম | বিস্তার |
Dicrurus aenens | Bronzed Drongo: বুলবুলির আকারের উজ্জ্বল কালো শরীরে তামাটে-সবুজ ও নীলের চকচকে পালিশ। লেজ ততটা খাঁজকাটা নয়। প্রজননকাল মার্চ-জুন। ডিম ৩-৪। প্রজনন ও আনুষঙ্গিক কর্মকান্ডে উভয়ে শরিক হয়। | ছোট ফিঙে | সর্বত্র |
Dicrurus annectans | Crow-billed Drongo: ময়নার আকারের উজ্জ্বল কালো পাখি। কিছুটা ব্যতিক্রমী ধরনের এই ফিঙের বাস মিশ্র চিরসবুজ বনে। প্রজননকাল এপ্রিল-জুন। ডিম ৩-৪, কেবল মা ডিমে তা দেয়। | --- | মিশ্র-চিরসবুজ বন |
Dicrurus holientottus | Spangled Drongo/Hairycrested Drongo: ময়নার আকারের নীল-কালো পাখি। লেজ লম্বা, সামান্য খাঁজ, আগা উপরের দিকে বাঁকা। কপাল থেকে গজানো কয়েকটি লোমসদৃশ পালক পশ্চাৎ ঝুঁটি পর্যন্ত ছড়ানো। একা, জোড়ায় বা ছোট দলে দেখা যায়। ফুলের মধুরস ও বড় বড় পতঙ্গ প্রধান খাদ্য। প্র্জননকাল এপ্রিল-জুন। ডিম ৩-৪। | কেশরাজ | বন |
Dicrurus macrocercus [D. adsimilis] | Black Drongo: বুলবুলির আকারের উজ্জ্বল কালো পাখি। গ্রামাঞ্চলে খোলা জায়গায় প্রায় সর্বদাই টেলিগ্রাফের তার বা গাছের মরা ডালে বসে থাকে। প্রজননকাল এপ্রিল-আগষ্ট। ডিম ৩-৫। মা-বাবা দুজনই প্রজনন ও আনুষঙ্গিক কাজের শরিক হয়। | ফিঙে | সর্বত্র |
Dicrurus paradiseus | Greater Racket-tailed Drongo: ময়নার আকারের উজ্জ্বল কালো পাখি, কপালে ঝুঁটি। লেজের আগায় ২টি লম্বা কাঠির মাথায় চামচ আকৃতির পালক। স্ত্রী-পুরূষ দৃশ্যত অভিন্ন। একক বা ছড়ানোভাবে দলবদ্ধ। সর্বদাই চেঁচায়। প্রজননকাল মার্চ-জুন। ডিম ৩-৪, হালকা হলুদ-সাদা, তাতে লালচে বাদামি দাগ। | ভিমরাজ | বন |
Dicrurus remifer | Lesser Racket-tailed Drongo: আকারে ও রঙে ভিমরাজের মতো। ঠোঁটের গোড়ায় একগুচ্ছ পালক। লেজের আগায় ২টি কাঠি যার দুপাশ ঢেউ-খেলানো। স্ত্রী-পুরূষ দৃশ্যত অভিন্ন। সর্বদা চেঁচায়, অন্যান্য পতঙ্গভুক পাখির সঙ্গে থাকে। প্রজননকাল এপ্রিল-জুন। ডিম ৩-৪। বাসা তৈরিসহ যাবতীয় কর্মকান্ডে দুজনই শরিক হয়। | --- | বন
স্ত্রী-পুরুষ দৃশ্যত অভিন্নপ্রায়। [মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম] |