খান, সিরাজুল হক: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) অ (Added Ennglish article link) |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
[[Category:বাংলাপিডিয়া]] | [[Category:বাংলাপিডিয়া]] | ||
[[Image:KhanSirajulHaque.jpg |right|thumbnail|300px|সিরাজুল হক খান]] | |||
'''খান, সিরাজুল হক''' (১৯২৪-১৯৭১) শিক্ষাবিদ, শহীদ বুদ্ধিজীবী। জন্ম ১৯২৪ সালে ফেনী জেলার পরশুরাম উপজেলার সাতকুচিয়া গ্রামে। পিতা চৌধুরী চাঁন্দ খান। সাতকুচিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তিনি প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন। ১৯৩৯ সালে ফুলগাজী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তিনি ১৯৪১ সালে ফেনী কলেজ থেকে আই.এ এবং ১৯৪৩ সালে বি.এ পাস করেন। | '''খান, সিরাজুল হক''' (১৯২৪-১৯৭১) শিক্ষাবিদ, শহীদ বুদ্ধিজীবী। জন্ম ১৯২৪ সালে ফেনী জেলার পরশুরাম উপজেলার সাতকুচিয়া গ্রামে। পিতা চৌধুরী চাঁন্দ খান। সাতকুচিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তিনি প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন। ১৯৩৯ সালে ফুলগাজী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তিনি ১৯৪১ সালে ফেনী কলেজ থেকে আই.এ এবং ১৯৪৩ সালে বি.এ পাস করেন। | ||
১০:০০, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ
খান, সিরাজুল হক (১৯২৪-১৯৭১) শিক্ষাবিদ, শহীদ বুদ্ধিজীবী। জন্ম ১৯২৪ সালে ফেনী জেলার পরশুরাম উপজেলার সাতকুচিয়া গ্রামে। পিতা চৌধুরী চাঁন্দ খান। সাতকুচিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তিনি প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন। ১৯৩৯ সালে ফুলগাজী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তিনি ১৯৪১ সালে ফেনী কলেজ থেকে আই.এ এবং ১৯৪৩ সালে বি.এ পাস করেন।
সরকারের কাস্টমস অ্যান্ড এক্সাইজ বিভাগে ইনস্পেক্টর হিসেবে সিরাজুল হক খান কর্মজীবন শুরু করেন। কিন্তু কিছুদিন পর তিনি চাকুরিতে ইস্তফা দিয়ে ফুলগাজী উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদে যোগদান করেন। পেশাগত ডিগ্রি অর্জনের জন্য তিনি ১৯৪৮ সালে ঢাকা টিচার্স ট্রেনিং কলেজে ভর্তি হন এবং ১৯৪৯ সালে বি.টি (ব্যাচেলর অব টিচিং) ডিগ্রি লাভ করেন। একই বছর তিনি ফুলগাজী স্কুলের চাকzুর ত্যাগ করে ঢাকার আরমানিটোলা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। পরে তিনি ঢাকার মতিঝিল সেন্ট্রাল গভর্নমেন্ট উচ্চ বিদ্যালয় এবং সরকারি ল্যাবরেটরী উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। সিরাজুল হক খান ১৯৬৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউট থেকে এম.এড ডিগ্রি লাভ করেন। একই বছর শিক্ষা বিষয়ে উচ্চতর গবেষণার জন্য তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের বৃত্তিলাভ করেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো স্টেট কলেজে ডক্টর অব এডুকেশন প্রোগ্রামে যোগ দেন। ১৯৬৭ সালে ডক্টর অব এডুকেশন ডিগ্রি নিয়ে দেশে ফিরে এসে ১৯৬৮ সালের ১১ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউটে শিক্ষা প্রশাসন বিভাগে সহকারি অধ্যাপক পদে যোগ দেন।
সিরাজুল হক খান ছিলেন একজন নামকরা পাঠ্যপুস্তক প্রণেতা। তিনি স্কুল টেক্র্ট বুক বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত বাংলা, ইংরেজি ও ইতিহাস বিষয়ে পাঠ্যপুস্তক রচনা করেন। তিনি ছিলেন রাজনীতি সচেতন এবং বাম রাজনীতির সমর্থক। এ কারণে ১৯৫১ সালে তিনি পুলিশী হয়রানির শিকার হন।
সিরাজুল হক খান ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে প্রত্যক্ষভাবে কাজ করেন। ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর সিরাজুল হক খানকে তাঁর আবাসস্থল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্টাফ কোয়ার্টার্স (১৬নং বিল্ডিং) থেকে আল-বদর বাহিনীর সদস্যরা ধরে নিয়ে যায়। পরে মিরপুর বধ্যভূমি থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে তিনি সমাহিত হন।
১৯৯১ সালের ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ডাকবিভাগ সিরাজুল হক খানের নামে স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করে। [মোঃ এনামুল হক খান]