গোখরা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Added Ennglish article link)
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
(একই ব্যবহারকারী দ্বারা সম্পাদিত একটি মধ্যবর্তী সংশোধন দেখানো হচ্ছে না)
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
'''গোখরা''' (Cobra)  Elapidae গোত্রের Naja গণের অন্তর্ভুক্ত বিষধর সাপ। এ গোত্রের রাজগোখরা (King Cobra) এবং শঙ্খিনী (Krait) সাপও গোখরার মতো বিষধর। গোখরার দুটি প্রজাতি বাংলাদেশে পাওয়া যায়। একটির ফণায় থাকে চশমার মতো দুটি চক্র, খইয়া বা খড়মপায়া গোখরা Naja naja; দ্বিতীয়টির (N. kaouthia) ফণায় থাকে চশমার এক পাশের খোপের মতো একটি চক্র, আর সাধারণ মানুষের কাছে এটিই গোখরা হিসেবে বেশি পরিচিত। গোখরা উত্তেজিত হলে ওদের ঘাড়ের লম্বা হাড় স্ফীত হয়ে ওঠে, তাতে চমৎকার ফণাটি বিস্তৃত হয়। চশমার মতো চক্রধারী ফণায় U-এর মতো যে উজ্জ্বল কালো চিহ্ন থাকে সেটা ঘিরে রাখে একটি হালকা বাদামি রঙের রেখা। অন্য জাতের গোখরার চক্রধারী ফণায় থাকে বড় কালো ছোপ বা একটি ইংরেজি O-এর মতো বলয় আর সেটা ঘিরে থাকে আরেকটি হলুদ বা কমলা রঙের বেড়।
'''গোখরা''' (Cobra)  Elapidae গোত্রের Naja গণের অন্তর্ভুক্ত বিষধর সাপ। এ গোত্রের রাজগোখরা (King Cobra) এবং শঙ্খিনী (Krait) সাপও গোখরার মতো বিষধর। গোখরার দুটি প্রজাতি বাংলাদেশে পাওয়া যায়। একটির ফণায় থাকে চশমার মতো দুটি চক্র, খইয়া বা খড়মপায়া গোখরা (''Naja naja''); দ্বিতীয়টির (''N. kaouthia'') ফণায় থাকে চশমার এক পাশের খোপের মতো একটি চক্র, আর সাধারণ মানুষের কাছে এটিই গোখরা হিসেবে বেশি পরিচিত। গোখরা উত্তেজিত হলে ওদের ঘাড়ের লম্বা হাড় স্ফীত হয়ে ওঠে, তাতে চমৎকার ফণাটি বিস্তৃত হয়। চশমার মতো চক্রধারী ফণায় U-এর মতো যে উজ্জ্বল কালো চিহ্ন থাকে সেটা ঘিরে রাখে একটি হালকা বাদামি রঙের রেখা। অন্য জাতের গোখরার চক্রধারী ফণায় থাকে বড় কালো ছোপ বা একটি ইংরেজি O-এর মতো বলয় আর সেটা ঘিরে থাকে আরেকটি হলুদ বা কমলা রঙের বেড়।


গোখরা দৈর্ঘ্যে হয় প্রায় ১.৫ মিটার। এরা নিশাচর, থাকে মানুষের বসতবাড়ির আশেপাশে, চাষের জমি ও বনাঞ্চলে, খায় ইঁদুরজাতীয় প্রাণী, ছোট পাখি, ব্যাঙসহ অন্যান্য উভচর জীব এবং কখনও কখনও মাছ। গোখরা ১০-২৫টি ডিম পাড়ে এবং প্রায় দুই মাস ধরে ডিম পাহারা দেয়। ডিমে তা দেয় না। সাধারণত ৬০-৭০ দিনের মধ্যে ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয়।
গোখরা দৈর্ঘ্যে হয় প্রায় ১.৫ মিটার। এরা নিশাচর, থাকে মানুষের বসতবাড়ির আশেপাশে, চাষের জমি ও বনাঞ্চলে, খায় ইঁদুরজাতীয় প্রাণী, ছোট পাখি, ব্যাঙসহ অন্যান্য উভচর জীব এবং কখনও কখনও মাছ। গোখরা ১০-২৫টি ডিম পাড়ে এবং প্রায় দুই মাস ধরে ডিম পাহারা দেয়। ডিমে তা দেয় না। সাধারণত ৬০-৭০ দিনের মধ্যে ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয়।
[[Image:Cobra.jpg|thumb|400px|right|রাজগোখরা [ছবি: মো. আলী রেজা]]]


এদের উপরের চোয়ালের সামনের দিকের শক্ত বিষদাঁত দুটি একটি বিষগ্রন্থির সঙ্গে যুক্ত থাকে। কতকগুলি বিশেষ ধরনের পেশী সাপের মুখ খোলার এবং একই সঙ্গে বিষগ্রন্থিতে চাপ সৃষ্টির কাজ করে। এ চাপের ফলে বিষগ্রন্থি থেকে পিচকারির বেগে বিষ বেরিয়ে খাদের মধ্য দিয়ে বিষদাঁতে পৌঁছায়। গোখরার বিষ সরাসরি স্নায়ুকে আক্রমণ করে, ফলে ফুসফুস অবশ এবং হূৎপিন্ড নিষ্ক্রিয় হয়।
এদের উপরের চোয়ালের সামনের দিকের শক্ত বিষদাঁত দুটি একটি বিষগ্রন্থির সঙ্গে যুক্ত থাকে। কতকগুলি বিশেষ ধরনের পেশী সাপের মুখ খোলার এবং একই সঙ্গে বিষগ্রন্থিতে চাপ সৃষ্টির কাজ করে। এ চাপের ফলে বিষগ্রন্থি থেকে পিচকারির বেগে বিষ বেরিয়ে খাদের মধ্য দিয়ে বিষদাঁতে পৌঁছায়। গোখরার বিষ সরাসরি স্নায়ুকে আক্রমণ করে, ফলে ফুসফুস অবশ এবং হূৎপিন্ড নিষ্ক্রিয় হয়।


'''রাজগোখরা''' (King Cobra) পৃথিবীর দীর্ঘতম বিষাক্ত সাপ Ophiophagus hannah। এদের দৈর্ঘ্য হয় ৫.৫ মিটার পর্যন্ত। অন্য প্রজাতির গোখরার (যেমন, Naja species) ফণা থেকে রাজগোখরার ফণা অপেক্ষাকৃত ছোট হলেও সে ফনাটি মানুষের মাথাসমান উঁচুতে তুলতে পারে। প্রাপ্তবয়স্ক এ সাপের গায়ের রং কালচে থেকে ফ্যাকাসে ধূসর, মাথায় ও ঘাড়ে অস্পষ্ট রেখা, কিন্তু বাচ্চা রাজগোখরার মাথা ও ঘাড়ে উজ্জ্বল রঙের ডোরা থাকে। বাংলাদেশের সুন্দরবন অঞ্চলেই এদের সংখ্যা বেশি। বৃহত্তর সিলেট ও বৃহত্তর চট্টগ্রাম বিভাগের বনাঞ্চলে মাঝে মাঝে দেখা যায়।
'''''রাজগোখরা''''' (King Cobra) পৃথিবীর দীর্ঘতম বিষাক্ত সাপ ''Ophiophagus hannah''। এদের দৈর্ঘ্য হয় ৫.৫ মিটার পর্যন্ত। অন্য প্রজাতির গোখরার (যেমন, Naja species) ফণা থেকে রাজগোখরার ফণা অপেক্ষাকৃত ছোট হলেও সে ফনাটি মানুষের মাথাসমান উঁচুতে তুলতে পারে। প্রাপ্তবয়স্ক এ সাপের গায়ের রং কালচে থেকে ফ্যাকাসে ধূসর, মাথায় ও ঘাড়ে অস্পষ্ট রেখা, কিন্তু বাচ্চা রাজগোখরার মাথা ও ঘাড়ে উজ্জ্বল রঙের ডোরা থাকে। বাংলাদেশের সুন্দরবন অঞ্চলেই এদের সংখ্যা বেশি। বৃহত্তর সিলেট ও বৃহত্তর চট্টগ্রাম বিভাগের বনাঞ্চলে মাঝে মাঝে দেখা যায়।


[[Image:Cobra.jpg|thumb|400px|right|রাজগোখরা  [''ছবি: আলী রেজা খান'']]]
রাজগোখরা সাধারণত দিবাচর। গাছ, বাঁশ, প্রাচীর ইত্যাদি বেয়ে ওঠা, সাঁতার কাটা ও মাটির উপর দিয়ে দ্রুত চলাফেরায় খুবই পটু। এরা বিষধর ও বিষহীন দুধরনের সাপ খায়। সম্ভবত এ কারণেই সাপটি Ophiophagus (অর্থাৎ সর্পভুক) গণভুক্ত করা হয়েছে। রাজগোখরা অন্যান্য সাপের তুলনায় ডিমের বেশি যত্ন নেয়। যৌনমিলনের সময় পুরুষ ও স্ত্রী সাপ পরস্পরকে পেঁচিয়ে ধরে। মিলনশেষে স্ত্রী সাপ বনের মেঝে থেকে কুড়ানো পাতা ও আবর্জনা দিয়ে দোতলা বাসা বানায়। সেখানে প্রায় তিন ডজন ডিম পাড়ে ও পরে অতিরিক্ত আবর্জনা দিয়ে বাসা ঢেকে দেয়। পরিশেষে স্ত্রী সাপ বাসার ছাদে আঁটসাঁট হয়ে বসে এবং ডিম না ফোটা পর্যন্ত সরে না। ডিম ৭০ দিন বা আরও পরে ফুটে। প্রহরারত স্ত্রী সাপ শিকার করে না। ডিমের উপর বসে থাকলেও সে ডিমে তা দেয় না। পাতা ও আবর্জনা থেকে বের হওয়া তাপই সম্ভবত ডিম গরম রাখে। রাজগোখরা প্রতি দংশনে ২০০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত স্নায়ুনাশী বিষ প্রবিষ্ট করাতে পারে। সাধারণত ৬০ কিলোগ্রাম ওজনের একটি মানুষের মৃত্যুর জন্য ১৬ মিলিগ্রাম বিষই যথেষ্ট।  [আলী রেজা খান]
রাজগোখরা সাধারণত দিবাচর। গাছ, বাঁশ, প্রাচীর ইত্যাদি বেয়ে ওঠা, সাঁতার কাটা ও মাটির উপর দিয়ে দ্রুত চলাফেরায় খুবই পটু। এরা বিষধর ও বিষহীন দুধরনের সাপ খায়। সম্ভবত এ কারণেই সাপটি Ophiophagus (অর্থাৎ সর্পভুক) গণভুক্ত করা হয়েছে। রাজগোখরা অন্যান্য সাপের তুলনায় ডিমের বেশি যত্ন নেয়। যৌনমিলনের সময় পুরুষ ও স্ত্রী সাপ পরস্পরকে পেঁচিয়ে ধরে। মিলনশেষে স্ত্রী সাপ বনের মেঝে থেকে কুড়ানো পাতা ও আবর্জনা দিয়ে দোতলা বাসা বানায়। সেখানে প্রায় তিন ডজন ডিম পাড়ে ও পরে অতিরিক্ত আবর্জনা দিয়ে বাসা ঢেকে দেয়। পরিশেষে স্ত্রী সাপ বাসার ছাদে আঁটসাঁট হয়ে বসে এবং ডিম না ফোটা পর্যন্ত সরে না। ডিম ৭০ দিন বা আরও পরে ফুটে। প্রহরারত স্ত্রী সাপ শিকার করে না। ডিমের উপর বসে থাকলেও সে ডিমে তা দেয় না। পাতা ও আবর্জনা থেকে বের হওয়া তাপই সম্ভবত ডিম গরম রাখে। রাজগোখরা প্রতি দংশনে ২০০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত স্নায়ুনাশী বিষ প্রবিষ্ট করাতে পারে। সাধারণত ৬০ কিলোগ্রাম ওজনের একটি মানুষের মৃত্যুর জন্য ১৬ মিলিগ্রাম বিষই যথেষ্ট।  [আলী রেজা খান]
''আরও দেখুন''  [[সাপ|সাপ]]; [[সাপুড়ে|সাপুড়ে]]।


[[en:Cobra]]
[[en:Cobra]]

১০:৩৭, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

গোখরা (Cobra)  Elapidae গোত্রের Naja গণের অন্তর্ভুক্ত বিষধর সাপ। এ গোত্রের রাজগোখরা (King Cobra) এবং শঙ্খিনী (Krait) সাপও গোখরার মতো বিষধর। গোখরার দুটি প্রজাতি বাংলাদেশে পাওয়া যায়। একটির ফণায় থাকে চশমার মতো দুটি চক্র, খইয়া বা খড়মপায়া গোখরা (Naja naja); দ্বিতীয়টির (N. kaouthia) ফণায় থাকে চশমার এক পাশের খোপের মতো একটি চক্র, আর সাধারণ মানুষের কাছে এটিই গোখরা হিসেবে বেশি পরিচিত। গোখরা উত্তেজিত হলে ওদের ঘাড়ের লম্বা হাড় স্ফীত হয়ে ওঠে, তাতে চমৎকার ফণাটি বিস্তৃত হয়। চশমার মতো চক্রধারী ফণায় U-এর মতো যে উজ্জ্বল কালো চিহ্ন থাকে সেটা ঘিরে রাখে একটি হালকা বাদামি রঙের রেখা। অন্য জাতের গোখরার চক্রধারী ফণায় থাকে বড় কালো ছোপ বা একটি ইংরেজি O-এর মতো বলয় আর সেটা ঘিরে থাকে আরেকটি হলুদ বা কমলা রঙের বেড়।

গোখরা দৈর্ঘ্যে হয় প্রায় ১.৫ মিটার। এরা নিশাচর, থাকে মানুষের বসতবাড়ির আশেপাশে, চাষের জমি ও বনাঞ্চলে, খায় ইঁদুরজাতীয় প্রাণী, ছোট পাখি, ব্যাঙসহ অন্যান্য উভচর জীব এবং কখনও কখনও মাছ। গোখরা ১০-২৫টি ডিম পাড়ে এবং প্রায় দুই মাস ধরে ডিম পাহারা দেয়। ডিমে তা দেয় না। সাধারণত ৬০-৭০ দিনের মধ্যে ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয়।

এদের উপরের চোয়ালের সামনের দিকের শক্ত বিষদাঁত দুটি একটি বিষগ্রন্থির সঙ্গে যুক্ত থাকে। কতকগুলি বিশেষ ধরনের পেশী সাপের মুখ খোলার এবং একই সঙ্গে বিষগ্রন্থিতে চাপ সৃষ্টির কাজ করে। এ চাপের ফলে বিষগ্রন্থি থেকে পিচকারির বেগে বিষ বেরিয়ে খাদের মধ্য দিয়ে বিষদাঁতে পৌঁছায়। গোখরার বিষ সরাসরি স্নায়ুকে আক্রমণ করে, ফলে ফুসফুস অবশ এবং হূৎপিন্ড নিষ্ক্রিয় হয়।

রাজগোখরা (King Cobra) পৃথিবীর দীর্ঘতম বিষাক্ত সাপ Ophiophagus hannah। এদের দৈর্ঘ্য হয় ৫.৫ মিটার পর্যন্ত। অন্য প্রজাতির গোখরার (যেমন, Naja species) ফণা থেকে রাজগোখরার ফণা অপেক্ষাকৃত ছোট হলেও সে ফনাটি মানুষের মাথাসমান উঁচুতে তুলতে পারে। প্রাপ্তবয়স্ক এ সাপের গায়ের রং কালচে থেকে ফ্যাকাসে ধূসর, মাথায় ও ঘাড়ে অস্পষ্ট রেখা, কিন্তু বাচ্চা রাজগোখরার মাথা ও ঘাড়ে উজ্জ্বল রঙের ডোরা থাকে। বাংলাদেশের সুন্দরবন অঞ্চলেই এদের সংখ্যা বেশি। বৃহত্তর সিলেট ও বৃহত্তর চট্টগ্রাম বিভাগের বনাঞ্চলে মাঝে মাঝে দেখা যায়।

রাজগোখরা [ছবি: আলী রেজা খান]

রাজগোখরা সাধারণত দিবাচর। গাছ, বাঁশ, প্রাচীর ইত্যাদি বেয়ে ওঠা, সাঁতার কাটা ও মাটির উপর দিয়ে দ্রুত চলাফেরায় খুবই পটু। এরা বিষধর ও বিষহীন দুধরনের সাপ খায়। সম্ভবত এ কারণেই সাপটি Ophiophagus (অর্থাৎ সর্পভুক) গণভুক্ত করা হয়েছে। রাজগোখরা অন্যান্য সাপের তুলনায় ডিমের বেশি যত্ন নেয়। যৌনমিলনের সময় পুরুষ ও স্ত্রী সাপ পরস্পরকে পেঁচিয়ে ধরে। মিলনশেষে স্ত্রী সাপ বনের মেঝে থেকে কুড়ানো পাতা ও আবর্জনা দিয়ে দোতলা বাসা বানায়। সেখানে প্রায় তিন ডজন ডিম পাড়ে ও পরে অতিরিক্ত আবর্জনা দিয়ে বাসা ঢেকে দেয়। পরিশেষে স্ত্রী সাপ বাসার ছাদে আঁটসাঁট হয়ে বসে এবং ডিম না ফোটা পর্যন্ত সরে না। ডিম ৭০ দিন বা আরও পরে ফুটে। প্রহরারত স্ত্রী সাপ শিকার করে না। ডিমের উপর বসে থাকলেও সে ডিমে তা দেয় না। পাতা ও আবর্জনা থেকে বের হওয়া তাপই সম্ভবত ডিম গরম রাখে। রাজগোখরা প্রতি দংশনে ২০০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত স্নায়ুনাশী বিষ প্রবিষ্ট করাতে পারে। সাধারণত ৬০ কিলোগ্রাম ওজনের একটি মানুষের মৃত্যুর জন্য ১৬ মিলিগ্রাম বিষই যথেষ্ট।  [আলী রেজা খান]

আরও দেখুন সাপ; সাপুড়ে