চীনাবাদাম: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
৩ নং লাইন: | ৩ নং লাইন: | ||
'''চীনাবাদাম''' (Groundnut) Leguminosae গোত্রের ''Arachis hypogea'' প্রজাতির ঝোপালো বা লতানো গাছের খোলকতুল্য শুঁটি, যা মাটির নিচে পরিণত অবস্থায় পৌঁছে। সয়াবিনের পর দ্বিতীয় সর্বাধিক পরিমাণ তেলপ্রদায়ী এ ফসল দক্ষিণ আমেরিকায় উৎপন্ন হলেও বর্তমানে ভারত উপমহাদেশ, মধ্য-আফ্রিকা, চীন, জাপান, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, মাদাগাস্কার এবং আরও কয়েকটি উষ্ণমন্ডলীয় ও উপ-উষ্ণমন্ডলীয় দেশে ব্যাপক ভাবে চাষ হচ্ছে। | '''চীনাবাদাম''' (Groundnut) Leguminosae গোত্রের ''Arachis hypogea'' প্রজাতির ঝোপালো বা লতানো গাছের খোলকতুল্য শুঁটি, যা মাটির নিচে পরিণত অবস্থায় পৌঁছে। সয়াবিনের পর দ্বিতীয় সর্বাধিক পরিমাণ তেলপ্রদায়ী এ ফসল দক্ষিণ আমেরিকায় উৎপন্ন হলেও বর্তমানে ভারত উপমহাদেশ, মধ্য-আফ্রিকা, চীন, জাপান, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, মাদাগাস্কার এবং আরও কয়েকটি উষ্ণমন্ডলীয় ও উপ-উষ্ণমন্ডলীয় দেশে ব্যাপক ভাবে চাষ হচ্ছে। | ||
প্রত্যেকটি শুঁটিতে ১-৪ বীজ থাকে এবং খোল ভেঙে বীজ বের করা হয়। বীজ তেল (৩৫-৫০%), প্রোটিন (২৫-৩০%) এবং ‘বি’ ও ‘ই’ ভিটামিনসমৃদ্ধ। এ তেল রান্নায়, মার্জারিন ও উদ্ভিজ্জ ঘি হিসেবে এবং বিস্কুট ও ঔষধ শিল্পে ব্যবহূত হয়। সাবান ও পিচ্ছিলকারক উপাদান হিসেবেও এর ব্যবহার রয়েছে। ভাজা চীনাবাদাম খুবই জনপ্রিয়। বাংলাদেশে চীনাবাদাম চাষাধীন জমি ও বছরে উৎপন্ন ফসলের পরিমাণ যথাক্রমে প্রায় ৭৩০০০ একর ও ৩৮,০০০ মে টন। বেশির ভাগ চীনাবাদাম জন্মে নোয়াখালী, ফরিদপুর, মাদারীপুর, কিশোরগঞ্জ, পটুয়াখালী ও রংপুর জেলায়। রবি ও খরিফ ফসল হিসেবেই এর চাষ হয়। | প্রত্যেকটি শুঁটিতে ১-৪ বীজ থাকে এবং খোল ভেঙে বীজ বের করা হয়। বীজ তেল (৩৫-৫০%), প্রোটিন (২৫-৩০%) এবং ‘বি’ ও ‘ই’ ভিটামিনসমৃদ্ধ। এ তেল রান্নায়, মার্জারিন ও উদ্ভিজ্জ ঘি হিসেবে এবং বিস্কুট ও ঔষধ শিল্পে ব্যবহূত হয়। সাবান ও পিচ্ছিলকারক উপাদান হিসেবেও এর ব্যবহার রয়েছে। ভাজা চীনাবাদাম খুবই জনপ্রিয়। বাংলাদেশে চীনাবাদাম চাষাধীন জমি ও বছরে উৎপন্ন ফসলের পরিমাণ যথাক্রমে প্রায় ৭৩০০০ একর ও ৩৮,০০০ মে টন। বেশির ভাগ চীনাবাদাম জন্মে নোয়াখালী, ফরিদপুর, মাদারীপুর, কিশোরগঞ্জ, পটুয়াখালী ও রংপুর জেলায়। রবি ও খরিফ ফসল হিসেবেই এর চাষ হয়। [মোস্তফা কামাল পাশা] | ||
''আরও দেখুন'' [[তেলপ্রদায়ী উদ্ভিদ|তেলপ্রদায়ী উদ্ভিদ]]। | |||
[[en:Groundnut]] | [[en:Groundnut]] |
০৯:১৯, ১৬ নভেম্বর ২০১৪ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ
চীনাবাদাম (Groundnut) Leguminosae গোত্রের Arachis hypogea প্রজাতির ঝোপালো বা লতানো গাছের খোলকতুল্য শুঁটি, যা মাটির নিচে পরিণত অবস্থায় পৌঁছে। সয়াবিনের পর দ্বিতীয় সর্বাধিক পরিমাণ তেলপ্রদায়ী এ ফসল দক্ষিণ আমেরিকায় উৎপন্ন হলেও বর্তমানে ভারত উপমহাদেশ, মধ্য-আফ্রিকা, চীন, জাপান, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, মাদাগাস্কার এবং আরও কয়েকটি উষ্ণমন্ডলীয় ও উপ-উষ্ণমন্ডলীয় দেশে ব্যাপক ভাবে চাষ হচ্ছে।
প্রত্যেকটি শুঁটিতে ১-৪ বীজ থাকে এবং খোল ভেঙে বীজ বের করা হয়। বীজ তেল (৩৫-৫০%), প্রোটিন (২৫-৩০%) এবং ‘বি’ ও ‘ই’ ভিটামিনসমৃদ্ধ। এ তেল রান্নায়, মার্জারিন ও উদ্ভিজ্জ ঘি হিসেবে এবং বিস্কুট ও ঔষধ শিল্পে ব্যবহূত হয়। সাবান ও পিচ্ছিলকারক উপাদান হিসেবেও এর ব্যবহার রয়েছে। ভাজা চীনাবাদাম খুবই জনপ্রিয়। বাংলাদেশে চীনাবাদাম চাষাধীন জমি ও বছরে উৎপন্ন ফসলের পরিমাণ যথাক্রমে প্রায় ৭৩০০০ একর ও ৩৮,০০০ মে টন। বেশির ভাগ চীনাবাদাম জন্মে নোয়াখালী, ফরিদপুর, মাদারীপুর, কিশোরগঞ্জ, পটুয়াখালী ও রংপুর জেলায়। রবি ও খরিফ ফসল হিসেবেই এর চাষ হয়। [মোস্তফা কামাল পাশা]
আরও দেখুন তেলপ্রদায়ী উদ্ভিদ।