ভিটামিন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
("'''ভিটামিন''' (Vitamin) হলো জৈব যৌগ যা মানুষের অল্প পরিমাণে প্রয়োজন হয়ে থাকে। বেশিরভাগ ভিটামিন আমরা খাদ্য থেকে পেয়ে থাকি কারণ মানবদেহ সাধারণত ভিটামিন তৈরি করে না। ভিটামিন হলো..." দিয়ে পাতা তৈরি) |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
৩ নং লাইন: | ৩ নং লাইন: | ||
ভিটামিন এ চোখের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য অপরিহার্য। এই ভিটামিনের অভাবের কারণে রাতকানা এবং keratomalacia হতে পারে, যার ফলে চোখের সামনের পরিষ্কার স্তর শুষ্ক এবং ঘোলাটে হয়ে যায়। লিভার, কডলিভার অয়েল, গাজর, ব্রকলি, মিষ্টিআলু, মাখন, পালং শাক, কুমড়া, পনির, ডিম, এপ্রিকট এবং দুধÑ এসব খাদ্য ভিটামিন এ-এর গুরুত্বপূর্ণ উৎস। ভিটামিন ডি-এর রাসায়নিক নাম হলো: ergocalciferol এবং cholecalciferoll হাড়ের সুস্থ বৃদ্ধির জন্য এটি প্রয়োজনীয়। এর অভাবে rickets এবং osteomalacia হতে পারে। সূর্যালোকের সংস্পর্শে এলে মানবদেহ ভিটামিন ডি সংশ্লেষিত করে যা ভিটামিন ডি-এর সর্বোত্তম উৎস। ভিটামিন ডি-এর উৎস হলো চর্বিযুক্ত মাছ, ডিম এবং গুরুর যকৃত। ভিটামিন ই-এর রাসায়নিক নাম হলো tocopherol ও tocotrienol। এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে করে, অক্সিডেটিভ স্ট্রেস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। গমের শস্যদানা, কিউই, বাদাম, ডিম, শাকসবজি এবং উদ্ভিজ তেল হতে ভিটামিন ই পাওয়া যায়। ভিটামিন কে-এর রাসায়নিক নাম হলো phylloquinone ও menaquinone। রক্ত জমাট বাঁধার জন্য এটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। ভিটামিন কে-এর অভাব অস্বাভাবিক রক্তপাতের জন্য দায়ী। শাক, কুমড়া, ডুমুর এবং পার্সলে ভিটামিন কে-এর উৎস। ভিটামিন সি শরীরের নিরাময় প্রক্রিয়ার জন্য অত্যাবর্শক এবং রক্তনালী, তরুণান্থি, পেশী এবং হাড়ের কোলাজেন গঠনের জন্য প্রয়োজনীয়। বি ভিটামিন সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে; আমাদের শরীরের এনজাইমগুলোকে তাদের বিক্রিয়া সম্পন্ন করতে সাহায্য করে, সংক্রমণ প্রতিরোধ করে এবং কোষীয় বিপাকের জন্য এটি আবশ্যক। বেশিরভাগ ফল ও শাকসবজি পানিতে দ্রবণীয় ভিটামিনের ভাল উৎস। সাধারণত মানুষ খাদ্যের মাধ্যমেই প্রয়োজনীয় মাত্রায় এই সকল ভিটামিন পেয়ে থাকেন। [মো. জাকির হোসেন হাওলাদার] | ভিটামিন এ চোখের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য অপরিহার্য। এই ভিটামিনের অভাবের কারণে রাতকানা এবং keratomalacia হতে পারে, যার ফলে চোখের সামনের পরিষ্কার স্তর শুষ্ক এবং ঘোলাটে হয়ে যায়। লিভার, কডলিভার অয়েল, গাজর, ব্রকলি, মিষ্টিআলু, মাখন, পালং শাক, কুমড়া, পনির, ডিম, এপ্রিকট এবং দুধÑ এসব খাদ্য ভিটামিন এ-এর গুরুত্বপূর্ণ উৎস। ভিটামিন ডি-এর রাসায়নিক নাম হলো: ergocalciferol এবং cholecalciferoll হাড়ের সুস্থ বৃদ্ধির জন্য এটি প্রয়োজনীয়। এর অভাবে rickets এবং osteomalacia হতে পারে। সূর্যালোকের সংস্পর্শে এলে মানবদেহ ভিটামিন ডি সংশ্লেষিত করে যা ভিটামিন ডি-এর সর্বোত্তম উৎস। ভিটামিন ডি-এর উৎস হলো চর্বিযুক্ত মাছ, ডিম এবং গুরুর যকৃত। ভিটামিন ই-এর রাসায়নিক নাম হলো tocopherol ও tocotrienol। এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে করে, অক্সিডেটিভ স্ট্রেস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। গমের শস্যদানা, কিউই, বাদাম, ডিম, শাকসবজি এবং উদ্ভিজ তেল হতে ভিটামিন ই পাওয়া যায়। ভিটামিন কে-এর রাসায়নিক নাম হলো phylloquinone ও menaquinone। রক্ত জমাট বাঁধার জন্য এটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। ভিটামিন কে-এর অভাব অস্বাভাবিক রক্তপাতের জন্য দায়ী। শাক, কুমড়া, ডুমুর এবং পার্সলে ভিটামিন কে-এর উৎস। ভিটামিন সি শরীরের নিরাময় প্রক্রিয়ার জন্য অত্যাবর্শক এবং রক্তনালী, তরুণান্থি, পেশী এবং হাড়ের কোলাজেন গঠনের জন্য প্রয়োজনীয়। বি ভিটামিন সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে; আমাদের শরীরের এনজাইমগুলোকে তাদের বিক্রিয়া সম্পন্ন করতে সাহায্য করে, সংক্রমণ প্রতিরোধ করে এবং কোষীয় বিপাকের জন্য এটি আবশ্যক। বেশিরভাগ ফল ও শাকসবজি পানিতে দ্রবণীয় ভিটামিনের ভাল উৎস। সাধারণত মানুষ খাদ্যের মাধ্যমেই প্রয়োজনীয় মাত্রায় এই সকল ভিটামিন পেয়ে থাকেন। [মো. জাকির হোসেন হাওলাদার] | ||
[[ | [[en:Vitamin]] |
০৭:৩৮, ২ নভেম্বর ২০২৩ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ
ভিটামিন (Vitamin) হলো জৈব যৌগ যা মানুষের অল্প পরিমাণে প্রয়োজন হয়ে থাকে। বেশিরভাগ ভিটামিন আমরা খাদ্য থেকে পেয়ে থাকি কারণ মানবদেহ সাধারণত ভিটামিন তৈরি করে না। ভিটামিন হলো প্রাকৃতিক খাদ্যসামগ্রীতে প্রাপ্ত এক প্রকার ঝেব পদার্থ। নির্দিষ্ট ভিটামিনের অভাবে নির্দিষ্ট কিছু স্বাস্থ্য সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি থাকে। ভিটামিনসমূহকে দুটি প্রধান শ্রেণীতে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়: ভিটামিন এ, ডি, ই ও কে হলো চর্বি-দ্রবণীয় এবং ভিটামিন সি (অ্যাসকরবিক অ্যাসিড) ও সকল প্রকারের বি ভিটামিন (ভিটামিন বি কমপ্লেক্স) পানিতে দ্রবণীয়। মানবদেহ চর্বিকলা এবং লিভারে চর্বি-দ্রবণীয় ভিটামিন সঞ্চয় করে। এই ভিটামিনের মজুদ শরীরে কয়েক দিন বা মাস যাবৎ থাকতে পারে। পানিতে দ্রবণীয় ভিটামিন বেশি দিন শরীরে জমা থাকে না। এবং প্রসাবের মাধ্যমে শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। এই কারণে, মানবদেহে চর্বি-দ্রবণীয় ভিটামিনের তুলনায় পানিতে দ্রবণীয় ভিটামিনের নিয়মিত সরবরাহ প্রয়োজন। বিভিন্ন ভিটামিন শরীরে বিভিন্ন ভূমিকা পালন করে। একজন ব্যক্তির সুস্থ থাকার জন্য বিভিন্ন মাত্রায় প্রতিটি ভিটামিনের প্রয়োজন রয়েছে।
ভিটামিন এ চোখের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য অপরিহার্য। এই ভিটামিনের অভাবের কারণে রাতকানা এবং keratomalacia হতে পারে, যার ফলে চোখের সামনের পরিষ্কার স্তর শুষ্ক এবং ঘোলাটে হয়ে যায়। লিভার, কডলিভার অয়েল, গাজর, ব্রকলি, মিষ্টিআলু, মাখন, পালং শাক, কুমড়া, পনির, ডিম, এপ্রিকট এবং দুধÑ এসব খাদ্য ভিটামিন এ-এর গুরুত্বপূর্ণ উৎস। ভিটামিন ডি-এর রাসায়নিক নাম হলো: ergocalciferol এবং cholecalciferoll হাড়ের সুস্থ বৃদ্ধির জন্য এটি প্রয়োজনীয়। এর অভাবে rickets এবং osteomalacia হতে পারে। সূর্যালোকের সংস্পর্শে এলে মানবদেহ ভিটামিন ডি সংশ্লেষিত করে যা ভিটামিন ডি-এর সর্বোত্তম উৎস। ভিটামিন ডি-এর উৎস হলো চর্বিযুক্ত মাছ, ডিম এবং গুরুর যকৃত। ভিটামিন ই-এর রাসায়নিক নাম হলো tocopherol ও tocotrienol। এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে করে, অক্সিডেটিভ স্ট্রেস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। গমের শস্যদানা, কিউই, বাদাম, ডিম, শাকসবজি এবং উদ্ভিজ তেল হতে ভিটামিন ই পাওয়া যায়। ভিটামিন কে-এর রাসায়নিক নাম হলো phylloquinone ও menaquinone। রক্ত জমাট বাঁধার জন্য এটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। ভিটামিন কে-এর অভাব অস্বাভাবিক রক্তপাতের জন্য দায়ী। শাক, কুমড়া, ডুমুর এবং পার্সলে ভিটামিন কে-এর উৎস। ভিটামিন সি শরীরের নিরাময় প্রক্রিয়ার জন্য অত্যাবর্শক এবং রক্তনালী, তরুণান্থি, পেশী এবং হাড়ের কোলাজেন গঠনের জন্য প্রয়োজনীয়। বি ভিটামিন সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে; আমাদের শরীরের এনজাইমগুলোকে তাদের বিক্রিয়া সম্পন্ন করতে সাহায্য করে, সংক্রমণ প্রতিরোধ করে এবং কোষীয় বিপাকের জন্য এটি আবশ্যক। বেশিরভাগ ফল ও শাকসবজি পানিতে দ্রবণীয় ভিটামিনের ভাল উৎস। সাধারণত মানুষ খাদ্যের মাধ্যমেই প্রয়োজনীয় মাত্রায় এই সকল ভিটামিন পেয়ে থাকেন। [মো. জাকির হোসেন হাওলাদার]