চৌধুরী, নাইয়ুম: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

("'''চৌধুরী, নাইয়ুম''' (১৯৪৬-২০১৯) বাংলাদেশী বায়োটেকনোলজিস্ট এবং পরমাণু বিজ্ঞানী, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ এবং প্রশাসক। তিনি ১৯৪৬ সালের ২৭শে সেপ্টেম্বর কুমিল্লায় জন্মগ্রহণ করেন..." দিয়ে পাতা তৈরি)
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
'''চৌধুরী, নাইয়ুম''' (১৯৪৬-২০১৯)  বাংলাদেশী বায়োটেকনোলজিস্ট এবং পরমাণু বিজ্ঞানী, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ এবং প্রশাসক। তিনি ১৯৪৬ সালের ২৭শে সেপ্টেম্বর কুমিল্লায় জন্মগ্রহণ করেন। অধ্যাপক চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যথাক্রমে ১৯৬৬ সালে এবং ১৯৬৭ সালে বায়োকেমিস্ট্রিতে বি.এস.সি (অনার্স) এবং এম.এস.সি করেন। তিনি কমনওয়েলথ স্কলারশিপ নিয়ে ১৯৭০ সালে কানাডায় যান এবং ম্যাকগিল ইউনিভার্সিটির বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগে পিএইচ.ডি ছাত্র হিসেবে ভর্তি হন। কিন্তু তিনি কমনওয়েলথ বৃত্তি প্রত্যাখ্যান করে, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেন এবং দেশে ফিরে আসেন। পরবর্তীতে, অধ্যাপক চৌধুরী ১৯৮২ সালে অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস ইউনিভার্সিটি থেকে বায়োটেকনোলজিতে পিএইচ.ডি ডিগ্রি অর্জন করেন। জার্মানির কার্লসরুহে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অফ হাইজিন অ্যান্ড টক্সিকোলজিতে ১৯৮৮-১৯৮৯ সালে পোস্ট-ডক্টরাল গবেষণা চালিয়ে যাওয়া প্রথম চারজন EEC (ইউরোপিয়ান ইকোনমিক কমিউনিটি) ফেলোশিপ হোল্ডারের মধ্যে তিনি একজন।  
'''চৌধুরী, নাইয়ুম''' (১৯৪৬-২০১৯)  বাংলাদেশী বায়োটেকনোলজিস্ট এবং পরমাণু বিজ্ঞানী, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ এবং প্রশাসক। তিনি ১৯৪৬ সালের ২৭শে সেপ্টেম্বর কুমিল্লায় জন্মগ্রহণ করেন। অধ্যাপক চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যথাক্রমে ১৯৬৬ সালে এবং ১৯৬৭ সালে বায়োকেমিস্ট্রিতে বি.এস.সি (অনার্স) এবং এম.এস.সি করেন। তিনি কমনওয়েলথ স্কলারশিপ নিয়ে ১৯৭০ সালে কানাডায় যান এবং ম্যাকগিল ইউনিভার্সিটির বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগে পিএইচ.ডি ছাত্র হিসেবে ভর্তি হন। কিন্তু তিনি কমনওয়েলথ বৃত্তি প্রত্যাখ্যান করে, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেন এবং দেশে ফিরে আসেন। পরবর্তীতে, অধ্যাপক চৌধুরী ১৯৮২ সালে অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস ইউনিভার্সিটি থেকে বায়োটেকনোলজিতে পিএইচ.ডি ডিগ্রি অর্জন করেন। জার্মানির কার্লসরুহে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অফ হাইজিন অ্যান্ড টক্সিকোলজিতে ১৯৮৮-১৯৮৯ সালে পোস্ট-ডক্টরাল গবেষণা চালিয়ে যাওয়া প্রথম চারজন EEC (ইউরোপিয়ান ইকোনমিক কমিউনিটি) ফেলোশিপ হোল্ডারের মধ্যে তিনি একজন।  


[[Image:ChoudhuryNaiyyum.jpg|right|thumbnail|200px|নাইয়ুম চৌধুরী]]
তিনি তাঁর পেশাগত ক্যারিয়ারে প্রথমে ১৯৬৮ সালে তৎকালীন পাকিস্তান পরমাণু শক্তি কমিশনে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন, ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের সদস্য এবং ২০০২ সালে এর চেয়ারম্যান হন। ২০০৩ সাল তিনি অবসর গ্রহণের আগপর্যন্ত এই পদে বহাল ছিলেন। ১৯৮০-এর দশকের শেষ এবং ১৯৯০-এর দশকের শুরুর দিকে, তিনি একই সঙ্গে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগ, এবং বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি (বুয়েট)-এর রাসায়নিক প্রকৌশল বিভাগে খণ্ডকালীন শিক্ষক ছিলেন। তিনি ১৯৮২ সাল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে অধ্যাপনা করেন এবং বিভাগটি প্রতিষ্ঠায় সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন। তিনি ১৯৯৩ সালে একই বিভাগে পূর্ণকালীন অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান হিসেবে যোগদান করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের একজন অতিথি অধ্যাপক এবং খ-কালীন শিক্ষক ছিলেন। প্রফেসর চৌধুরী ২০০৫ সাল থেকে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির বায়োটেকনোলজি এবং মাইক্রোবায়োলজি প্রোগ্রামের অধ্যাপক এবং সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।  
তিনি তাঁর পেশাগত ক্যারিয়ারে প্রথমে ১৯৬৮ সালে তৎকালীন পাকিস্তান পরমাণু শক্তি কমিশনে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন, ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের সদস্য এবং ২০০২ সালে এর চেয়ারম্যান হন। ২০০৩ সাল তিনি অবসর গ্রহণের আগপর্যন্ত এই পদে বহাল ছিলেন। ১৯৮০-এর দশকের শেষ এবং ১৯৯০-এর দশকের শুরুর দিকে, তিনি একই সঙ্গে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগ, এবং বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি (বুয়েট)-এর রাসায়নিক প্রকৌশল বিভাগে খণ্ডকালীন শিক্ষক ছিলেন। তিনি ১৯৮২ সাল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে অধ্যাপনা করেন এবং বিভাগটি প্রতিষ্ঠায় সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন। তিনি ১৯৯৩ সালে একই বিভাগে পূর্ণকালীন অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান হিসেবে যোগদান করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের একজন অতিথি অধ্যাপক এবং খ-কালীন শিক্ষক ছিলেন। প্রফেসর চৌধুরী ২০০৫ সাল থেকে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির বায়োটেকনোলজি এবং মাইক্রোবায়োলজি প্রোগ্রামের অধ্যাপক এবং সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।  
        
        

১৬:০৪, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

চৌধুরী, নাইয়ুম (১৯৪৬-২০১৯) বাংলাদেশী বায়োটেকনোলজিস্ট এবং পরমাণু বিজ্ঞানী, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ এবং প্রশাসক। তিনি ১৯৪৬ সালের ২৭শে সেপ্টেম্বর কুমিল্লায় জন্মগ্রহণ করেন। অধ্যাপক চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যথাক্রমে ১৯৬৬ সালে এবং ১৯৬৭ সালে বায়োকেমিস্ট্রিতে বি.এস.সি (অনার্স) এবং এম.এস.সি করেন। তিনি কমনওয়েলথ স্কলারশিপ নিয়ে ১৯৭০ সালে কানাডায় যান এবং ম্যাকগিল ইউনিভার্সিটির বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগে পিএইচ.ডি ছাত্র হিসেবে ভর্তি হন। কিন্তু তিনি কমনওয়েলথ বৃত্তি প্রত্যাখ্যান করে, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেন এবং দেশে ফিরে আসেন। পরবর্তীতে, অধ্যাপক চৌধুরী ১৯৮২ সালে অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস ইউনিভার্সিটি থেকে বায়োটেকনোলজিতে পিএইচ.ডি ডিগ্রি অর্জন করেন। জার্মানির কার্লসরুহে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অফ হাইজিন অ্যান্ড টক্সিকোলজিতে ১৯৮৮-১৯৮৯ সালে পোস্ট-ডক্টরাল গবেষণা চালিয়ে যাওয়া প্রথম চারজন EEC (ইউরোপিয়ান ইকোনমিক কমিউনিটি) ফেলোশিপ হোল্ডারের মধ্যে তিনি একজন।

নাইয়ুম চৌধুরী

তিনি তাঁর পেশাগত ক্যারিয়ারে প্রথমে ১৯৬৮ সালে তৎকালীন পাকিস্তান পরমাণু শক্তি কমিশনে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন, ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের সদস্য এবং ২০০২ সালে এর চেয়ারম্যান হন। ২০০৩ সাল তিনি অবসর গ্রহণের আগপর্যন্ত এই পদে বহাল ছিলেন। ১৯৮০-এর দশকের শেষ এবং ১৯৯০-এর দশকের শুরুর দিকে, তিনি একই সঙ্গে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগ, এবং বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি (বুয়েট)-এর রাসায়নিক প্রকৌশল বিভাগে খণ্ডকালীন শিক্ষক ছিলেন। তিনি ১৯৮২ সাল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে অধ্যাপনা করেন এবং বিভাগটি প্রতিষ্ঠায় সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন। তিনি ১৯৯৩ সালে একই বিভাগে পূর্ণকালীন অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান হিসেবে যোগদান করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের একজন অতিথি অধ্যাপক এবং খ-কালীন শিক্ষক ছিলেন। প্রফেসর চৌধুরী ২০০৫ সাল থেকে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির বায়োটেকনোলজি এবং মাইক্রোবায়োলজি প্রোগ্রামের অধ্যাপক এবং সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

অধ্যাপক চৌধুরী বিজ্ঞানে তাঁর অসামান্য অবদানের জন্য ‘বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি পুরস্কার’ (২০০০) ‘জাকি মেমোরিয়াল স্বর্ণপদক’ (২০০০) এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে তাঁর অসামান্য অবদানের জন্য ২০০২ সালে ‘বাংলাদেশ একাডেমি অফ সায়েন্সেস ড. এম.ও গনি স্বর্ণপদক’ লাভ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল ও সিনেটের সদস্য ছিলেন। তিনি ২০০০ সাল থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এবং ১৯৯৯ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য ছিলেন। তিনি ২০০৩ সালে বুয়েটের সিন্ডিকেট সদস্য ছিলেন। অধ্যাপক চৌধুরী বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের সদস্য ও চেয়ারম্যান হওয়ার আগে অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। তিনি পরিচালক হিসেবে ইনস্টিটিউট অফ ফুড অ্যান্ড রেডিয়েশন বায়োলজি; বায়োসায়েন্স এবং ‘পরিকল্পনা ও উন্নয়ন এবং আন্তর্জাতিক বিষয়ক’ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন।

তিনি ১৭টি সদস্য রাষ্ট্র নিয়ে গঠিত পূর্ব এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে পারমাণবিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারে গবেষণা, প্রশিক্ষণ এবং উন্নয়নের জন্য IAEA-এর আঞ্চলিক সহযোগিতা চুক্তির (RCA) জাতীয় সমন্বয়কারী ছিলেন। তিনি ১৫-১৬ই সেপ্টেম্বর ভিয়েনায় অনুষ্ঠিত RCA-এর ৩০তম সাধারণ সম্মেলনে দুই বছরের জন্য এর চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। বাংলাদেশের একমাত্র বিজ্ঞানী হিসেবে তিনি এই মর্যাদাপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত হন।

অধ্যাপক নাইয়ুম চৌধুরী ১৯৯৩ সালে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক গঠিত জাতীয় বায়োটেকনোলজি কমিটির সদস্য ছিলেন। তিনি জাতীয় জৈবপ্রযুক্তি নীতি-২০০৫ প্রণয়ন কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন। তিনি বায়োটেকনোলজি ইনস্টিটিউটের জন্য একটি ধারণাপত্র তৈরিতে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন। তিনি সাভারের গণকবাড়িতে প্রতিষ্ঠিত ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজির (এনআইবি) প্রতিষ্ঠাতা প্রকল্প পরিচালক ছিলেন। তিনি ১৯৯৯ এবং ২০০৫ সালে জাতীয় জৈব-নিরাপত্তা নির্দেশিকা প্রণয়নের সাথে সক্রিয়ভাবে যুক্ত এবং সরকারের জৈব নিরাপত্তা মূল কমিটির (বিসিসি) সদস্য ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ সরকারের জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নীতি-২০০১ প্রণয়ন কমিটির আহ্বায়ক এবং নীতির কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন কমিটির উপদেষ্টা ছিলেন। তিনি ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (ECNCST) নির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন। অধ্যাপক চৌধুরী বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের উপদেষ্টা কমিটিরও সদস্য ছিলেন।

অধ্যাপক চৌধুরী অনেক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক সংস্থার সাথে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত ছিলেন। তিনি টানা দুই মেয়াদে বাংলাদেশ অ্যাটমিক এনার্জি সায়েন্টিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের (BAESA) সভাপতি নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৮৯ সালে নিউইয়র্ক একাডেমি অফ সায়েন্স এবং ব্রিটিশ সোসাইটি ফর অ্যাপ্লায়েড ব্যাকটিরিওলজির সদস্য হন। তিনি বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ সায়েন্টিস্ট অ্যান্ড সায়েন্টিফিক প্রফেশনস (BASSP), বাংলাদেশ বায়োকেমিক্যাল সোসাইটি, বাংলাদেশ টিস্যু ব্যাংকিং অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ সোসাইটি অফ মাইক্রোবায়োলজিস্টস (বিএসএম) এবং বাংলাদেশ জেএসপিএস অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন সহ আরও বেশ কয়েকটি বৈজ্ঞানিক সংস্থার সভাপতি ছিলেন। তিনি ৭ই মার্চ ১৯৭১ সালে উত্তর আমেরিকায় গঠিত প্রথম ‘বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ কুইবেক, কানাডা’-এর প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি ২০০৪-২০১১-এর মধ্যে দুই মেয়াদে বাংলাদেশ একাডেমি অফ সায়েন্সেস-এর সেক্রেটারি নির্বাচিত হন। প্রফেসর চৌধুরী বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (BAERA) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ছিলেন এবং মৃত্যুর আগপর্যন্ত BAS-এর সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

তিনি খাদ্য মাইক্রোবায়োলজি, মাইক্রোবায়াল জৈবপ্রযুক্তি, খাদ্য বিকিরণ এবং পারমাণবিক শক্তির অন্যান্য শান্তিপূর্ণ ব্যবহারে মূল্যবান অবদান রাখেন। তিনি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জার্নালে ১৫০টিরও বেশি বৈজ্ঞানিক গবেষণাকর্ম প্রকাশ করেছেন। অধ্যাপক নাইয়ুম চৌধুরী ৭ই সেপ্টেম্বর ২০১৯ সালে মৃত্যুবরণ করেন এবং তাঁকে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়। [ইয়ারুল কবীর]