আহমদ, মোজাফ্ফর২: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
("'''আহমদ, মোজাফ্ফর<sup>২</sup>''' (১৯২২-২০১৯) রাজনীতিবিদ, ন্যাপ (মোজাফ্ফর)-এর সভাপতি, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন বাংলাদেশ সরকারের (মুজিবনগর সরকার) উপদ..." দিয়ে পাতা তৈরি) |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
(একই ব্যবহারকারী দ্বারা সম্পাদিত ৪টি মধ্যবর্তী সংশোধন দেখানো হচ্ছে না) | |||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
'''আহমদ, মোজাফ্ফর<sup>২</sup>''' ( | '''আহমদ, মোজাফ্ফর<sup>২</sup>''' (১৯৩৬-২০১২) অর্থনীতিবিদ ও সংগঠক। তিনি ১৯৩৬ সালের ২৭ মার্চ কলকাতায় জন্ম গ্রহণ করেন। নাজির আহমেদ ও জাহানারা বেগমের দ্বিতীয় সন্তান। মোজাফ্ফর আহমদ ১৯৫০ সালে নোয়াখালী জিলা স্কুল থেকে ম্যাট্রিক এবং ১৯৫২ সালে ঢাকা কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাশ করেন। তিনি ১৯৫৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগে ভর্তি হন এবং ১৯৫৫ সালে বি.এ (অনার্স) ও ১৯৫৬ সালে এম.এ পাশ করার পর ১৯৬৫ সালে শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণ করেন। ১৯৬৬ সালে রওশন জাহানের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। | ||
মোজাফ্ফর আহমদ হরগঙ্গা কলেজে অর্থনীতির শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। পরবর্তীতে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে যোগদান করেও কিছুদিন পর স্বইচ্ছায় পদত্যাগ করে করাচিতে ইউনাইটেড ব্যাংকে যোগ দেন। পরে ঢাকায় ফিরে East Pakistan Industrial Development Corporation (ইপিআইডিসি) এ যোগদান করেন। তিনি ১৯৭২-১৯৭৪ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনে সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটে (আইবিএ) অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন এবং ২০০৪ সাল পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন। তিনি ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটে এমিরেটাস অধ্যাপক ছিলেন। | |||
প্রফেসর মোজাফ্ফর আহমদ বেশ কয়েকটি সামাজিক আন্দোলনে জড়িত ছিলেন। ১৯৯৭ সালে পরিবেশ রক্ষায় ‘পরশ’ নামে যে প্রতিষ্ঠানটির জম্ম তা ২০০০ সালে নতুন নাম দেয়া হয় বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) । তিন মেয়াদের জন্য তিনি এর সভাপতি হিসেবে নেতৃত্ব দেন। | |||
তিনি দুর্নীতিকে সমাজের সর্বগ্রাসী ও সর্বব্যাপী সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করে নাগরিক সংগঠন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর মাধ্যমে দেশব্যাপী দুর্নীতিবিরোধী সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলেন। তিনি সুজন-এরও সভাপতি ছিলেন। এ আন্দোলনের সাথে তরুণ সমাজকে সংযুক্ত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তাঁর মতে শুধু সুষ্ঠু নির্বাচনই রাষ্ট্রের জন্য যথেষ্ট নয়, বরং সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে সৎ, যোগ্য ও জনকল্যাণে নিবেদিত ব্যক্তিদের তথা সজ্জনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হওয়া আবশ্যক। এজন্য তিনি অসৎ, অযোগ্য, দুর্নীতিবাজ, চোরাকারবারি, কালোটাকার মালিক, ঋণখেলাপি, বিলখেলাপি, পেশিশক্তির অধিকারি তথা দুর্বৃত্তদের রাষ্ট্রক্ষমতা থেকে দূরে রাখার পক্ষে জোরালো অবস্থান গ্রহণ করেন। তিনি সুজনে’র মাধ্যমে ‘নির্বাচনী অলিম্পিয়াড’ নামক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছেন যা বর্তমানে বাপা’র উদ্যোগে দেশব্যাপী সক্রিয় রয়েছে। | |||
মোজাফ্ফর আহমদ রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত না হয়েও রাজনীতিতে যথেষ্ট প্রভাব বিস্তার করেন। আইয়ুব খানের আমল থেকে এরশাদের শাসনকাল পর্যন্ত স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে তিনি গণতন্ত্রের পক্ষে ও মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য জনমত সৃষ্টি করার চেষ্টা করেন। তিনি স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশে মানবাধিকার সুরক্ষায়, নারীর ক্ষমতায়ন, স্থানীয় সরকার শক্তিশালীকরণ, এবং দারিদ্র্য ও বৈষম্য দূরীকরণে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেন। তিনি বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন ও শিক্ষকের সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন। | |||
প্রফেসর মোজাফ্ফর আহমদ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ার সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। যেমন, বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ ও বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠায় যুক্ত ছিলেন। বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ এর পুনর্গঠনের ক্ষেত্রেও ভূমিকা পালন করেন। | |||
'' | দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সংস্থা এবং প্রতিষ্ঠানের সাথেও স¤পৃক্ত ছিলেন তিনি। তিনি ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) ও বাংলাদেশ শিল্প ব্যাংকের বোর্ড অব ডিরেক্টরস্ এর চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ, বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ এবং বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের বোর্ড অব গভর্নরস্ এর সদস্য ছিলেন। এছাড়া তিনি এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক, ইউএন অর্গানাইজেশনস্, ইউনেস্কোসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পরামর্শক হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি হিউম্যান রিসোর্স ফাউন্ডেশনের ট্রাস্টি ও টিআইবি’র ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ছিলেন। বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি, বাংলা একাডেমী, বারডেম, নজরুল একাডেমী, অর্থনীতি সমিতি ও অর্থনীতি শিক্ষক সমিতির জীবন সদস্য ছিলেন। | ||
তাঁর অনেক গবেষণামূলক প্রবন্ধ দেশি-বিদেশি র্জানালে প্রকাশিত হয়েছে। এসব প্রবন্ধের বিষয়বস্তু ছিল শিক্ষা ও শিক্ষার উন্নয়ন, বাংলাদেশের অর্থনীতি, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প, শ্রম আইন, শ্রমিক-মালিক সম্পর্ক, শিল্পের বেসরকারিকরণ, গ্রামীণ ব্যাংকের কর্মকাণ্ড, উন্নয়নে সরকারি খাতের ভূমিকা, এবং উন্নয়নশীল দেশের রাজনৈতিক অর্থনীতি প্রভৃতি। তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলি হলো ''Political Economy of Public Enterprises'', Center for Asian Development Studies (CADS), Boston University, USA, 1980; ''Public Enterprises in an Intermediate Regime: A Study in the Political Economy of Bangladesh'', Bangladesh Institute of Development Studies (BIDS), 1980; ''State And Development'', University Press Limited, Dhaka, 1988; ''Cost Efficiency in Higher Education'', ROAP/UNESCO, 1988; ''Performance of SOE and Privatisation in Bangladesh'', Asian Development Bank, 1989 ইত্যাদি। | |||
[ | অর্থনীতি ও সামাজিক উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার জন্য মোজাফ্ফর আহমদ বিভিন্ন সম্মামনা পদক লাভ করেন। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য এম.এ হক এর স্মৃতিতে প্রদত্ত স্বর্ণপদক, অর্থনীতি ও ব্যাংকিং ক্ষেত্রে অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ মার্কেন্টাইল ব্যাংক স্বর্ণপদক, অতীশ দীপঙ্কর স্বর্ণপদক, চন্দ্রাবতী একাডেমী পদক এবং একুশে পদক (২০০৮)। | ||
মোজাফ্ফর আহমদ ২২ মে ২০১২ মৃত্যুবরণ করেন । [বিধান চন্দ্র পাল] |
০৩:৫৮, ১৫ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ
আহমদ, মোজাফ্ফর২ (১৯৩৬-২০১২) অর্থনীতিবিদ ও সংগঠক। তিনি ১৯৩৬ সালের ২৭ মার্চ কলকাতায় জন্ম গ্রহণ করেন। নাজির আহমেদ ও জাহানারা বেগমের দ্বিতীয় সন্তান। মোজাফ্ফর আহমদ ১৯৫০ সালে নোয়াখালী জিলা স্কুল থেকে ম্যাট্রিক এবং ১৯৫২ সালে ঢাকা কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাশ করেন। তিনি ১৯৫৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগে ভর্তি হন এবং ১৯৫৫ সালে বি.এ (অনার্স) ও ১৯৫৬ সালে এম.এ পাশ করার পর ১৯৬৫ সালে শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণ করেন। ১৯৬৬ সালে রওশন জাহানের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।
মোজাফ্ফর আহমদ হরগঙ্গা কলেজে অর্থনীতির শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। পরবর্তীতে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে যোগদান করেও কিছুদিন পর স্বইচ্ছায় পদত্যাগ করে করাচিতে ইউনাইটেড ব্যাংকে যোগ দেন। পরে ঢাকায় ফিরে East Pakistan Industrial Development Corporation (ইপিআইডিসি) এ যোগদান করেন। তিনি ১৯৭২-১৯৭৪ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনে সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটে (আইবিএ) অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন এবং ২০০৪ সাল পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন। তিনি ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটে এমিরেটাস অধ্যাপক ছিলেন।
প্রফেসর মোজাফ্ফর আহমদ বেশ কয়েকটি সামাজিক আন্দোলনে জড়িত ছিলেন। ১৯৯৭ সালে পরিবেশ রক্ষায় ‘পরশ’ নামে যে প্রতিষ্ঠানটির জম্ম তা ২০০০ সালে নতুন নাম দেয়া হয় বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) । তিন মেয়াদের জন্য তিনি এর সভাপতি হিসেবে নেতৃত্ব দেন।
তিনি দুর্নীতিকে সমাজের সর্বগ্রাসী ও সর্বব্যাপী সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করে নাগরিক সংগঠন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর মাধ্যমে দেশব্যাপী দুর্নীতিবিরোধী সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলেন। তিনি সুজন-এরও সভাপতি ছিলেন। এ আন্দোলনের সাথে তরুণ সমাজকে সংযুক্ত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তাঁর মতে শুধু সুষ্ঠু নির্বাচনই রাষ্ট্রের জন্য যথেষ্ট নয়, বরং সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে সৎ, যোগ্য ও জনকল্যাণে নিবেদিত ব্যক্তিদের তথা সজ্জনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হওয়া আবশ্যক। এজন্য তিনি অসৎ, অযোগ্য, দুর্নীতিবাজ, চোরাকারবারি, কালোটাকার মালিক, ঋণখেলাপি, বিলখেলাপি, পেশিশক্তির অধিকারি তথা দুর্বৃত্তদের রাষ্ট্রক্ষমতা থেকে দূরে রাখার পক্ষে জোরালো অবস্থান গ্রহণ করেন। তিনি সুজনে’র মাধ্যমে ‘নির্বাচনী অলিম্পিয়াড’ নামক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছেন যা বর্তমানে বাপা’র উদ্যোগে দেশব্যাপী সক্রিয় রয়েছে।
মোজাফ্ফর আহমদ রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত না হয়েও রাজনীতিতে যথেষ্ট প্রভাব বিস্তার করেন। আইয়ুব খানের আমল থেকে এরশাদের শাসনকাল পর্যন্ত স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে তিনি গণতন্ত্রের পক্ষে ও মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য জনমত সৃষ্টি করার চেষ্টা করেন। তিনি স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশে মানবাধিকার সুরক্ষায়, নারীর ক্ষমতায়ন, স্থানীয় সরকার শক্তিশালীকরণ, এবং দারিদ্র্য ও বৈষম্য দূরীকরণে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেন। তিনি বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন ও শিক্ষকের সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
প্রফেসর মোজাফ্ফর আহমদ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ার সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। যেমন, বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ ও বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠায় যুক্ত ছিলেন। বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ এর পুনর্গঠনের ক্ষেত্রেও ভূমিকা পালন করেন।
দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সংস্থা এবং প্রতিষ্ঠানের সাথেও স¤পৃক্ত ছিলেন তিনি। তিনি ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) ও বাংলাদেশ শিল্প ব্যাংকের বোর্ড অব ডিরেক্টরস্ এর চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ, বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ এবং বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের বোর্ড অব গভর্নরস্ এর সদস্য ছিলেন। এছাড়া তিনি এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক, ইউএন অর্গানাইজেশনস্, ইউনেস্কোসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পরামর্শক হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি হিউম্যান রিসোর্স ফাউন্ডেশনের ট্রাস্টি ও টিআইবি’র ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ছিলেন। বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি, বাংলা একাডেমী, বারডেম, নজরুল একাডেমী, অর্থনীতি সমিতি ও অর্থনীতি শিক্ষক সমিতির জীবন সদস্য ছিলেন।
তাঁর অনেক গবেষণামূলক প্রবন্ধ দেশি-বিদেশি র্জানালে প্রকাশিত হয়েছে। এসব প্রবন্ধের বিষয়বস্তু ছিল শিক্ষা ও শিক্ষার উন্নয়ন, বাংলাদেশের অর্থনীতি, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প, শ্রম আইন, শ্রমিক-মালিক সম্পর্ক, শিল্পের বেসরকারিকরণ, গ্রামীণ ব্যাংকের কর্মকাণ্ড, উন্নয়নে সরকারি খাতের ভূমিকা, এবং উন্নয়নশীল দেশের রাজনৈতিক অর্থনীতি প্রভৃতি। তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলি হলো Political Economy of Public Enterprises, Center for Asian Development Studies (CADS), Boston University, USA, 1980; Public Enterprises in an Intermediate Regime: A Study in the Political Economy of Bangladesh, Bangladesh Institute of Development Studies (BIDS), 1980; State And Development, University Press Limited, Dhaka, 1988; Cost Efficiency in Higher Education, ROAP/UNESCO, 1988; Performance of SOE and Privatisation in Bangladesh, Asian Development Bank, 1989 ইত্যাদি।
অর্থনীতি ও সামাজিক উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার জন্য মোজাফ্ফর আহমদ বিভিন্ন সম্মামনা পদক লাভ করেন। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য এম.এ হক এর স্মৃতিতে প্রদত্ত স্বর্ণপদক, অর্থনীতি ও ব্যাংকিং ক্ষেত্রে অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ মার্কেন্টাইল ব্যাংক স্বর্ণপদক, অতীশ দীপঙ্কর স্বর্ণপদক, চন্দ্রাবতী একাডেমী পদক এবং একুশে পদক (২০০৮)।
মোজাফ্ফর আহমদ ২২ মে ২০১২ মৃত্যুবরণ করেন । [বিধান চন্দ্র পাল]