এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
'''এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড''' ২০১৩ সালের ২ এপ্রিল সরকারি অনুমোদন লাভের পর ২০১৩ সালের ১৮ এপ্রিল এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড তার ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু করে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসকারি অনিবাসী বাংলাদেশিরা ব্যাংকটির প্রতিষ্ঠাতা। ধারণা করা হয়েছিল যে অনিবাসী উদ্যোক্তারা কেবল বিশাল অঙ্কের বিনিয়োগ তহবিলই আনবে না, পাশাপাশি উন্নত প্রযুক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে একটি | '''এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড''' ২০১৩ সালের ২ এপ্রিল সরকারি অনুমোদন লাভের পর ২০১৩ সালের ১৮ এপ্রিল এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড তার ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু করে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসকারি অনিবাসী বাংলাদেশিরা ব্যাংকটির প্রতিষ্ঠাতা। ধারণা করা হয়েছিল যে অনিবাসী উদ্যোক্তারা কেবল বিশাল অঙ্কের বিনিয়োগ তহবিলই আনবে না, পাশাপাশি উন্নত প্রযুক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে একটি বিশ্বমানের ব্যাংকও প্রতিষ্ঠা করবে যা দেশের উন্নয়ন চাহিদার প্রয়োজন মেটাবে। ব্যাংকটি কোর ব্যাংকিং সফ্টওয়ার প্রয়োগের মাধ্যমে সূচনালগ্ন হতেই একটি পরিপূর্ণভাবে অটোমেটেড ব্যাংক হিসেবে তার যাত্রা শুরু করে। ব্যাংকটির অনুমোদিত মূলধনের পরিমাণ ১০ বিলিয়ন টাকা। ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের শাখা, এটিএম বুথ ও এজেন্টের সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ১০১, ৪৫, ও ৫৬৩। | ||
২০১৯ সালে সামগ্রিক ব্যাংকিং খাতের সর্বমোট আমানত এবং ঋণ ও অগ্রিমের মধ্যে এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের হিস্যা ছিল যথাক্রমে ০.৬ শতাংশ এবং ০.৬ শতাংশ। বছর শেষে ব্যাংকের পুঞ্জিভূত আমানত ৩২.৯০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ৭১,৮৫৭.৯০ মিলিয়ন টাকা; অন্যদিকে পুঞ্জিভূত ঋণ ও অগ্রিম ২৮.৯০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ৬২,০১৫.০০ মিলিয়ন টাকা। এ বছর আমানত ও ঋণের মধ্যে সুদ-হারের গড় ব্যবধান ছিল ৫.৫ শতাংশ। | ২০১৯ সালে সামগ্রিক ব্যাংকিং খাতের সর্বমোট আমানত এবং ঋণ ও অগ্রিমের মধ্যে এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের হিস্যা ছিল যথাক্রমে ০.৬ শতাংশ এবং ০.৬ শতাংশ। বছর শেষে ব্যাংকের পুঞ্জিভূত আমানত ৩২.৯০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ৭১,৮৫৭.৯০ মিলিয়ন টাকা; অন্যদিকে পুঞ্জিভূত ঋণ ও অগ্রিম ২৮.৯০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ৬২,০১৫.০০ মিলিয়ন টাকা। এ বছর আমানত ও ঋণের মধ্যে সুদ-হারের গড় ব্যবধান ছিল ৫.৫ শতাংশ। | ||
২০১৯ সালের শেষে এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড কর্তৃক প্রদত্ত ঋণ ও অগ্রিমের খাতওয়ারি বিভাজন ছিল নিম্নরূপ: (ক) চলতি মূলধন অর্থায়ন ৩৪%; (খ) ব্যবসা-বাণিজ্য ১৩%; (গ) শিল্প ১২%; (ঘ) নির্মাণ ৩৪%; (ঙ) কৃষি, মৎস্য ও বনায়ন ১.০০%; (চ) পরিবহণ ও যোগাযোগ ০.৩%; (জ) অন্যান্য ঋণ ৬.০০%। বছরব্যাপী ব্যাংকটির মাধ্যমে গৃহীত প্রবাসী আয়ের পরিমাণ ছিল ৮৪৫ মিলিয়ন টাকা। তাছাড়া সামাজিক দায়বদ্ধতা (সি.এস.আর) খাতে ব্যাংকের ব্যয় ২০১৮ সালের ৯৭.১ মিলিয়ন টাকা হতে হ্রাস পেয়ে ২০১৯ সালে দাঁড়ায় ২.৮ মিলিয়ন টাকা। শিল্প খাতে প্রদত্ত ঋণ ৫১.৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে বছর শেষে দাঁড়ায় ৩৭,৯৮১.৬০ কোটি টাকা। অন্যদিকে কৃষি খাতে বিতরণকৃত ঋণ ৬৫.১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ৬৭৮.৪ মিলিয়ন টাকা। বছর জুড়ে গৃহীত প্রবাসী আয়ের পরিমাণ ছিল ২০৯৩.৯০ মিলিয়ন টাকা। অন্যদিকে সি.এস.আর (কর্পোরেট সোশ্যাল রিসপন্সিবিলিটি) খাতে ব্যয় হয়েছিল ২২.৭০ মিলিয়ন টাকা। গ্রিন (সবুজ) অর্থায়নের আওতায় বিতরণ হয়েছিল ১,৩৩৯.৫০ মিলিয়ন টাকা এবং নারী উদ্যোক্তারা ঋণ হিসেবে পেয়েছিল ৩২৫.৬০ মিলিয়ন টাকা। | ২০১৯ সালের শেষে এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড কর্তৃক প্রদত্ত ঋণ ও অগ্রিমের খাতওয়ারি বিভাজন ছিল নিম্নরূপ: (ক) চলতি মূলধন অর্থায়ন ৩৪%; (খ) ব্যবসা-বাণিজ্য ১৩%; (গ) শিল্প ১২%; (ঘ) নির্মাণ ৩৪%; (ঙ) কৃষি, মৎস্য ও বনায়ন ১.০০%; (চ) পরিবহণ ও যোগাযোগ ০.৩%; (জ) অন্যান্য ঋণ ৬.০০%। বছরব্যাপী ব্যাংকটির মাধ্যমে গৃহীত প্রবাসী আয়ের পরিমাণ ছিল ৮৪৫ মিলিয়ন টাকা। তাছাড়া সামাজিক দায়বদ্ধতা (সি.এস.আর) খাতে ব্যাংকের ব্যয় ২০১৮ সালের ৯৭.১ মিলিয়ন টাকা হতে হ্রাস পেয়ে ২০১৯ সালে দাঁড়ায় ২.৮ মিলিয়ন টাকা। শিল্প খাতে প্রদত্ত ঋণ ৫১.৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে বছর শেষে দাঁড়ায় ৩৭,৯৮১.৬০ কোটি টাকা। অন্যদিকে কৃষি খাতে বিতরণকৃত ঋণ ৬৫.১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ৬৭৮.৪ মিলিয়ন টাকা। বছর জুড়ে গৃহীত প্রবাসী আয়ের পরিমাণ ছিল ২০৯৩.৯০ মিলিয়ন টাকা। অন্যদিকে সি.এস.আর (কর্পোরেট সোশ্যাল রিসপন্সিবিলিটি) খাতে ব্যয় হয়েছিল ২২.৭০ মিলিয়ন টাকা। গ্রিন (সবুজ) অর্থায়নের আওতায় বিতরণ হয়েছিল ১,৩৩৯.৫০ মিলিয়ন টাকা এবং নারী উদ্যোক্তারা ঋণ হিসেবে পেয়েছিল ৩২৫.৬০ মিলিয়ন টাকা। | ||
স্থানীয় ও অনিবাসী মক্কেল, প্রাতিষ্ঠানিক গ্রাহক, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠান, কৃষি খাত এবং সবুজ অর্থায়নের প্রয়োজনীয়তা মেটানোর মাধ্যমে একটি উচ্চ মানসম্পন্ন ও গ্রহণযোগ্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত হওয়ার জন্য ব্যাংকটি তার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। [হেলাল উদ্দিন আহমেদ] | স্থানীয় ও অনিবাসী মক্কেল, প্রাতিষ্ঠানিক গ্রাহক, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠান, কৃষি খাত এবং সবুজ অর্থায়নের প্রয়োজনীয়তা মেটানোর মাধ্যমে একটি উচ্চ মানসম্পন্ন ও গ্রহণযোগ্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত হওয়ার জন্য ব্যাংকটি তার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। [হেলাল উদ্দিন আহমেদ] | ||
০৭:০৪, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ
এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড ২০১৩ সালের ২ এপ্রিল সরকারি অনুমোদন লাভের পর ২০১৩ সালের ১৮ এপ্রিল এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড তার ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু করে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসকারি অনিবাসী বাংলাদেশিরা ব্যাংকটির প্রতিষ্ঠাতা। ধারণা করা হয়েছিল যে অনিবাসী উদ্যোক্তারা কেবল বিশাল অঙ্কের বিনিয়োগ তহবিলই আনবে না, পাশাপাশি উন্নত প্রযুক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে একটি বিশ্বমানের ব্যাংকও প্রতিষ্ঠা করবে যা দেশের উন্নয়ন চাহিদার প্রয়োজন মেটাবে। ব্যাংকটি কোর ব্যাংকিং সফ্টওয়ার প্রয়োগের মাধ্যমে সূচনালগ্ন হতেই একটি পরিপূর্ণভাবে অটোমেটেড ব্যাংক হিসেবে তার যাত্রা শুরু করে। ব্যাংকটির অনুমোদিত মূলধনের পরিমাণ ১০ বিলিয়ন টাকা। ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের শাখা, এটিএম বুথ ও এজেন্টের সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ১০১, ৪৫, ও ৫৬৩।
২০১৯ সালে সামগ্রিক ব্যাংকিং খাতের সর্বমোট আমানত এবং ঋণ ও অগ্রিমের মধ্যে এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের হিস্যা ছিল যথাক্রমে ০.৬ শতাংশ এবং ০.৬ শতাংশ। বছর শেষে ব্যাংকের পুঞ্জিভূত আমানত ৩২.৯০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ৭১,৮৫৭.৯০ মিলিয়ন টাকা; অন্যদিকে পুঞ্জিভূত ঋণ ও অগ্রিম ২৮.৯০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ৬২,০১৫.০০ মিলিয়ন টাকা। এ বছর আমানত ও ঋণের মধ্যে সুদ-হারের গড় ব্যবধান ছিল ৫.৫ শতাংশ।
২০১৯ সালের শেষে এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড কর্তৃক প্রদত্ত ঋণ ও অগ্রিমের খাতওয়ারি বিভাজন ছিল নিম্নরূপ: (ক) চলতি মূলধন অর্থায়ন ৩৪%; (খ) ব্যবসা-বাণিজ্য ১৩%; (গ) শিল্প ১২%; (ঘ) নির্মাণ ৩৪%; (ঙ) কৃষি, মৎস্য ও বনায়ন ১.০০%; (চ) পরিবহণ ও যোগাযোগ ০.৩%; (জ) অন্যান্য ঋণ ৬.০০%। বছরব্যাপী ব্যাংকটির মাধ্যমে গৃহীত প্রবাসী আয়ের পরিমাণ ছিল ৮৪৫ মিলিয়ন টাকা। তাছাড়া সামাজিক দায়বদ্ধতা (সি.এস.আর) খাতে ব্যাংকের ব্যয় ২০১৮ সালের ৯৭.১ মিলিয়ন টাকা হতে হ্রাস পেয়ে ২০১৯ সালে দাঁড়ায় ২.৮ মিলিয়ন টাকা। শিল্প খাতে প্রদত্ত ঋণ ৫১.৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে বছর শেষে দাঁড়ায় ৩৭,৯৮১.৬০ কোটি টাকা। অন্যদিকে কৃষি খাতে বিতরণকৃত ঋণ ৬৫.১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ৬৭৮.৪ মিলিয়ন টাকা। বছর জুড়ে গৃহীত প্রবাসী আয়ের পরিমাণ ছিল ২০৯৩.৯০ মিলিয়ন টাকা। অন্যদিকে সি.এস.আর (কর্পোরেট সোশ্যাল রিসপন্সিবিলিটি) খাতে ব্যয় হয়েছিল ২২.৭০ মিলিয়ন টাকা। গ্রিন (সবুজ) অর্থায়নের আওতায় বিতরণ হয়েছিল ১,৩৩৯.৫০ মিলিয়ন টাকা এবং নারী উদ্যোক্তারা ঋণ হিসেবে পেয়েছিল ৩২৫.৬০ মিলিয়ন টাকা।
স্থানীয় ও অনিবাসী মক্কেল, প্রাতিষ্ঠানিক গ্রাহক, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠান, কৃষি খাত এবং সবুজ অর্থায়নের প্রয়োজনীয়তা মেটানোর মাধ্যমে একটি উচ্চ মানসম্পন্ন ও গ্রহণযোগ্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত হওয়ার জন্য ব্যাংকটি তার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। [হেলাল উদ্দিন আহমেদ]
উৎস ব্যাংকিং অ্যালম্যানাক ২০১৬। ঢাকা: শিক্ষা বিচিত্রা, ডিসেম্বর ২০১৬; আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রতিবেদন ২০১৮-১৯। ঢাকা: আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, জুন ২০২০; এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেডের ওয়েবসাইট।