চট্টগ্রাম ক্লাব: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) অ (Added Ennglish article link) |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
২ নং লাইন: | ২ নং লাইন: | ||
'''চট্টগ্রাম ক্লাব''' ১৮৭৮ সালে প্রতিষ্ঠিত। দৃষ্টিনন্দন স্থানে নির্মিত আকর্ষণীয় ভবন, বিনোদনের সুযোগসুবিধা এবং ঐতিহ্যের প্রাচীনত্বের জন্য বিখ্যাত এ ক্লাবটি যতদূর জানা যায় চট্টগ্রাম নগরীর জঙ্গলাকীর্ণ পাহাড় শীর্ষে বসবাসকারী শ্বেতাঙ্গ চা উৎপাদকরা গড়ে তুলেছিলেন। তৎকালীন শীর্ষস্থানীয় চা-আবাদকারী ক্যাম্পবেলের নিজের বাসগৃহে ১৮৭৮ সালের ২৩ আগস্ট শেতাঙ্গদের প্রথম বৈঠক বসেছিল বলে মনে করা হয়। সেই দিনই আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় চট্টগ্রাম ক্লাবের। প্রথম সভার পরপরই শ্বেতাঙ্গ অফিসারবৃন্দ ও ব্যবসায়ীরা ক্লাবে যোগদান করেন। এর প্রথম অবৈতনিক সচিব ছিলেন আর.ডি ম্যুর। চট্টগ্রাম ক্লাবের দ্রুত সম্প্রসারণ ঘটার প্রেক্ষিতে এর সভাপতির পদ অলঙ্কৃত করেন ডি.আর লিয়াল। ভারতীয় সিভিল সার্ভিস-এর সদস্য, ১৮৮৩-১৮৮৭ মেয়াদে নিয়োজিত পুলিশের মহাপরিদর্শক এবং ১৮৮৭-১৮৯১ মেয়াদে চট্টগ্রামের কমিশনার পদে নিয়োজিত ডি.আর লিয়াল- এর নেতৃত্বে ক্লাবটি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করে। ইনডোর গেমসসহ সকল খেলাধুলা ও বিনোদনের প্রয়োজনীয় সুবিধাদি ক্লাবের সদস্যদের পরস্পরের আরো ঘনিষ্ট করে তোলে। | '''চট্টগ্রাম ক্লাব''' ১৮৭৮ সালে প্রতিষ্ঠিত। দৃষ্টিনন্দন স্থানে নির্মিত আকর্ষণীয় ভবন, বিনোদনের সুযোগসুবিধা এবং ঐতিহ্যের প্রাচীনত্বের জন্য বিখ্যাত এ ক্লাবটি যতদূর জানা যায় চট্টগ্রাম নগরীর জঙ্গলাকীর্ণ পাহাড় শীর্ষে বসবাসকারী শ্বেতাঙ্গ চা উৎপাদকরা গড়ে তুলেছিলেন। তৎকালীন শীর্ষস্থানীয় চা-আবাদকারী ক্যাম্পবেলের নিজের বাসগৃহে ১৮৭৮ সালের ২৩ আগস্ট শেতাঙ্গদের প্রথম বৈঠক বসেছিল বলে মনে করা হয়। সেই দিনই আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় চট্টগ্রাম ক্লাবের। প্রথম সভার পরপরই শ্বেতাঙ্গ অফিসারবৃন্দ ও ব্যবসায়ীরা ক্লাবে যোগদান করেন। এর প্রথম অবৈতনিক সচিব ছিলেন আর.ডি ম্যুর। চট্টগ্রাম ক্লাবের দ্রুত সম্প্রসারণ ঘটার প্রেক্ষিতে এর সভাপতির পদ অলঙ্কৃত করেন ডি.আর লিয়াল। ভারতীয় সিভিল সার্ভিস-এর সদস্য, ১৮৮৩-১৮৮৭ মেয়াদে নিয়োজিত পুলিশের মহাপরিদর্শক এবং ১৮৮৭-১৮৯১ মেয়াদে চট্টগ্রামের কমিশনার পদে নিয়োজিত ডি.আর লিয়াল- এর নেতৃত্বে ক্লাবটি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করে। ইনডোর গেমসসহ সকল খেলাধুলা ও বিনোদনের প্রয়োজনীয় সুবিধাদি ক্লাবের সদস্যদের পরস্পরের আরো ঘনিষ্ট করে তোলে। | ||
[[Image:ChittagongClub.jpg|thumb|400px|right|চট্টগ্রাম ক্লাব]] | |||
চট্টগ্রাম ক্লাব বর্তমান স্থলে আসে ১৯০১ সালের ২৭ মার্চ। ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গ, চট্টগ্রামে ইস্টার্ন বেঙ্গল রেলওয়ে সদর দপ্তর স্থাপন এবং চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে পাট রপ্তানি বৃদ্ধির সাথে সাথে চট্টগ্রাম ক্লাবেরও শ্রীবৃদ্ধি ঘটে। ১৯০৮ সালে এটি একটি কোম্পানি হিসেবে রেজিস্ট্রিকৃত হয়। ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত ক্লাবটি ছিল প্রায় সর্ব শ্বেতাঙ্গ। সদস্য সংখ্যা সীমাবদ্ধ ছিল সর্বোচ্চ এক শতে। ১৯৪৭ সাল থেকে ক্লাবের সাংগঠনিক কাঠামো ও বৈশিষ্ট্যে পরিবর্তন আসতে থাকে। সর্বোচ্চ সদস্য সংখ্যার সীমাবদ্ধতা প্রত্যাহার করা হয়। সামাজিক-রাজনৈতিক পরিবর্তনের ফলে সদস্যপদ প্রদানের ক্ষেত্রে যে বর্ণবাদী নিষেধাজ্ঞা ছিল তাও দূরীভূত হয়। সমাজের উঁচু, বিত্তশালী ও শিক্ষিত ব্যক্তিদের ক্লাবের সদস্য হওয়ার জন্য যোগ্য বলে গঠনতন্ত্রে পরিবর্তন আনা হয়। | চট্টগ্রাম ক্লাব বর্তমান স্থলে আসে ১৯০১ সালের ২৭ মার্চ। ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গ, চট্টগ্রামে ইস্টার্ন বেঙ্গল রেলওয়ে সদর দপ্তর স্থাপন এবং চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে পাট রপ্তানি বৃদ্ধির সাথে সাথে চট্টগ্রাম ক্লাবেরও শ্রীবৃদ্ধি ঘটে। ১৯০৮ সালে এটি একটি কোম্পানি হিসেবে রেজিস্ট্রিকৃত হয়। ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত ক্লাবটি ছিল প্রায় সর্ব শ্বেতাঙ্গ। সদস্য সংখ্যা সীমাবদ্ধ ছিল সর্বোচ্চ এক শতে। ১৯৪৭ সাল থেকে ক্লাবের সাংগঠনিক কাঠামো ও বৈশিষ্ট্যে পরিবর্তন আসতে থাকে। সর্বোচ্চ সদস্য সংখ্যার সীমাবদ্ধতা প্রত্যাহার করা হয়। সামাজিক-রাজনৈতিক পরিবর্তনের ফলে সদস্যপদ প্রদানের ক্ষেত্রে যে বর্ণবাদী নিষেধাজ্ঞা ছিল তাও দূরীভূত হয়। সমাজের উঁচু, বিত্তশালী ও শিক্ষিত ব্যক্তিদের ক্লাবের সদস্য হওয়ার জন্য যোগ্য বলে গঠনতন্ত্রে পরিবর্তন আনা হয়। | ||
বর্তমানে (২০১০) ক্লাবের সদস্যসংখ্যা বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ১৮০০-তে উন্নীত হয়েছে। বিগত কয়েক দশকে ক্লাবের সুযোগ সুবিধা বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিনোদন ও অতিথি আপ্যায়নের ব্যবস্থা, পুরুষ ও মহিলাদের পৃথক হেলথ ক্লাব, হাউজি-জুয়া ও তাস খেলার ব্যবস্থা এবং বার, কনফেকশনারি ও ডাইনিং রুম গড়ে তোলা হয়েছে। তাছাড়া লাইব্রেরি, সিনেমা দেখার ব্যবস্থা এবং ফুটবল, ক্রিকেট, টেনিস, টেবিল টেনিস, স্কোয়াশ, ব্যাডমিন্টন, বিলিয়ার্ড ও স্নুকার খেলার সুবিধা রয়েছে। এছাড়া লন্ড্রি, মহিলাদের রূপচর্চা কেন্দ্র, পুরুষদের সেলুন এবং সাময়িক অবস্থানের জন্য এখানে বেশ কয়েকটি কটেজ গড়ে তোলা হয়েছে। বিনোদনের পাশাপাশি বর্তমানে ক্লাবটি বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত হয়েছে। বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ইস্যুতে ক্লাবটি বক্তৃতা, সেমিনার ও আলোচনা সভা এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সম্মানে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে। সাংস্কৃতিক ও মানবিক সেবা কর্যক্রমে সহায়তার জন্য ক্লাবটি তহবিল সংগ্রহ অভিযানও পরিচালনা করে থাকে। বর্তমানে চট্টগ্রাম ক্লাব পৃথিবীর ৫২টি ক্লাবের সঙ্গে সাথীভুক্ত হয়ে কর্মকান্ড পরিচালনা করে চলেছে। [সাইফুদ্দিন মোহাম্মদ তারিক] | বর্তমানে (২০১০) ক্লাবের সদস্যসংখ্যা বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ১৮০০-তে উন্নীত হয়েছে। বিগত কয়েক দশকে ক্লাবের সুযোগ সুবিধা বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিনোদন ও অতিথি আপ্যায়নের ব্যবস্থা, পুরুষ ও মহিলাদের পৃথক হেলথ ক্লাব, হাউজি-জুয়া ও তাস খেলার ব্যবস্থা এবং বার, কনফেকশনারি ও ডাইনিং রুম গড়ে তোলা হয়েছে। তাছাড়া লাইব্রেরি, সিনেমা দেখার ব্যবস্থা এবং ফুটবল, ক্রিকেট, টেনিস, টেবিল টেনিস, স্কোয়াশ, ব্যাডমিন্টন, বিলিয়ার্ড ও স্নুকার খেলার সুবিধা রয়েছে। এছাড়া লন্ড্রি, মহিলাদের রূপচর্চা কেন্দ্র, পুরুষদের সেলুন এবং সাময়িক অবস্থানের জন্য এখানে বেশ কয়েকটি কটেজ গড়ে তোলা হয়েছে। বিনোদনের পাশাপাশি বর্তমানে ক্লাবটি বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত হয়েছে। বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ইস্যুতে ক্লাবটি বক্তৃতা, সেমিনার ও আলোচনা সভা এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সম্মানে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে। সাংস্কৃতিক ও মানবিক সেবা কর্যক্রমে সহায়তার জন্য ক্লাবটি তহবিল সংগ্রহ অভিযানও পরিচালনা করে থাকে। বর্তমানে চট্টগ্রাম ক্লাব পৃথিবীর ৫২টি ক্লাবের সঙ্গে সাথীভুক্ত হয়ে কর্মকান্ড পরিচালনা করে চলেছে। [সাইফুদ্দিন মোহাম্মদ তারিক] | ||
[[en:Chittagong Club]] | [[en:Chittagong Club]] |
০৫:৪৯, ৮ অক্টোবর ২০১৪ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ
চট্টগ্রাম ক্লাব ১৮৭৮ সালে প্রতিষ্ঠিত। দৃষ্টিনন্দন স্থানে নির্মিত আকর্ষণীয় ভবন, বিনোদনের সুযোগসুবিধা এবং ঐতিহ্যের প্রাচীনত্বের জন্য বিখ্যাত এ ক্লাবটি যতদূর জানা যায় চট্টগ্রাম নগরীর জঙ্গলাকীর্ণ পাহাড় শীর্ষে বসবাসকারী শ্বেতাঙ্গ চা উৎপাদকরা গড়ে তুলেছিলেন। তৎকালীন শীর্ষস্থানীয় চা-আবাদকারী ক্যাম্পবেলের নিজের বাসগৃহে ১৮৭৮ সালের ২৩ আগস্ট শেতাঙ্গদের প্রথম বৈঠক বসেছিল বলে মনে করা হয়। সেই দিনই আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় চট্টগ্রাম ক্লাবের। প্রথম সভার পরপরই শ্বেতাঙ্গ অফিসারবৃন্দ ও ব্যবসায়ীরা ক্লাবে যোগদান করেন। এর প্রথম অবৈতনিক সচিব ছিলেন আর.ডি ম্যুর। চট্টগ্রাম ক্লাবের দ্রুত সম্প্রসারণ ঘটার প্রেক্ষিতে এর সভাপতির পদ অলঙ্কৃত করেন ডি.আর লিয়াল। ভারতীয় সিভিল সার্ভিস-এর সদস্য, ১৮৮৩-১৮৮৭ মেয়াদে নিয়োজিত পুলিশের মহাপরিদর্শক এবং ১৮৮৭-১৮৯১ মেয়াদে চট্টগ্রামের কমিশনার পদে নিয়োজিত ডি.আর লিয়াল- এর নেতৃত্বে ক্লাবটি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করে। ইনডোর গেমসসহ সকল খেলাধুলা ও বিনোদনের প্রয়োজনীয় সুবিধাদি ক্লাবের সদস্যদের পরস্পরের আরো ঘনিষ্ট করে তোলে।
চট্টগ্রাম ক্লাব বর্তমান স্থলে আসে ১৯০১ সালের ২৭ মার্চ। ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গ, চট্টগ্রামে ইস্টার্ন বেঙ্গল রেলওয়ে সদর দপ্তর স্থাপন এবং চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে পাট রপ্তানি বৃদ্ধির সাথে সাথে চট্টগ্রাম ক্লাবেরও শ্রীবৃদ্ধি ঘটে। ১৯০৮ সালে এটি একটি কোম্পানি হিসেবে রেজিস্ট্রিকৃত হয়। ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত ক্লাবটি ছিল প্রায় সর্ব শ্বেতাঙ্গ। সদস্য সংখ্যা সীমাবদ্ধ ছিল সর্বোচ্চ এক শতে। ১৯৪৭ সাল থেকে ক্লাবের সাংগঠনিক কাঠামো ও বৈশিষ্ট্যে পরিবর্তন আসতে থাকে। সর্বোচ্চ সদস্য সংখ্যার সীমাবদ্ধতা প্রত্যাহার করা হয়। সামাজিক-রাজনৈতিক পরিবর্তনের ফলে সদস্যপদ প্রদানের ক্ষেত্রে যে বর্ণবাদী নিষেধাজ্ঞা ছিল তাও দূরীভূত হয়। সমাজের উঁচু, বিত্তশালী ও শিক্ষিত ব্যক্তিদের ক্লাবের সদস্য হওয়ার জন্য যোগ্য বলে গঠনতন্ত্রে পরিবর্তন আনা হয়।
বর্তমানে (২০১০) ক্লাবের সদস্যসংখ্যা বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ১৮০০-তে উন্নীত হয়েছে। বিগত কয়েক দশকে ক্লাবের সুযোগ সুবিধা বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিনোদন ও অতিথি আপ্যায়নের ব্যবস্থা, পুরুষ ও মহিলাদের পৃথক হেলথ ক্লাব, হাউজি-জুয়া ও তাস খেলার ব্যবস্থা এবং বার, কনফেকশনারি ও ডাইনিং রুম গড়ে তোলা হয়েছে। তাছাড়া লাইব্রেরি, সিনেমা দেখার ব্যবস্থা এবং ফুটবল, ক্রিকেট, টেনিস, টেবিল টেনিস, স্কোয়াশ, ব্যাডমিন্টন, বিলিয়ার্ড ও স্নুকার খেলার সুবিধা রয়েছে। এছাড়া লন্ড্রি, মহিলাদের রূপচর্চা কেন্দ্র, পুরুষদের সেলুন এবং সাময়িক অবস্থানের জন্য এখানে বেশ কয়েকটি কটেজ গড়ে তোলা হয়েছে। বিনোদনের পাশাপাশি বর্তমানে ক্লাবটি বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত হয়েছে। বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ইস্যুতে ক্লাবটি বক্তৃতা, সেমিনার ও আলোচনা সভা এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সম্মানে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে। সাংস্কৃতিক ও মানবিক সেবা কর্যক্রমে সহায়তার জন্য ক্লাবটি তহবিল সংগ্রহ অভিযানও পরিচালনা করে থাকে। বর্তমানে চট্টগ্রাম ক্লাব পৃথিবীর ৫২টি ক্লাবের সঙ্গে সাথীভুক্ত হয়ে কর্মকান্ড পরিচালনা করে চলেছে। [সাইফুদ্দিন মোহাম্মদ তারিক]