ফ্লাইওভার: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
(একই ব্যবহারকারী দ্বারা সম্পাদিত একটি মধ্যবর্তী সংশোধন দেখানো হচ্ছে না) | |||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
[[Image: | [[Image:Flyover.jpg|right|thumbnail|400px|মেয়র মোহাম্মদ হানিফফ্লাইওভারের অংশ বিশেষ]] | ||
'''ফ্লাইওভার''' (উড়াল সেতু) ফ্লাইওভার বা ওভারপাস একটা সেতু যা একটা রাস্তা অথবা রেললাইন অপর একটা রাস্তা বা রেললাইনের উপর দিয়ে যায় এবং সেখানে উপর ও নিচের রাস্তার মধ্যে যাতায়াতের জন্য সম্পূরক রাস্তা থাকতে বা নাও থাকতে পারে। যখন দুই রাস্তা একই লেভেলে ক্রস করে তখন দুই রাস্তাই যানবাহন চলাচলের জন্য সিগনাল দিয়ে পর্যায় ক্রমে বন্ধ ও খোলা রাখতে হয়। এতে ক্রসিং এ যানবাহন চলাচলের ক্ষমতা অর্ধেক হয়ে যায়। রাস্তায় যানবাহন বেশি হলে এই পদ্ধতিতে অস্বাভাবিক বিলম্ব ঘটায় ও যানজট সৃষ্টি করে। এই ক্ষেত্রে দুইটা রাস্তাই একসাথে চালু রাখার জন্য সেতু নির্মাণ করে একটি রাস্তা অন্য রাস্তার উপর দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়, এই উপরের রাস্তাকে ফ্লাইওভার বা উড়াল সেতু বলা হয়। আবার কোনো রাস্তায় যানবাহনের চাপ অতিরিক্ত হলে এবং রাস্তা প্রশস্ত করার সুযোগ না থাকলে, এই রাস্তার উপর দিয়ে সেতুর মধ্যমে আর একটা রাস্তা নির্মাণ করে নিচের রাস্তায় যানবাহনের চাপ কমানো হয়। এই উঁচু লেভেলের রাস্তাটিকে ফ্লাইওভার বলা হয়, যা সাধারণত দ্রুতগামী যানবাহন ব্যবহার করে। এক্সপ্রেসওয়ে ও জাতীয় মহাসড়কে স্থানীয় রাস্তা বা অন্যান্য বাধা অতিক্রমের জন্য ফ্লাইওভার বা উড়াল সেতু নির্মাণ করা হয়। | '''ফ্লাইওভার''' (উড়াল সেতু) ফ্লাইওভার বা ওভারপাস একটা সেতু যা একটা রাস্তা অথবা রেললাইন অপর একটা রাস্তা বা রেললাইনের উপর দিয়ে যায় এবং সেখানে উপর ও নিচের রাস্তার মধ্যে যাতায়াতের জন্য সম্পূরক রাস্তা থাকতে বা নাও থাকতে পারে। যখন দুই রাস্তা একই লেভেলে ক্রস করে তখন দুই রাস্তাই যানবাহন চলাচলের জন্য সিগনাল দিয়ে পর্যায় ক্রমে বন্ধ ও খোলা রাখতে হয়। এতে ক্রসিং এ যানবাহন চলাচলের ক্ষমতা অর্ধেক হয়ে যায়। রাস্তায় যানবাহন বেশি হলে এই পদ্ধতিতে অস্বাভাবিক বিলম্ব ঘটায় ও যানজট সৃষ্টি করে। এই ক্ষেত্রে দুইটা রাস্তাই একসাথে চালু রাখার জন্য সেতু নির্মাণ করে একটি রাস্তা অন্য রাস্তার উপর দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়, এই উপরের রাস্তাকে ফ্লাইওভার বা উড়াল সেতু বলা হয়। আবার কোনো রাস্তায় যানবাহনের চাপ অতিরিক্ত হলে এবং রাস্তা প্রশস্ত করার সুযোগ না থাকলে, এই রাস্তার উপর দিয়ে সেতুর মধ্যমে আর একটা রাস্তা নির্মাণ করে নিচের রাস্তায় যানবাহনের চাপ কমানো হয়। এই উঁচু লেভেলের রাস্তাটিকে ফ্লাইওভার বলা হয়, যা সাধারণত দ্রুতগামী যানবাহন ব্যবহার করে। এক্সপ্রেসওয়ে ও জাতীয় মহাসড়কে স্থানীয় রাস্তা বা অন্যান্য বাধা অতিক্রমের জন্য ফ্লাইওভার বা উড়াল সেতু নির্মাণ করা হয়। | ||
[[Image: | [[Image:Faridpur-BarisalNationalHighways.jpg|left|thumbnail|400px|ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গায় দৃষ্টিনন্দন ফ্লাইওভার]] | ||
ঢাকা ও চট্টগ্রাম নগরে যানজট নিরসনের জন্য অনেক ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হয়েছে যেগুলিল মধ্যে ঢাকায় নির্মিত ‘মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভার’ সর্ববৃহৎ। ঢাকায় নির্মিত অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ফ্লাইওভার হলো মিরপুর-বিমান বন্দর ফ্লাইওভার, মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভার, কুড়িল ফ্লাইওভার, মহাখালী ফ্লাইওভার, বনানী ফ্লাইওভার, তেজগাঁও লিংক ফ্লাইওভার, খিলগাঁও ফ্লাইওভার। বাংলাদেশের সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন ফ্লাইওভার ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গায় অবস্থিত, যা জাতীয় মহাসড়ক ঢাকা-খুলনা (এন৮-এন৮০৫) ও ফরিদপুর-বরিশাল (এন৮-এন৮০৪) ক্রসিং এ নির্মাণ করা হয়েছে। | ঢাকা ও চট্টগ্রাম নগরে যানজট নিরসনের জন্য অনেক ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হয়েছে যেগুলিল মধ্যে ঢাকায় নির্মিত ‘মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভার’ সর্ববৃহৎ। ঢাকায় নির্মিত অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ফ্লাইওভার হলো মিরপুর-বিমান বন্দর ফ্লাইওভার, মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভার, কুড়িল ফ্লাইওভার, মহাখালী ফ্লাইওভার, বনানী ফ্লাইওভার, তেজগাঁও লিংক ফ্লাইওভার, খিলগাঁও ফ্লাইওভার। বাংলাদেশের সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন ফ্লাইওভার ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গায় অবস্থিত, যা জাতীয় মহাসড়ক ঢাকা-খুলনা (এন৮-এন৮০৫) ও ফরিদপুর-বরিশাল (এন৮-এন৮০৪) ক্রসিং এ নির্মাণ করা হয়েছে। | ||
১৫:৪২, ১৩ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ
ফ্লাইওভার (উড়াল সেতু) ফ্লাইওভার বা ওভারপাস একটা সেতু যা একটা রাস্তা অথবা রেললাইন অপর একটা রাস্তা বা রেললাইনের উপর দিয়ে যায় এবং সেখানে উপর ও নিচের রাস্তার মধ্যে যাতায়াতের জন্য সম্পূরক রাস্তা থাকতে বা নাও থাকতে পারে। যখন দুই রাস্তা একই লেভেলে ক্রস করে তখন দুই রাস্তাই যানবাহন চলাচলের জন্য সিগনাল দিয়ে পর্যায় ক্রমে বন্ধ ও খোলা রাখতে হয়। এতে ক্রসিং এ যানবাহন চলাচলের ক্ষমতা অর্ধেক হয়ে যায়। রাস্তায় যানবাহন বেশি হলে এই পদ্ধতিতে অস্বাভাবিক বিলম্ব ঘটায় ও যানজট সৃষ্টি করে। এই ক্ষেত্রে দুইটা রাস্তাই একসাথে চালু রাখার জন্য সেতু নির্মাণ করে একটি রাস্তা অন্য রাস্তার উপর দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়, এই উপরের রাস্তাকে ফ্লাইওভার বা উড়াল সেতু বলা হয়। আবার কোনো রাস্তায় যানবাহনের চাপ অতিরিক্ত হলে এবং রাস্তা প্রশস্ত করার সুযোগ না থাকলে, এই রাস্তার উপর দিয়ে সেতুর মধ্যমে আর একটা রাস্তা নির্মাণ করে নিচের রাস্তায় যানবাহনের চাপ কমানো হয়। এই উঁচু লেভেলের রাস্তাটিকে ফ্লাইওভার বলা হয়, যা সাধারণত দ্রুতগামী যানবাহন ব্যবহার করে। এক্সপ্রেসওয়ে ও জাতীয় মহাসড়কে স্থানীয় রাস্তা বা অন্যান্য বাধা অতিক্রমের জন্য ফ্লাইওভার বা উড়াল সেতু নির্মাণ করা হয়।
ঢাকা ও চট্টগ্রাম নগরে যানজট নিরসনের জন্য অনেক ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হয়েছে যেগুলিল মধ্যে ঢাকায় নির্মিত ‘মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভার’ সর্ববৃহৎ। ঢাকায় নির্মিত অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ফ্লাইওভার হলো মিরপুর-বিমান বন্দর ফ্লাইওভার, মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভার, কুড়িল ফ্লাইওভার, মহাখালী ফ্লাইওভার, বনানী ফ্লাইওভার, তেজগাঁও লিংক ফ্লাইওভার, খিলগাঁও ফ্লাইওভার। বাংলাদেশের সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন ফ্লাইওভার ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গায় অবস্থিত, যা জাতীয় মহাসড়ক ঢাকা-খুলনা (এন৮-এন৮০৫) ও ফরিদপুর-বরিশাল (এন৮-এন৮০৪) ক্রসিং এ নির্মাণ করা হয়েছে।
শহরে বা নগরে ফ্লাইওভার নির্মাণ করলে যানবাহনের গতি বাড়ে এবং যানজট নিরসন হয়, কিন্তু উভয় পাশের বিল্ডিংয়ের গ্রাউন্ড ও প্রথম তলার ব্যবহারকারীরা ফ্লাইওভার নির্মাণের জন্য আলো ও উম্মুক্ত পরিবেশ থেকে বঞ্চিত হয়। ফ্লাইওভারের যানবাহনের শব্দ, নির্গত দূষিত গ্যাস ও বস্তুকণা উপরে গিয়ে অধিকতর বিস্তরণ ঘটিয়ে পরিবেশ দূষণ বৃদ্ধি করে। ফ্লাইওভারে উঠা ও নামার জন্য যথেষ্ট জায়গা না থাকলে বা নিচের রাস্তার অনেক জায়গা দখল হয়ে গেলে শহর ও নগরে ফ্লাইওভার যানজটের কারণ হতে পারে। [এম ফিরোজ আহমেদ]