হাসান, মাহমুদ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

সম্পাদনা সারাংশ নেই
(Text replacement - "\[মুয়ায্যম হুসায়ন খান\]" to "[মুয়ায্‌যম হুসায়ন খান]")
 
৭ নং লাইন: ৭ নং লাইন:
মাহমুদ হাসান ১৯৪২ সালের ১ জুলাই থেকে ১৯৪৮ সালের ২১ অক্টোবর পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর তিনি পাকিস্তান সরকারের শিক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা (১৯৪৮) এবং পূর্ব পাকিস্তান পাবলিক সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি সিরিয়া, লেবানন ও জর্ডানে অবস্থিত পাকিস্তান হাইকমিশনে মিনিস্টার পদে দায়িত্ব পালন করেন।
মাহমুদ হাসান ১৯৪২ সালের ১ জুলাই থেকে ১৯৪৮ সালের ২১ অক্টোবর পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর তিনি পাকিস্তান সরকারের শিক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা (১৯৪৮) এবং পূর্ব পাকিস্তান পাবলিক সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি সিরিয়া, লেবানন ও জর্ডানে অবস্থিত পাকিস্তান হাইকমিশনে মিনিস্টার পদে দায়িত্ব পালন করেন।


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর চাকুরিকালে মাহমুদ হাসান বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য, এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের সদস্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কোর্টের নির্বাচিত সদস্য ছিলেন। তিনি ১৯২৮ সালের নভেম্বর মাসে লাহোরে অনুষ্ঠিত ওরিয়েন্টাল কনফারেন্স এবং ১৯৩৯ সালে ওয়াল্টেয়ারে অনুষ্ঠিত আন্তবিশ্ববিদ্যালয় বোর্ডের বার্ষিক অধিবেশনে অংশগ্রহণ করেন। মাহমুদ হাসান The Life and Works of Nathaniel Lee শীর্ষক একটি গ্রন্থ রচনা করেন।  [মুয়ায্যম হুসায়ন খান]
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর চাকুরিকালে মাহমুদ হাসান বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য, এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের সদস্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কোর্টের নির্বাচিত সদস্য ছিলেন। তিনি ১৯২৮ সালের নভেম্বর মাসে লাহোরে অনুষ্ঠিত ওরিয়েন্টাল কনফারেন্স এবং ১৯৩৯ সালে ওয়াল্টেয়ারে অনুষ্ঠিত আন্তবিশ্ববিদ্যালয় বোর্ডের বার্ষিক অধিবেশনে অংশগ্রহণ করেন। মাহমুদ হাসান The Life and Works of Nathaniel Lee শীর্ষক একটি গ্রন্থ রচনা করেন।  [মুয়ায্‌যম হুসায়ন খান]


[[en:Hasan, Mahmud]]
[[en:Hasan, Mahmud]]

১৬:২৫, ১৭ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

মাহমুদ হাসান

হাসান, মাহমুদ (১৮৯৭-?)  শিক্ষাবিদ। ১৮৯৭ সালের ২ মার্চ তাঁর জন্ম। কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ১৯১৮ সালে ইংরেজি বিষয়ে বি.এ (অনার্স) এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯২০ সালে ইংরেজিতে এম.এ ডিগ্রি লাভ করেন। পরে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি বি.এল ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯২৬ সালে ইংরেজি বিষয়ে এম.এ এবং একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বার-এট-ল’ সম্পন্ন করেন।

মাহমুদ হাসান গৌহাটির কটন কলেজে ইংরেজির প্রভাষক হিসেবে ১৯২১ সালে তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন। ওই বছরই তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজির প্রভাষক পদে নিয়োগ লাভ করেন। ১৯২৬ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রীডার পদে উন্নীত হন। মাহমুদ হাসান ১৯২৭-২৮ সালে ইংরেজি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এবং ১৯২৯ থেকে ১৯৩৬ সাল পর্যন্ত এই বিভাগের অধ্যক্ষ ছিলেন। ১৯২৮ সালে তিনি সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের প্রাধ্যক্ষ ছিলেন। মাহমুদ হাসান ১৯৩৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি লাভ করেন। কিছুকাল তিনি ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন (১৯৪২)।

মাহমুদ হাসান ১৯৪২ সালের ১ জুলাই থেকে ১৯৪৮ সালের ২১ অক্টোবর পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর তিনি পাকিস্তান সরকারের শিক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা (১৯৪৮) এবং পূর্ব পাকিস্তান পাবলিক সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি সিরিয়া, লেবানন ও জর্ডানে অবস্থিত পাকিস্তান হাইকমিশনে মিনিস্টার পদে দায়িত্ব পালন করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর চাকুরিকালে মাহমুদ হাসান বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য, এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের সদস্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কোর্টের নির্বাচিত সদস্য ছিলেন। তিনি ১৯২৮ সালের নভেম্বর মাসে লাহোরে অনুষ্ঠিত ওরিয়েন্টাল কনফারেন্স এবং ১৯৩৯ সালে ওয়াল্টেয়ারে অনুষ্ঠিত আন্তবিশ্ববিদ্যালয় বোর্ডের বার্ষিক অধিবেশনে অংশগ্রহণ করেন। মাহমুদ হাসান The Life and Works of Nathaniel Lee শীর্ষক একটি গ্রন্থ রচনা করেন।  [মুয়ায্‌যম হুসায়ন খান]