সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
(একই ব্যবহারকারী দ্বারা সম্পাদিত একটি মধ্যবর্তী সংশোধন দেখানো হচ্ছে না) | |||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
[[Category:বাংলাপিডিয়া]] | [[Category:বাংলাপিডিয়া]] | ||
'''সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড''' (এসআইবিএল) | '''সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড''' (এসআইবিএল) একটি শরীয়াহভিত্তিক সুদমুক্ত ইসলামি ব্যাংক। এটি কোম্পানি আইন ১৯৯৪-এর অধীনে নিবন্ধিত হয়ে ১৯৯৫ সালের ২২ নভেম্বর তারিখে ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু করে। ওআইসি’র সাবেক মহাসচিব ড. হামিদ আল গাবীদ, সৌদি আরবের ডেপুটি স্পিকার ও রাবেতার সাবেক মহাসচিব ড. আবদুল্লাহ ওমর নাসীফ, সৌদি আরবের সাবেক বাণিজ্য মন্ত্রী সালেহ জামজুম এবং ইসলামি আšর্তজাতিক তহবিল (আইআইএফ) ও আন্তর্জাতিক ইসলামি ত্রাণ সংস্থা (আইআইআরও) এই ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা উদ্যোক্তা। | ||
একজন চেয়ারম্যান-এর নেতৃত্বে ১৩ সদস্যবিশিষ্ট একটি পরিচালক পর্ষদ ব্যাংকটির সার্বিক ব্যবস্থাপনা ও প্রশাসন তদারকিসহ ব্যবসায়িক ও অন্যান্য নীতিমালা অনুমোদন করে। ব্যাংকটির সকল প্রকার ব্যাংকিং ব্যবসায়ে ইসলামি শরীয়াহ ও সুদমুক্ত নীতির বাস্তবায়ন এবং পরিচালনা নিশ্চিত করার জন্য ৫ সদস্যবিশিষ্ট একটি শরীয়াহ কাউন্সিল রয়েছে। এছাড়া ১৩ সদস্যবিশিষ্ট একটি বিদেশি অবৈতনিক আন্তর্জাতিক পরামর্শক কাউন্সিল ব্যাংকটিকে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ব্যাংকিং ব্যবসায় পরিচালনায় প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও নির্দেশনা প্রদান করে। | |||
সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড শুরু থেকেই আনুষ্ঠানিক সাধারণ ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা, অনানুষ্ঠানিক অর্থাৎ দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য মাইক্রোক্রেডিট এবং এসএমই ফিন্যান্স ও স্বেচ্ছামূলক (Voluntary) এ তিন খাতে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে। আধুনিক ব্যাংক ব্যবস্থার অংশ হিসেবে এ ব্যাংক ইসলামি ব্যাংকগুলির মধ্যে প্রথম স্যাটেলাইট প্রযুক্তির মাধ্যমে গ্রাহকগণকে অনলাইন ব্যাংকিং সেবা প্রদান করছে। | |||
অনানুষ্ঠানিক খাতের মাধ্যমে এসআইবিএল [[ক্ষুদ্রঋণ|ক্ষুদ্রঋণ]] এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের সহজ শর্তে বিনিয়োগ সুবিধা প্রদান করে আসছে। শুধু সামাজিক অঙ্গীকার পালনই নয়, এ কর্মসূচিগুলি সরকারের [[দারিদ্র্য বিমোচন কৌশলপত্র|দারিদ্র্য বিমোচন কৌশলপত্র]] (PRSP) এবং জাতিসংঘের Millennium Development Goals (MDGs) অর্জনে বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। আইএলও প্রকল্পের আওতায় এ ব্যাংক ইতালি ও নরওয়ের সরকারের সহযোগিতায় ২০০১ সাল থেকে দুটি এবং ইউনিসেফ-এর সাথে যৌথ উদ্যোগে ২০০৩ সাল থেকে [[শিশুশ্রম|শিশুশ্রম]] উন্নয়নের জন্য ক্ষুদ্র বিনিয়োগ কর্মসূচি পরিচালনা করে আসছে। ইউএসএইড-জব্স (USAID–JOBS)-এর সহযোগিতায় এ ব্যাংক মধুপুরে আনারস চাষীদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে আনারস উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ প্রকল্পে বিনিয়োগ সহযোগিতা প্রদান করছে। | |||
মৌল তথ্য ও পরিসংখ্যান (মিলিয়ন টাকায়) | |||
{| class="table table-bordered table-hover" | {| class="table table-bordered table-hover" | ||
|- | |- | ||
| বিবরণ | | বিবরণ || ২০১৮ || ২০১৯ || ২০২০ | ||
|- | |||
|অনুমোদিত মূলধন || ১৫০০০ || ১৫০০০ || ১৫০০০ | |||
|- | |- | ||
| | |পরিশোধিত মূলধন || ১০৫৪৫ || ১১৫৯৯ || ১১৮৮৯ | ||
|- | |- | ||
| | |রিজার্ভ || ১৮৮৬০ || ২০১৯৯ || ১৮৫১৪ | ||
|- | |- | ||
| | |আমানত || ২৯৮৩২১ || ৩২৯৭৯৮ || ৩৫৯৯০০ | ||
|- | |- | ||
| আমানত | |ক) তলবি আমানত || ৪৭৪০৬ || ৫৫৬৪১ || ৭৪১৩০ | ||
|- | |- | ||
| | |খ) মেয়াদি আমানত || ২৫০৯১৫ || ২৭৪১৫৭ || ২৮৫৭৭০ | ||
|- | |- | ||
| | |ঋণ ও অগ্রিম || ২৬৫২০৪ || ২৯৫০১৫ || ৩২০৩৬৮ | ||
|- | |- | ||
| | |বিনিয়োগ || ৬২৮৮৪ || ৭৪৪৮৪ || ৯৪১৮৪ | ||
|- | |- | ||
| | |মোট পরিসম্পদ || ৩৮১০৫৮ || ৪২২৩০২ || ৪৬৫০৮২ | ||
|- | |- | ||
| মোট | |মোট আয় || ৩৩৫০০ || ৩৬৯৬৭ || ৩৩৩৪৮ | ||
|- | |- | ||
| মোট | |মোট ব্যয় || ২৩৬২৯ || ২৭২৭৯ || ২৫২৮৪ | ||
|- | |- | ||
| | |বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবসা পরিচালনা || ৫৪৯৫০১ || ৫৯৩০৮০ || ৫২৮১৩০ | ||
|- | |- | ||
| | |ক) রপ্তানি || ১৯০৪০৩ || ২০৫৯০৭ || ১৭৬৪২০ | ||
|- | |- | ||
| | |খ) আমদানি || ২৪২২৯৫ || ২৪৮৯০১ || ২২১৮২৩ | ||
|- | |- | ||
| | |গ) রেমিট্যান্স || ১১৬৮০৩ || ১৩৮২৭২ || ১২৯৮৮৭ | ||
|- | |- | ||
| ( | |মোট জনশক্তি (সংখ্যায়) || ২৭৯৭ || ২৮৮৫ || ২৮৫৯ | ||
|- | |- | ||
| | |ক) কর্মকর্তা || ২৩০৫ || ২৪০২ || ২৩৮১ | ||
|- | |- | ||
| | |খ) কর্মচারি || ৪৯২ || ৪৮৩ || ৪৭৮ | ||
|- | |- | ||
| ( | |বিদেশি প্রতিসংগী ব্যাংক (সংখ্যায়) || ২৮৫ || ৩০৫ || ৩০৯ | ||
|- | |- | ||
| | |শাখা (সংখ্যায়) || ১৩৫ || ১৩৫ || ১৩৫ | ||
|- | |- | ||
| | |ক) দেশে || ১৩৫ || ১৩৫ || ১৩৫ | ||
|- | |- | ||
| | |খ) বিদেশে || ০ || ০ || ০ | ||
|- | |- | ||
| | |কৃষিখাতে | ||
|- | |- | ||
| | |ক) ঋণ বিতরণ || ৩৪৩৯ || ৪৫৬৬ || ৪০৭৪ | ||
|- | |- | ||
| | |খ) আদায় || ৪০১০ || ৩২৪০ || ৪১৯৩ | ||
|- | |- | ||
| | |শিল্পখাতে | ||
|- | |- | ||
| | |ক) ঋণ বিতরণ || ১৮৬৯৫৯ || ১৯৯৭০০ || ২২৫৫৭৪ | ||
|- | |- | ||
| | |খ) আদায় || ১৬৯৪৬৪ || ১৮১২৩৬ || ২০৫১১২ | ||
|- | |- | ||
| | |খাতভিত্তিক ঋণের স্থিতি | ||
|- | |- | ||
| | |ক) কৃষি ও মৎস্য || ২৬৩০ || ৪০৩৪ || ৩৮৪৩ | ||
|- | |- | ||
| | |খ) শিল্প || ৭১৬৫০ || ৯৯৮৩৪ || ১১৩৮৩৯ | ||
|- | |- | ||
| | |গ) ব্যবসা বাণিজ্য || ৪৩৯২৪ || ৪২২৩০ || ৩৯৫১৭ | ||
|- | |- | ||
| | |ঘ) দারিদ্র বিমোচন || ০ || ০ || ০ | ||
|- | |- | ||
| | |সি.এস.আর || ২০৮ || ১১৬ || ২৬১ | ||
|} | |} | ||
''উৎস'' আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সরকার, ''বার্ষিক প্রতিবেদন, ২০১৯-২০২০ ও ২০২০-২১''। | |||
স্বেচ্ছামূলক খাতে সামাজিক পুঁজি গঠনের প্রক্রিয়া হিসেবে সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক সর্বপ্রথম ‘ক্যাশ ওয়াক্ফ সার্টিফিকেট’ স্কিম চালু করে। ক্যাশ ওয়াক্ফের মূল অর্থ ব্যাংকের কাছে চিরস্থায়ী আমানত হিসেবে জমা থাকে। শুধু লভ্যাংশ ইসলামি শরীয়াহ্ মোতাবেক সার্বিক সামাজিক কল্যাণে অর্থাৎ পরিবার পুনর্বাসন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য সেবা, সামাজিক উপযোগিতা ইত্যাদি খাতে অথবা সার্টিফিকেট ক্রয়কারীর ইচ্ছানুযায়ী ব্যয় করা হয়। এর আওতায় গরিব ও অসহায় রোগীদের ক্যান্সার, হার্ট এবং অন্যান্য জটিল রোগে আর্থিক সাহায্য প্রদান করা হয়ে থাকে। সাভারস্থ সিআরপি (CRP)-এর মাধ্যমে পক্ষাঘাতগ্রস্ত রোগীদের পারিবারিক পুনর্বাসন, সাইট সেভারস-এর মাধ্যমে গরিব রোগীদের চোখের ছানি অপারেশন ও চশমা প্রদান, কুমিল্লাস্থ বাংলাদেশ জাতীয় অন্ধ কল্যাণ সমিতি হাসপাতালে শিশুবান্ধব ওয়ার্ড প্রতিষ্ঠা, ফ্যাশন আই হাসপাতাল-এর মাধ্যমে গরিব রোগীদের চক্ষুরোগের চিকিৎসাসহ বিভিন্ন স্কুলের গরিব অথচ মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের বৃত্তি, বই, জুতা ও স্কুলব্যাগ প্রদান করে। কিডনি ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ ক্যান্সার ফাউন্ডেশন হাসপাতাল ও প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানসহ বহু সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করে থাকে। | |||
তথ্য প্রযুক্তি উন্নয়ন ও প্রসারের ক্ষেত্রে এসআইবিএল ওয়েব সাইট-এ অন্তর্ভুক্ত হয়ে আন্তর্জাতিকভাবে সার্বিক কর্মকাণ্ড প্রচার তথা ব্যাংকিং জগতে ত্রিমুখী ব্যাংকিং পরিচিতি নেওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করেছে। একটি ত্রিমুখী ইসলামি ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান হিসেবে এসআইবিএল নন-ফরমাল ও ফরমাল সেক্টরের মাঝে সেতু বন্ধনের মাধ্যমে শুধু বড় বড় উদ্যোক্তাদের (Corporate Clients) নয় বরং ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের (SMEs) মান উন্নয়ন (Upgradation) করে অধিকতর বিনিয়োগ সুবিধা প্রদানে সচেষ্ট রয়েছে। | |||
[ | ২০১৯ সালে ব্যাংকের আমানত ও ঋণ অগ্রিমের স্থিতির অংশ ছিল ব্যাংকিং খাতের মোট আমানত ও ঋণ অগ্রিমের স্থিতির যথাক্রমে ১.৬ এবং ১.৮ শতাংশ এবং আমানত ও ঋণ অগ্রিমের গড় সুদহার ব্যবধান দাঁড়ায় ৪.২ শতাংশ। [মোহাম্মদ আবদুল মজিদ] | ||
[[en:Social Islami Bank Limited]] | [[en:Social Islami Bank Limited]] |
০৯:২২, ৪ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ
সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড (এসআইবিএল) একটি শরীয়াহভিত্তিক সুদমুক্ত ইসলামি ব্যাংক। এটি কোম্পানি আইন ১৯৯৪-এর অধীনে নিবন্ধিত হয়ে ১৯৯৫ সালের ২২ নভেম্বর তারিখে ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু করে। ওআইসি’র সাবেক মহাসচিব ড. হামিদ আল গাবীদ, সৌদি আরবের ডেপুটি স্পিকার ও রাবেতার সাবেক মহাসচিব ড. আবদুল্লাহ ওমর নাসীফ, সৌদি আরবের সাবেক বাণিজ্য মন্ত্রী সালেহ জামজুম এবং ইসলামি আšর্তজাতিক তহবিল (আইআইএফ) ও আন্তর্জাতিক ইসলামি ত্রাণ সংস্থা (আইআইআরও) এই ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা উদ্যোক্তা।
একজন চেয়ারম্যান-এর নেতৃত্বে ১৩ সদস্যবিশিষ্ট একটি পরিচালক পর্ষদ ব্যাংকটির সার্বিক ব্যবস্থাপনা ও প্রশাসন তদারকিসহ ব্যবসায়িক ও অন্যান্য নীতিমালা অনুমোদন করে। ব্যাংকটির সকল প্রকার ব্যাংকিং ব্যবসায়ে ইসলামি শরীয়াহ ও সুদমুক্ত নীতির বাস্তবায়ন এবং পরিচালনা নিশ্চিত করার জন্য ৫ সদস্যবিশিষ্ট একটি শরীয়াহ কাউন্সিল রয়েছে। এছাড়া ১৩ সদস্যবিশিষ্ট একটি বিদেশি অবৈতনিক আন্তর্জাতিক পরামর্শক কাউন্সিল ব্যাংকটিকে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ব্যাংকিং ব্যবসায় পরিচালনায় প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও নির্দেশনা প্রদান করে।
সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড শুরু থেকেই আনুষ্ঠানিক সাধারণ ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা, অনানুষ্ঠানিক অর্থাৎ দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য মাইক্রোক্রেডিট এবং এসএমই ফিন্যান্স ও স্বেচ্ছামূলক (Voluntary) এ তিন খাতে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে। আধুনিক ব্যাংক ব্যবস্থার অংশ হিসেবে এ ব্যাংক ইসলামি ব্যাংকগুলির মধ্যে প্রথম স্যাটেলাইট প্রযুক্তির মাধ্যমে গ্রাহকগণকে অনলাইন ব্যাংকিং সেবা প্রদান করছে।
অনানুষ্ঠানিক খাতের মাধ্যমে এসআইবিএল ক্ষুদ্রঋণ এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের সহজ শর্তে বিনিয়োগ সুবিধা প্রদান করে আসছে। শুধু সামাজিক অঙ্গীকার পালনই নয়, এ কর্মসূচিগুলি সরকারের দারিদ্র্য বিমোচন কৌশলপত্র (PRSP) এবং জাতিসংঘের Millennium Development Goals (MDGs) অর্জনে বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। আইএলও প্রকল্পের আওতায় এ ব্যাংক ইতালি ও নরওয়ের সরকারের সহযোগিতায় ২০০১ সাল থেকে দুটি এবং ইউনিসেফ-এর সাথে যৌথ উদ্যোগে ২০০৩ সাল থেকে শিশুশ্রম উন্নয়নের জন্য ক্ষুদ্র বিনিয়োগ কর্মসূচি পরিচালনা করে আসছে। ইউএসএইড-জব্স (USAID–JOBS)-এর সহযোগিতায় এ ব্যাংক মধুপুরে আনারস চাষীদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে আনারস উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ প্রকল্পে বিনিয়োগ সহযোগিতা প্রদান করছে।
মৌল তথ্য ও পরিসংখ্যান (মিলিয়ন টাকায়)
বিবরণ | ২০১৮ | ২০১৯ | ২০২০ |
অনুমোদিত মূলধন | ১৫০০০ | ১৫০০০ | ১৫০০০ |
পরিশোধিত মূলধন | ১০৫৪৫ | ১১৫৯৯ | ১১৮৮৯ |
রিজার্ভ | ১৮৮৬০ | ২০১৯৯ | ১৮৫১৪ |
আমানত | ২৯৮৩২১ | ৩২৯৭৯৮ | ৩৫৯৯০০ |
ক) তলবি আমানত | ৪৭৪০৬ | ৫৫৬৪১ | ৭৪১৩০ |
খ) মেয়াদি আমানত | ২৫০৯১৫ | ২৭৪১৫৭ | ২৮৫৭৭০ |
ঋণ ও অগ্রিম | ২৬৫২০৪ | ২৯৫০১৫ | ৩২০৩৬৮ |
বিনিয়োগ | ৬২৮৮৪ | ৭৪৪৮৪ | ৯৪১৮৪ |
মোট পরিসম্পদ | ৩৮১০৫৮ | ৪২২৩০২ | ৪৬৫০৮২ |
মোট আয় | ৩৩৫০০ | ৩৬৯৬৭ | ৩৩৩৪৮ |
মোট ব্যয় | ২৩৬২৯ | ২৭২৭৯ | ২৫২৮৪ |
বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবসা পরিচালনা | ৫৪৯৫০১ | ৫৯৩০৮০ | ৫২৮১৩০ |
ক) রপ্তানি | ১৯০৪০৩ | ২০৫৯০৭ | ১৭৬৪২০ |
খ) আমদানি | ২৪২২৯৫ | ২৪৮৯০১ | ২২১৮২৩ |
গ) রেমিট্যান্স | ১১৬৮০৩ | ১৩৮২৭২ | ১২৯৮৮৭ |
মোট জনশক্তি (সংখ্যায়) | ২৭৯৭ | ২৮৮৫ | ২৮৫৯ |
ক) কর্মকর্তা | ২৩০৫ | ২৪০২ | ২৩৮১ |
খ) কর্মচারি | ৪৯২ | ৪৮৩ | ৪৭৮ |
বিদেশি প্রতিসংগী ব্যাংক (সংখ্যায়) | ২৮৫ | ৩০৫ | ৩০৯ |
শাখা (সংখ্যায়) | ১৩৫ | ১৩৫ | ১৩৫ |
ক) দেশে | ১৩৫ | ১৩৫ | ১৩৫ |
খ) বিদেশে | ০ | ০ | ০ |
কৃষিখাতে | |||
ক) ঋণ বিতরণ | ৩৪৩৯ | ৪৫৬৬ | ৪০৭৪ |
খ) আদায় | ৪০১০ | ৩২৪০ | ৪১৯৩ |
শিল্পখাতে | |||
ক) ঋণ বিতরণ | ১৮৬৯৫৯ | ১৯৯৭০০ | ২২৫৫৭৪ |
খ) আদায় | ১৬৯৪৬৪ | ১৮১২৩৬ | ২০৫১১২ |
খাতভিত্তিক ঋণের স্থিতি | |||
ক) কৃষি ও মৎস্য | ২৬৩০ | ৪০৩৪ | ৩৮৪৩ |
খ) শিল্প | ৭১৬৫০ | ৯৯৮৩৪ | ১১৩৮৩৯ |
গ) ব্যবসা বাণিজ্য | ৪৩৯২৪ | ৪২২৩০ | ৩৯৫১৭ |
ঘ) দারিদ্র বিমোচন | ০ | ০ | ০ |
সি.এস.আর | ২০৮ | ১১৬ | ২৬১ |
উৎস আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সরকার, বার্ষিক প্রতিবেদন, ২০১৯-২০২০ ও ২০২০-২১।
স্বেচ্ছামূলক খাতে সামাজিক পুঁজি গঠনের প্রক্রিয়া হিসেবে সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক সর্বপ্রথম ‘ক্যাশ ওয়াক্ফ সার্টিফিকেট’ স্কিম চালু করে। ক্যাশ ওয়াক্ফের মূল অর্থ ব্যাংকের কাছে চিরস্থায়ী আমানত হিসেবে জমা থাকে। শুধু লভ্যাংশ ইসলামি শরীয়াহ্ মোতাবেক সার্বিক সামাজিক কল্যাণে অর্থাৎ পরিবার পুনর্বাসন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য সেবা, সামাজিক উপযোগিতা ইত্যাদি খাতে অথবা সার্টিফিকেট ক্রয়কারীর ইচ্ছানুযায়ী ব্যয় করা হয়। এর আওতায় গরিব ও অসহায় রোগীদের ক্যান্সার, হার্ট এবং অন্যান্য জটিল রোগে আর্থিক সাহায্য প্রদান করা হয়ে থাকে। সাভারস্থ সিআরপি (CRP)-এর মাধ্যমে পক্ষাঘাতগ্রস্ত রোগীদের পারিবারিক পুনর্বাসন, সাইট সেভারস-এর মাধ্যমে গরিব রোগীদের চোখের ছানি অপারেশন ও চশমা প্রদান, কুমিল্লাস্থ বাংলাদেশ জাতীয় অন্ধ কল্যাণ সমিতি হাসপাতালে শিশুবান্ধব ওয়ার্ড প্রতিষ্ঠা, ফ্যাশন আই হাসপাতাল-এর মাধ্যমে গরিব রোগীদের চক্ষুরোগের চিকিৎসাসহ বিভিন্ন স্কুলের গরিব অথচ মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের বৃত্তি, বই, জুতা ও স্কুলব্যাগ প্রদান করে। কিডনি ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ ক্যান্সার ফাউন্ডেশন হাসপাতাল ও প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানসহ বহু সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করে থাকে।
তথ্য প্রযুক্তি উন্নয়ন ও প্রসারের ক্ষেত্রে এসআইবিএল ওয়েব সাইট-এ অন্তর্ভুক্ত হয়ে আন্তর্জাতিকভাবে সার্বিক কর্মকাণ্ড প্রচার তথা ব্যাংকিং জগতে ত্রিমুখী ব্যাংকিং পরিচিতি নেওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করেছে। একটি ত্রিমুখী ইসলামি ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান হিসেবে এসআইবিএল নন-ফরমাল ও ফরমাল সেক্টরের মাঝে সেতু বন্ধনের মাধ্যমে শুধু বড় বড় উদ্যোক্তাদের (Corporate Clients) নয় বরং ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের (SMEs) মান উন্নয়ন (Upgradation) করে অধিকতর বিনিয়োগ সুবিধা প্রদানে সচেষ্ট রয়েছে।
২০১৯ সালে ব্যাংকের আমানত ও ঋণ অগ্রিমের স্থিতির অংশ ছিল ব্যাংকিং খাতের মোট আমানত ও ঋণ অগ্রিমের স্থিতির যথাক্রমে ১.৬ এবং ১.৮ শতাংশ এবং আমানত ও ঋণ অগ্রিমের গড় সুদহার ব্যবধান দাঁড়ায় ৪.২ শতাংশ। [মোহাম্মদ আবদুল মজিদ]