রাজবাড়ী সদর উপজেলা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
'''রাজবাড়ী সদর উপজেলা''' ([[রাজবাড়ী জেলা|রাজবাড়ী জেলা]]) আয়তন: | '''রাজবাড়ী সদর উপজেলা''' ([[রাজবাড়ী জেলা|রাজবাড়ী জেলা]]) আয়তন: ৩২২.৩৪ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২৩°৩৫´ থেকে ২৩°৪৯´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯°৩৫´ থেকে ৮৯°৪৫´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে সুজানগর ও বেড়া উপজেলা এবং পদ্মা (গঙ্গা) নদী, দক্ষিণে ফরিদপুর সদর ও মধুখালী উপজেলা, পূর্বে গোয়ালন্দ ও ফরিদপুর সদর উপজেলা, পশ্চিমে পাংশা ও বালিয়াকান্দি উপজেলা। | ||
''জনসংখ্যা'' | ''জনসংখ্যা'' ৩৩১৬৩১; পুরুষ ১৬২৪৮৩, মহিলা ১৬৯১৪৮। মুসলিম ৩০২৩৩৩, হিন্দু ২৯১৫০, খ্রিস্টান ১১২ এবং অন্যান্য ৩৬। | ||
''জলাশয়'' হারা ও পদ্মা নদী এবং রাজাপুর খাল উল্লেখযোগ্য। | ''জলাশয়'' হারা ও পদ্মা নদী এবং রাজাপুর খাল উল্লেখযোগ্য। | ||
১৫ নং লাইন: | ১৫ নং লাইন: | ||
| শহর || গ্রাম || শহর || গ্রাম | | শহর || গ্রাম || শহর || গ্রাম | ||
|- | |- | ||
| ১ | | ১ || ১৪ || ২১২ || ২০৯ || ৫৮৭৮৩ || ২৭২৮৪৮ || ১০২৯ || ৬৫.৫ (২০০১) || ৫৪.২ | ||
|} | |} | ||
{| class="table table-bordered table-hover" | {| class="table table-bordered table-hover" | ||
|- | |- | ||
২৪ নং লাইন: | ২৩ নং লাইন: | ||
| আয়তন (বর্গ কিমি) || ওয়ার্ড || মহল্লা || লোকসংখ্যা || ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) || শিার হার (%) | | আয়তন (বর্গ কিমি) || ওয়ার্ড || মহল্লা || লোকসংখ্যা || ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) || শিার হার (%) | ||
|- | |- | ||
| ১১.৬৬ | | ১১.৬৬ (২০০১) || ৯ || ৩১ || ৫৬৩১৩ || ৪০৫০ (২০০১) || ৭৪.৩ | ||
|} | |} | ||
{| class="table table-bordered table-hover" | {| class="table table-bordered table-hover" | ||
৩২ নং লাইন: | ৩১ নং লাইন: | ||
| আয়তন (বর্গ কিমি) || মৌজা || লোকসংখ্যা || ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) || শিার হার (%) | | আয়তন (বর্গ কিমি) || মৌজা || লোকসংখ্যা || ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) || শিার হার (%) | ||
|- | |- | ||
| ০.৪৯ | | ০.৪৯ (২০০১) || ৪ || ২৪৭০ || ৩৫৯৬ (২০০১) || ৫৪.০ | ||
|} | |} | ||
৪২ নং লাইন: | ৪১ নং লাইন: | ||
| পুরুষ || মহিলা | | পুরুষ || মহিলা | ||
|- | |- | ||
| আলীপুর ১২ | | আলীপুর ১২ || ৪৮৯৭ || ৯৫৫৮ || ১০৪১৫ || ৬২.৫ | ||
|- | |- | ||
| খানখানাপুর ৪৩ | | খানখানাপুর ৪৩ || ৪৩৮৬ || ১০৭৪০ || ১১২৯৬ || ৫৪.৭ | ||
|- | |- | ||
| খানগঞ্জ ৪৫ | | খানগঞ্জ ৪৫ || ৩৭৮৯ || ৬৪১০ || ৬৫৯৭ || ৪৯.৮ | ||
|- | |- | ||
| চন্দনী ৩২ | | চন্দনী ৩২ || ৬৩৯৯ || ৮৭০২ || ৮৭৭৯ || ৪৮.২ | ||
|- | |- | ||
| দাদশী ৩৬ | | দাদশী ৩৬ || ৩৭৭৮ || ৯৫১৮ || ১০৪৪৩ || ৪৭.৪ | ||
|- | |- | ||
| পাঁচুরিয়া ৬৫ | | পাঁচুরিয়া ৬৫ || ২৮৫২ || ৫৭৭৮ || ৬২১৩ || ৫৬.৮ | ||
|- | |- | ||
| বরাত ২১ | | বরাত ২১ || ৪৩৩৭ || ৯৬২৩ || ১০৪০৫ || ৪৫.৩ | ||
|- | |- | ||
| বসন্তপুর ২৯ | | বসন্তপুর ২৯ || ৮২৭৮ || ১৪২৩৯ || ১৪৪৭৩ || ৬৪.১ | ||
|- | |- | ||
| বানিবহ ১৪ | | বানিবহ ১৪ || ৫২৭৬ || ৯৬৬৫ || ১০০৪৬ || ৫৪.১ | ||
|- | |- | ||
| মিজানপুর ৫১ | | মিজানপুর ৫১ || ১৩২৯১ || ১৬৩৪১ || ১৭৩০০ || ৫০.৪ | ||
|- | |- | ||
| মূলঘর ৫৮ | | মূলঘর ৫৮ || ৪৭১২ || ৭৪২৪ || ৭৭০৮ || ৫৬.২ | ||
|- | |- | ||
| রামকান্তপুর ৮০ | | রামকান্তপুর ৮০ || ৪০৮১ || ৯০১৩ || ৯৫৯১ || ৫১.৫ | ||
|- | |- | ||
| শহীদ ওহাবপুর ৮৭ | | শহীদ ওহাবপুর ৮৭ || ৪৫৪৪ || ৮২৮৯ || ৮৬৬৯ || ৫২.৪ | ||
|- | |- | ||
| সুলতানপুর ৯৪ | | সুলতানপুর ৯৪ || ৬১৫১ || ৮৯১২ || ৯১৭১ || ৬২.৬ | ||
|} | |} | ||
''উৎস'' আদমশুমারি রিপোর্ট | ''উৎস'' আদমশুমারি রিপোর্ট ২০১১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো। | ||
[[Image:RajbariSadarUpazila.jpg|thumb|400px|right]] | [[Image:RajbariSadarUpazila.jpg|thumb|400px|right]] | ||
''প্রাচীন নিদর্শনাদি ও প্রত্মসম্মদ'' বারবাকপুর জমিদার বাড়ি, রথখোলা সানমঞ্চ ও দোলমঞ্চ, রাম মন্দির (বেলগাছি), চাঁদ সওদাগরের ঢিবি, জংগী শাহের মাযার। | ''প্রাচীন নিদর্শনাদি ও প্রত্মসম্মদ'' বারবাকপুর জমিদার বাড়ি, রথখোলা সানমঞ্চ ও দোলমঞ্চ, রাম মন্দির (বেলগাছি), চাঁদ সওদাগরের ঢিবি, জংগী শাহের মাযার। | ||
''ঐতিহাসিক | ''ঐতিহাসিক ঘটনা'' অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষের দিকে উপজেলার অনেক ব্যক্তিত্ব ফকির সন্ন্যাসী বিদ্রোহে অংশগ্রহণ করেন। উপজেলার রথ নামক এলাকায় একটি ভগ্নবাড়ি ফকির-সন্ন্যাসী বিদ্রোহের স্মৃতি বহন করছে। | ||
''মুক্তিযুদ্ধ'' ১৯৭১ সালে নভেম্বর মাসে আলহাদীপুর গ্রামে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে পাকবাহিনীর লড়াইয়ে ৯ জন পাকসেনা নিহত হয়। উপজেলার খানখানাপুরে ১টি গণকবর এবং আলীপুরে ১টি বধ্যভূমি রয়েছে; অতন্দ্র প্রহরী নামে ১টি স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপিত হয়েছে। | |||
''বিস্তারিত দেখুন'' রাজবাড়ী সদর উপজেলা, ''বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ'', বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি, ঢাকা ২০২০, খণ্ড ৯। | |||
''ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান'' মসজিদ ২৫৭, মন্দির ১৩২, গির্জা ১, মাযার ১৫, তীর্থস্থান ১। উল্লেখযোগ্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান: গায়েবী মসজিদ, খোদাওন্দখা নির্মিত মসজিদ, রাম মন্দির। | |||
''শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান'' গড় হার ৫৭.৭%; পুরুষ ৫৯.৭%, মহিলা ৫৫.৮%। কলেজ ৫, হোমিওপ্যাথ কলেজ ১, ভোকেশনাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট ১, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ২৭, প্রাথমিক বিদ্যালয় ১০৪, কমিউনিটি স্কুল ৩, মাদ্রাসা ১৫। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: রাজবাড়ী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় (১৮৯২), ইয়াছিন উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৫০), রাজা সূর্যকুমার ইনস্টিটিউট (১৮৮৮), সরকারি বালিকা বিদ্যালয় (১৯৬১), বাজার পাঠশালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৯০৮)। | |||
''শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান'' গড় হার | |||
''পত্র-পত্রিকা ও সাময়িকী'' দৈনিক: গতকাল (১৯৮৪); সাপ্তাহিক: অনুসন্ধান (১৯৮৪), রাজবাড়ী কণ্ঠ (১৯৯০); অবলুপ্ত: কথক (১৮৯৩), শিখা (১৯৩০), চন্দনা (১৯৭২), সংসার (উনিশ শতক), রাজবাড়ী পত্রিকা (উনিশ শতক), মাতৃকণ্ঠ, অনুসন্ধান (১৯৮৪), রাজবাড়ী সংবাদ (১৯৮৬), সাপ্তাহিক বাণী (১৯০৬), সহজ কথা (১৯৯২), সাপ্তাহিক বার্তা, সাহসী সময়। | ''পত্র-পত্রিকা ও সাময়িকী'' দৈনিক: গতকাল (১৯৮৪); সাপ্তাহিক: অনুসন্ধান (১৯৮৪), রাজবাড়ী কণ্ঠ (১৯৯০); অবলুপ্ত: কথক (১৮৯৩), শিখা (১৯৩০), চন্দনা (১৯৭২), সংসার (উনিশ শতক), রাজবাড়ী পত্রিকা (উনিশ শতক), মাতৃকণ্ঠ, অনুসন্ধান (১৯৮৪), রাজবাড়ী সংবাদ (১৯৮৬), সাপ্তাহিক বাণী (১৯০৬), সহজ কথা (১৯৯২), সাপ্তাহিক বার্তা, সাহসী সময়। | ||
৯৯ নং লাইন: | ১০১ নং লাইন: | ||
''মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার'' মৎস্য ২, গবাদিপশু ৬৮, হাঁস-মুরগি ২৪৪, হ্যাচারি ২, নার্সারি ২৫৩। | ''মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার'' মৎস্য ২, গবাদিপশু ৬৮, হাঁস-মুরগি ২৪৪, হ্যাচারি ২, নার্সারি ২৫৩। | ||
''যোগাযোগ বিশেষত্ব'' পাকারাস্তা | ''যোগাযোগ বিশেষত্ব'' পাকারাস্তা ২৯৭০.৯ কিমি, আধা-পাকারাস্তা ২৩.১১ কিমি, কাঁচারাস্তা ৪৩৪.১২ কিমি; রেলপথ ৩৮ কিমি; নদীপথ ২৮ কিমি। | ||
''বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন'' পাল্কি, ডুলি, গরু ও ঘোড়ার গাড়ি। | ''বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন'' পাল্কি, ডুলি, গরু ও ঘোড়ার গাড়ি। | ||
১১০ নং লাইন: | ১১২ নং লাইন: | ||
''প্রধান রপ্তানিদ্রব্য'' পাট, তিল, খয়ের। | ''প্রধান রপ্তানিদ্রব্য'' পাট, তিল, খয়ের। | ||
''বিদ্যুৎ ব্যবহার'' এ উপজেলার সবক’টি ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে | ''বিদ্যুৎ ব্যবহার'' এ উপজেলার সবক’টি ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ৫৪.৯% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। | ||
''পানীয়জলের উৎস'' নলকূপ ৯৬. | ''পানীয়জলের উৎস'' নলকূপ ৯৬.৩%, ট্যাপ ১.৭% এবং অন্যান্য ২.০%। | ||
''স্যানিটেশন ব্যবস্থা'' এ উপজেলার | ''স্যানিটেশন ব্যবস্থা'' এ উপজেলার ৭৬.৩% পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং ১৯.৬% পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। ৪.১% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই। | ||
''স্বাস্থ্যকেন্দ্র'' উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ১, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ৯, হাসপাতাল ১, শিশু কল্যাণ কেন্দ্র ১, হোমিওপ্যাথিক হাসপাতাল ১, ক্লিনিক ১২, মাতৃমঙ্গল কেন্দ্র ১। | ''স্বাস্থ্যকেন্দ্র'' উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ১, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ৯, হাসপাতাল ১, শিশু কল্যাণ কেন্দ্র ১, হোমিওপ্যাথিক হাসপাতাল ১, ক্লিনিক ১২, মাতৃমঙ্গল কেন্দ্র ১। | ||
১২০ নং লাইন: | ১২২ নং লাইন: | ||
''এনজিও'' ব্র্যাক, আশা, বিআরডিবি। [বদরুল আলম টিপু] | ''এনজিও'' ব্র্যাক, আশা, বিআরডিবি। [বদরুল আলম টিপু] | ||
'''তথ্যসূত্র''' আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; রাজবাড়ী সদর উপজেলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭। | '''তথ্যসূত্র''' আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১ ও ২০১১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; রাজবাড়ী সদর উপজেলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭। | ||
[[en:Rajbari Sadar Upazila]] | [[en:Rajbari Sadar Upazila]] | ||
১৮:৪০, ৩ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ
রাজবাড়ী সদর উপজেলা (রাজবাড়ী জেলা) আয়তন: ৩২২.৩৪ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২৩°৩৫´ থেকে ২৩°৪৯´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯°৩৫´ থেকে ৮৯°৪৫´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে সুজানগর ও বেড়া উপজেলা এবং পদ্মা (গঙ্গা) নদী, দক্ষিণে ফরিদপুর সদর ও মধুখালী উপজেলা, পূর্বে গোয়ালন্দ ও ফরিদপুর সদর উপজেলা, পশ্চিমে পাংশা ও বালিয়াকান্দি উপজেলা।
জনসংখ্যা ৩৩১৬৩১; পুরুষ ১৬২৪৮৩, মহিলা ১৬৯১৪৮। মুসলিম ৩০২৩৩৩, হিন্দু ২৯১৫০, খ্রিস্টান ১১২ এবং অন্যান্য ৩৬।
জলাশয় হারা ও পদ্মা নদী এবং রাজাপুর খাল উল্লেখযোগ্য।
প্রশাসন রাজবাড়ী থানা গঠিত হয় ১৮৮৮ সালে এবং থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয় ১৯৮৪ সালে। পৌরসভা গঠন করা হয় ১৯২৩ সালে।
উপজেলা | ||||||||
পৌরসভা | ইউনিয়ন | মৌজা | গ্রাম | জনসংখ্যা | ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) | শিক্ষার হার (%) | ||
শহর | গ্রাম | শহর | গ্রাম | |||||
১ | ১৪ | ২১২ | ২০৯ | ৫৮৭৮৩ | ২৭২৮৪৮ | ১০২৯ | ৬৫.৫ (২০০১) | ৫৪.২ |
পৌরসভা | ||||||||
আয়তন (বর্গ কিমি) | ওয়ার্ড | মহল্লা | লোকসংখ্যা | ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) | শিার হার (%) | |||
১১.৬৬ (২০০১) | ৯ | ৩১ | ৫৬৩১৩ | ৪০৫০ (২০০১) | ৭৪.৩ |
উপজেলা শহর | ||||||||
আয়তন (বর্গ কিমি) | মৌজা | লোকসংখ্যা | ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) | শিার হার (%) | ||||
০.৪৯ (২০০১) | ৪ | ২৪৭০ | ৩৫৯৬ (২০০১) | ৫৪.০ |
ইউনিয়ন | ||||||||
ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড | আয়তন (একর) | লোকসংখ্যা | শিক্ষার হার (%) | |||||
পুরুষ | মহিলা | |||||||
আলীপুর ১২ | ৪৮৯৭ | ৯৫৫৮ | ১০৪১৫ | ৬২.৫ | ||||
খানখানাপুর ৪৩ | ৪৩৮৬ | ১০৭৪০ | ১১২৯৬ | ৫৪.৭ | ||||
খানগঞ্জ ৪৫ | ৩৭৮৯ | ৬৪১০ | ৬৫৯৭ | ৪৯.৮ | ||||
চন্দনী ৩২ | ৬৩৯৯ | ৮৭০২ | ৮৭৭৯ | ৪৮.২ | ||||
দাদশী ৩৬ | ৩৭৭৮ | ৯৫১৮ | ১০৪৪৩ | ৪৭.৪ | ||||
পাঁচুরিয়া ৬৫ | ২৮৫২ | ৫৭৭৮ | ৬২১৩ | ৫৬.৮ | ||||
বরাত ২১ | ৪৩৩৭ | ৯৬২৩ | ১০৪০৫ | ৪৫.৩ | ||||
বসন্তপুর ২৯ | ৮২৭৮ | ১৪২৩৯ | ১৪৪৭৩ | ৬৪.১ | ||||
বানিবহ ১৪ | ৫২৭৬ | ৯৬৬৫ | ১০০৪৬ | ৫৪.১ | ||||
মিজানপুর ৫১ | ১৩২৯১ | ১৬৩৪১ | ১৭৩০০ | ৫০.৪ | ||||
মূলঘর ৫৮ | ৪৭১২ | ৭৪২৪ | ৭৭০৮ | ৫৬.২ | ||||
রামকান্তপুর ৮০ | ৪০৮১ | ৯০১৩ | ৯৫৯১ | ৫১.৫ | ||||
শহীদ ওহাবপুর ৮৭ | ৪৫৪৪ | ৮২৮৯ | ৮৬৬৯ | ৫২.৪ | ||||
সুলতানপুর ৯৪ | ৬১৫১ | ৮৯১২ | ৯১৭১ | ৬২.৬ |
উৎস আদমশুমারি রিপোর্ট ২০১১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।
প্রাচীন নিদর্শনাদি ও প্রত্মসম্মদ বারবাকপুর জমিদার বাড়ি, রথখোলা সানমঞ্চ ও দোলমঞ্চ, রাম মন্দির (বেলগাছি), চাঁদ সওদাগরের ঢিবি, জংগী শাহের মাযার।
ঐতিহাসিক ঘটনা অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষের দিকে উপজেলার অনেক ব্যক্তিত্ব ফকির সন্ন্যাসী বিদ্রোহে অংশগ্রহণ করেন। উপজেলার রথ নামক এলাকায় একটি ভগ্নবাড়ি ফকির-সন্ন্যাসী বিদ্রোহের স্মৃতি বহন করছে।
মুক্তিযুদ্ধ ১৯৭১ সালে নভেম্বর মাসে আলহাদীপুর গ্রামে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে পাকবাহিনীর লড়াইয়ে ৯ জন পাকসেনা নিহত হয়। উপজেলার খানখানাপুরে ১টি গণকবর এবং আলীপুরে ১টি বধ্যভূমি রয়েছে; অতন্দ্র প্রহরী নামে ১টি স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপিত হয়েছে।
বিস্তারিত দেখুন রাজবাড়ী সদর উপজেলা, বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি, ঢাকা ২০২০, খণ্ড ৯।
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মসজিদ ২৫৭, মন্দির ১৩২, গির্জা ১, মাযার ১৫, তীর্থস্থান ১। উল্লেখযোগ্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান: গায়েবী মসজিদ, খোদাওন্দখা নির্মিত মসজিদ, রাম মন্দির।
শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড় হার ৫৭.৭%; পুরুষ ৫৯.৭%, মহিলা ৫৫.৮%। কলেজ ৫, হোমিওপ্যাথ কলেজ ১, ভোকেশনাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট ১, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ২৭, প্রাথমিক বিদ্যালয় ১০৪, কমিউনিটি স্কুল ৩, মাদ্রাসা ১৫। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: রাজবাড়ী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় (১৮৯২), ইয়াছিন উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৫০), রাজা সূর্যকুমার ইনস্টিটিউট (১৮৮৮), সরকারি বালিকা বিদ্যালয় (১৯৬১), বাজার পাঠশালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৯০৮)।
পত্র-পত্রিকা ও সাময়িকী দৈনিক: গতকাল (১৯৮৪); সাপ্তাহিক: অনুসন্ধান (১৯৮৪), রাজবাড়ী কণ্ঠ (১৯৯০); অবলুপ্ত: কথক (১৮৯৩), শিখা (১৯৩০), চন্দনা (১৯৭২), সংসার (উনিশ শতক), রাজবাড়ী পত্রিকা (উনিশ শতক), মাতৃকণ্ঠ, অনুসন্ধান (১৯৮৪), রাজবাড়ী সংবাদ (১৯৮৬), সাপ্তাহিক বাণী (১৯০৬), সহজ কথা (১৯৯২), সাপ্তাহিক বার্তা, সাহসী সময়।
সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান লাইব্রেরি ২১, কাব ১৫, স্টেডিয়াম ১, শিশু পার্ক ১, প্রেস কাব ১, নাট্য দল ১০, নাট্য মঞ্চ ৪, মহিলা সংগঠন ৪, সাহিত্য ও সমাজসেবা সংগঠন ১৭, শিশু সংগঠন ২, কমিউনিটি সেন্টার ৩, সিনেমা হল ৫, খেলার মাঠ ১৪।
জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষি ৫০.৭৮%, অকৃষি শ্রমিক ৩.৬৬%, শিল্প ১.১৫%, ব্যবসা ১৬.৫৮%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ৫.৭৯%, চাকরি ৯.৪১%, নির্মাণ ৩.১৮%, ধর্মীয় সেবা ০.১৬%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ০.৯৯% এবং অন্যান্য ৮.৩%।
কৃষিভূমির মালিকানা ভূমিমালিক ৩৩.৪৯%, ভূমিহীন ৬৬.৫১%।
প্রধান কৃষি ফসল ধান, পাট, আখ, তিল, চীনাবাদাম, খয়ের।
বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি তরমুজ, কার্পাস তুলা।
প্রধান ফল-ফলাদি আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু।
মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার মৎস্য ২, গবাদিপশু ৬৮, হাঁস-মুরগি ২৪৪, হ্যাচারি ২, নার্সারি ২৫৩।
যোগাযোগ বিশেষত্ব পাকারাস্তা ২৯৭০.৯ কিমি, আধা-পাকারাস্তা ২৩.১১ কিমি, কাঁচারাস্তা ৪৩৪.১২ কিমি; রেলপথ ৩৮ কিমি; নদীপথ ২৮ কিমি।
বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন পাল্কি, ডুলি, গরু ও ঘোড়ার গাড়ি।
শিল্প ও কলকারখানা গোয়ালন্দ টেক্সটাইল মিল, বায়োগ্যাস উৎপাদন কেন্দ্র, বাংলাদেশ অক্সিজেন প্ল্যান্ট। কুটিরশিল্প তাঁতশিল্প, রেশমশিল্প।
হাটবাজার ও মেলা হাটবাজার ১৯, মেলা ৬। খানখানাপুর হাট, বেলগাছি হাট, রাজবাড়ী হাট, বানীবহ হাট, খোলার হাট এবং দুর্গাপূজা মেলা, বৈশাখী মেলা ও দোলমঞ্চ উৎসব উপলে বাৎসরিক মেলা উল্লেখযোগ্য।
প্রধান রপ্তানিদ্রব্য পাট, তিল, খয়ের।
বিদ্যুৎ ব্যবহার এ উপজেলার সবক’টি ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ৫৪.৯% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।
পানীয়জলের উৎস নলকূপ ৯৬.৩%, ট্যাপ ১.৭% এবং অন্যান্য ২.০%।
স্যানিটেশন ব্যবস্থা এ উপজেলার ৭৬.৩% পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং ১৯.৬% পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। ৪.১% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই।
স্বাস্থ্যকেন্দ্র উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ১, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ৯, হাসপাতাল ১, শিশু কল্যাণ কেন্দ্র ১, হোমিওপ্যাথিক হাসপাতাল ১, ক্লিনিক ১২, মাতৃমঙ্গল কেন্দ্র ১।
এনজিও ব্র্যাক, আশা, বিআরডিবি। [বদরুল আলম টিপু]
তথ্যসূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১ ও ২০১১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; রাজবাড়ী সদর উপজেলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭।