রাববী, মোহাম্মদ ফজলে: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
[[Category:বাংলাপিডিয়া]] | [[Category:বাংলাপিডিয়া]] | ||
[[Image:RabbeeMohammadFazle.jpg|thumb|right|মোহাম্মদ ফজলে রাববী]] | |||
'''রাববী, মোহাম্মদ ফজলে '''(১৯৩২-১৯৭১) চিকিৎসক, শহীদ বুদ্ধিজীবী। জন্ম ১৯৩২ সালের ২২ সেপ্টেম্বর পাবনা জেলার হেমায়েতপুর উপজেলার ছাতিয়ানি গ্রামে। পিতা আফসারউদ্দিন আহমেদ এবং মাতা সুফিয়া খাতুন। ফজলে রাববী পাবনা জেলাস্কুল থেকে ১৯৪৮ সালে ম্যাট্রিকুলেশন এবং ঢাকা কলেজ থেকে ১৯৫০ সালে আইএসসি পাস করেন। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ থেকে তিনি ১৯৫৫ সালে এমবিবিএস পাস করেন এবং মেধাতালিকার শীর্ষস্থান অধিকারের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বর্ণপদক লাভ করেন। তিনি স্কটল্যান্ডের এডিনবরা রয়েল কলেজ অব ফিজিশিয়ান্স অ্যান্ড সার্জনস থেকে ১৯৬০ সালে কার্ডিওলজিতে এবং লন্ডন থেকে ১৯৬২ সালে ইন্টারনাল মেডিসিনে এম.আর.সি.পি ডিগ্রি লাভ করেন। | '''রাববী, মোহাম্মদ ফজলে '''(১৯৩২-১৯৭১) চিকিৎসক, শহীদ বুদ্ধিজীবী। জন্ম ১৯৩২ সালের ২২ সেপ্টেম্বর পাবনা জেলার হেমায়েতপুর উপজেলার ছাতিয়ানি গ্রামে। পিতা আফসারউদ্দিন আহমেদ এবং মাতা সুফিয়া খাতুন। ফজলে রাববী পাবনা জেলাস্কুল থেকে ১৯৪৮ সালে ম্যাট্রিকুলেশন এবং ঢাকা কলেজ থেকে ১৯৫০ সালে আইএসসি পাস করেন। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ থেকে তিনি ১৯৫৫ সালে এমবিবিএস পাস করেন এবং মেধাতালিকার শীর্ষস্থান অধিকারের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বর্ণপদক লাভ করেন। তিনি স্কটল্যান্ডের এডিনবরা রয়েল কলেজ অব ফিজিশিয়ান্স অ্যান্ড সার্জনস থেকে ১৯৬০ সালে কার্ডিওলজিতে এবং লন্ডন থেকে ১৯৬২ সালে ইন্টারনাল মেডিসিনে এম.আর.সি.পি ডিগ্রি লাভ করেন। | ||
মোহাম্মদ ফজলে রাববী ১৯৫৬ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অ্যাসিস্ট্যান্ট সার্জন পদে যোগ দেন। সেখানে তিনি ১৯৫৯ সালে মেডিসিনের রেজিস্ট্রার পদে, ১৯৬৩ সালে সহযোগী অধ্যাপক এবং ১৯৬৮ সালে কার্ডিওলজি ও মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক পদে উন্নীত হন। এ ছাড়া তিনি হ্যামারস্মিথ হাসপাতালসহ ইংল্যান্ডের বিভিন্ন হাসপাতালেও কর্মরত ছিলেন। অধ্যাপনা এবং চিকিৎসার পাশাপাশি তিনি চিকিৎসা সংক্রান্ত গবেষণার কাজেও নিয়োজিত ছিলেন। ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নাল ও ল্যান্সেটে তাঁর বহু গবেষণামূলক প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। | মোহাম্মদ ফজলে রাববী ১৯৫৬ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অ্যাসিস্ট্যান্ট সার্জন পদে যোগ দেন। সেখানে তিনি ১৯৫৯ সালে মেডিসিনের রেজিস্ট্রার পদে, ১৯৬৩ সালে সহযোগী অধ্যাপক এবং ১৯৬৮ সালে কার্ডিওলজি ও মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক পদে উন্নীত হন। এ ছাড়া তিনি হ্যামারস্মিথ হাসপাতালসহ ইংল্যান্ডের বিভিন্ন হাসপাতালেও কর্মরত ছিলেন। অধ্যাপনা এবং চিকিৎসার পাশাপাশি তিনি চিকিৎসা সংক্রান্ত গবেষণার কাজেও নিয়োজিত ছিলেন। ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নাল ও ল্যান্সেটে তাঁর বহু গবেষণামূলক প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। | ||
১১ নং লাইন: | ১১ নং লাইন: | ||
১৯৯১ সালের ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ডাকবিভাগ ফজলে রাববীর নামে স্মারক ডাকটিকিট এবং সংক্ষিপ্ত জীবনী প্রকাশ করে। তাঁর নামানুসারে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের একটি ছাত্রাবাসের নামকরণ হয় ডাক্তার ফজলে রাববী হল। [বায়জীদ খুরশীদ রিয়াজ] | ১৯৯১ সালের ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ডাকবিভাগ ফজলে রাববীর নামে স্মারক ডাকটিকিট এবং সংক্ষিপ্ত জীবনী প্রকাশ করে। তাঁর নামানুসারে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের একটি ছাত্রাবাসের নামকরণ হয় ডাক্তার ফজলে রাববী হল। [বায়জীদ খুরশীদ রিয়াজ] | ||
[[en:Rabbee, Mohammad Fazle]] | [[en:Rabbee, Mohammad Fazle]] |
০৪:৫৫, ১৪ জুলাই ২০২১ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ
রাববী, মোহাম্মদ ফজলে (১৯৩২-১৯৭১) চিকিৎসক, শহীদ বুদ্ধিজীবী। জন্ম ১৯৩২ সালের ২২ সেপ্টেম্বর পাবনা জেলার হেমায়েতপুর উপজেলার ছাতিয়ানি গ্রামে। পিতা আফসারউদ্দিন আহমেদ এবং মাতা সুফিয়া খাতুন। ফজলে রাববী পাবনা জেলাস্কুল থেকে ১৯৪৮ সালে ম্যাট্রিকুলেশন এবং ঢাকা কলেজ থেকে ১৯৫০ সালে আইএসসি পাস করেন। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ থেকে তিনি ১৯৫৫ সালে এমবিবিএস পাস করেন এবং মেধাতালিকার শীর্ষস্থান অধিকারের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বর্ণপদক লাভ করেন। তিনি স্কটল্যান্ডের এডিনবরা রয়েল কলেজ অব ফিজিশিয়ান্স অ্যান্ড সার্জনস থেকে ১৯৬০ সালে কার্ডিওলজিতে এবং লন্ডন থেকে ১৯৬২ সালে ইন্টারনাল মেডিসিনে এম.আর.সি.পি ডিগ্রি লাভ করেন।
মোহাম্মদ ফজলে রাববী ১৯৫৬ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অ্যাসিস্ট্যান্ট সার্জন পদে যোগ দেন। সেখানে তিনি ১৯৫৯ সালে মেডিসিনের রেজিস্ট্রার পদে, ১৯৬৩ সালে সহযোগী অধ্যাপক এবং ১৯৬৮ সালে কার্ডিওলজি ও মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক পদে উন্নীত হন। এ ছাড়া তিনি হ্যামারস্মিথ হাসপাতালসহ ইংল্যান্ডের বিভিন্ন হাসপাতালেও কর্মরত ছিলেন। অধ্যাপনা এবং চিকিৎসার পাশাপাশি তিনি চিকিৎসা সংক্রান্ত গবেষণার কাজেও নিয়োজিত ছিলেন। ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নাল ও ল্যান্সেটে তাঁর বহু গবেষণামূলক প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।
ফজলে রাববী ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। ১৯৭০ সালে গণমুখী চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রবর্তনের দাবিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল ইউনিভার্সিটিতে (তৎকালীন আইপিজিএমআর) বক্তৃতা করার সময় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি আহত মুক্তিযোদ্ধা, নির্যাতিত নারীদের চিকিৎসাসেবা এবং আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন। তিনি ভারতে গমনেচ্ছু শরণার্থীদের সীমান্ত অতিক্রমে বিভিন্নভাবে সহায়তা করেন। মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের চূড়ান্ত পর্যায়ে ১৫ ডিসেম্বর আল-বদর বাহিনীর সহযোগে কয়েকজন পাকিস্তানি সৈন্য তাঁকে ঢাকার সিদ্ধেশ্বরীর বাসা থেকে ধরে নিয়ে যায়। পরে ১৮ ডিসেম্বর তাঁর মৃতদেহ রায়েরবাজার বধ্যভূমি থেকে উদ্ধার করা হয়।
১৯৯১ সালের ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ডাকবিভাগ ফজলে রাববীর নামে স্মারক ডাকটিকিট এবং সংক্ষিপ্ত জীবনী প্রকাশ করে। তাঁর নামানুসারে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের একটি ছাত্রাবাসের নামকরণ হয় ডাক্তার ফজলে রাববী হল। [বায়জীদ খুরশীদ রিয়াজ]