খোদার পাথর ভিটা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) অ (Added Ennglish article link) |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
(একই ব্যবহারকারী দ্বারা সম্পাদিত একটি মধ্যবর্তী সংশোধন দেখানো হচ্ছে না) | |||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
[[Category:বাংলাপিডিয়া]] | [[Category:বাংলাপিডিয়া]] | ||
[[Image:KhodarPatharBhita.jpg|thumb|400px|right|খোদার পাথর ভিটা, বগুড়া]] | |||
'''খোদার পাথর ভিটা''' বগুড়া জেলার মহাস্থানগড়ে (পুন্ড্রনগর) অবস্থিত একটি টিলা বা ঢিবি। ঢিবিটির উপরিভাগে প্রাপ্ত গ্রানাইট পাথরের প্রকান্ড একটি চৌকাঠ (২.৮৪ মি × ০.৭১ মি × ০.৭৪ মি) থেকেই স্থানীয় জনগণ ঢিবিটির এ অদ্ভুত নামকরণ করেছে। এ প্রকান্ড চৌকাঠটিতে রয়েছে দরজার হুড়কো লাগাবার দুটি ছিদ্র, উপরের দিকে ফোকর এবং উদ্গত ফুলের নকশা। স্থানীয় হিন্দু ও মুসলমানরা এখানে নগ্ন পায়ে পাথরের এ চৌকাঠটিতে ভক্তি নিবেদন করত এবং এখনও করে। | '''খোদার পাথর ভিটা''' বগুড়া জেলার মহাস্থানগড়ে (পুন্ড্রনগর) অবস্থিত একটি টিলা বা ঢিবি। ঢিবিটির উপরিভাগে প্রাপ্ত গ্রানাইট পাথরের প্রকান্ড একটি চৌকাঠ (২.৮৪ মি × ০.৭১ মি × ০.৭৪ মি) থেকেই স্থানীয় জনগণ ঢিবিটির এ অদ্ভুত নামকরণ করেছে। এ প্রকান্ড চৌকাঠটিতে রয়েছে দরজার হুড়কো লাগাবার দুটি ছিদ্র, উপরের দিকে ফোকর এবং উদ্গত ফুলের নকশা। স্থানীয় হিন্দু ও মুসলমানরা এখানে নগ্ন পায়ে পাথরের এ চৌকাঠটিতে ভক্তি নিবেদন করত এবং এখনও করে। | ||
১৯৭০ সালে এ ঢিবিতে (৪৬.৯৪ মি × ৪০.৮৪ মি × ২.৪৪ মি) খননকার্যের ফলে একটি মন্দির এবং ছোটখাটো কিছু প্রত্ননিদর্শন পাওয়া গেছে। মন্দিরটি পূর্বাভিমুখী একটি আয়তাকার বৌদ্ধ মন্দির। এতে রয়েছে পাথরে বাঁধানো মেঝে এবং ভিত-দেয়াল। ভিতের উপর স্থাপিত দেয়াল ছিল কাদামাটিতে গাঁথা ইটের তৈরী। দরজার চৌকাঠের বাজু, সরদল এবং দরজার উপরের দিকের অলংকৃত অংশ সম্ভবত পাথরে নির্মিত হয়েছিল। এ স্থানে খননকার্যের ফলে প্রাপ্ত খোদাইকৃত প্রস্তরখন্ডগুলির একটিতে (৬৯ মি × ২০ সেমি × ১৮ সেমি) ফুলের উদ্গত নকশার মধ্যে একই সারিতে আসীন তিনটি বৌদ্ধমূর্তি রয়েছে। | ১৯৭০ সালে এ ঢিবিতে (৪৬.৯৪ মি × ৪০.৮৪ মি × ২.৪৪ মি) খননকার্যের ফলে একটি মন্দির এবং ছোটখাটো কিছু প্রত্ননিদর্শন পাওয়া গেছে। মন্দিরটি পূর্বাভিমুখী একটি আয়তাকার বৌদ্ধ মন্দির। এতে রয়েছে পাথরে বাঁধানো মেঝে এবং ভিত-দেয়াল। ভিতের উপর স্থাপিত দেয়াল ছিল কাদামাটিতে গাঁথা ইটের তৈরী। দরজার চৌকাঠের বাজু, সরদল এবং দরজার উপরের দিকের অলংকৃত অংশ সম্ভবত পাথরে নির্মিত হয়েছিল। এ স্থানে খননকার্যের ফলে প্রাপ্ত খোদাইকৃত প্রস্তরখন্ডগুলির একটিতে (৬৯ মি × ২০ সেমি × ১৮ সেমি) ফুলের উদ্গত নকশার মধ্যে একই সারিতে আসীন তিনটি বৌদ্ধমূর্তি রয়েছে। | ||
বর্তমানে এটি রাজশাহীর [[বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর|বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর]] এ রক্ষিত আছে। প্রকান্ড চৌকাঠটি ব্যতীত প্রত্নস্থলটির কাঠামোর ধংসাবশেষ এখনও মাটির নিচে চাপা পড়ে আছে। প্রত্নস্থল ও এর আশেপাশে বহুসংখ্যক ইট ও পাথরের টুকরা ছড়িয়ে রয়েছে। এ ঢিবির ধ্বংসাবশেষ পাল আমলের প্রথম দিকের (আনু. খ্রিস্টীয় আট শতক) বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। [আইয়ূব খান] | বর্তমানে এটি রাজশাহীর [[বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর|বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর]] এ রক্ষিত আছে। প্রকান্ড চৌকাঠটি ব্যতীত প্রত্নস্থলটির কাঠামোর ধংসাবশেষ এখনও মাটির নিচে চাপা পড়ে আছে। প্রত্নস্থল ও এর আশেপাশে বহুসংখ্যক ইট ও পাথরের টুকরা ছড়িয়ে রয়েছে। এ ঢিবির ধ্বংসাবশেষ পাল আমলের প্রথম দিকের (আনু. খ্রিস্টীয় আট শতক) বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। [আইয়ূব খান] | ||
[[en:Khodar Pathar Bhita]] | [[en:Khodar Pathar Bhita]] |
০৭:৪৭, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ
খোদার পাথর ভিটা বগুড়া জেলার মহাস্থানগড়ে (পুন্ড্রনগর) অবস্থিত একটি টিলা বা ঢিবি। ঢিবিটির উপরিভাগে প্রাপ্ত গ্রানাইট পাথরের প্রকান্ড একটি চৌকাঠ (২.৮৪ মি × ০.৭১ মি × ০.৭৪ মি) থেকেই স্থানীয় জনগণ ঢিবিটির এ অদ্ভুত নামকরণ করেছে। এ প্রকান্ড চৌকাঠটিতে রয়েছে দরজার হুড়কো লাগাবার দুটি ছিদ্র, উপরের দিকে ফোকর এবং উদ্গত ফুলের নকশা। স্থানীয় হিন্দু ও মুসলমানরা এখানে নগ্ন পায়ে পাথরের এ চৌকাঠটিতে ভক্তি নিবেদন করত এবং এখনও করে।
১৯৭০ সালে এ ঢিবিতে (৪৬.৯৪ মি × ৪০.৮৪ মি × ২.৪৪ মি) খননকার্যের ফলে একটি মন্দির এবং ছোটখাটো কিছু প্রত্ননিদর্শন পাওয়া গেছে। মন্দিরটি পূর্বাভিমুখী একটি আয়তাকার বৌদ্ধ মন্দির। এতে রয়েছে পাথরে বাঁধানো মেঝে এবং ভিত-দেয়াল। ভিতের উপর স্থাপিত দেয়াল ছিল কাদামাটিতে গাঁথা ইটের তৈরী। দরজার চৌকাঠের বাজু, সরদল এবং দরজার উপরের দিকের অলংকৃত অংশ সম্ভবত পাথরে নির্মিত হয়েছিল। এ স্থানে খননকার্যের ফলে প্রাপ্ত খোদাইকৃত প্রস্তরখন্ডগুলির একটিতে (৬৯ মি × ২০ সেমি × ১৮ সেমি) ফুলের উদ্গত নকশার মধ্যে একই সারিতে আসীন তিনটি বৌদ্ধমূর্তি রয়েছে।
বর্তমানে এটি রাজশাহীর বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর এ রক্ষিত আছে। প্রকান্ড চৌকাঠটি ব্যতীত প্রত্নস্থলটির কাঠামোর ধংসাবশেষ এখনও মাটির নিচে চাপা পড়ে আছে। প্রত্নস্থল ও এর আশেপাশে বহুসংখ্যক ইট ও পাথরের টুকরা ছড়িয়ে রয়েছে। এ ঢিবির ধ্বংসাবশেষ পাল আমলের প্রথম দিকের (আনু. খ্রিস্টীয় আট শতক) বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। [আইয়ূব খান]