মুর্শিদ, নূরজাহান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
অ (Text replacement - "সোহ্রাওয়ার্দী" to "সোহ্রাওয়ার্দী") |
||
৪ নং লাইন: | ৪ নং লাইন: | ||
১৯৪৭-এ দেশবিভাগের আগে নূরজাহান অল ইন্ডিয়া রেডিও-তে ঘোষিকা হিসেবে কাজ করেছেন। দেশবিভাগের পরও পাকিস্তান রেডিও-তে তাঁর এই পেশা অব্যাহত থাকে। | ১৯৪৭-এ দেশবিভাগের আগে নূরজাহান অল ইন্ডিয়া রেডিও-তে ঘোষিকা হিসেবে কাজ করেছেন। দেশবিভাগের পরও পাকিস্তান রেডিও-তে তাঁর এই পেশা অব্যাহত থাকে। | ||
নূরজাহান মুর্শিদ ১৯৫০-এর দশকের শুরুর দিকে রাজনীতিতে সংশ্লিষ্ট হন। যুক্তফ্রন্টের মনোনয়ন নিয়ে তিনি ১৯৫৪-এর নির্বাচনে অংশ নেন এবং পূর্ব বাংলার আইন পরিষদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে আইন পরিষদ সচিব (পার্লামেন্টারি সেক্রেটারি) হিসেবে কাজ করেন। আইন পরিষদের একজন মহিলা সদস্য হিসেবে তিনি আইন প্রণয়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখেন। এসময় তিনি হোসেন শহীদ | নূরজাহান মুর্শিদ ১৯৫০-এর দশকের শুরুর দিকে রাজনীতিতে সংশ্লিষ্ট হন। যুক্তফ্রন্টের মনোনয়ন নিয়ে তিনি ১৯৫৪-এর নির্বাচনে অংশ নেন এবং পূর্ব বাংলার আইন পরিষদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে আইন পরিষদ সচিব (পার্লামেন্টারি সেক্রেটারি) হিসেবে কাজ করেন। আইন পরিষদের একজন মহিলা সদস্য হিসেবে তিনি আইন প্রণয়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখেন। এসময় তিনি হোসেন শহীদ সোহ্রাওয়ার্দীর ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন। | ||
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে নূরজাহান মুর্শিদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি মুজিবনগর সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে ভারতীয় বিধানসভার উভয় কক্ষের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দিয়ে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিতে ভারত সরকারের প্রতি আহবান জানান। এর ফলে তাঁর প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে পাকিস্তানের সামরিক জান্তা তাঁকে নিরুদ্দেশ অবস্থাতেই ১৪ বছরের কারাদন্ডে দন্ডিত করে। | বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে নূরজাহান মুর্শিদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি মুজিবনগর সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে ভারতীয় বিধানসভার উভয় কক্ষের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দিয়ে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিতে ভারত সরকারের প্রতি আহবান জানান। এর ফলে তাঁর প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে পাকিস্তানের সামরিক জান্তা তাঁকে নিরুদ্দেশ অবস্থাতেই ১৪ বছরের কারাদন্ডে দন্ডিত করে। |
১৬:০০, ১৭ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ
মুর্শিদ, নূরজাহান (১৯২৪-২০০৩) নারী আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী, রাজনীতিবিদ, মুক্তিযোদ্ধা এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মন্ত্রীসভার সদস্য। তিনি ১৯২৪ সালের ১৯ মে মুর্শিদাবাদ জেলার তারানগরে জন্মগ্রহণ করেন। নিজ গ্রামেই প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে তিনি উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে পড়াশোনা করেন বরিশালে এবং পরবর্তীতে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজির অধ্যাপক খান সরওয়ার মুর্শিদের সহধর্মিনী নূরজাহান তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন বরিশালের সায়দুন্নেসা গার্লস হাই স্কুলের শিক্ষিকা হিসেবে। পরবর্তীতে তিনি ঢাকার কামরুন্নেসা স্কুল, ভিকারুননিসা নুন স্কুল, হলিক্রস কলেজ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন।
১৯৪৭-এ দেশবিভাগের আগে নূরজাহান অল ইন্ডিয়া রেডিও-তে ঘোষিকা হিসেবে কাজ করেছেন। দেশবিভাগের পরও পাকিস্তান রেডিও-তে তাঁর এই পেশা অব্যাহত থাকে।
নূরজাহান মুর্শিদ ১৯৫০-এর দশকের শুরুর দিকে রাজনীতিতে সংশ্লিষ্ট হন। যুক্তফ্রন্টের মনোনয়ন নিয়ে তিনি ১৯৫৪-এর নির্বাচনে অংশ নেন এবং পূর্ব বাংলার আইন পরিষদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে আইন পরিষদ সচিব (পার্লামেন্টারি সেক্রেটারি) হিসেবে কাজ করেন। আইন পরিষদের একজন মহিলা সদস্য হিসেবে তিনি আইন প্রণয়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখেন। এসময় তিনি হোসেন শহীদ সোহ্রাওয়ার্দীর ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে নূরজাহান মুর্শিদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি মুজিবনগর সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে ভারতীয় বিধানসভার উভয় কক্ষের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দিয়ে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিতে ভারত সরকারের প্রতি আহবান জানান। এর ফলে তাঁর প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে পাকিস্তানের সামরিক জান্তা তাঁকে নিরুদ্দেশ অবস্থাতেই ১৪ বছরের কারাদন্ডে দন্ডিত করে।
১৯৭২ সালে নূরজাহান মুর্শিদ বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী নিযুক্ত হন। তিনি ১৯৭৩ সালে গঠিত বাংলাদেশের প্রথম সংসদে একজন সাংসদ নির্বাচিত হন। তিনি বাংলাদেশ মহিলা সমিতির প্রথম সভাপতি ছিলেন। ‘একাল’ নামে তিনি একটি বাংলা সাময়িকী চালু করেছিলেন। এর প্রকাশনা খুব দীর্ঘস্থায়ী ছিল না তবে ‘এদেশ-একাল’ নামে সাময়িকীটির নতুনভাবে প্রকাশ বেশ কয়েক বছর অব্যাহত ছিল।
নূরজাহান মুর্শিদ ২০০৩ সালের ২ সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। [মো. মুকবিল হোসেন]