ভাঙ্গুরা উপজেলা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
[[Category:বাংলাপিডিয়া]] | [[Category:বাংলাপিডিয়া]] | ||
'''ভাঙ্গুরা উপজেলা''' ([[পাবনা জেলা|পাবনা জেলা]]) আয়তন: ১৩৬ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২৪°০৯´ থেকে ২৪°২১´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯°২০´ থেকে ৮৯°২৮´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে তাড়াস, চাটমোহর ও উল্লাপাড়া উপজেলা, দক্ষিণে ফরিদপুর উপজেলা (পাবনা), পূর্বে উল্লাপাড়া ও ফরিদপুর উপজেলা (পাবনা), পশ্চিমে চাটমোহর উপজেলা। | '''ভাঙ্গুরা উপজেলা''' ([[পাবনা জেলা|পাবনা জেলা]]) আয়তন: ১৩৬.৩৬ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২৪°০৯´ থেকে ২৪°২১´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯°২০´ থেকে ৮৯°২৮´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে তাড়াস, চাটমোহর ও উল্লাপাড়া উপজেলা, দক্ষিণে ফরিদপুর উপজেলা (পাবনা), পূর্বে উল্লাপাড়া ও ফরিদপুর উপজেলা (পাবনা), পশ্চিমে চাটমোহর উপজেলা। | ||
''জনসংখ্যা'' | ''জনসংখ্যা'' ১২৪৪৩৩; পুরুষ ৬১৯০০, মহিলা ৬২৫৩৩। মুসলিম ১১৯৪৬৫, হিন্দু ৪৯২৯, খ্রিস্টান ১৭ এবং অন্যান্য ২২। | ||
''জলাশয়'' প্রধান নদী: আত্রাই ও বড়াল। | ''জলাশয়'' প্রধান নদী: আত্রাই ও বড়াল। | ||
১৬ নং লাইন: | ১৬ নং লাইন: | ||
| শহর || গ্রাম || শহর || গ্রাম | | শহর || গ্রাম || শহর || গ্রাম | ||
|- | |- | ||
| ১ | | ১ || ৫ || ৬৫ || ১২২ || ২০৬০৬ || ১০৩৮২৭ || ৮৯৯ || ৫৬.৬ || ৪১.৪ | ||
|} | |} | ||
{| class="table table-bordered table-hover" | {| class="table table-bordered table-hover" | ||
২৪ নং লাইন: | ২৪ নং লাইন: | ||
| আয়তন (বর্গ কিমি) || ওয়ার্ড || মহল্লা || লোকসংখ্যা || ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) || শিক্ষার হার (%) | | আয়তন (বর্গ কিমি) || ওয়ার্ড || মহল্লা || লোকসংখ্যা || ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) || শিক্ষার হার (%) | ||
|- | |- | ||
| ৫.১৩ | | ৫.১৩ || ৯ || ৩৭ || ২০৬০৬ || ৪০১৭ || ৫৬.৬ | ||
|} | |} | ||
{| class="table table-bordered table-hover" | {| class="table table-bordered table-hover" | ||
৪২ নং লাইন: | ৩৪ নং লাইন: | ||
| পুরুষ || মহিলা | | পুরুষ || মহিলা | ||
|- | |- | ||
| অষ্টমনিষা ১৫ | | অষ্টমনিষা ১৫ || ৪২৩২ || ৯১২৭ || ৮৯৪০ || ৪৩.১ | ||
| | |||
| | |||
|- | |- | ||
| | | খানমরিচ ৬৩ || ৭৪৪০ || ১৩৮৩০ || ১৩৮০১ || ৩২.১ | ||
|- | |- | ||
| | | দিলপাশার ৪৭ || ৬৭২৭ || ৭৫৮৪ || ৭৮৪৭ || ৪০.১ | ||
|- | |- | ||
| ভাঙ্গুরা | | পার-ভাঙ্গুরা ৭৯ || ৬৩০০ || ৮২৪০ || ৮৬৯২ || ৫১.৩ | ||
|- | |- | ||
| | | ভাঙ্গুরা ৩১ || ৮২২২ || ১২৮৮২ || ১২৮৮৪ || ৪৪.১ | ||
|} | |} | ||
''সূত্র'' আদমশুমারি রিপোর্ট | ''সূত্র'' আদমশুমারি রিপোর্ট ২০১১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো। | ||
[[Image:BhanguraUpazila.jpg|thumb|right|400px]] | [[Image:BhanguraUpazila.jpg|thumb|right|400px]] | ||
''প্রাচীন নিদর্শনাদি ও প্রত্নসম্পদ'' তিন গম্বুজবিশিষ্ট প্রাচীন মসজিদ (কাজীপাড়া, চন্ডীপুর)। | ''প্রাচীন নিদর্শনাদি ও প্রত্নসম্পদ'' তিন গম্বুজবিশিষ্ট প্রাচীন মসজিদ (কাজীপাড়া, চন্ডীপুর)। | ||
'' | ''মুক্তিযুদ্ধ'' ১৯৭১ সালে বড়ালব্রিজের কাছে পাকসেনা ও রাজাকারদের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের লড়াইয়ে পাকসেনারা পরাজিত হয় এবং বহু সংখ্যক রাজাকার অস্ত্রসহ আত্মসমর্পণ করে। ১৫ ডিসেম্বর এ উপজেলা শত্রু মুক্ত হয়। | ||
''বিস্তারিত দেখুন'' ভাঙ্গুরা উপজেলা, ''বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ'', বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি, ঢাকা ২০২০, খণ্ড ৭। | |||
''ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান'' | ''ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান'' মসজিদ ১৬২, মন্দির ২৯। উল্লেখযোগ্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান: ভাঙ্গুরা জামে মসজিদ, কালীবাড়ি মন্দির, অষ্টমনিষা কালীমন্দির। | ||
''শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান'' গড় হার | ''শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান'' গড় হার ৪৪.০%; পুরুষ ৪৬.৩%, মহিলা ৪১.৭%। কলেজ ২, কলেজিয়েট স্কুল ১, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১১, প্রাথমিক বিদ্যালয় ৯১, স্যাটেলাইট স্কুল ১৩, কমিউনিটি স্কুল ৩, মাদ্রাসা ৩। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: হাজী জামালউদ্দিন ডিগ্রি কলেজ (১৯৭০), ভাঙ্গুরা মহিলা কলেজ (১৯৯৮), খানমরিচ টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজ (২০০২), বি বি স্কুল অ্যান্ড কলেজ (১৯৮৫), ভাঙ্গুরা জরিনা-রহিম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৬৯), হাসিনা-মোমিন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় (১৯৭২), ভাঙ্গুরা ইউনিয়ন পাইলট বহুমুখী বিদ্যালয়, শরৎনগর ফাজিল মাদ্রাসা (১৯২৭), হাজী গয়েজ উদ্দিন মহিলা ফাজিল মাদ্রাসা (১৯৮৫)। | ||
''পত্র-পত্রিকা ও সাময়িকী'' তাওহীদ, সচেতন, বেদুঈন, মঞ্জিল, ঝর্ণা, উন্মোচন, চেতনা, পল্লী সাহিত্য, স্মৃতি লেখা, নেপথ্যের সংলাপ, নিশীথ প্রদীপ। অবলুপ্ত: জমিদার, বিজলী, সোমবারের চিঠি, পতিতার মুক্তি, বুলি, তাছবীর, অভ্যুদয়, আখেরী তকরীর। | ''পত্র-পত্রিকা ও সাময়িকী'' তাওহীদ, সচেতন, বেদুঈন, মঞ্জিল, ঝর্ণা, উন্মোচন, চেতনা, পল্লী সাহিত্য, স্মৃতি লেখা, নেপথ্যের সংলাপ, নিশীথ প্রদীপ। অবলুপ্ত: জমিদার, বিজলী, সোমবারের চিঠি, পতিতার মুক্তি, বুলি, তাছবীর, অভ্যুদয়, আখেরী তকরীর। | ||
৮৬ নং লাইন: | ৭৩ নং লাইন: | ||
''মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার'' মৎস্য ৫০, গবাদিপশু ৬৩৭, হাঁস-মুরগি ১৩০। | ''মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার'' মৎস্য ৫০, গবাদিপশু ৬৩৭, হাঁস-মুরগি ১৩০। | ||
''যোগাযোগ বিশেষত্ব'' পাকারাস্তা | ''যোগাযোগ বিশেষত্ব'' পাকারাস্তা ৫১ কিমি, আধা-পাকারাস্তা ৩ কিমি, কাঁচারাস্তা ২৩১ কিমি, নৌপথ ১০ কিমি; রেলপথ ১৯ কিমি। রেলস্টেশন ৪। | ||
''বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন'' পাল্কি, ডুলি, গরুর গাড়ি, ঘোড়ার গাড়ি। | ''বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন'' পাল্কি, ডুলি, গরুর গাড়ি, ঘোড়ার গাড়ি। | ||
৯৮ নং লাইন: | ৮৫ নং লাইন: | ||
''প্রধান রপ্তানিদ্রব্য'' ধান, গম, পাট, মাছ, দুধ, পিঁয়াজ, রসুন, হাঁস-মুরগি। | ''প্রধান রপ্তানিদ্রব্য'' ধান, গম, পাট, মাছ, দুধ, পিঁয়াজ, রসুন, হাঁস-মুরগি। | ||
''বিদ্যুৎ ব্যবহার'' এ উপজেলার সবক’টি ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে | ''বিদ্যুৎ ব্যবহার'' এ উপজেলার সবক’টি ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ৪৯.৭% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। | ||
''পানীয়জলের উৎস'' নলকূপ | ''পানীয়জলের উৎস'' নলকূপ ৮৯.৬%, ট্যাপ ৪.৫% এবং অন্যান্য ৫.৯%। | ||
''স্যানিটেশন ব্যবস্থা'' এ উপজেলার | ''স্যানিটেশন ব্যবস্থা'' এ উপজেলার ৮১.৩% পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং ১৬.৭% পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। ২.০% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই। | ||
''স্বাস্থ্যকেন্দ্র'' উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ১, পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ৫, ক্লিনিক ১। | ''স্বাস্থ্যকেন্দ্র'' উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ১, পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ৫, ক্লিনিক ১। | ||
১১০ নং লাইন: | ৯৭ নং লাইন: | ||
''এনজিও'' ব্র্যাক, আশা, টিটিএমএসএস, প্রশিকা। [মুহাম্মদ নুরুজ্জামান মুসাফির] | ''এনজিও'' ব্র্যাক, আশা, টিটিএমএসএস, প্রশিকা। [মুহাম্মদ নুরুজ্জামান মুসাফির] | ||
'''তথ্যসূত্র''' আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; ভাঙ্গুরা উপজেলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭। | '''তথ্যসূত্র''' আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১ ও ২০১১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; ভাঙ্গুরা উপজেলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭। | ||
[[en:Bhangura Upazila]] | [[en:Bhangura Upazila]] |
০৩:২৭, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ
ভাঙ্গুরা উপজেলা (পাবনা জেলা) আয়তন: ১৩৬.৩৬ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২৪°০৯´ থেকে ২৪°২১´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯°২০´ থেকে ৮৯°২৮´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে তাড়াস, চাটমোহর ও উল্লাপাড়া উপজেলা, দক্ষিণে ফরিদপুর উপজেলা (পাবনা), পূর্বে উল্লাপাড়া ও ফরিদপুর উপজেলা (পাবনা), পশ্চিমে চাটমোহর উপজেলা।
জনসংখ্যা ১২৪৪৩৩; পুরুষ ৬১৯০০, মহিলা ৬২৫৩৩। মুসলিম ১১৯৪৬৫, হিন্দু ৪৯২৯, খ্রিস্টান ১৭ এবং অন্যান্য ২২।
জলাশয় প্রধান নদী: আত্রাই ও বড়াল।
প্রশাসন ভাঙ্গুরা থানা গঠিত হয় ১৯৮০ সালে এবং থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয় ১৯৮১ সালে।
উপজেলা | ||||||||
পৌরসভা | ইউনিয়ন | মৌজা | গ্রাম | জনসংখ্যা | ঘনত্ব(প্রতি বর্গ কিমি) | শিক্ষার হার (%) | ||
শহর | গ্রাম | শহর | গ্রাম | |||||
১ | ৫ | ৬৫ | ১২২ | ২০৬০৬ | ১০৩৮২৭ | ৮৯৯ | ৫৬.৬ | ৪১.৪ |
পৌরসভা | ||||||||
আয়তন (বর্গ কিমি) | ওয়ার্ড | মহল্লা | লোকসংখ্যা | ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) | শিক্ষার হার (%) | |||
৫.১৩ | ৯ | ৩৭ | ২০৬০৬ | ৪০১৭ | ৫৬.৬ |
ইউনিয়ন | ||||||||
ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড | আয়তন (একর) | লোকসংখ্যা | শিক্ষার হার (%) | |||||
পুরুষ | মহিলা | |||||||
অষ্টমনিষা ১৫ | ৪২৩২ | ৯১২৭ | ৮৯৪০ | ৪৩.১ | ||||
খানমরিচ ৬৩ | ৭৪৪০ | ১৩৮৩০ | ১৩৮০১ | ৩২.১ | ||||
দিলপাশার ৪৭ | ৬৭২৭ | ৭৫৮৪ | ৭৮৪৭ | ৪০.১ | ||||
পার-ভাঙ্গুরা ৭৯ | ৬৩০০ | ৮২৪০ | ৮৬৯২ | ৫১.৩ | ||||
ভাঙ্গুরা ৩১ | ৮২২২ | ১২৮৮২ | ১২৮৮৪ | ৪৪.১ |
সূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০১১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।
প্রাচীন নিদর্শনাদি ও প্রত্নসম্পদ তিন গম্বুজবিশিষ্ট প্রাচীন মসজিদ (কাজীপাড়া, চন্ডীপুর)।
মুক্তিযুদ্ধ ১৯৭১ সালে বড়ালব্রিজের কাছে পাকসেনা ও রাজাকারদের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের লড়াইয়ে পাকসেনারা পরাজিত হয় এবং বহু সংখ্যক রাজাকার অস্ত্রসহ আত্মসমর্পণ করে। ১৫ ডিসেম্বর এ উপজেলা শত্রু মুক্ত হয়।
বিস্তারিত দেখুন ভাঙ্গুরা উপজেলা, বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি, ঢাকা ২০২০, খণ্ড ৭।
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মসজিদ ১৬২, মন্দির ২৯। উল্লেখযোগ্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান: ভাঙ্গুরা জামে মসজিদ, কালীবাড়ি মন্দির, অষ্টমনিষা কালীমন্দির।
শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড় হার ৪৪.০%; পুরুষ ৪৬.৩%, মহিলা ৪১.৭%। কলেজ ২, কলেজিয়েট স্কুল ১, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১১, প্রাথমিক বিদ্যালয় ৯১, স্যাটেলাইট স্কুল ১৩, কমিউনিটি স্কুল ৩, মাদ্রাসা ৩। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: হাজী জামালউদ্দিন ডিগ্রি কলেজ (১৯৭০), ভাঙ্গুরা মহিলা কলেজ (১৯৯৮), খানমরিচ টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজ (২০০২), বি বি স্কুল অ্যান্ড কলেজ (১৯৮৫), ভাঙ্গুরা জরিনা-রহিম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৬৯), হাসিনা-মোমিন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় (১৯৭২), ভাঙ্গুরা ইউনিয়ন পাইলট বহুমুখী বিদ্যালয়, শরৎনগর ফাজিল মাদ্রাসা (১৯২৭), হাজী গয়েজ উদ্দিন মহিলা ফাজিল মাদ্রাসা (১৯৮৫)।
পত্র-পত্রিকা ও সাময়িকী তাওহীদ, সচেতন, বেদুঈন, মঞ্জিল, ঝর্ণা, উন্মোচন, চেতনা, পল্লী সাহিত্য, স্মৃতি লেখা, নেপথ্যের সংলাপ, নিশীথ প্রদীপ। অবলুপ্ত: জমিদার, বিজলী, সোমবারের চিঠি, পতিতার মুক্তি, বুলি, তাছবীর, অভ্যুদয়, আখেরী তকরীর।
সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান লাইব্রেরি ২, ক্লাব ৮২, সিনেমা হল ২, নাট্যদল ১, মহিলা সংগঠন ৬।
জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষি ৭০.৪৯%, অকৃষি শ্রমিক ২.৬১%, শিল্প ২.২১%, ব্যবসা ১১.৫১%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ১.৮৪%, চাকরি ৫.৭০%, নির্মাণ ০.৯৮%, ধর্মীয় সেবা ০.২০%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ০.০৯% এবং অন্যান্য ৬.৫৮%।
কৃষিভূমির মালিকানা ভূমিমালিক ৬১.৫৮%, ভূমিহীন ৩৮.৪২%। শহরে ৪৫.৮৫% এবং গ্রামে ৬৬.৩০% পরিবারের কৃষিজমি রয়েছে।
প্রধান কৃষি ফসল ধান, পাট, গম, খেসারি, মসুর, শাকসবজি, পিঁয়াজ, রসুন।
বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি কাউন, চীনা, ছোলা, ভুরা, যব।
প্রধান ফল-ফলাদি আম, কাঁঠাল, জাম, পেঁপে, কলা, লিচু।
মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার মৎস্য ৫০, গবাদিপশু ৬৩৭, হাঁস-মুরগি ১৩০।
যোগাযোগ বিশেষত্ব পাকারাস্তা ৫১ কিমি, আধা-পাকারাস্তা ৩ কিমি, কাঁচারাস্তা ২৩১ কিমি, নৌপথ ১০ কিমি; রেলপথ ১৯ কিমি। রেলস্টেশন ৪।
বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন পাল্কি, ডুলি, গরুর গাড়ি, ঘোড়ার গাড়ি।
শিল্প ও কলকারখানা ফ্লাওয়ার মিল, অয়েল মিল, স’মিল, ওয়েল্ডিং কারখানা।
কুটিরশিল্প স্বর্ণশিল্প, লৌহশিল্প, বুননশিল্প, দারুশিল্প, সূচিশিল্প, বাঁশের কাজ।
হাটবাজার ও মেলা হাটবাজার ২০, মেলা ৩। অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুরা বাজার, শরৎনগর বাজার, ভেড়ামারা বাজার ও বড়ালব্রিজ বাজার উল্লেখযোগ্য।
প্রধান রপ্তানিদ্রব্য ধান, গম, পাট, মাছ, দুধ, পিঁয়াজ, রসুন, হাঁস-মুরগি।
বিদ্যুৎ ব্যবহার এ উপজেলার সবক’টি ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ৪৯.৭% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।
পানীয়জলের উৎস নলকূপ ৮৯.৬%, ট্যাপ ৪.৫% এবং অন্যান্য ৫.৯%।
স্যানিটেশন ব্যবস্থা এ উপজেলার ৮১.৩% পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং ১৬.৭% পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। ২.০% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই।
স্বাস্থ্যকেন্দ্র উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ১, পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ৫, ক্লিনিক ১।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ ১৭৭০ (বাংলা ১১৭৬) সালের দুর্ভিক্ষে এ উপজেলার বহু লোক প্রাণ হারায়। এছাড়া ১৯৮৮ ও ১৯৯৮ সালের বন্যায় এ উপজেলার প্রায় সব মানুষ পানিবন্দী হয় এবং ঘরবাড়ি, গবাদিপশু ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়।
এনজিও ব্র্যাক, আশা, টিটিএমএসএস, প্রশিকা। [মুহাম্মদ নুরুজ্জামান মুসাফির]
তথ্যসূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১ ও ২০১১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; ভাঙ্গুরা উপজেলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭।