বরিশাল জেলা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
(হালনাগাদ) |
||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
[[Category:বাংলাপিডিয়া]] | [[Category:বাংলাপিডিয়া]] | ||
'''বরিশাল জেলা''' ([[বরিশাল বিভাগ|বরিশাল বিভাগ]]) আয়তন: | '''বরিশাল জেলা''' ([[বরিশাল বিভাগ|বরিশাল বিভাগ]]) আয়তন: ২৭৮৪.৫২ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২২°২৭´ থেকে ২২°৫২´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯০°০১´ থেকে ৯০°৪৩´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে মাদারীপুর, শরিয়তপুর ও চাঁদপুর জেলা, দক্ষিণে পটুয়াখালী, বরগুনা ও ঝালকাঠি জেলা, পূর্বে ভোলা ও লক্ষ্মীপুর জেলা, পশ্চিমে ঝালকাঠি, পিরোজপুর ও গোপালগঞ্জ জেলা। | ||
''জনসংখ্যা'' | ''জনসংখ্যা'' ২৩২৪৩১০; পুরুষ ১১৩৭২১০, মহিলা ১১৮৭১০০। মুসলিম ২০৪০০৮৮, হিন্দু ২৭১৭০৬, বৌদ্ধ ২২৫, খ্রিস্টান ১২২২৭ এবং অন্যান্য ৬৪। | ||
''জলাশয়'' প্রধান নদীসমূহ: মেঘনা, আড়িয়াল খাঁ, কীর্তনখোলা, তেঁতুলিয়া, নয়াভাঙ্গা, জয়ন্তি, স্বরূপকাঠি, হাতরা, আমতলি। | ''জলাশয়'' প্রধান নদীসমূহ: মেঘনা, আড়িয়াল খাঁ, কীর্তনখোলা, তেঁতুলিয়া, নয়াভাঙ্গা, জয়ন্তি, স্বরূপকাঠি, হাতরা, আমতলি। | ||
''প্রশাসন'' ১৭৯৭ সালে বাকেরগঞ্জ জেলা গঠিত হয়। বাকেরগঞ্জ জেলাকে পরবর্তীতে বরিশাল নামকরণ করা হয়। ১৯৯৩ সালের ১ জানুয়ারি বরিশালকে বিভাগ ঘোষণা করা হয়। পৌরসভা গঠিত হয় ১৯৫৭ সালে এবং সিটি কর্পোরেশনে রূপান্তর করা হয় ২০০০ সালে। জেলার দশটি উপজেলার মধ্যে হিজলা উপজেলা সর্ববৃহৎ (৫১৫.৩৬ বর্গ কিমি)। জেলার সবচেয়ে ছোট উপজেলা বানারীপাড়া (১৩৪. | ''প্রশাসন'' ১৭৯৭ সালে বাকেরগঞ্জ জেলা গঠিত হয়। বাকেরগঞ্জ জেলাকে পরবর্তীতে বরিশাল নামকরণ করা হয়। ১৯৯৩ সালের ১ জানুয়ারি বরিশালকে বিভাগ ঘোষণা করা হয়। পৌরসভা গঠিত হয় ১৯৫৭ সালে এবং সিটি কর্পোরেশনে রূপান্তর করা হয় ২০০০ সালে। জেলার দশটি উপজেলার মধ্যে হিজলা উপজেলা সর্ববৃহৎ (৫১৫.৩৬ বর্গ কিমি)। জেলার সবচেয়ে ছোট উপজেলা বানারীপাড়া (১৩৪.৩০ বর্গ কিমি)। | ||
{| class="table table-bordered table-hover" | {| class="table table-bordered table-hover" | ||
১৬ নং লাইন: | ১৬ নং লাইন: | ||
| শহর || গ্রাম | | শহর || গ্রাম | ||
|- | |- | ||
| | | ২৭৮৪.৫২ || ১০ || ৫ || ৮৫ || ১০৪২ || ১,১১৫ || ৫১৯০১৬ || ১৮০৫২৯৪ || ৮৩৫ || ৬১.২ | ||
|} | |} | ||
{| class="table table-bordered table-hover" | {| class="table table-bordered table-hover" | ||
৪৭ নং লাইন: | ৪৭ নং লাইন: | ||
| উপজেলা নাম || আয়তন(বর্গ কিমি) || পৌরসভা || ইউনিয়ন || মৌজা || গ্রাম || জনসংখ্যা || ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) || শিক্ষার হার (%) | | উপজেলা নাম || আয়তন(বর্গ কিমি) || পৌরসভা || ইউনিয়ন || মৌজা || গ্রাম || জনসংখ্যা || ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) || শিক্ষার হার (%) | ||
|- | |- | ||
| আগৈলঝরা || ১৫৫.৪৭ | | আগৈলঝরা || ১৫৫.৪৭ || - || ৫ || ৭৮ || ৯৫ || ১,৪৯,৪৫৬ || ৯৬১ || ৬২.৯ | ||
|- | |- | ||
| উজিরপুর || ২৪৮.৩৬ | | উজিরপুর || ২৪৮.৩৬ || - || ৯ || ১১৮ || ১২৫ || ২,৩৪,৯৫৯ || ৯৪৬ || ৬২.৫ | ||
|- | |- | ||
| গৌরনদী || | | গৌরনদী || ১৫০.৫৪ || ১ || ৭ || ১০৮ || ১০৯ || ১,৮৮,৫৮৬ || ১২৫৩ || ৬০.৯ | ||
|- | |- | ||
| বরিশাল সদর || | | বরিশাল সদর || ৩২৪.৪০ || - || ১০ || ১০৩ || ১১০ || ৫,২৭,০১৭ || ১৬২৫ || ৬৯.৩ | ||
|- | |- | ||
| বাকেরগঞ্জ || | | বাকেরগঞ্জ || ৪১১.৩৬ || ১ || ১৪ || ১৪৯ || ১৭২ || ৩,১৩,৮৪৫ || ৭৬৩ || ৬৩.৩ | ||
|- | |- | ||
| বানারীপাড়া || ১৩৪. | | বানারীপাড়া || ১৩৪.৩০ || ১ || ৮ || ৭৬ || ৭৬ || ১,৪৮,১৮৮ || ১১০৩ || ৬৭.২ | ||
|- | |- | ||
| বাবুগঞ্জ || ১৬৪. | | বাবুগঞ্জ || ১৬৪.৮৭ || - || ৬ || ৮১ || ৯০ || ১,৪০,৩৬১ || ৮৫১ || ৬৮.৮ | ||
|- | |- | ||
| মুলাদি || | | মুলাদি || ২৬০.৮৫ || ১ || ৭ || ৭৭ || ১০২ || ১,৭৪,৭৭৫ || ৬৭০ || ৫৬.০ | ||
|- | |- | ||
| মেহেন্দীগঞ্জ | | মেহেন্দীগঞ্জ || ৪১৮.৯৬ || ১ || ১৩ || ১১৯ || ১৪২ || ৩,০১,০৪৬ || ৭১৯ || ৪৮.৬ | ||
|- | |- | ||
| হিজলা || ৫১৫.৩৬ | | হিজলা || ৫১৫.৩৬ || - || ৬ || ৯২ || ৯৪ || ১,৪৬,০৭৭ || ২৮৩ || ৪০.৮ | ||
|} | |} | ||
''সূত্র'' আদমশুমারি রিপোর্ট | ''সূত্র'' আদমশুমারি রিপোর্ট ২০১১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো। | ||
[[Image:BarisalDistrict.jpg|thumb|400px|right]] | [[Image:BarisalDistrict.jpg|thumb|400px|right]] | ||
'' | ''মুক্তিযুদ্ধ'' মুক্তিযুদ্ধে বরিশাল জেলার আগৈলঝারা উপজেলার কোদালধোয়া গ্রামের লক্ষ্মণ দাস সার্কাসের মালিক লক্ষ্মণ দাস সহ ৮ জন গ্রামবাসীকে এবং বাকেরগঞ্জ উপজেলার কলসকাঠি চাল-বাজারের নিকট পাকবাহিনী ১৮১ জন মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করে। বাবুগঞ্জ উপজেলার চাঁদপাশা ইউনিয়নের কারিকরনগর গ্রাম পাকসেনারা পুড়িয়ে দেয় এবং ১০ জন লোককে হত্যা করে। এছাড়াও বানারীপাড়া উপজেলায় পাকবাহিনী ২১২ জনকে হত্যা করে। জেলার ২টি স্থানে গণকবর ও ৩টি স্থানে বধ্যভূমির সন্ধান পাওয়া গেছে; ২টি স্থানে বিশেষ ভাস্কর্য ও ৪টি স্থানে স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপিত হয়েছে। | ||
''শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান'' গড় হার ৬১.২%; পুরুষ ৬১.৯%, মহিলা ৬০.৬%। বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ১, মেডিক্যাল কলেজ ১, শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজ ১, নার্সিং ইনস্টিটিউট ১, শারীরিক কলেজ ১, পলিটেকনিক কলেজ ১, কলেজ ৭০, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৩৯০, প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৭১০, মাদ্রাসা ৭১০। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ: বরিশাল আইন কলেজ, শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ, সরকারি বি এম কলেজ, সৈয়দ হাতেম আলী কলেজ, বরিশাল সরকারি মহিলা কলেজ, চাখার কলেজ, বাকেরগঞ্জ কলেজ, কলসকাঠি কলেজ, মুলাদি কলেজ, হিজলা কলেজ, বানাড়ীপাড়া কলেজ, গৌরনদী কলেজ, আগৈলঝরা কলেজ, বাবুগঞ্জ কলেজ, বাদলপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজ, কাশিপুর হাইস্কুল ও কলেজ, বাগধা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজ, বরিশাল জেলা স্কুল, ব্রজমোহন স্কুল, বরিশাল জেলা গার্লস স্কুল, বরিশাল মিশনারী স্কুল, পাতারহাট মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয়, পাতারহাট জুবিলি উচ্চ বিদ্যালয়, শহীদ আলতাফ মাহমুদ উচ্চ বিদ্যালয়, হিজলা পি এল মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বাইশারি হাইস্কুল, বানারীপাড়া হাইস্কুল, গৌরনদী হাইস্কুল, আগৈলঝরা হাইস্কুল, গৈলা হাইস্কুল, বাবুগঞ্জ হাইস্কুল, বরিশাল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ব্যাপ্টিস্ট মিশন বালক উচ্চ বিদ্যালয়, গাভা হাইস্কুল, বাকেরগঞ্জ জে এস ইউ হাইস্কুল, অক্সফোর্ড মিশন হাইস্কুল, খলিসাকোটা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, রহমতপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, হালিমা খাতুন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ডি জি এল মাধ্যমিক বিদ্যালয়, চরামদ্দি ডব্লিউ কে মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কামারখালী কে এস ইউ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, পিংলাকাঠি মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভেদুরিয়ারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দারুস সুন্নত জামিয়া-ই-ইসলামিয়া মাদ্রাসা, দুধল ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা, কাকধরা এ কে এম ইনস্টিটিউশন, বানারীপাড়া মডেল ইউনিয়ন ইনস্টিটিউশন, কলসকাঠী বি এম একাডেমী। | |||
''শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান'' গড় হার | |||
''জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস'' কৃষি ৪৮.২৫%, অকৃষি শ্রমিক ৪.০০%, শিল্প ১.২৭%, ব্যবসা ১৭.৫২%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ২.৮৩%, নির্মাণ ২.৪৫%, ধর্মীয় সেবা ০.২৯%, চাকরি ১৩.০৮%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ২.৩১% এবং অন্যান্য ৮%। | ''জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস'' কৃষি ৪৮.২৫%, অকৃষি শ্রমিক ৪.০০%, শিল্প ১.২৭%, ব্যবসা ১৭.৫২%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ২.৮৩%, নির্মাণ ২.৪৫%, ধর্মীয় সেবা ০.২৯%, চাকরি ১৩.০৮%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ২.৩১% এবং অন্যান্য ৮%। | ||
৮৬ নং লাইন: | ৮৪ নং লাইন: | ||
''আরও দেখুন'' সংশ্লিষ্ট উপজেলা। | ''আরও দেখুন'' সংশ্লিষ্ট উপজেলা। | ||
'''তথ্যসূত্র''' আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; বরিশাল জেলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭; বরিশাল জেলার উপজেলাসমূহের সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭। | '''তথ্যসূত্র''' আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১ ও ২০১১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; বরিশাল জেলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭; বরিশাল জেলার উপজেলাসমূহের সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭। | ||
[[en:Barisal District]] | [[en:Barisal District]] |
১৪:৫৮, ২৮ মে ২০২৩ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ
বরিশাল জেলা (বরিশাল বিভাগ) আয়তন: ২৭৮৪.৫২ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২২°২৭´ থেকে ২২°৫২´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯০°০১´ থেকে ৯০°৪৩´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে মাদারীপুর, শরিয়তপুর ও চাঁদপুর জেলা, দক্ষিণে পটুয়াখালী, বরগুনা ও ঝালকাঠি জেলা, পূর্বে ভোলা ও লক্ষ্মীপুর জেলা, পশ্চিমে ঝালকাঠি, পিরোজপুর ও গোপালগঞ্জ জেলা।
জনসংখ্যা ২৩২৪৩১০; পুরুষ ১১৩৭২১০, মহিলা ১১৮৭১০০। মুসলিম ২০৪০০৮৮, হিন্দু ২৭১৭০৬, বৌদ্ধ ২২৫, খ্রিস্টান ১২২২৭ এবং অন্যান্য ৬৪।
জলাশয় প্রধান নদীসমূহ: মেঘনা, আড়িয়াল খাঁ, কীর্তনখোলা, তেঁতুলিয়া, নয়াভাঙ্গা, জয়ন্তি, স্বরূপকাঠি, হাতরা, আমতলি।
প্রশাসন ১৭৯৭ সালে বাকেরগঞ্জ জেলা গঠিত হয়। বাকেরগঞ্জ জেলাকে পরবর্তীতে বরিশাল নামকরণ করা হয়। ১৯৯৩ সালের ১ জানুয়ারি বরিশালকে বিভাগ ঘোষণা করা হয়। পৌরসভা গঠিত হয় ১৯৫৭ সালে এবং সিটি কর্পোরেশনে রূপান্তর করা হয় ২০০০ সালে। জেলার দশটি উপজেলার মধ্যে হিজলা উপজেলা সর্ববৃহৎ (৫১৫.৩৬ বর্গ কিমি)। জেলার সবচেয়ে ছোট উপজেলা বানারীপাড়া (১৩৪.৩০ বর্গ কিমি)।
জেলা | |||||||||
আয়তন (বর্গ কিমি) | উপজেলা | পৌরসভা | ইউনিয়ন | মৌজা | গ্রাম | জনসংখ্যা | ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) | শিক্ষার হার (%) | |
শহর | গ্রাম | ||||||||
২৭৮৪.৫২ | ১০ | ৫ | ৮৫ | ১০৪২ | ১,১১৫ | ৫১৯০১৬ | ১৮০৫২৯৪ | ৮৩৫ | ৬১.২ |
সিটি কর্পোরেশন | |||||||||
সিটি কর্পোরেশন | মেট্রোপলিটন থানা | ওয়ার্ড | মহল্লা | ||||||
১ | ৪ | ৩০ | ৫৬ |
মেট্রোপলিটন থানা | |||||||||
মেট্রোপলিটন থানার নাম | আয়তন (বর্গ কিমি) | ওয়ার্ড | ইউনিয়ন | মহল্লা ও মৌজা | জনসংখ্যা | ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) | শিক্ষার হার (%) | ||
এয়ারপোর্ট | ৯৯.৪৬ | ৪ | ৫ | ৮৭ | ১৬৬৮৭০ | ১৩১০ | ৭৩.২৭ | ||
কাউনিয়া | ১১১.১৬ | ৬ | ৩ | ৫৯ | ১২৭৩০০ | ১১৪৫ | ৬৪.১৩ | ||
কোতোয়ালি | ৪০.৩৩ | ২০ | ১ | ৪৫ | ১৬৫০৫০ | ৪০৯৩ | ৭৪.৮২ | ||
বন্দর | ১১০.০৫ | - | ৫ | ৪০ | ৮৮৩৮৫ | ৩১৭ | ৫৫.৮৪ |
জেলার অন্যান্য তথ্য | |||||||||
উপজেলা নাম | আয়তন(বর্গ কিমি) | পৌরসভা | ইউনিয়ন | মৌজা | গ্রাম | জনসংখ্যা | ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) | শিক্ষার হার (%) | |
আগৈলঝরা | ১৫৫.৪৭ | - | ৫ | ৭৮ | ৯৫ | ১,৪৯,৪৫৬ | ৯৬১ | ৬২.৯ | |
উজিরপুর | ২৪৮.৩৬ | - | ৯ | ১১৮ | ১২৫ | ২,৩৪,৯৫৯ | ৯৪৬ | ৬২.৫ | |
গৌরনদী | ১৫০.৫৪ | ১ | ৭ | ১০৮ | ১০৯ | ১,৮৮,৫৮৬ | ১২৫৩ | ৬০.৯ | |
বরিশাল সদর | ৩২৪.৪০ | - | ১০ | ১০৩ | ১১০ | ৫,২৭,০১৭ | ১৬২৫ | ৬৯.৩ | |
বাকেরগঞ্জ | ৪১১.৩৬ | ১ | ১৪ | ১৪৯ | ১৭২ | ৩,১৩,৮৪৫ | ৭৬৩ | ৬৩.৩ | |
বানারীপাড়া | ১৩৪.৩০ | ১ | ৮ | ৭৬ | ৭৬ | ১,৪৮,১৮৮ | ১১০৩ | ৬৭.২ | |
বাবুগঞ্জ | ১৬৪.৮৭ | - | ৬ | ৮১ | ৯০ | ১,৪০,৩৬১ | ৮৫১ | ৬৮.৮ | |
মুলাদি | ২৬০.৮৫ | ১ | ৭ | ৭৭ | ১০২ | ১,৭৪,৭৭৫ | ৬৭০ | ৫৬.০ | |
মেহেন্দীগঞ্জ | ৪১৮.৯৬ | ১ | ১৩ | ১১৯ | ১৪২ | ৩,০১,০৪৬ | ৭১৯ | ৪৮.৬ | |
হিজলা | ৫১৫.৩৬ | - | ৬ | ৯২ | ৯৪ | ১,৪৬,০৭৭ | ২৮৩ | ৪০.৮ |
সূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০১১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।
মুক্তিযুদ্ধ মুক্তিযুদ্ধে বরিশাল জেলার আগৈলঝারা উপজেলার কোদালধোয়া গ্রামের লক্ষ্মণ দাস সার্কাসের মালিক লক্ষ্মণ দাস সহ ৮ জন গ্রামবাসীকে এবং বাকেরগঞ্জ উপজেলার কলসকাঠি চাল-বাজারের নিকট পাকবাহিনী ১৮১ জন মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করে। বাবুগঞ্জ উপজেলার চাঁদপাশা ইউনিয়নের কারিকরনগর গ্রাম পাকসেনারা পুড়িয়ে দেয় এবং ১০ জন লোককে হত্যা করে। এছাড়াও বানারীপাড়া উপজেলায় পাকবাহিনী ২১২ জনকে হত্যা করে। জেলার ২টি স্থানে গণকবর ও ৩টি স্থানে বধ্যভূমির সন্ধান পাওয়া গেছে; ২টি স্থানে বিশেষ ভাস্কর্য ও ৪টি স্থানে স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপিত হয়েছে।
শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড় হার ৬১.২%; পুরুষ ৬১.৯%, মহিলা ৬০.৬%। বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ১, মেডিক্যাল কলেজ ১, শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজ ১, নার্সিং ইনস্টিটিউট ১, শারীরিক কলেজ ১, পলিটেকনিক কলেজ ১, কলেজ ৭০, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৩৯০, প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৭১০, মাদ্রাসা ৭১০। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ: বরিশাল আইন কলেজ, শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ, সরকারি বি এম কলেজ, সৈয়দ হাতেম আলী কলেজ, বরিশাল সরকারি মহিলা কলেজ, চাখার কলেজ, বাকেরগঞ্জ কলেজ, কলসকাঠি কলেজ, মুলাদি কলেজ, হিজলা কলেজ, বানাড়ীপাড়া কলেজ, গৌরনদী কলেজ, আগৈলঝরা কলেজ, বাবুগঞ্জ কলেজ, বাদলপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজ, কাশিপুর হাইস্কুল ও কলেজ, বাগধা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজ, বরিশাল জেলা স্কুল, ব্রজমোহন স্কুল, বরিশাল জেলা গার্লস স্কুল, বরিশাল মিশনারী স্কুল, পাতারহাট মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয়, পাতারহাট জুবিলি উচ্চ বিদ্যালয়, শহীদ আলতাফ মাহমুদ উচ্চ বিদ্যালয়, হিজলা পি এল মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বাইশারি হাইস্কুল, বানারীপাড়া হাইস্কুল, গৌরনদী হাইস্কুল, আগৈলঝরা হাইস্কুল, গৈলা হাইস্কুল, বাবুগঞ্জ হাইস্কুল, বরিশাল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ব্যাপ্টিস্ট মিশন বালক উচ্চ বিদ্যালয়, গাভা হাইস্কুল, বাকেরগঞ্জ জে এস ইউ হাইস্কুল, অক্সফোর্ড মিশন হাইস্কুল, খলিসাকোটা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, রহমতপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, হালিমা খাতুন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ডি জি এল মাধ্যমিক বিদ্যালয়, চরামদ্দি ডব্লিউ কে মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কামারখালী কে এস ইউ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, পিংলাকাঠি মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভেদুরিয়ারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দারুস সুন্নত জামিয়া-ই-ইসলামিয়া মাদ্রাসা, দুধল ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা, কাকধরা এ কে এম ইনস্টিটিউশন, বানারীপাড়া মডেল ইউনিয়ন ইনস্টিটিউশন, কলসকাঠী বি এম একাডেমী।
জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষি ৪৮.২৫%, অকৃষি শ্রমিক ৪.০০%, শিল্প ১.২৭%, ব্যবসা ১৭.৫২%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ২.৮৩%, নির্মাণ ২.৪৫%, ধর্মীয় সেবা ০.২৯%, চাকরি ১৩.০৮%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ২.৩১% এবং অন্যান্য ৮%।
পত্র-পত্রিকা ও সাময়িকী দৈনিক: শাহনামা, প্রবাসী, গ্রাম সমাচার, আজকের বার্তা, রূপান্তর, সাথী, সৈকত বার্তা, দর্পণ, দ্বীপাঞ্চল, আজকের কথা; সাপ্তাহিক: লোকবানী, বাকেরগঞ্জ পরিক্রমা, চিরন্তন বাংলা, উপকূল; পাক্ষিক: পয়রা, দি রিভার, ইতিবৃত্ত, খাদেম, গৌরনদী পরিক্রমা।
লোকসংস্কৃতি এ জেলায় ভাটিয়ালী, রাখালী, মারফতী, জারি, সারি, মুর্শিদী, পুঁথিগান, ধাঁধাঁ, প্রবাদ, খনার বচন, লোককাহিনী, পালাগান, কবিয়ালী গান ইত্যাদির প্রচলন রয়েছে। এছাড়া এ উপজেলায় যাত্রাপালা ও নাট্যচর্চা লক্ষ্য করা যায়।
দর্শনীয় স্থান দুর্গা সাগর, কালেক্টর ভবন, চাখার প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘর। [কে.এ.এম সাইফুল ইসলাম]
আরও দেখুন সংশ্লিষ্ট উপজেলা।
তথ্যসূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১ ও ২০১১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; বরিশাল জেলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭; বরিশাল জেলার উপজেলাসমূহের সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭।