খানম, জোবেদা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Added Ennglish article link)
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
(একই ব্যবহারকারী দ্বারা সম্পাদিত একটি মধ্যবর্তী সংশোধন দেখানো হচ্ছে না)
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
'''খানম, জোবেদা '''(১৯২০-১৯৮৯)'''  '''শিক্ষাবিদ,  সাহিত্যিক। ১৯২০ সালের ৫ মার্চ কুষ্টিয়া জেলার আজহারবাগ নামক স্থানে তাঁর জন্ম। পিতা খন্দকার আজহারুল ইসলাম ছিলেন স্কুল-ইনস্পেক্টর। জোবেদা খানম গৃহশিক্ষকের নিকট প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন। অতঃপর বিবাহ-বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে তিনি স্বামীর কর্মস্থল কলকাতায় যান এবং প্রাইভেট পরীক্ষার্থী হিসেবে ম্যাট্রিক, আই.এ, বি.এ ও বি.টি (১৯৪৬) পাস করেন। ১৯৫০ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় এমএ এবং লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিপ্লোমা ইন এডুকেশন-এ উচ্চশিক্ষা লাভ করেন।
[[Image:KhanumZobeda.jpg|thumb|right|জোবেদা খানম]]
'''খানম, জোবেদা '''(১৯২০-১৯৮৯) শিক্ষাবিদ,  সাহিত্যিক। ১৯২০ সালের ৫ মার্চ কুষ্টিয়া জেলার আজহারবাগ নামক স্থানে তাঁর জন্ম। পিতা খন্দকার আজহারুল ইসলাম ছিলেন স্কুল-ইনস্পেক্টর। জোবেদা খানম গৃহশিক্ষকের নিকট প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন। অতঃপর বিবাহ-বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে তিনি স্বামীর কর্মস্থল কলকাতায় যান এবং প্রাইভেট পরীক্ষার্থী হিসেবে ম্যাট্রিক, আই.এ, বি.এ ও বি.টি (১৯৪৬) পাস করেন। ১৯৫০ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় এমএ এবং লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিপ্লোমা ইন এডুকেশন-এ উচ্চশিক্ষা লাভ করেন।


জোবেদা খানম কলকাতা কর্পোরেশন স্কুলে শিক্ষয়িত্রী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন এবং দেশবিভাগের (১৯৪৭) পর ঢাকায় এসে কামরুন্নেসা স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা নিযুক্ত হন। ১৯৫৪ সালে সরকারি চাকরিতে প্রবেশ করে তিনি সহকারী স্কুল-ইনস্পেক্টর (১৯৫৪-৫৫), ভিলেজ ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের ইনস্ট্রাক্টর (১৯৫৫-৬১), জাতীয় পুনর্গঠন সংস্থার সহকারী পরিচালক (১৯৬১-৭১), শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের স্পেশালিস্ট (১৯৭১-৭৬) এবং [[বাংলাদেশ শিশু একাডেমী|বাংলাদেশ শিশু একাডেমী]]র প্রথম পরিচালক (১৯৭৬-৮৩) ও চেয়ারম্যান (১৯৮৩-৮৫) পদে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি [[বাংলাদেশ মহিলা সমিতি|বাংলাদেশ মহিলা সমিতি]]র ভাইস-চেয়ারম্যান ও চেয়ারম্যানের (১৯৭২-৮৫) দায়িত্ব পালন করেন। একজন লেখিকা হিসেবে জোবেদা খানমের বিশেষ খ্যাতি ছিল।  উপন্যাস, গল্প, নাটক, শিশুসাহিত্য বিভিন্ন মাধ্যমে তিনি গ্রন্থ রচনা করেছেন। তাঁর রচিত অভিশপ্ত প্রেম (১৯৫৯), দুটি অাঁখি দুটি তারা (১৯৬৩), আকাশের রং (১৯৬৪), বনমর্মর (১৯৬৭), অনন্ত পিপাসা (১৯৬৭) উপন্যাস; একটি সুরের মৃত্যু (১৯৭৪), জীবন একটি দুর্ঘটনা (১৯৮১) গল্পগ্রন্থ; ঝড়ের  স্বাক্ষর (১৯৬৭), ওরে বিহঙ্গ (১৯৬৮) নাটক এবং গল্প বলি শোন (১৯৬৬), মহাসমুদ্র (১৯৭৭), সাবাস সুলতানা (১৯৮২) শিশুসাহিত্য।  
জোবেদা খানম কলকাতা কর্পোরেশন স্কুলে শিক্ষয়িত্রী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন এবং দেশবিভাগের (১৯৪৭) পর ঢাকায় এসে কামরুন্নেসা স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা নিযুক্ত হন। ১৯৫৪ সালে সরকারি চাকরিতে প্রবেশ করে তিনি সহকারী স্কুল-ইনস্পেক্টর (১৯৫৪-৫৫), ভিলেজ ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের ইনস্ট্রাক্টর (১৯৫৫-৬১), জাতীয় পুনর্গঠন সংস্থার সহকারী পরিচালক (১৯৬১-৭১), শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের স্পেশালিস্ট (১৯৭১-৭৬) এবং [[বাংলাদেশ শিশু একাডেমী|বাংলাদেশ শিশু একাডেমী]]র প্রথম পরিচালক (১৯৭৬-৮৩) ও চেয়ারম্যান (১৯৮৩-৮৫) পদে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি [[বাংলাদেশ মহিলা সমিতি|বাংলাদেশ মহিলা সমিতি]]র ভাইস-চেয়ারম্যান ও চেয়ারম্যানের (১৯৭২-৮৫) দায়িত্ব পালন করেন। একজন লেখিকা হিসেবে জোবেদা খানমের বিশেষ খ্যাতি ছিল।  উপন্যাস, গল্প, নাটক, শিশুসাহিত্য বিভিন্ন মাধ্যমে তিনি গ্রন্থ রচনা করেছেন। তাঁর রচিত অভিশপ্ত প্রেম (১৯৫৯), দুটি অাঁখি দুটি তারা (১৯৬৩), আকাশের রং (১৯৬৪), বনমর্মর (১৯৬৭), অনন্ত পিপাসা (১৯৬৭) উপন্যাস; একটি সুরের মৃত্যু (১৯৭৪), জীবন একটি দুর্ঘটনা (১৯৮১) গল্পগ্রন্থ; ঝড়ের  স্বাক্ষর (১৯৬৭), ওরে বিহঙ্গ (১৯৬৮) নাটক এবং গল্প বলি শোন (১৯৬৬), মহাসমুদ্র (১৯৭৭), সাবাস সুলতানা (১৯৮২) শিশুসাহিত্য।  
[[Image:KhanumZobeda.jpg|thum|right|জোবেদা খানম
b]]


শহরের মধ্যবিত্ত সমাজ তাঁর গল্প-উপন্যাসের প্রধান উপজীব্য। বাংলা সাহিত্যে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি ‘অগ্রণী ব্যাংক পুরস্কার’ (১৯৮৩) লাভ করেন। ১৯৮৯ সালের ২৬ জানুয়ারি ঢাকায় তাঁর মৃত্যু হয়।  [ওয়াকিল আহমদ]
শহরের মধ্যবিত্ত সমাজ তাঁর গল্প-উপন্যাসের প্রধান উপজীব্য। বাংলা সাহিত্যে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি ‘অগ্রণী ব্যাংক পুরস্কার’ (১৯৮৩) লাভ করেন। ১৯৮৯ সালের ২৬ জানুয়ারি ঢাকায় তাঁর মৃত্যু হয়।  [ওয়াকিল আহমদ]


[[en:Khanum, Zobeda]]
[[en:Khanum, Zobeda]]

১০:২৮, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

জোবেদা খানম

খানম, জোবেদা (১৯২০-১৯৮৯) শিক্ষাবিদ,  সাহিত্যিক। ১৯২০ সালের ৫ মার্চ কুষ্টিয়া জেলার আজহারবাগ নামক স্থানে তাঁর জন্ম। পিতা খন্দকার আজহারুল ইসলাম ছিলেন স্কুল-ইনস্পেক্টর। জোবেদা খানম গৃহশিক্ষকের নিকট প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন। অতঃপর বিবাহ-বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে তিনি স্বামীর কর্মস্থল কলকাতায় যান এবং প্রাইভেট পরীক্ষার্থী হিসেবে ম্যাট্রিক, আই.এ, বি.এ ও বি.টি (১৯৪৬) পাস করেন। ১৯৫০ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় এমএ এবং লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিপ্লোমা ইন এডুকেশন-এ উচ্চশিক্ষা লাভ করেন।

জোবেদা খানম কলকাতা কর্পোরেশন স্কুলে শিক্ষয়িত্রী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন এবং দেশবিভাগের (১৯৪৭) পর ঢাকায় এসে কামরুন্নেসা স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা নিযুক্ত হন। ১৯৫৪ সালে সরকারি চাকরিতে প্রবেশ করে তিনি সহকারী স্কুল-ইনস্পেক্টর (১৯৫৪-৫৫), ভিলেজ ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের ইনস্ট্রাক্টর (১৯৫৫-৬১), জাতীয় পুনর্গঠন সংস্থার সহকারী পরিচালক (১৯৬১-৭১), শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের স্পেশালিস্ট (১৯৭১-৭৬) এবং বাংলাদেশ শিশু একাডেমীর প্রথম পরিচালক (১৯৭৬-৮৩) ও চেয়ারম্যান (১৯৮৩-৮৫) পদে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বাংলাদেশ মহিলা সমিতির ভাইস-চেয়ারম্যান ও চেয়ারম্যানের (১৯৭২-৮৫) দায়িত্ব পালন করেন। একজন লেখিকা হিসেবে জোবেদা খানমের বিশেষ খ্যাতি ছিল।  উপন্যাস, গল্প, নাটক, শিশুসাহিত্য বিভিন্ন মাধ্যমে তিনি গ্রন্থ রচনা করেছেন। তাঁর রচিত অভিশপ্ত প্রেম (১৯৫৯), দুটি অাঁখি দুটি তারা (১৯৬৩), আকাশের রং (১৯৬৪), বনমর্মর (১৯৬৭), অনন্ত পিপাসা (১৯৬৭) উপন্যাস; একটি সুরের মৃত্যু (১৯৭৪), জীবন একটি দুর্ঘটনা (১৯৮১) গল্পগ্রন্থ; ঝড়ের  স্বাক্ষর (১৯৬৭), ওরে বিহঙ্গ (১৯৬৮) নাটক এবং গল্প বলি শোন (১৯৬৬), মহাসমুদ্র (১৯৭৭), সাবাস সুলতানা (১৯৮২) শিশুসাহিত্য।

শহরের মধ্যবিত্ত সমাজ তাঁর গল্প-উপন্যাসের প্রধান উপজীব্য। বাংলা সাহিত্যে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি ‘অগ্রণী ব্যাংক পুরস্কার’ (১৯৮৩) লাভ করেন। ১৯৮৯ সালের ২৬ জানুয়ারি ঢাকায় তাঁর মৃত্যু হয়।  [ওয়াকিল আহমদ]