চট্টগ্রাম ওয়ার সিমেট্রি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
[[Category:বাংলাপিডিয়া]] | [[Category:বাংলাপিডিয়া]] | ||
'''চট্টগ্রাম ওয়ার সিমেট্রি''' দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পূর্ব রণাঙ্গনে নিহত সৈনিকদের একটি সমাধিক্ষেত্র। চট্টগ্রাম মহানগরের বাদশা মিঞা সড়কে (জয়নগর মৌজা) এর অবস্থান। তখনকার চট্টগ্রাম শহর থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটার দূরে পূর্ব ও দক্ষিণে বিন্যস্ত অশ্বক্ষুরাকৃতি পাহাড়ের পাদদেশে একটি ধানক্ষেতে এ সমাধিক্ষেত্র স্থাপিত। এর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করে কমনওয়েলথ ওয়ার গ্রেভস কমিশন। এখানে যুদ্ধে নিহতদের ৭৫৫টি কবর আছে। | '''চট্টগ্রাম ওয়ার সিমেট্রি''' দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পূর্ব রণাঙ্গনে নিহত সৈনিকদের একটি সমাধিক্ষেত্র। চট্টগ্রাম মহানগরের বাদশা মিঞা সড়কে (জয়নগর মৌজা) এর অবস্থান। তখনকার চট্টগ্রাম শহর থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটার দূরে পূর্ব ও দক্ষিণে বিন্যস্ত অশ্বক্ষুরাকৃতি পাহাড়ের পাদদেশে একটি ধানক্ষেতে এ সমাধিক্ষেত্র স্থাপিত। এর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করে কমনওয়েলথ ওয়ার গ্রেভস কমিশন। এখানে যুদ্ধে নিহতদের ৭৫৫টি কবর আছে। | ||
[[Image:ChittagongWarCemetry.jpg|thumbnail|300px|right|চট্টগ্রাম ওয়ার সিমেট্রি]] | [[Image:ChittagongWarCemetry.jpg|thumbnail|300px|right|চট্টগ্রাম ওয়ার সিমেট্রি]] |
০৫:৪৪, ৮ অক্টোবর ২০১৪ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ
চট্টগ্রাম ওয়ার সিমেট্রি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পূর্ব রণাঙ্গনে নিহত সৈনিকদের একটি সমাধিক্ষেত্র। চট্টগ্রাম মহানগরের বাদশা মিঞা সড়কে (জয়নগর মৌজা) এর অবস্থান। তখনকার চট্টগ্রাম শহর থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটার দূরে পূর্ব ও দক্ষিণে বিন্যস্ত অশ্বক্ষুরাকৃতি পাহাড়ের পাদদেশে একটি ধানক্ষেতে এ সমাধিক্ষেত্র স্থাপিত। এর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করে কমনওয়েলথ ওয়ার গ্রেভস কমিশন। এখানে যুদ্ধে নিহতদের ৭৫৫টি কবর আছে।
যুদ্ধ চলাকালে এখানে চট্টগ্রামে সামরিক প্রশিক্ষণের সুবিধাসহ মিত্র শক্তির চতুর্দশ বাহিনীর অগ্রবর্তী শিবির এবং ব্রিটিশ জেনারেল হাসপাতাল নম্বর ১৫২ স্থাপিত হয়। ১৯৪৪ সালের ডিসেম্বর থেকে ১৯৪৫ সালের অক্টোবর পর্যন্ত হাসপাতালটি সক্রিয় ছিল এবং প্রাথমিকভাবে এ কবরখানায় ৪০০ জন সৈনিকের মৃতদেহ সামরিক কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে সমাধিস্থ হয়।
যুদ্ধ শেষে লুসাই, ঢাকা, খুলনা, যশোর, কক্সবাজার, ধোয়া পালং, দোহাজারি, রাঙ্গামাটি এবং পটিয়ার অস্থায়ী সমাধি থেকে আরও অনেক লাশ নিয়ে আসা হয় এ সিমেট্রিতে। সমাধিক্ষেত্রের একটি স্থাপনায় রাখা রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ আছে আরও ৬৫০০ জন যুদ্ধে নিহত নাবিক ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি এবং ১৫টি ডুবে যাওয়া জাহাজের নাম। [শামসুল হোসাইন]