কেশবপুর উপজেলা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
[[Category:বাংলাপিডিয়া]] | [[Category:বাংলাপিডিয়া]] | ||
'''কেশবপুর উপজেলা''' ([[যশোর জেলা|যশোর জেলা]]) আয়তন: ২৫৮. | '''কেশবপুর উপজেলা''' ([[যশোর জেলা|যশোর জেলা]]) আয়তন: ২৫৮.৪৪ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২২°৪৮´ থেকে ২২°৫৭´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯°০৭´ থেকে ৯০°২৯´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে মনিরামপুর উপজেলা, দক্ষিণে তালা ও ডুমুরিয়া উপজেলা, পূর্বে ডুমুরিয়া উপজেলা, পশ্চিমে কলারোয়া উপজেলা। | ||
''জনসংখ্যা'' | ''জনসংখ্যা'' ২৫৩২৯১; পুরুষ ১২৬৬৫৬, মহিলা ১২৬৬৩৫। মুসলিম ২০৭৯০১, হিন্দু ৪৪৯০৩, খ্রিস্টান ২২৭ এবং অন্যান্য ২৬০। | ||
''জলাশয়'' প্রধান নদ-নদী: কপোতাক্ষ, হারথার এবং মাসিহা বাওড়, ঘুহার বাওড় ও চেঙ্গরাল খাল উল্লেখযোগ্য। | ''জলাশয়'' প্রধান নদ-নদী: কপোতাক্ষ, হারথার এবং মাসিহা বাওড়, ঘুহার বাওড় ও চেঙ্গরাল খাল উল্লেখযোগ্য। | ||
১৬ নং লাইন: | ১৬ নং লাইন: | ||
| শহর || গ্রাম || শহর || গ্রাম | | শহর || গ্রাম || শহর || গ্রাম | ||
|- | |- | ||
| ১ | | ১ || ৯ || ১৩৩ || ১৩৫ || ৩৩৭৮০ || ২১৯৫১১ || ৯৮০ || ৪৭.২১ (২০০১) || ৫৪.৫ | ||
|} | |||
{| class="table table-bordered table-hover" | |||
|- | |||
| colspan="9" | পৌরসভা | |||
|- | |||
| আয়তন (বর্গ কিমি) || ওয়ার্ড || মহল্লা || লোকসংখ্যা || ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) || শিক্ষার হার (%) | |||
|- | |||
| - || ৯ || ১৪ || ২৬২২৯ || - || ৬৩.০ | |||
|} | |} | ||
{| class="table table-bordered table-hover" | {| class="table table-bordered table-hover" | ||
২৪ নং লাইন: | ৩২ নং লাইন: | ||
| আয়তন (বর্গ কিমি) || মৌজা || লোকসংখ্যা || ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) || শিক্ষার হার (%) | | আয়তন (বর্গ কিমি) || মৌজা || লোকসংখ্যা || ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) || শিক্ষার হার (%) | ||
|- | |- | ||
| | | ২১.৩৯ (২০০১) || ২ || ৭৫৫১ || ১৩২৯ (২০০১) || ৪৮.৩ | ||
|} | |} | ||
{| class="table table-bordered table-hover" | {| class="table table-bordered table-hover" | ||
৩৪ নং লাইন: | ৪২ নং লাইন: | ||
| পুরুষ || মহিলা | | পুরুষ || মহিলা | ||
|- | |- | ||
| কেশবপুর ২৮ | | কেশবপুর ২৮ || ৫৪১৩ || ১০৩৭৭ || ১০১৪৩ || ৫৫.১ | ||
|- | |- | ||
| গৌরীঘোনা ১৯ | | গৌরীঘোনা ১৯ || ৬৪৬০ || ১০৬৬০ || ১০৪৭৮ || ৫৬.২ | ||
|- | |- | ||
| ত্রিমোহিনী ৮৫ | | ত্রিমোহিনী ৮৫ || ৮৫৫৪ || ১৬৪৭৫ || ১৬৮৫২ || ৫৮.৫ | ||
|- | |- | ||
| পাঁজিয়া ৫৭ | | পাঁজিয়া ৫৭ || ৭০৬৭ || ১২০৪০ || ১২০৪০ || ৪৯.৪ | ||
|- | |- | ||
| বিদ্যানন্দকাটি ১৭ | | বিদ্যানন্দকাটি ১৭ || ৮০৮৭ || ১৭২৬৮ || ১৬৭৬৪ || ৪৭.৭ | ||
|- | |- | ||
| মঙ্গলকোট ৪৭ | | মঙ্গলকোট ৪৭ || ৫৬৭২ || ১১৪৪২ || ১১৪৩৫ || ৫৩.৯ | ||
|- | |- | ||
| মজিদপুর ৩৮ | | মজিদপুর ৩৮ || ৫৯৯২ || ১১৯৭২ || ১১৮০৯ || ৪৬.২ | ||
|- | |- | ||
| সাগরদাঁড়ি ৬৬ | | সাগরদাঁড়ি ৬৬ || ৭১৯৩ || ১৪৭৩৬ || ১৫৩২২ || ৬৫.০ | ||
|- | |- | ||
| সুফলাকাটি ৭৬ | | সুফলাকাটি ৭৬ || ৬৩৬১ || ৮৫৪৫ || ৮৭০৪ || ৫৫.৯ | ||
|} | |} | ||
''সূত্র'' আদমশুমারি রিপোর্ট | ''সূত্র'' আদমশুমারি রিপোর্ট ২০১১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো। | ||
[[Image:KeshabpurUpazila.jpg|thumb|400px|right]] | |||
''প্রাচীন নিদর্শন ও প্রত্নসম্পদ'' ভরত ভায়না রাজবাড়ির ধ্বংসাবশেষ (ভরতের দেউল), মীর্জানগর হাম্মামখানা (নবাব মীর জুমলার বাড়ি), সাগরদাঁড়ি গ্রামে কবি মধুসূদন দত্তের বাড়ি, একটি প্রাচীন দূর্গের ধ্বংসাবশেষ (বিদ্যানন্দকাঠি গ্রামে), শেখপুরা তিন গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদ (১৯৩৯ খ্রি:), জাহানপুর মসজিদ, বায়সা কালিবাড়ি, চালিতাবাড়িয়া মন্দির, খাঞ্জালি দিঘি। | ''প্রাচীন নিদর্শন ও প্রত্নসম্পদ'' ভরত ভায়না রাজবাড়ির ধ্বংসাবশেষ (ভরতের দেউল), মীর্জানগর হাম্মামখানা (নবাব মীর জুমলার বাড়ি), সাগরদাঁড়ি গ্রামে কবি মধুসূদন দত্তের বাড়ি, একটি প্রাচীন দূর্গের ধ্বংসাবশেষ (বিদ্যানন্দকাঠি গ্রামে), শেখপুরা তিন গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদ (১৯৩৯ খ্রি:), জাহানপুর মসজিদ, বায়সা কালিবাড়ি, চালিতাবাড়িয়া মন্দির, খাঞ্জালি দিঘি। | ||
'' | ''মুক্তিযুদ্ধ'' কেশবপুর উপজেলার ত্রিমোহনী, চিংড়াবাজার পাইলট বালিকা বিদ্যালয় ও কেশবপুর থানায় অবস্থিত রাজাকারদের ক্যাম্পে মুক্তিযোদ্ধারা অভিযান পরিচালনা করে। প্রায় সব অপারেশনেই রাজাকাররা তাদের অস্ত্রশস্ত্র ছেড়ে পালিয়ে যায়। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক রাজাকার হতাহত হয়। উপজেলায় ১টি স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপিত হয়েছে। | ||
''বিস্তারিত দেখুন'' কেশবপুর উপজেলা, ''বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ'', বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি, ঢাকা ২০২০, খণ্ড ২। | |||
''ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান'' মসজিদ ৩২০, মন্দির ৮১। উল্লেখযোগ্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান: শেখপাড়া নবাব বাড়ীর মসজিদ। | ''ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান'' মসজিদ ৩২০, মন্দির ৮১। উল্লেখযোগ্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান: শেখপাড়া নবাব বাড়ীর মসজিদ। | ||
''শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান'' গড় হার ৫৫.২%; পুরুষ ৫৯.৪%, মহিলা ৫১.০%।কলেজ ৮, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৬৯, প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৪৩, কমিউনিটি বিদ্যালয় ৯, এনজিও স্কুল ৯৮, মাদ্রাসা ৬৬। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: কেশবপুর ডিগ্রী কলেজ (১৯৬৭), পাঁজিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৮৯৭), বিদ্যানন্দকাটি রাসবিহারী মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯০১), সুফলাকাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯১৪), সাতবাড়ীয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯২১), কাটাখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯২১)। | |||
''শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান'' গড় হার | |||
''সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান'' লাইব্রেরি ৭, সিনেমা হল ২, খেলার মাঠ ১০, নাট্যদল ৩, সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ৫, মহিলা সংগঠন ৩, প্রেসক্লাব ১। মধুসূদন পাবলিক লাইব্রেরি ও মুক্তিযুদ্ধের শহীদ স্মৃতি পাঠাগার উল্লেখযোগ্য। | ''সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান'' লাইব্রেরি ৭, সিনেমা হল ২, খেলার মাঠ ১০, নাট্যদল ৩, সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ৫, মহিলা সংগঠন ৩, প্রেসক্লাব ১। মধুসূদন পাবলিক লাইব্রেরি ও মুক্তিযুদ্ধের শহীদ স্মৃতি পাঠাগার উল্লেখযোগ্য। | ||
৮৭ নং লাইন: | ৮৯ নং লাইন: | ||
''মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার'' এ উপজেলায় মৎস্য, গবাদিপশু, হাঁস-মুরগির খামার রয়েছে। | ''মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার'' এ উপজেলায় মৎস্য, গবাদিপশু, হাঁস-মুরগির খামার রয়েছে। | ||
''যোগাযোগ বিশেষত্ব'' পাকারাস্তা | ''যোগাযোগ বিশেষত্ব'' পাকারাস্তা ১৪৭.৯ কিমি, আধা-পাকারাস্তা ৮০.৮ কিমি, কাঁচারাস্তা ৬০২.২ কিমি। | ||
''বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন'' পাল্কি ও গরুর গাড়ি। | ''বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন'' পাল্কি ও গরুর গাড়ি। | ||
৯৭ নং লাইন: | ৯৯ নং লাইন: | ||
''প্রধান রপ্তানিদ্রব্য'' ধান, পাট, কাঁঠাল, গম, খেজুর গুড়। | ''প্রধান রপ্তানিদ্রব্য'' ধান, পাট, কাঁঠাল, গম, খেজুর গুড়। | ||
''বিদ্যুৎ ব্যবহার'' এ উপজেলার সবক’টি ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে | ''বিদ্যুৎ ব্যবহার'' এ উপজেলার সবক’টি ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ৪২.৫% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। | ||
''পানীয়জলের উৎস'' নলকূপ | ''পানীয়জলের উৎস'' নলকূপ ৯৮.০%, ট্যাপ ০.১% এবং অন্যান্য ১.৯%। | ||
''স্যানিটেশন ব্যবস্থা'' | ''স্যানিটেশন ব্যবস্থা'' ৫৭.২% পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং ৩৭.৩% পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। ৫.৫% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই। | ||
''স্বাস্থ্যকেন্দ্র'' উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র ১, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র ৯, উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র ২, ক্লিনিক ৩। | ''স্বাস্থ্যকেন্দ্র'' উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র ১, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র ৯, উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র ২, ক্লিনিক ৩। | ||
১০৭ নং লাইন: | ১০৯ নং লাইন: | ||
''এনজিও'' ব্র্যাক, আশা, কারিতাস, সমাধান, সমাজকল্যাণ সংস্থা, আহসানিয়া মিশন উল্লেখযোগ্য। [মোঃ ফিরোজ আনছারী] | ''এনজিও'' ব্র্যাক, আশা, কারিতাস, সমাধান, সমাজকল্যাণ সংস্থা, আহসানিয়া মিশন উল্লেখযোগ্য। [মোঃ ফিরোজ আনছারী] | ||
'''তথ্যসূত্র''' আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; কেশবপুর উপজেলা মাঠ পর্যায়ের প্রতিবেদন ২০০৭। | '''তথ্যসূত্র''' আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১ ও ২০১১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; কেশবপুর উপজেলা মাঠ পর্যায়ের প্রতিবেদন ২০০৭। | ||
[[en:Keshabpur Upazila]] | [[en:Keshabpur Upazila]] |
০৫:৫২, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ
কেশবপুর উপজেলা (যশোর জেলা) আয়তন: ২৫৮.৪৪ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২২°৪৮´ থেকে ২২°৫৭´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯°০৭´ থেকে ৯০°২৯´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে মনিরামপুর উপজেলা, দক্ষিণে তালা ও ডুমুরিয়া উপজেলা, পূর্বে ডুমুরিয়া উপজেলা, পশ্চিমে কলারোয়া উপজেলা।
জনসংখ্যা ২৫৩২৯১; পুরুষ ১২৬৬৫৬, মহিলা ১২৬৬৩৫। মুসলিম ২০৭৯০১, হিন্দু ৪৪৯০৩, খ্রিস্টান ২২৭ এবং অন্যান্য ২৬০।
জলাশয় প্রধান নদ-নদী: কপোতাক্ষ, হারথার এবং মাসিহা বাওড়, ঘুহার বাওড় ও চেঙ্গরাল খাল উল্লেখযোগ্য।
প্রশাসন কেশবপুর থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয় ১৯৮৩ সালে এবং কেশবপুর পৌরসভা গঠিত হয় ১৯৯৮ সালে।
উপজেলা | ||||||||
পৌরসভা | ইউনিয়ন | মৌজা | গ্রাম | জনসংখ্যা | ঘনত্ব(প্রতি বর্গ কিমি) | শিক্ষার হার (%) | ||
শহর | গ্রাম | শহর | গ্রাম | |||||
১ | ৯ | ১৩৩ | ১৩৫ | ৩৩৭৮০ | ২১৯৫১১ | ৯৮০ | ৪৭.২১ (২০০১) | ৫৪.৫ |
পৌরসভা | ||||||||
আয়তন (বর্গ কিমি) | ওয়ার্ড | মহল্লা | লোকসংখ্যা | ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) | শিক্ষার হার (%) | |||
- | ৯ | ১৪ | ২৬২২৯ | - | ৬৩.০ |
উপজেলা শহর | ||||||||
আয়তন (বর্গ কিমি) | মৌজা | লোকসংখ্যা | ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) | শিক্ষার হার (%) | ||||
২১.৩৯ (২০০১) | ২ | ৭৫৫১ | ১৩২৯ (২০০১) | ৪৮.৩ |
ইউনিয়ন | ||||||||
ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড | আয়তন (একর) | লোকসংখ্যা | শিক্ষার হার (%) | |||||
পুরুষ | মহিলা | |||||||
কেশবপুর ২৮ | ৫৪১৩ | ১০৩৭৭ | ১০১৪৩ | ৫৫.১ | ||||
গৌরীঘোনা ১৯ | ৬৪৬০ | ১০৬৬০ | ১০৪৭৮ | ৫৬.২ | ||||
ত্রিমোহিনী ৮৫ | ৮৫৫৪ | ১৬৪৭৫ | ১৬৮৫২ | ৫৮.৫ | ||||
পাঁজিয়া ৫৭ | ৭০৬৭ | ১২০৪০ | ১২০৪০ | ৪৯.৪ | ||||
বিদ্যানন্দকাটি ১৭ | ৮০৮৭ | ১৭২৬৮ | ১৬৭৬৪ | ৪৭.৭ | ||||
মঙ্গলকোট ৪৭ | ৫৬৭২ | ১১৪৪২ | ১১৪৩৫ | ৫৩.৯ | ||||
মজিদপুর ৩৮ | ৫৯৯২ | ১১৯৭২ | ১১৮০৯ | ৪৬.২ | ||||
সাগরদাঁড়ি ৬৬ | ৭১৯৩ | ১৪৭৩৬ | ১৫৩২২ | ৬৫.০ | ||||
সুফলাকাটি ৭৬ | ৬৩৬১ | ৮৫৪৫ | ৮৭০৪ | ৫৫.৯ |
সূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০১১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।
প্রাচীন নিদর্শন ও প্রত্নসম্পদ ভরত ভায়না রাজবাড়ির ধ্বংসাবশেষ (ভরতের দেউল), মীর্জানগর হাম্মামখানা (নবাব মীর জুমলার বাড়ি), সাগরদাঁড়ি গ্রামে কবি মধুসূদন দত্তের বাড়ি, একটি প্রাচীন দূর্গের ধ্বংসাবশেষ (বিদ্যানন্দকাঠি গ্রামে), শেখপুরা তিন গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদ (১৯৩৯ খ্রি:), জাহানপুর মসজিদ, বায়সা কালিবাড়ি, চালিতাবাড়িয়া মন্দির, খাঞ্জালি দিঘি।
মুক্তিযুদ্ধ কেশবপুর উপজেলার ত্রিমোহনী, চিংড়াবাজার পাইলট বালিকা বিদ্যালয় ও কেশবপুর থানায় অবস্থিত রাজাকারদের ক্যাম্পে মুক্তিযোদ্ধারা অভিযান পরিচালনা করে। প্রায় সব অপারেশনেই রাজাকাররা তাদের অস্ত্রশস্ত্র ছেড়ে পালিয়ে যায়। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক রাজাকার হতাহত হয়। উপজেলায় ১টি স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপিত হয়েছে।
বিস্তারিত দেখুন কেশবপুর উপজেলা, বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি, ঢাকা ২০২০, খণ্ড ২।
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মসজিদ ৩২০, মন্দির ৮১। উল্লেখযোগ্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান: শেখপাড়া নবাব বাড়ীর মসজিদ।
শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড় হার ৫৫.২%; পুরুষ ৫৯.৪%, মহিলা ৫১.০%।কলেজ ৮, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৬৯, প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৪৩, কমিউনিটি বিদ্যালয় ৯, এনজিও স্কুল ৯৮, মাদ্রাসা ৬৬। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: কেশবপুর ডিগ্রী কলেজ (১৯৬৭), পাঁজিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৮৯৭), বিদ্যানন্দকাটি রাসবিহারী মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯০১), সুফলাকাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯১৪), সাতবাড়ীয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯২১), কাটাখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯২১)।
সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান লাইব্রেরি ৭, সিনেমা হল ২, খেলার মাঠ ১০, নাট্যদল ৩, সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ৫, মহিলা সংগঠন ৩, প্রেসক্লাব ১। মধুসূদন পাবলিক লাইব্রেরি ও মুক্তিযুদ্ধের শহীদ স্মৃতি পাঠাগার উল্লেখযোগ্য।
দর্শনীয় স্থান বা পর্যটন কেন্দ্র গৌরিঘোনা ইউনিয়নের ভরত ভায়না গ্রামের ভরতের দেউল, বিদ্যানন্দকাটি গ্রামে অবস্থিত খাঞ্জালি দীঘি, সাগরদাড়ি গ্রামের মধুপল্লী, পাঁজিয়া গ্রামে চলচ্চিত্র অভিনেতা ধীরাজ ভট্টাচার্যের বাড়ি।
জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষি ৬৯.৪৪%, অকৃষি শ্রমিক ২.৭৭%, শিল্প ১.৭০%, ব্যবসা ১৩.০৬%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ২.৮৬%, চাকরি ৪.৭২%, নির্মাণ ০.৭৪%, ধর্মীয় সেবা ০.০৯%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ০.২২% এবং অন্যান্য ৪.৪০%।
কৃষিভূমির মালিকানা ভূমিমালিক ৭২.১৫%, ভূমিহীন ২৭.৮৫%। শহরে ৫৭.৫৪% এবং গ্রামে ৭৩.৮৫% পরিবারের কৃষিজমি রয়েছে।
প্রধান কৃষি ফসল ধান, পাট, গম, আলু, বেগুন, পান, আখ, তৈলবীজ, মরিচ, হলুদ, শাকসবজি।
বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি অড়হর, স্থানীয় জাতের ধান, খেসারি।
প্রধান ফল-ফলাদি আম, জাম, কাঁঠাল, নারিকেল, সুপারি।
মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার এ উপজেলায় মৎস্য, গবাদিপশু, হাঁস-মুরগির খামার রয়েছে।
যোগাযোগ বিশেষত্ব পাকারাস্তা ১৪৭.৯ কিমি, আধা-পাকারাস্তা ৮০.৮ কিমি, কাঁচারাস্তা ৬০২.২ কিমি।
বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন পাল্কি ও গরুর গাড়ি।
কুটিরশিল্প স্বর্ণশিল্প, লৌহশিল্প, মৃৎশিল্প, তাঁতশিল্প, কাঠের কাজ।
হাটবাজার ও মেলা হাটবাজার ২৩, মেলা ৫। পাঁজিয়া বাজার, কাটাখালি বাজার, মঙ্গলকোট বাজার, চিংড়া বাজার, ত্রিমোহনী বাজার, সরসকাঠি বাজার এবং ত্রিমোহনী বারুনীর মেলা, সাগরদাঁড়ি মধু মেলা, খাঞ্জালি দীঘির পাড়ের মেলা, ভেরচি নিমতলা মেলা উল্লেখযোগ্য।
প্রধান রপ্তানিদ্রব্য ধান, পাট, কাঁঠাল, গম, খেজুর গুড়।
বিদ্যুৎ ব্যবহার এ উপজেলার সবক’টি ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ৪২.৫% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।
পানীয়জলের উৎস নলকূপ ৯৮.০%, ট্যাপ ০.১% এবং অন্যান্য ১.৯%।
স্যানিটেশন ব্যবস্থা ৫৭.২% পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং ৩৭.৩% পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। ৫.৫% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই।
স্বাস্থ্যকেন্দ্র উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র ১, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র ৯, উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র ২, ক্লিনিক ৩।
এনজিও ব্র্যাক, আশা, কারিতাস, সমাধান, সমাজকল্যাণ সংস্থা, আহসানিয়া মিশন উল্লেখযোগ্য। [মোঃ ফিরোজ আনছারী]
তথ্যসূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১ ও ২০১১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; কেশবপুর উপজেলা মাঠ পর্যায়ের প্রতিবেদন ২০০৭।